Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

এক বছরে বাংলাদেশে ৭২টির বেশি সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন হুয়াওয়ের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ২১২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় গ্রিডে সংযোজনের জন্য হুয়াওয়ে ২০২৩ সালে একটি ১০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন ইউটিলিটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে। পাশাপাশি মনপুরা উপজেলায় ২২ মেগাওয়াট আওয়ার ইএসএস সক্ষমতা সম্পন্ন বাংলাদেশের বৃহত্তম ও প্রথম মাইক্রো গ্রিড প্রকল্পও বাস্তবায়ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। একইসঙ্গে, প্রতিষ্ঠানের পার্টনারদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে ৭২টিরও বেশি সোলার রুফটপ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন করেছে। সব মিলিয়ে, ২০২৩ সালে হুয়াওয়ে ফিউশন সোলার ইনভার্টার ব্যবহার করে মোট ১৩২ মেগাওয়াট সক্ষমতার সোলার পাওয়ার প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে হুয়াওয়ে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে ২০২৩ সালে নিজেদের এ অর্জন তুলে ধরেছে হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া। সম্প্রতি রাজধানীতে আয়োজিত ‘হুয়াওয়ে সোলার অ্যানুয়াল সিরিমনি ২০২৩’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এসব অর্জন তুলে ধরে হুয়াওয়ে। হুয়াওয়ের ৬২টিরও বেশি পার্টনার কোম্পানির প্রতিনিধিবৃন্দ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

হুয়াওয়ের বাস্তবায়িত প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো বুয়েট, মেঘনা গ্রুপ, আকিজ বশির গ্রুপ, রাইজিং গ্রুপ, এনভয় গ্রুপ, ফকির গ্রুপ, কাজী ফার্মস, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনাল (জেটিআই) এবং ওয়ালটন গ্রুপের বিভিন্ন প্রকল্প। এ সকল প্রকল্পের বাস্তবায়ন সৌর জ্বালানি খাতে হুয়াওয়ের অবদানকে তুলে ধরে।

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া ডিজিটাল পাওয়ার বিজনেস বিভাগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াং উইক্সিং (জ্যাক) বলেন, “২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানির উৎস থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদন করার যে লক্ষ্য নির্ধারন করা হয়েছে তা অর্জন করতে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে হুয়াওয়ে। এ লক্ষ্য অর্জনে দক্ষিণ এশিয়ায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, সমাধান, ও পণ্য সরবরাহ করছে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানটি। বাজারে আমাদের ডিজিটাল পাওয়ার পণ্যগুলো বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর ২০২৩ সালে আমাদের যে অর্জন, তা এ জনপ্রিয়তারই প্রতিফলন। এ খাতে আরও অবদান রাখতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”

অনুষ্ঠানে ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিওরমেন্ট, অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) কোম্পানি ক্যাটাগরিতে পার্টনার প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি দিয়েছে হুয়াওয়ে। প্রকল্প সক্ষমতার ক্ষেত্রে অসাধারণ দক্ষতা প্রদর্শন করায় এ পুরস্কার অর্জন করেছে হুয়াওয়ে’র শীর্ষ ১৮টি ইপিসি পার্টনার প্রতিষ্ঠান। হুয়াওয়ে সল্যুশন্স এর মাধ্যমে সোলার মার্কেটে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় ১০টি প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এছাড়া, অনন্য পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে ডিষ্ট্রিবিউশনের ক্ষেত্রে অবদান রাখায় দুটি ‘ডিস্ট্রিবিউটর অ্যাওয়ার্ড’ও দেওয়া হয়।

হুয়াওয়ে আবাসিক স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশন্স, সিঅ্যান্ডআই স্মার্ট পিভি অ্যান্ড ইএসএস সল্যুশন্স, এবং ইউটিলিটি স্মার্ট পিভি সল্যুশন্স তৈরি করে। এসব সল্যুশন্স এর আওতায়, আইপিপি, রুফটপ, ডেটা সেন্টার ও মোবাইল টাওয়ারের জন্য হুয়াওয়ে’র সোলার ইনভার্টার ও গ্রিন পাওয়ার সল্যুশন্স রয়েছে।   

দেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে’র প্রতিশ্রুতির উদাহরণ হলো বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানটির সৌর প্রকল্পগুলো। উদ্ভাবনী সমাধানের মাধ্যমে বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগগুলোকে সামনে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হুয়াওয়ে।


আরও খবর



মাগুরায় আগুনে পুড়ে দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি!

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের সরইনগর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে । আগুনে বসতঘর, থাকা আসবাবপত্র, গোয়ালঘর, রান্নাঘরসহ পুড়ে গেছে পুড়েছে বাড়িতে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র । শনিবার দুপুর ২ টার দিকে আবু বক্কার শেখ ও আকামত শেখের বাড়িতে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একটি টিম দ্রুত চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাড়ির মালিক আবু বক্কার শেখ ও আকামত শেখ জানান, দুপুর ২ টার দিকে রান্নাঘরের পাশে থাকা ছাইয়ের গাদা থেকে রান্নাঘরে প্রথমে আগুন লাগে। আগুন দ্রুত আশেপাশের বসতঘর ও গোয়ালঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে আমাদের দুই পরিবারের লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন মাষ্টার মোঃ দেলোয়ার হোসেন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে দুই পরিবারের প্রায় এক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আরও খবর



নীলফামারির ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৩৭জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর রিপোর্টার ইউনিটির সদস্য, দৈনিক সমাজ সংবাদ পত্রিকার প্রতিনিধি,নুরুল ইসলাম, গ্লোবল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি সোহেল রানা, আজকের দেশ কন্ঠ পত্রিকার প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম, দৈনিক বর্তমান কথার নীলফামারী প্রতিনিধি হারুন উর রসিদ ও আন্দোলন কারি সাংবাদিক নেতা, দৈনিক জনতার নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি এস এম হামিদী বাবুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন নীলফামারী রিপোর্টার ইউনিটির সাংবাদিকবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে নীলফামারীর ডিসির মোড়ে ওই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। জেলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুর আলম সিদ্দিকি দুলালের সভাপতিত্বে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের কৃত মিথ্যা  মামলা তুলে নেয়ার দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন, সাধারন সম্পাদক সাহজাহান কবির লেলিন, কার্যকরী সভাপতি আবু হাসান,মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ডিমলা উপজেলা শাখার সম্পাদক সম্পাদক মহিনুল ইসলাম, সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সৈয়দপুর উপজেলার সদস্য সচিব ওয়ালিউর রহমান রতন সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধ জেলা কমিটির সভাপতি স্বর্না আকতার স্বর্নালী প্রমুখ।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী সাংবাদিক বক্তারা বলেন, নীলফামারির ৭ নং কচুকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রসিদ চৌধুরী গত ঈদ উল ফিতরে দুস্হদের মাঝে প্রদানরকৃত চালরওজনে কম দেয়ার প্রতিবাদ করেন উল্লেখিত ৫ সাংবাদিক। পরে চেয়ারম্যানের চাল চুরি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেন তারা।এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রসিদ চৌধুরী গত ২৪ এপ্রিল নীলফামারী সদর থানায় ৫ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া সাংবাদিকরা বলেন,৭ নং কচুকাটা ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে ফায়দা নিতে একটি কুচক্রী মহল ৫ সাংবাদিককে আসামি করতে ইন্ধন জাগিয়েছে। অচিরেই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা তুলে না নিলে রাজ পথেই বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে বক্তারা তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করেন। 


আরও খবর



দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর



আপিল বিভাগে তিন বিচারপতি নিয়োগ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:তিন‍ বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিন বিচারপতি হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংবিধানের ৯৫ (১) ধারা অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন বিচারপতি হিসেবে তাদের নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।

বর্তমানে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগে পাঁচজন বিচারপতি রয়েছেন। তিনজনের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আপিল বিভাগের বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াবে আটজনে।


আরও খবর



দেশের বৃহৎ দিনাজপুরের ঐতিহাসিক গোর- এ শহীদ মাঠে ৬ লাখ মুসল্লির একসাথে নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

দিনাজপুর প্রতিনিধি:যথাযোগ্য মর্যাদা, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, আনন্দ-ও কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলার মুসল্লিদের অংশগ্রহনে উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ ঐতিহাসিক গোর-এ শহীদ বড় ময়দানে দেশের বড় ঈদের জামাতে লাখো লাখো মুসল্লিরা একসাথে নামাজ আদায় করেছেন। রোদের তীব্রতা উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে দেশের বৃহৎ এই ঈদের জামাতে ৬ লাখ মুসল্লি একসাথে ঈদ-উল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন বলে আয়োজকদের দাবী।

ঈদের দিন বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই বিভিন্ন জেলা-উপজেলাসহ দুরদুরান্ত থেকে আসার ঢল নামে মুসল্লিদের। দুটি বিশেষ ট্রেন সার্ভিসে ছাড়াও মুসল্লিরা বিভিন্ন যানবাহনে ও পায়ে হেঁটে ঈদগাহ মাঠে আসেন। এসময় শহরের সব রাস্তাগুলো যেন একমুখী হয়ে যায়। ঈদের দিন সকাল ৯টায় এই ঈদের জামাতের ইমামতি করেন দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল ইসলাম কাশেমী। নামাজ আদায় শেষে মোনাজাতে দেশ এবং মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করা হয়।

বৃহৎ এই জামাতে অংশ নেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি(ভারপ্রাপ্ত) এম ইনায়েতুর রহিম, জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ, দিনাজপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল, বিচার বিভাগের কর্মকর্তা, প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনতা।

নামাজ শেষে বৃহৎ এই ঈদগাহ মাঠ ও মিনার নির্মাণের উদ্যোক্তা এবং পরিকল্পনাকারী হুইপ ইকবালুর রহিম জানান, এই জামাতে একসঙ্গে ৬ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় করেছেন। নিরাপত্তার ব্যাপারে ছিল জিরো টলারেন্স। সফলভাবে ঈদের জামাত সম্পন্ন হওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন তিনি। দিন দিন এই জামাতে মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।

এইবার ভারত থেকে নামাজে অংশ নিয়েছেন মুসল্লী। দিনাজপুর ছাড়াও ঢাকা, নীলফামারী, জয়পুরহাট, বগুড়া, ঠাকুরগাঁ, রংপুর জেলাসহ আশেপাশের অনেক মুসল্লি বাস, কার, মাইক্রো, জীপ এবং মোটরবাইকে করে এই ঈদ জামাতে অংশ নেন।

ভারতের গঙ্গারামপুর থানা থেকে আসা ওসমান আলী জানান, টিভি অনলাইনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে এতবড় মাঠ ও এত মুসল্লি একসাথে নামাজ আদায় করে। এতে আমারও ইচ্ছা হয়। তাই এবার এখানে নামাজ পড়ার জন্য এসেছি।এত মানুষের একসাথে এটাই আমার প্রথম নামাজ। এখানে নামাজ আদায় করতে পেরে খুব খুশি।

নামাজ আদায় করে একইরকম অনুভূতি প্রকাশ করে ঢাকার রামপুরার বনশ্রী নিবাসী হাজী মোঃ আব্দুল আলী বলেন, এশিয়ার বড় জামাতের কথা শুনে ঈদের নামাজ আদায় করতে এসেছি। এটি আসলেই বৃহৎ জামাত। এতবড় জামাতে নামাজ আদায় করেছি সওয়াবের আশায়।ঢাকা থেকে মোঃ ইমরান কবির ও মোঃ রাতুল বলেন, ঈদের কারণে যানবাহন পেতে সমস্যা হয় দেখে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে নামাজ আদায় করতে আসেন না। যদি প্রতিটি জেলা থেকে বিশেষ পরিবহনের ব্যবস্থা করা হয় তাহলে মুসল্লি আরও বাড়বে। ভবিষ্যতে এখানে মুসল্লিদের সংখ্যা আরও বাড়বে।রংপুর থেকে আসা অলিউল ইসলাম বলেন, এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় ও দেশের সর্ববৃহৎ ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার অন্য অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল। আল্লাহ আজ সে আশা পুরণ করেছে। জীবনে প্রথম লাখ লাখ মুসল্লির সঙ্গে ঈদের নামাজ পড়তে পেরে ভালো লাগছে।

যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশের পক্ষ থেকে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। অস্ত্রধারী পুলিশ সদস্যসহ পুলিশ, র‌্যাব, আনসার, ডিবি, ডিএসবি, এনএসআই, ডিজিএফআই সদস্যরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাজ করেন। মাঠে সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ ড্রোনের মাধ্যমে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হয়। ছিল ঈদগাহের মাঝে র‌্যাবের ওয়াচ টাওয়ার, প্রবেশের পূর্বে মুসল্লিদের আনা যানবাহন রাখার বিভিন্ন পয়েন্টে তল্লাশী ব্যবস্থা। মাঠে মেটাল ডিটেক্টরে তল্লাশির পর প্রবেশ করানো হয় মুসল্লিদের।

উল্লেখ্য, উপমহাদেশের বৃহৎ ঈদগাহ দিনাজপুরের গোর-এ শহীদ বড় ময়দানের আয়তন প্রায় ২২ একর। ২০১৭ সালে নির্মিত ৫২ গম্বুজের এ ঈদগাহ মিনার। এই ৫০ গম্বুজের দুই ধারে ৬০ ফুট করে দুটি মিনার, মাঝের দুটি মিনার ৫০ ফুট করে। ঈদগাহ মাঠের মিনারের প্রথম গম্বুজ অর্থাৎ মেহেরাবের (যেখানে ইমাম দাঁড়াবেন) উচ্চতা ৪৭ফুট। এর সঙ্গে রয়েছে আরও ৪৯টি গম্বুজ। এছাড়া ৫১৬ফুট লম্বায় ৩২টি আর্চ নির্মাণ করা হয়। মিনার সিরামিক্স ইট দিয়ে আচ্ছাদিত। রাতে আলোকিত করতে প্রতিটি গম্বুজ ও মিনারে রয়েছে বৈদ্যুতিক লাইটিং। ২০১৭সাল থেকে প্রতিবছর এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। এই গোর-এ শহীদ মযদানে একসঙ্গে ১০লাখ মানুষ ঈদের জামাত আদায় করতে পারার ব্যবস্থা রয়েছে। উপমহাদেশে এত বড় ঈদগাহ মাঠ দ্বিতীয়টি নেই। এছাড়াও পর্যটকদের কাছেও এটি এখন দর্শনীয়।


আরও খবর