Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

ঢাকার অবস্থান আজ অষ্টম দূষিত শহরের তালিকায়

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় আজ শনিবার ঢাকার অবস্থান অষ্টম। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৩৪ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় ছিল।

থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, তাইওয়ানের কাওশিউং ও ঘানার আক্রা যথাক্রমে ১৮৭, ১৬৯ ও ১৫৮ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থান দখল করেছে।

একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ২০০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে মনে করা হয় এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।

বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে, সেগুলো হল- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২,সিও,এসও২ এবং ওজোন (ও৩)।

দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।

২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো, ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।

প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।


আরও খবর



১৩৩ কেন্দ্রে এগিয়ে জায়েদা খাতুন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোট গ্রহণ। এখন চলছে গণনা। বেসরকারিভাবে ঘোষণা করা ১০৫ টি কেন্দ্রের ফলাফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন এগিয়ে রয়েছেন।

৪৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫০টিতে জায়েদা খাতুন পেয়েছেন ৬৮ হাজার ৮০০ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা খান পেয়েছেন পেয়েছেন ৫৮ হাজার ২৫ ভোট।

এর আগে আজ সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। কোনো প্রকার অনিয়ম ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট শেষ হয়। সব কটি কেন্দ্রেই ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএমে) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়। দুই একটি কেন্দ্রে আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে দেরি হয়।

সকালে ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে সঙ্গে নিয়ে কানাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জায়েদা খাতুন। ভোট দেওয়ার পর জায়েদা খাতুন বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ! সুষ্ঠুভাবে ভোট হচ্ছে। আমি আশাবাদী।

এদিকে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থী আজমত উল্লা খান। সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে টঙ্গীর দারুস সালাম মাদ্রাসা কেন্দ্রে নিজের ভোট দেন আজমত উল্লা খান। তিনি বলেছেন, ‘জয়ের বিষয়ে আমি আত্মবিশ্বাসী।

এ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮০টি এবং ভোটকক্ষ ৩৪৯৭টি। মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২, নারী ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১৮ জন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ১০ হাজার ৯৭০ জন। প্রিসাইডিং অফিসার ৪৮০, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ৩৪৯৭ এবং পোলিং অফিসার ৬৯৯৪ জন।


আরও খবর



বিরামপুরে এবি পার্টির প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ মে ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image
মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: "নোঙ্গর ফেলেছি স্বপ্ন বুনেছি মুক্তির সংগ্রামে" শ্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুর জেলার বিরামপুরে দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির) ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকাল ৫ ঘটিকায় বিরামপুর উপজেলার অবসর মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির) দিনাজপুর জেলার কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মো: শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে কেক কাটা আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় দিনাজপুর জেলা এবি পার্টির সদস্য সচিব মেহেদী হাসান পলাশের সঞ্চালনায় দিনাজপুর জেলার কমিটির আহবায়ক অধ্যক্ষ মো: শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির)  ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব, কেন্দ্রীয় কমিটি ও রংপুর জেলার আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন মারজান, বিশেষ অতিথি সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক, দিনাজপুর জেলা সদস্য, এবি পার্টির কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির অধ্যক্ষ শাহিনুর রহমান, বিশেষ অতিথি যুগ্ম আহবায়ক ও দিনাজপুর জেলা এবি পার্টির এডভোকেট খন্দকার মো: মাসুম, যুগ্ম আহবায়ক ও দিনাজপুর জেলা এবি পার্টির গোলাম সরোয়ার, সহকারী সদস্য সচিব, এবি যুব পার্টি কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি ও বোচাগঞ্জ উপজেলা শাখা কমিটির আহবায়ক হাফেজ আমানুল্লাহ সরকার, চিরিরবন্দর উপজেলার আহবায়ক মাওলানা আনিছুর রহমান, নবাবগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এসময় রংপুর জেলা কমিটি ও দিনাজপু জেলা কমিটি ও বিরামপুর উপজেলা কমিটির নেতা-কর্মী ও পার্শ্ববর্তী উপজেলার অনেক নেতা-কর্মী, সমর্থকবৃন্দ ও সুধীমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।আলোচনা সভা শেষে আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টির) ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আরও খবর



ঘূর্ণিঝড় ‘মোচা’ কোথায় তাণ্ডব চালাবে

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে ‘মোচা’ ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির শঙ্কা রয়েছে। এটি বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের কিছু জায়গায় আঘাত হানতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, উড়িষ্যা, তামিলনাড়ু নাকি অন্ধ্রপ্রদেশ- কোন রাজ্যে ‘মোচা’ আঘাত হানবে তা নিয়েও চলছে বিশ্লেষণ।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের খবরে বলা হয়, পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর আজ শনিবার একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হবে। তার প্রভাবে ওই একই অঞ্চলে আগামীকাল রোববার একটি নিম্নচাপ তৈরি হবে। পরের দিন সোমবার এটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে।

সেই গভীর নিম্নচাপটি এরপর শক্তি সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং সেটি উত্তর দিক বরাবর অগ্রসর হয়ে মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে যাবে। এই গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে তবেই সেটির নাম হবে ‘মোচা’।

পশ্চিমবঙ্গ আবহাওয়া দপ্তরের বিশ্লেষণ বলছে, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওপর সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়টি সোমবারের পর প্রবল থেকে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তারপর সেটি বাংলাদেশ কিংবা মায়ানমার উপকূলে ১২ অথবা ১৩ মে আঘাত হানতে পারে।

আবহাওয়া দপ্তরের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞরা তারা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না নিম্নচাপ অঞ্চল সৃষ্টি হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না কোন পথে এগোবে ‘মোচা’, কোথায়ই বা এটি আছড়ে পড়বে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এই ঝড় মিয়ানমার থেকে পশ্চিমবঙ্গসহ ওড়িশার মধ্যে যে কোনো উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।

আবহাওয়ার আন্তর্জাতিক মডেল বলছে, চূড়ান্তভাবে উত্তর দিকে ঘোরার আগে এই ঘূর্ণিঝড় মধ্য বঙ্গোপসাগরের দিকে এগোবে। এমনটা যদি হয়, সে ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়টি তামিলনাড়ু উপকূল বরাবর এগোবে এবং ১১ মে গতিপথ বদলাবে।

উত্তর এবং উত্তর-পূর্ব দিক বরাবর এগোনোর সময় আরও বেশ শক্তিশালী হবে এই ঝড়। সে ক্ষেত্রে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রূপ নেবে অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ে। সেটি আঘাত হানতে পারে বাংলদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূল অথবা মিয়ানমারে। যদি এই দুই জায়গায় আছড়ে না পড়ে, তা হলে উড়িষ্যা অথবা পশ্চিমবঙ্গে ‘মোচা’র আছড়ে পড়ার শঙ্কা থাকছে।


আরও খবর



পলাশবাড়ীর গ্রামাঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ধান-চাল সংরক্ষণের বাঁশের তৈরি গোলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image
সিরাজুল  ইসলাম রতন, গাইবান্ধার : গ্রামাঞ্চলে ধান-চাল সংরক্ষণে বাঁশের তৈরি বড় পাত্রের নাম গোলা। এটি গাইবান্ধার অঞ্চলে ডুলি বা বেড় নামেও পরিচিত। বাঁশ দিয়ে এ গোলা তৈরি করা হয়। গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার গুলো পুরো বছরের খাদ্যের সংস্থানে গোলায় ধান সংরক্ষণ করে থাকেন।প্রতি ধানের মৌসুমে ধান মারাকাটি করে শুকিয়ে গোলাজাত করা হয়ে থাকে। প্রয়োজনের সময় গোলা থেকে ধান বের করে পূনরায় রোদে শুকিয়ে ধান ভেঙ্গে চাউলে রূপান্তর করা হয়। তবে বাজারে বিক্রি করার সময় নতুন করে আবার ধান শুকানোর আর প্রয়োজন পড়েনা। 

এশিয়া মহাদেশে অন্যান্য ১৯টি দেশের সাথে বাংলাদেশেও মানুষের প্রধান খাদ্য হচ্ছে ভাত। চাল রান্নার পর হয় ভাত। গোলা থেকে ধান নামিয়ে তা মেশিনে ভাঙ্গিয়ে তুলনামূলক অধিক ছোট পাত্রে রাখা হয় চাল। আর সেখান থেকেই চাল নিয়ে ভাত রান্না করা হয়।গোলা ভর্তি ধান না থাকলে এক সময় গ্রামের গৃহস্থ্য পরিবার সেই বাড়িতে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে পর্যন্ত দিতে আগ্রহী হতো না। এ কথা এখনো গ্রামাঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে ঘুরে-ফিরে। যাতে নষ্ট না হয় সে কারণে গোলায় ধান রেখে সেই গোলার মুখ মাটির লেপ দিয়ে বদ্ধ করে রাখা হয়।

 আবার টাকার প্রয়োজন হলে গোলা থেকে ধান নিয়ে বাজারে বিক্রি করা হতো। সে সময়ের সমাজ ব্যবস্থা এখনকার মতো এত উন্নত ছিলনা। তখন চোর-ডাকাতের ভয়ে ধানের গোলার ভিতর স্বর্ণ ও টাকা পয়সা সংরক্ষণ করে রাখা হতো। ধান রাখার এ পাত্রকে গোলা বা বেড় দুই নামে আখ্যায়িত করার কারণও রয়েছে। বেড় অপেক্ষাকৃত গোলা মজবুত।গোলা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। বাঁশের তৈরি গোলা ব্যবহার দিন দিন কমে গিয়ে এখন শূন্যের কোঠায়। কারণ আমাদের পারিবারিক বাঁশঝাড় গুলো ক্রমেই বসতভিটায় পরিণত হওয়ায় তা দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। 

সম্প্রতি বেশির ভাগ বাঁশঝাড় গ্রামের বিত্তশালীদের পাকা স্থাপনা, বহুতল ভবন নির্মাণে সহায়ক সামগ্রী হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফলে বিত্তশালীরা চড়াদামে বাঁশ কিনে নিয়ে যাচ্ছে নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে। আর বাঁশের উৎপাদনও কমে যাচ্ছে। একদিকে উৎপাদন কমে যাচ্ছে অপরদিকে চাহিদা বৃদ্ধিগ পাওয়ায় বাঁশের দাম ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। গোলা তৈরির প্রধান উপকরণ বাঁশের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।তাই বর্ধিত মূল্যে উৎপাদিত গোলা বিক্রি করতে হচ্ছে। গোলা বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। একটি বড় গোলায় ৪০ থেকে ৫০ ও একটি ছোট গোলায় ২০ নুন্যতম ৩০ মন ধান সংরক্ষণ করা যায়।

তবে গৃহস্থ্য পরিবার তাদের চাহিদানুযায়ী গোলা তৈরি করে থাকেন। তবে গোলায় ধান রাখলে অনেক সময় নানা সমস্যাতেও পড়তে হয় গৃহস্থ্য পরিবার গুলোকে। গোলায় ধান সংরক্ষণ করলে ইদুঁর ধান নষ্ট করে বেশি। গ্রামের প্রতিটি বসতবাড়িতে ইদুঁর উৎপাত-বিদ্রুপ করে থাকে বেশী। ইদুঁরের প্রধান খাদ্য ধান। গোলার ধান খেয়ে ইদুঁর মাটিতে ফেলে দেয়। গৃহস্থ্যরা জানায়, ইদুঁরের হাত থেকে ধান রক্ষার জন্য সাম্প্রতিক সময়ে গোলার ব্যবহার অনেকটাই কমে গেছে। বাঁশের তৈরি গোলার স্থান দখল করে নিয়েছে স্থায়ী পাকা অথবা টিনের ড্রাম। 

টিনের ড্রাম ঘরের বাইরেও রাখা যায়। বাঁশের তৈরি ধানের গোলা বাইরে রাখলে চুরি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাছাড়া স্থায়িত্ব কম হওয়ায় অনেকে টিনের গোলা তৈরি করার ফলে বাঁশের তৈরি গোলার চাহিদা কমে গেছে। চাহিদা কমে যাওয়ায় বাঁশের তৈরি গোলার কারিগরও অনেক কমে গেছে। তাদের পূর্ব পুরুষের পেশা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় চলে গেছে। তাছাড়া এ পেশা মৌসুমী হওয়ায় অনেক কারিগর পেশার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। নতুন প্রজন্ম এ পেশায় আসতে তেমন আগ্রহী নয়। 

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা সদরের নুনিয়াগাড়ী গ্রামের গোলা তৈরির কারিগর আমিন ও আল-আমিন ও তাদের পরিবারের সদস্য স্ত্রী-সন্তানদের সাথে বাড়ির উঠানে বসে কথা হয়। তারা পারিবারিক ভাবে বিগত ১৭ বছর যাবত গোলা তৈরি করে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে থাকেন। 

তারা জানান, নিকটাতীতের এখন বাঁশের তৈরী গোলার চাহিদা অনেক কমে গেছে। ইতোপূর্বে সদরের কালিবাড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটবারে শতাধিক গোলা বিক্রি করতাম। এখন এর স্থলে ১০ থেকে ১৫টি গোলাও বিক্রি হয় না। একটি বড় গোলা প্রায় ৮’শ থেকে ১ হাজার ও একটি ছোট গোলা ৫শ’ থেকে ৬’শ টাকায় বিক্রি করা যায়। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে খুব একটা লাভ আসে না। ফলে দীর্ঘদিনের এ পেশা ধরে রেখে পারিবারিক চাহিদা মেটানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

আরও খবর



অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আমানউল্লাহ আমান

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর কেরাণীগঞ্জে দলের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীর প্রস্তুতি সভায় বক্তৃতাকালে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে সেখান থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তিনি প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়েরুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘আগামী ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে বিকাল তিনটায় কেরাণীগঞ্জের হযরতপুর এলাকায় এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালে সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। এসময় তাকে ধরাধরি করে গাড়িতে করে এভারকেয়ার হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভর্তির পর পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’


আরও খবর