ডোমার (নীলফামারী):আগামী ৭ জানুয়ারী আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী-০১ ডোমার-ডিমলা আসনে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে ৬ জন প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণা। প্রতিটি প্রার্থী সকাল থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে এলাকার বিভিন্ন হাট বাজার, পাড়া মহল্লায় পথসভা, উঠান বৈঠকসহ সাধারণ মানুষের সাথে গণসংযোগ এবং কুশল বিনিময় করে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। বিকাল হলেই শুরু হয় প্রার্থীদের
প্রতিক ও নামের বিভিন্ন গানের সুরে তাল মিলিয়ে মাইকিং। এদিকে ক্ষমতাশীন দল আ’লীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে টানা ২ বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এনকে আলম চৌধুরী এবার দলের মনোনয়ন না পেয়ে তৃনমূল বিএনপি থেকে সোনালী আশঁ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির নির্বাচিত এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী তিনিও দলের মনোনয়ন না পেয়ে এবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) থেকে নোঙ্গর
প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছে। তবে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে অবঃপ্রাপ্ত লেঃ কর্ণেল তছলিম উদ্দিন ব্যপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়াও জাতীয় পার্টি-জে.পি (মঞ্জু) মনোনিত অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ মখদুম আজম মাশরাফী তুতুল সাইকেল প্রতিক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার ইমরান কবির চৌধুরী জনি ট্রাক প্রতিক নিয়ে ভোট যুদ্ধে নেমেছে। এখন জনমনে প্রশ্ন ৬ জন প্রার্থীর মধ্যে আগামী ৭ জানুয়ায়ী নির্বাচনে ভোট যুদ্ধে কে হতে পারে নীলফামারী-১ ডোমার ডিমলা আসনের এমপি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার দাবী করেন শেখ হাসিনার আমলে দেশে ব্যপক উন্নয়ন
হয়েছে, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবারো নৌকায় ভোট দেয়া প্রয়োজন। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য এনকে আলম বলেন ১৯৮৮ সালে ৪র্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে এলাকায় অনেক কাজ করেছি। শেষ বয়সে আবারো বাকী কাজগুলো সম্পন্ন করতে চাই। সাবেক সাংসদ জাফর জাফর ইকবাল সিদ্দিকী জানান ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়ে অনেক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছি। এবার নির্বাচিত হয়ে শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বেকারত্ব দুরীকরণে বিশেষ ভুমিকা রাখবে তিনি।