Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকার অবস্থান আজ অষ্টম দূষিত শহরের তালিকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান অষ্টম। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, তাইওয়ানের কাওশিউং ও ঘানার আক্রা যথাক্রমে ১৮৭, ১৬৯ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



মেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরে মানব পাচার মামলায় জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হক নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সেই সাথে দশ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দু’বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেহেরপুর মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক তহিদুল ইসলাম আসামী জাহিদুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত জাহিদুল হক চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সদরের উত্তর উজিলপুর গ্রামের মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ভুক্তভোগী রেবা খাতুন ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকুরী সুবাদে আসামী জাহিদুল মেম্বার ওরফে জাহিদুল হকের সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে জাহিদুল হক রেবাকে ৫০ 'হাজার টাকায় জর্ডানে ভাল চাকুরীতে প্রেরণের প্রস্তাব দেয়। সরল বিশ্বাস রেবা খাতুন জাহিদুলের হাতে ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন। পরে ২০১৪ সালের ১০ অক্টোবর রেবা খাতুনকে জর্ডানে পাঠানোর উদ্দেশ্যে ঢাকায় নিয়ে যান। ০৪ দিন পর রেবাকে রেখে জাহিদুল চলে যায়। পরে রেবা খাতুন টাকা ফেরত চাইলে জাহিদুল টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রেবার ভাবি গাজু খাতুন আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মেহেরপুর সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।যার নাম্বার ২৯/২০১৪।

মামলাটি মেহেরপুর সদর থানার তৎকালীন এসআই দুলু মিয়া ও এসআই ফারুক হোসেন তদন্ত করেন। তদন্ত শেষে আসামী জাহিদুল হকের বিরুদ্ধে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২ এর ৬, ৭ ও ৮ ধারায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় সরকারী কৌশলী ছিলেন একে এম আছাদুজ্জামান।


আরও খবর



ঈদ উপহার দিয়ে ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় প্রবাসী তরুণের মৃত্যু

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধিঃজয়পুরহাটের আক্কেলপুরে  মালয়েশিয়া প্রবাসী এক তরুণ মোটরসাইকেলে যোগে আত্বীয়র বাড়িতে ঈদ উপহারের জিনিসপত্র পৌঁছানোর পর নিজের বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনের ধাক্কায় মারা গেছেন। এসময় তাঁর  মোটরসাইকেলটি চলন্ত  ট্রেনের ইঞ্জিনে আটকে ছিল। ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে যাওয়ার পর একটি প্ল্যাটফার্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে ট্রেনের ইঞ্জিন থেকে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটকে পড়ে। 

শুক্রবার সকাল পৌনে ১১ টায় হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকের রাস্তা পারাপারে সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।নিহত ব্যক্তি হলেন মিজানুর রহমার ওরফে মুকুল হোসেন (২৮)। তিনি  আক্কেলপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। মিজানুর রহমান মালয়েশিয়া প্রবাসী ছিলেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে দেড় মাস আগে ছুটিতে দেশে এসেছিলেন।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে,  মিজানুর রহমান মোটরসাইকেল যোগে  শুক্রবার সকালে তাঁর খালার বাড়ি গণিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন। তিনি খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরছিলেন। পথে হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্বদিকে রাস্তা পারাপারের সময় চিলাহাটী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চিলাহাটী এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনে ধাক্কায় মিজানুর  রেললাইনের পাশে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাঁর মোটরসাইকেলটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়।  ট্রেনটি ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরে  জাফরপুর স্টেশনে গিয়ে প্ল্যাটফর্মের ধারিতে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেলটি রেললাইনের পাশে সিটক পড়ে। ট্রেনটি সেখানে গিয়ে দাঁড়িয়ে যায়। স্বজনেরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মিজানুরের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান।

হলহলিয়া গ্রামের বাসিন্দা মজিদুল হক  বলেন, আমি হলহলিয়া রেলসেতুর পূর্ব দিকে ঘটনাস্থল থেকে দেড়শ গজ দূরে রেললাইনের পাশে গরু চড়াচ্ছিলাম। ঢাকাগামী একটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে মোটরসাইকেল আটকে ছিল। লোকজনের চিৎকার শুনে এসে দেখি মোটরসাইকেল চালকের ছিন্নভিন্ন দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে আছে। খবর পেয়ে লোকজন এসে লাশটি হাজরাপাড়া গ্রামের প্রবাসী মিজানুরের বলে শনাক্ত করেন।

নিহতের মিজানুর রহমানের  খালা নাইচ আক্তার কাঁদতে-কাঁদতে  বলেন, মিজানুর শুক্রবার সকালে আমার বাড়িতে এসে ঈদের বাজার দিয়েছে। আমরাও তাকে ঈদের কিছু বাজার দিয়েছিলাম। আমার বাড়ি থেকে যাওয়ার আধাঘন্টা পর  মিজানুরের মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। ভাগিনার এমন মৃত্যু সহ্য করতে  পারছিনা।

নিহতের বড় ভাই আব্দুল লতিফ বলেন, মিজানুর  মালয়েশিয়াতে ছিল। সে প্রায় দেড় মাস আগে আমাদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়িতে এসেছিল। আমরা তার বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজ করছিলাম।  খালার বাড়িতে ঈদের বাজার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে ধাক্কায় মিজানুরের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের ঈদের আনন্দ এখন বিষাদে পরিণিত হয়েছে। 

সান্তাহার রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  (ওসি) মুক্তার হোসেন বলেন, হলহলিয়া ব্রীজ এলাকায় ঢাকা থেকে চিলাহাটিগামী আন্ত:নগর ট্রেনের ধাক্কায় এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

আরও খবর



মেহেরপুরে ঈদের কেনা কাটা ক্রেতারা সকলেই জরি ও চুমকী জরে আক্রান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃদিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মেহেরপুরের বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে ভীড়। ধাক্কা ধাক্কি আর ভীড় উপচিয়ে নিজেদের পছন্দের অনুসঙ্গটি কিনছেন বেশ পরখ করে। তবে নারী পুরুষ সকলের পোশাকেই যেন জরি বা চুমকীর ছোঁয়া। এবারের ঈদে সকলেরই এটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।

মেহেরপুরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ও শপিং মলে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দেখা গেছে শাড়ীর দোকান গুলোতে শোভা পাচ্ছে বৈচিত্রময় নান্দনিক কারুকাজ, নকশা ও বুননের শাড়ী । বাজার ঘুরে ঘুরে যাচাই-বাছাই করে অনেকে কিনছেন মানানসই আর সবচেয়ে ভিন্ন শাড়ীটি। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিপণি বিতান প্রস্তুত নকশার শাড়ী নিয়ে। এবার নারী ও তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সূতী ও জামদানী। তাছাড়া সালোয়ার কামিজের ক্ষেত্রেও সূতি বেশ নজর কেড়েছে। এক হাজার টাকা থেকে ২৭ হাজার টাকা দামের শাড়ীও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় শিফন, কাতান, বেনারশি জর্জেট ও মহিশুরী শাড়ির প্রতি টান সব বয়সী তরুণী ও নারীদের।

থ্রী পিচের ক্ষেত্রে সকলের পছন্দ আলাদা আলাদা। পাকিস্তানী কামিজ, আফগান আলিয়াট গাউন, ভারতীয় বিপুল, ভিয়েনা শালিকা ও দেশী ব্রান্ড পদ্মজা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সকলের পছন্দে ভিন্নতা থাকলেও এক জায়গাতে সকলেই সমান। সেটি হচ্ছে- সকল পোশাকেই যেন জরি ও চুমকী ছোঁয়া চাই চাই ই। বিশেষ করে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অভিনেত্রীদের পোশাকের সাথে অনেকটা মানানসই। তবে নির্দিষ্ট পোশাক জ¦রে কেউ আক্রান্ত নয়।

গাংনী এসএম প্লাজার কাজল বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী কাজল জানান, এবারে বেচা বিক্রি শুরু হয়েছে রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। চাষিরা ফসল ঘরে তুলেছেন আর প্রবাসীরা তাদের পরিবারের জন্য আগেই কেনা কাটার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। তবে এবার ফুটপাত থেকে অভিজাত বিপনী বিতান সবখানেই ভীড় লক্ষণীয়। আভিজাত বিপনী বিতানে যে পোশাক পাওয়া যাচ্ছে একই ধরনের পোশাক রয়েছে ফুটপাতে। তবে গুণগত মানে পার্থক্য রয়েছে।

জামান ক্লথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী এমএস জামান জানান, বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত দোকানগুলোতে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, নারীদের সাথে পুরুষেরাও সমান তালেই টক্কর দিচ্ছেন। বেশ গুছিয়ে, ফ্যাশনে্আর জখবর করেই ঈদ মার্কেটিংয়ে

নামছেন তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নানা দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মন কাড়া পোশাকটির খোঁজে। তারা সময় ও পরিবেশ বুঝেই পোশাক নির্বাচন করছেন। বিভিন্ন দোকানগুলোও কিশোর আর তরুণদের উপযোগী নানা নকশার ঈদ পোশাক এনেছে। পাঞ্জাবীর গলা বুক আর হাতে রয়েছে নানা কারুকাজ। তরুণদের কাছে এবার চেক শার্ট ও নানা নকশার টি- শার্টের আগ্রহ বেশি। বিশেষ করে জরি ও চুমকীর ছোঁয়া।

শালদহ গ্রামের কলেজ ছাত্রী কেয়া জানান, তিনি একটি আফগান আলিয়াট গাউন কিনেছেন। এতেও চুমকীর ছোঁয়া রয়েছে। গেল বার এ ধরনের পোশাকের দাম কিছুটা কম হলেও এবার দাম একটু বেশি। তবে পছন্দের পোশাকটি কিনতে পেরে বেজায় খুশি।কুষ্টিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফারজানা জানান, তিনি পাকিস্তানী কামিজ কিনেছেন। তবে জর্জেটের উপর চুমকীর কাজ করা। হাতের কাজ করা তাই দামও একটু বেশি বলে জানিয়েছেন এই ক্রেতা।

গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, বাজারে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় বা চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে।


আরও খবর

গাংনীতে বিদুৎষ্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু

বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪




দেশবাসিকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্য সচিব আমিনুল হক

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা  ১৬ আসনসহ  বিশ্বের সকল মুসলমানকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানিয়েছেন  বিএনপি'র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির বিপ্লবী সদস্য সচিব   আমিনুল হক।

 তিনি বলেন, ব্যক্তি জীবনকে সুন্দর, পরিশুদ্ধ ও সংযমী করে গড়ার লক্ষ্যে মোমিন মুসলমানেরা মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার পর অনাবিল আনন্দের বার্তা নিয়ে ঈদুল ফিতর সমাগত। বিশ্ব মুসলিমের সবচেয়ে বড় উৎসব ঈদুলফিতর। উৎসব মানুষের আনন্দময় স্বত্তার জাগরণ ঘটায়।

তার আত্মাকে মিলনের বোধে উদ্দীপ্ত করে। ঈদুল ফিতরের উৎসবে সমাজের সকল ভেদরেখা ও সীমানা অতিক্রম করে মানুষে মানুষে মহামিলন ঘটায় ও সৃষ্টি করে পরষ্পরের প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছাবোধ।

ধনী-গরিব, উচু-নিচু নির্বিশেষে সকল মানুষকে নিবিড় ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে। হানাহানি, হিংসা, বিদ্বেষ ও তিক্ততার গ্লানি থেকে মানুষের মনকে এক স্বর্গীয় শান্তি ও সম্প্রীতির বোধে উদ্দীপ্ত করে ঈদুল ফিতরের উৎসব।

তাই এই উৎসবের দিনে প্রতিটি মুসলমান নর-নারী সৌহার্দ্যরে বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে আনন্দকে একত্রে উপভোগ করতে হবে। ঈদুল ফিতর নির্মল আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে দিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ মর্মবাণী মানবজাতির কাছে পৌছে যায় তা হচ্ছে ‘সকলের তরে সকলের আমরা’।

এই মর্মবাণী মানসিক কদর্য, অন্যায় ও নিষ্ঠুর সামাজিক অসাম্যকে অতিক্রম করে এক নিবিড় ভাতৃত্ববোধের প্রেরণা জাগায়। আর এই প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে সমাজের অপেক্ষাকৃত দরিদ্র, অবহেলিত ও বঞ্চিত মানুষের প্রতি সাহায্য ও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেয়া মুসলমান হিসাবে আমাদের কর্তব্য। 

তিনি আরো বলেন, আমি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছি আপনাদের যাদের সামর্থ্য আছে তারা অবশ্যই   অসহায়  নেতা কর্মীদের  পাশে দাঁড়াবেন। আপনারা হতাশ হবেন না। আপনারা ধৈর্য ধারণ করুন।  আল্লাহ নিশ্চয়ই উত্তম ফয়সালা কারী।

আরও খবর



ফুলবাড়ী উপজেলার দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে কোটি টাকার বালু উত্তোলন

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:ফুলবাড়ী উপজেলা প্রশাসনের নজরদারী বা অভিযান না থাকায় দেবীপুর ছোট যমুনা নদী থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে কোটি টাকার বালু। ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনগর ইউপির দেবীপুর গ্রামে সংলগ্ন ছোট যমুনা নদী থেকে বছরে বিভিন্ন ব্যবসায়ীরা অবৈধ্যভাবে কোটি টাকার বালু উত্তোন করে বিভিন্ন স্থানে মজুদ করে বিক্রি করছে। এতে নদী সংলগ্ন পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলি নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ছে। প্রতি দিন গভীর রাতে ও ভোর বেলায় বালু ব্যবসায়ীরা ট্রলি নামিয়ে বালু উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে।

প্রতি গাড়ি বালু ১২শত থেকে ১৪শত টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। শিবনগ্রর ইউপির পাঠকপাড়া কুমারপুর ঘাট থেকে মোঃ মিলন, দেবীপুর ঘাট থেকে মোঃ উজ্জল, পাঠপাড়া ঘাট থেকে মোঃ বাদশা, শ্মসান ঘাট থেকে মোঃ বেলাল বালু উত্তোলন করছেন। প্রকৃত সরকারি ঘাটের ইজারা ডাক না থাকায় এই অবস্থার মধ্য দিয়ে অবৈধ্য বালু ব্যবসায়ীরা লুটে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। এমনি অবস্থা বিরাজ করছেন ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ও খয়েরবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সরকার বিপুল পরিমান রাজস্ব হারাবেন। এই ছোট যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু উত্তোলন করেন সরকারি বেসরকারি রাস্তা ঘাটের কাজ ও করা হচ্ছে। সরকারি কাজে ঠিকাদারদের সিডিউলে বালুর দাম ধরা থাকলেও তারা বাইরে কিছু লোকজনদেরকে দিয়ে চোরাই পথে যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তাগুলির কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিশেষ করে শিবনগর ইউপির পাঠকপাড়া থেকে আমডুংগিহাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে যেভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তাতে নদীর দুই ধারের জমির মালিকদের অফুরন্ত ক্ষতি হচ্ছে। বর্ষাকাল এলে জমিতে লাগানো ফসল নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এই বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা

নেওয়া না হলে তারা অবৈধ বালু নদী থেকে তুলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হবে। ভাংতে থাকবে কৃষকদের ফসলি জমি। এ ব্যাপারে পাঠকপাড়া ইউপির ৩নং ওয়ার্ডের ওয়ার্ড সদস্য জানান, প্রশাসনকে বলে কোন কাজ হয় না। প্রশাসন স্থানীয় চকিদারদের দিয়ে এই সব অবৈধ বালু ব্যবসায়ীর গাড়ি আটক করে আইনগত ব্যবস্থা নিলে হয়তোবা অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ হতে পারে।

এ বিষয় ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমালা এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, আজ অভিযান চালিয়ে একটি গাড়ী আটক করা হয়েছে। এই অভিযান অব্যহত থাকবে। কাওকে যমুনা নদী থেকে অবৈধ্যভাবে বালু তুলতে দেওয়া হবে না।

এ ব্যাপারে কৃষক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা ভয়ে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারিনা। আমরা অসহায়। এ ব্যাপারে শিবনগর ইউপির গ্রামবাসী ও কৃষকেরা দেবীপুর থেকে আমডুংগি হাট পর্যন্ত ছোট যমুনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধকল্পে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আরও খবর