Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ইসরায়েলি সেনারা যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানালো বাংলাদেশিকে হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল বাফেলো শহর কোরবানির জন্য পশু আমদানির প্রয়োজন নেই: প্রাণিসম্পদমন্ত্রী জয়পুরহাটে নাশকতা ও হত্যা মামলায় জামায়াত-শিবিরের ৬১ নেতাকর্মী কারাগারে এসসিবি-চ্যানেল আই অ্যাগ্রো অ্যাওয়ার্ড ২০২৩ -এ ‘সেরা কৃষি প্রতিষ্ঠান’ স্বীকৃতি পেল আইফার্মার ৫ জেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সোমবার সাফল্য অর্জনকারী ৫ জয়িতার গল্প তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

এন্ডোমেট্রিওসিস সচেতনতায় "একমিস গাইনোকেয়ার" এর সায়েন্টিফিক সেমিনার

প্রকাশিত:বুধবার ১৩ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৬জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃ

রাজধানীর ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এন্ডোমেট্রিওসিস রোগের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য দুটি সায়েন্টিফিক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

এন্ডোমেট্রিওসিস মেয়েদের এমন একটি রোগ যা জীবনের শুরুতে প্রকাশ পায় না। প্রায় ১৫% নারী প্রজনন তন্ত্রের ব্যাধি এন্ডোমেট্রিওসিসে ভুগছেন। বেশিরভাগ সময়ই পিরিয়ডের ব্যথার মতো হওয়ায় এই রোগের লক্ষণ বুঝা যায় না। তাই অ্যান্ড্রমেট্রিওসিস আক্রান্ত রোগীরা অনেক জটিলতায় ভুগেন যা দীর্ঘ মেয়াদে বন্ধ্যাত্বের কারণ হয়।

এই কারণে প্রতিবছর মার্চ মাসে বিশ্বব্যাপী এন্ডোমেট্রিওসিস সচেতনতা মাস পালন করা হয়। তাই সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে একমির "গাইনো কেয়ার" সম্প্রতি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে এই সংক্রান্ত দুটি সেমিনার আয়োজন করা হয়। সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন খ্যাতনামা স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডাক্তার নিয়াজ টি.পারভীন। ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি একটি অধিবেশন পরিচালনা করেছেন যেখানে ছাত্রীরা এন্ডোমেট্রিওসিস  সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করেছেন। উক্ত অধিবেশনে আরো উপস্থিত ছিলেন ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শামস-উর রহমান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আশিক মোসাদ্দিক, ফার্মেসি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আমিরুল ইসলাম, একমি ল্যাবরেটরিজ লিমিটেডের বিপণন ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান, সহকারি বিপণন ব্যবস্থাপক মুয়াজ বিন জাবাল।


অন্যদিকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিবেশনটি পরিচালনা করেন আরও একজন বিখ্যাত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ জয়শ্রী সাহা। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্কুল অফ হেলথ এন্ড লাইফ সায়েন্সের এর ডিন ড. হাসান মাহমুদ রেজা, ফার্মেসি বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মাহবুবুর রহমান, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ফার্মাসিটিকাল ক্লাবের লেকচারার এবং ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার জুনায়েত হোসেন খান, একমি ল্যাবরেটরিস লিমিটেডের বিপণন ব্যবস্থাপক মোঃ মাহবুবুর রহমান,সহকারি বিপণন ব্যবস্থাপক মুয়াজ বিন জাবাল।

এই ধরনের সচেতনতামূলক কর্মসূচি জনগণকে এন্ড্রমেট্রিওসিস রোগ সম্পর্কে সচেতন করে। তাই সাধারণ জনগণ রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করলে ভবিষ্যতে রোগের বিস্তার প্রতিরোধে সক্ষম হবে।



আরও খবর



গাংনীতে পুলিশি অভিযানে ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১১৫ বোতল ফেনসিডিল ও ৪০০ গ্রাম গাঁজা। সেই সাথে জব্দ করা হয়েছে নগদ ১৫০০ টাকা ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশের পৃথক পৃথক টীম কয়েকটি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করে।

এরা হচ্ছে- গাংনীর করমদি গ্রামের ছাদের আলীর ছেলে স্বপন(৩৮) ও আয়ুব আলীর ছেলে লিটন(৪০), পলাশী পাড়ার মৃত সুজা উদ্দীনের ছেলে টেফেন ওরফে খালিদ মাহমুদ(৩০), আলমডাঙ্গার নগর বোয়ালিয়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মামুনর রশীদ(৩০) ও ছাতিয়ান গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে স্বজল(২৭)। এদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু সাপেক্ষে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, মাদক পাচার রোধে গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালায়। এসময় করমদি গ্রাম থেকে স্বপন ও লিটনের কাছ থেকে ১০৫ বোতল ফেনসিডিল, হিন্দা গ্রামের রাস্তায় টেফেনের কাছ থেকে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার ও মাদক পরিবহন কাজে ব্যবহৃত একটি জনসেন মোটরসাইকেল ও মাদক বিক্রির ১৫০০ টাকা জব্দ করা হয়। এ ছাড়াও বাওট গ্রামের রাস্তা থেকে মামুনর রশীদ ও বামন্দী বাজারের রাস্তায় স্বজলের কাছ থেকে ৪০০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলাসহ ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওসি।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার পশ্চিম পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গরীব অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

সোমবার ( ৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপস্থিত থেকে অসহায় দের মাঝে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির  হয়েছেন। ঈদ উপহার নিতে আসা মানুষের চোখে মুখে আনন্দের ছোঁয়া দেখা যায়। উপহার নিতে ছোট বড় বৃদ্ধা সকল বয়সী লোকের সমাগম ঘটে।

ঈদ উপহার নিতে আসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহেদা বেগম বলেন, আগে কোনো স্যার এভাবে আমাদের কথা ভাবেনি। এই স্যার আমাদের শীতের সময় কম্বল দিয়েছেন। আজ আবার ঈদ উপহার দিয়েছেন। সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। কারণ এভাবে কেউ কখনো আমাদের মূল্যায়ন করেন না। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ উনার মঙ্গল করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার বয়স ৬২ বছর। আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তেমন কাজ পাই না। এই বছর ঈদ উপলক্ষ্যে কিছু কিনতে পারি নাই। পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে আমরা ভালভাবে ঈদ পালন করতে পারবো।আল্লাহপাক যেন পুলিশ সুপার স্যারের মঙ্গল করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. নূরুল হক, মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রহমান সহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মানবতার সেবায় নিয়জিত। পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য আমাদের এ আয়োজন। ভবিষ্যতেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এবং সকল বাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সকল মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করবে।জানিয়ে তিনি  আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

আরও খবর



ফুলবাড়ীর পল্লীতে জমিজমার বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিট বাড়ী দখলের চেষ্টা

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির সমশের নগর গ্রামে জমিজমার বিরোধ কে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় বাড়ীঘর ভাংচুর, জমি দখলের চেষ্টা, অগ্নিসংযোগ, মারপিটে আহত-২।

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির সমশের নগর গ্রামের মৃত্যু মিনহাজুল হকের পুত্র প্রতিবন্ধী মোঃ গহিন এর অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সমশের নগর গ্রামের মৃত্যু আমির উদ্দীনের পুত্র মোঃ সালাম বাবু (৩৫); মৃত্যু কেফার উদ্দীন এর পুত্র মোঃ মনির হোসেন (৬০); মোঃ মনির হোসেন এর পুত্র মোঃ ফয়জুর (৩৫); মোঃ কালাম এর পুত্র মাহাবুর (৪০); মৃত্যু মমিনুল বোদ পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর (৩৬); মোঃ আজিবর রহমান এর পুত্র সুমন (৩৬) সর্ব সাং-সমশের নগর ফুলবাড়ী, দিনাজপুর। তারা দলবদ্ধ হয়ে গত ২৬/০৪/২০২৪ইং তারিখে দুপুর সাড়ে ১২টায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে তারা লাঠি শোটা নিয়ে একই গ্রামের মৃত্যু মিনহাজুল হক এর পুত্র প্রতিবন্ধী গহিন (৫০) ও মিনহাজুল হক এর পুত্র সেকেন্দার আলী (৪৭) কে বেধম মারপিট করে এবং বাড়ী দখল করার চেষ্টা করে। অবশেষে বাড়ী তে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় ৯৯৯ এ ফোন দিলে ফুলবাড়ী থানা থেকে এএসআই জামেদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে আসেন। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ঐ দুই জন ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় ঘটনা স্থল থেকে উদ্ধার করে ফুলবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

প্রতিবন্ধী গহিনের ভাই হাফেজ মোঃ বেলাল হোসেন জানান, আমি ঐ সময় মসজিদে নামাজ পড়াচ্ছিলাম খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যাই। সেখানে দেখি চারদিক থেকে লাঠি শোটা নিয়ে বাড়ীতে হামলা করছে। আমি নিরুপাই হয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাই।

১৯৬৩ সাল থেকে ঐ জায়গায় আমার ভাই ও আমার পরিবার বসবাস করে আসছে। তারা কোন কাগজ পত্র দেখাতে পারে নি। এই ঘটনায় ফুলবাড়ী থানার এএসআই জামেদুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, গত শুক্রবার ৯৯৯ ফোনে ফোন পেয়ে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যাই এবং পরিস্থিতি শান্ত করি। এ বিষয়ে ভুক্তভুগি প্রতিবন্ধী গহিন এর পরিবারকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলি। মামলা হয়েছে কিনা তা বলতে পারব না। প্রতিবন্ধী মোঃ গহিন উল্লেখ্য ব্যক্তিদের নাম দিয়ে ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করেছেন।এই ঘটনায় প্রতিবন্ধী গহিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে ন্যায় বিচারের দাবী করেছেন।


আরও খবর



নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০,গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ২০০জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃপ্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক  ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশ মনির মিয়া ৩৫,জামাল মিয়া ৩৫,ফাইজুল ৩৮ফারুক ৬০,রিফাত ২৪,বিজয় ২০,দিদার, সাহাব উদ্দিন ২০,আজহারুল ১৮,শিমুল ১৮ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়।এ সংবাদ বড়দের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।একটি সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল সমর্থন দেন।

অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকেরা।এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।’রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়ডা শেষ কইরা দিবেন– বলছিলেন।’ তিনি দাবি করেন, জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সমকালকে বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দশ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের শার্শায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রায়হানকে আটক হয়েছে। বুধবার ভোররাতে শার্শার নাভারন এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত আসামী রায়হান শার্শার যাদবপুর গ্রামের মোহাম্মদ আহম্মদের ছেলে।

র‌্যাবের একটি সুত্র জানায়, রায়হান ২০১৭ সালের ০৮ মে ৫শ’গ্রাম হেরোইন সহ আটক হয়। ওই মামলায় সাত মাস হাজত বাস করে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে যায় সে।

২০২৩ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর রায়হানের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেয় যশোরের একটি আদালত। এরপর থেকেই সে পলাতক ছিলো। র‌্যাব তাকে ধরতে অভিযানে নামে। এক পর্যায় তথ্য প্রযুক্তি সহযোগীতা অবস্থান শনাক্ত করে তাকে আটক করা হয়। আজ বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।


আরও খবর