Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

ঢাকা-চেন্নাই রুটে সরাসরি ফ্লাইট চালু করল বিমান

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৭৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকা-চেন্নাই-ঢাকা রুটে আনুষ্ঠানিকভাবে সরাসরি ফ্লাইট চালু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নতুন এই রুটের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

প্রথম ফ্লাইটের যাত্রীদের হাতে বোর্ডিং পাস তুলে দেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন। পরে প্রথম ফ্লাইট চেন্নাইয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যায় দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে।

বিজি-৩৬৩ এই ফ্লাইটটি ভারতের স্থানীয় সময় বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে চেন্নাই পৌঁছানোর কথা। এরপর সোয়া ৪টায় বিমানটি সেখান থেকে উড্ডয়ন করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আবার ঢাকায় অবতরণ করবে। দক্ষিণ ভারতে এটি বিমান বাংলাদেশের প্রথম গন্তব্য।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বেসামরিক বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ বিমান নতুন নতুন রুটে ফ্লাইট উদ্বোধনের মাধ্যমে আকাশ পথের সেবা সম্প্রসারণ করছে। বিজয় দিবসের দিনে নতুন একটি রুটে এই উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের মানুষকে বিজয়ের দিবসের উপহার দেওয়া হলো।

তিনি বলেন, চেন্নাইয়ে বাংলাদেশ থেকে প্রচুর মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে যান। তাদের কথা চিন্তা করেই এই রুটে নতুন ফ্লাইট উদ্বোধন করা হয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইনস এই রুটে যাত্রী সেবায় এক নম্বর হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশ ভারতের বন্ধুত্ব যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো চলছে। আগামী দিনে এ সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতম হবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিরা চিকিৎসা সেবা নেওয়ার জন্য ভারতের যায়। তাদের জন্য এই রুট খুবই ব্যস্ততম রুট। বাংলাদেশ বিমান এই রুটের ফ্লাইট চালু করেছে, এটা আনন্দের খবর।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিমানের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও অতিরিক্ত সচিব শফিউল আজিম উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের সময় প্রাচীন কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image
আক্কেলপুর(জয়পুরহাট) প্রতিনিধি: জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে পুকুর সংস্কারের মাটি থেকে পাওয়া কালো পাথরের একটি মূর্তি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার সকালে উপজেলার কাশিড়া ঘোষপাড়া গ্রামে ৫’শ ৬০ গ্রাম ওজনের এই কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়। তবে এটিই হতে পারে প্রত্নতত্ত্ব  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের প্রথম পাথরের মূর্তি। 

ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের কাশিড়া ঘোষপাড়া কালিতলা পুকুর সংস্কারের কিছু মাটি ক্রয় করেন বেলি নামে মহিলা। সেই মাটি থেকেই তিনি একটি কালো রংয়ের পাথরের মূর্তি পান। পরে সেটি তিনি তার প্রতিবেশী স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় নামের এক ব্যক্তিকে দিয়ে দেন। পরে সেটি আবার ফেরৎ নিতে গেলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পরে। সকাল থেকেই মূর্তিটি দেখতে ভীড় জমায় স্থানীরা। খবর পেয়ে শনিবার সকালে মূর্তিটি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন আক্কেলপুর উপজেলা নির্বার্হী অফিসার। 

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, কালো ওই মূর্তিটির ওজন ৫’শ ৬০ গ্রাম ও উচ্চতা ৬.২ ইঞ্চি এবং বাম পাশে কিছু অংশ ভাঙ্গা। তবে মূর্তিটি কোন ধরণের পাথরের তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মূর্তিটি পাওয়া নারী বেলি বেগম বলেন, আমি বিপ্লব সাখিদারের কাছ থেকে পুকুরের মাটি কিনেছি। ওই মাটি থেকে পাথরের মূর্তিটি পেয়ে স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয়কে দিয়ে দেই। পরে প্রশাসন এসে সেটা নিয়ে যায়।

স্থানীয় মূর্তি কারিগর বিনয় জানান, মূর্তিটি পাওয়ার পরে আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছি। এটা সাধারণ পাথরের শীব-পার্বতীর মূর্তি বলে মনে হচ্ছে। পরে প্রশাসনকে জানালে তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিম হোসেন বলেন, শনিবার সকালে বিষয়টি জানার পর মূর্তিটি নিরাপদ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে ইএনও মহোদয়কে হস্তান্তর করা হয়েছে।পাহাড়পুর প্রত্যতাত্ত্বিক জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোহাম্মদ ফজলুল করিম বলেন, ছবি দেখে ধারণা করা হচ্ছে এটি পাথরের একটি দূর্লভ মূর্তি। আমাদের সংগ্রহে পাথরের যেসকল মূর্তি রয়েছে তাতে দেব-দেবীর আকৃতি রয়েছে। তবে এটি দেখে দেব-দেবীর আকৃতির মনে হচ্ছেনা। আমাদের জাদুঘরে এধরণের কালো পাথরের রাজা-রাণী ও তাদের কোলে বাচ্চার সাদৃশ্যের মূর্তি নেই। তবে পোড়া মাটির টেরাকোটা আছে। এটি প্রত্যহতত্ত্ব  দুতলা বাড়ি  অধিদপ্তরের নিকট এই প্রথম পাওয়া রাজা-রাণী সাদৃশ্যের পাথরের মূর্তি হতে পারে। এটি একটি অমূল্য প্রত্নতাত্ত্বিক  সম্পদ। 

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনজুরুল আলম বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থল থেকে একটি কালো পাথরের মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। মুর্তিটি আপাতত জেলা ট্রেজারীতে রাখা হবে। পরবর্তীতে বিধি মোতাবেক প্রত্নতত্ত্ব  বিভাগকে দিয়ে দেওয়া হবে।

আরও খবর



আ.লীগকে ৩ বিদেশি শ‌ক্তি ক্ষমতায় রেখেছে: ‌জি এম কাদের

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতীয় পা‌র্টির (জাপা) চেয়ারম‌্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের মন্তব্য করেছেন,তিন বিদেশি বড় শ‌ক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে কাজ করেছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন তিনি।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে জি এম কাদের বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশের সরকার পরিবর্তন করা সম্ভব না, তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় মতামত দিয়েছিলেন, আপনারা নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে নন। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কি না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি। আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।

নির্বাচনের আগের প‌রি‌স্থি‌তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বিদেশি বন্ধুদের সঙ্গে বৈঠকে করে পরিষ্কার বুঝেছি, তিনটি বিদেশি বড় শক্তি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে এবং নির্বাচন সফল করতে কাজ করে যাচ্ছে। শুধু তারা নয়, আরও বেশ কয়েকটি বিদেশি শক্তি আওয়ামী লীগের হয়ে কাজ করতে প্রস্তুত ছিল।

নির্বাচনে যাওয়া নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছিল উল্লেখ করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচন বন্ধ করে কোনো দেশে সরকার পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই জাতীয় পার্টি নিয়মতান্ত্রিকভাবে রাজনীতি করছে। নির্বাচনের আগে বর্ধিত সভায় নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মতামত দেওয়া হয়েছিল। ভোটে না গেলে ভবিষ্যতে জাতীয় পার্টিকে টিকিয়ে রাখা যাবে কী না সন্দেহ ছিল, তাই নির্বাচনে গিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, আপনারা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। ভোটের আগ মুহূর্তে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। তখন সুষ্ঠুভাবে পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করেছি। মনে হয়েছে, বিভিন্ন বিদেশি শক্তি বিভিন্নভাবে নানা দিকে নিচ্ছিলেন।

নির্বাচন ঠেকাতে বিএনপির আন্দোলন প্রসঙ্গে জি এম কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলন নিয়ে পরিষ্কার ধারণা ছিল, তারা সফল হবে না। আন্দোলন চলাকালে তৃতীয় শক্তি এসে সরকার পরিবর্তন করে, এমন ইতিহাস বাংলাদেশে নেই। ফলে, বিএনপির ১ কিংবা ১০ লাখ বা ১ কোটি লোক নিয়ে রাস্তায় নামলেও আন্দোলন সফল হবে না, তা বুঝতে পেরেছিলাম।

বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, বিএনপি ও জামায়াত আন্দোলনে পরাস্ত হয়ে জাতীয় পার্টিকে দোষ দিচ্ছে। তবে এটা ঠিক নির্বাচন ভালো হয়নি। সরকার জাতীয় পার্টিকে গৃহপালিত দল হিসেবে দেখতে চায়, যা কখনও সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি কখনোই অনুগত বিরোধী দল ছিল না। জাতীয় পার্টি গৃহপালিত বিরোধী দল হতে রাজি না।


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১৫ টাকা

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হাটবাজারে সরবরাহ বেড়ে যাওয়াসহ উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় পাইকারী বাজারে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। মরিচের দাম কমে আসায় লোকসানের মুখে পড়েছেন মরিচ চাষিরা।গতকাল শনিবার (৬ এপ্রিল) সকালে ফুলবাড়ী পৌর এলাকার পাইকারী সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাড়ে ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা প্রতি কেজি উচ্চ ফলনশীল জাতের (অগ্নি, মধুমতি, বিন্দু ও বিজলী ২০২০) কাঁচা মরিচ প্রকার ভেদে ১৮ থেকে ২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে দাম আরও কমতে থাকে। সর্বশেষ সকাল ১০ টার দিকে পাইকারি বাজারে ১৫ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।

পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা পার্বতীপুরের ঢাকুলা গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী গোলাম রহমান, মধ্যপাড়ার আবুল হোসেন বলেন, গত পাঁচদিন আগেও পাইকারী বাজারে কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা দরে কিনতে হয়েছে। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ১৫ টাকা কেজিদরে প্রয়োজনীয় মরিচ কিনেছেন। এগুলো নিজ নিজ এলাকায় প্রতিকেজি ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি করবেন।

উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের আমডুঙি গঙ্গাপ্রসাদ গ্রামের কাঁচা মরিচ চাষি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কলেজ শিক্ষার্থী নির্মল মার্ডি বলেন, চলতি মরিচ চাষ মৌসুমে ২৭ শতক জমিতে উচ্চ ফলনশীল মধুমতি ও বিজলী ২০২০ জাতের মরিচ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে তিনি খেত থেকে প্রায় ৫০ মণ মরিচ তুলেছেন বিক্রির জন্য। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় মরিচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। আশা করেছিলেন,পাইকারী বাজারে কমপক্ষে ২৩ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে পারবেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় এখন উৎপাদন খরচও উঠবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন।

পাইকারী মরিচ ব্যবসায়ী ব্যবসায়ি মিলন মিয়া ও আমজাদ হোসেন বলেন, বর্তমানে হাটবাজারে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত মরিচের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রেতার অভাবে দাম পড়ে গেছে। তবে আগামীতে মরিচের দাম আরো কমে আসবে বলে তাদের ধারনা।

উপজেলার দক্ষিণ কৃষ্ণপুর গ্রামের মরিচ চাষি গোলাম মোস্তফা আকন্দ বলেন, এক বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল অগ্নি ও বিন্দু জাতের মরিচ চাষ করেছেন।এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ওই জমি থেকে অন্তত ৬৫ থেকে ৭০মণ মরিচ পাবেন। কিন্তু বর্তমানে মরিচের যে দাম, এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে মরিচ বেঁচে উৎপাদন খরচ উঠলেও কোনো লাভ হবে না। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়তে হবে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রাসরণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানুর ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় পৌর এলাকাসহ ৭ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ১১০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৬৫ মেট্রিক টন। এ বছর তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকাসহ রোগবালাই না ধরায় আশানুরুপ ফলন হয়েছে মরিচের।


আরও খবর



২৯ পরিবেশনায় রমনা বটমূলে বর্ষবরণ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর রমনার বটমূলে বাংলা নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের ঢল নামে। বটমূলে প্রতি বছরের মতো এবারও আয়োজন করা হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

রোববার (১৪ এপ্রিল) সকাল সোয়া ৬টায় আহির ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় বর্ষবরণের অনুষ্ঠান। একে একে পরিবেশন করা হয় মোট ২৯টি পরিবেশনা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনার মধ্য দিয়ে সকালে শেষ হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠান।

সবশেষ পরিবেশনাটি ছিল শচীন দেববর্মনের সুরে করা ‘টাকডুম টাকডুম বাজাই’ গানটি। এরপর ছিল নববর্ষ কথন। নববর্ষ কথন শোনান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি সারওয়ার আলী।

এবারের কথনের শেষ অংশে বলা হয়, ‘অমানবিক এই অস্বাভাবিকতা থেকে বেরোতে হবে। নইলে বাঙালির প্রাণপ্রিয় এই নববর্ষ উদযাপনও হয়ে পড়বে কেবল একটি দিনের জন্য বাঙালি সাজবার উপলক্ষ।

সারওয়ার আলী আরও বলেন, ‘আজ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দের প্রথম প্রভাতের সুরবাণী আঁধার রজনী পোহালো, জগত পূরিল পুলকে। নববর্ষের নবীন আলোয়, নবীন আশায়, নবজীবন লাভ করে সবাই যেন স্বাভাবিকতায় ফিরি এবং সম্প্রীতির সাধনায় নিজেদের নিমগ্ন করি—এই হোক আমাদের প্রতিজ্ঞা। শুভ নববর্ষ।’

এবারের আয়োজনে সম্মেলক গান ১১টি, একক গান ১৫টি এবং পাঠ ও আবৃত্তিও ছিল। এ আয়োজনকে ঘিরে পুরো রমনা পার্ক এলাকা নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পার্কের ভেতরে ডিএমপি, র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম বসানো হয়েছে।

পর্যটকদের সহায়তার জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশের টিম, লেকে নৌপুলিশের টিম, মেডিকেল টিম, লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড সেন্টার, রক্তদানের বুথ রয়েছে। এছাড়া, ডিএমপির পক্ষ থেকে বিনামূল্যে সুপেয় পানির ব্যবস্থা রয়েছে।

বাংলা নববর্ষের দিনটি বাঙালিদের জন্য সবচেয়ে আনন্দময়, সবচেয়ে রঙিন উৎসব। এদিন বাঙালি জাতি পুরোনো বছরকে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয় আনন্দ উৎসবের মাধ্যমে। তাইতো নববর্ষকে বরণ করতে ভোর থেকেই মানুষের ঢল নামে রমনায়।


আরও খবর