Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে,এখন স্যান্ডেল বগলে নিয়ে হাঁটতে হয় না।শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির মিউনিখে প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়ে নাগরিক সংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

সবশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে এবার দেশে সবচেয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। মানুষের পাশে থেকে, তাদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, নিজেরা সংগঠিত হতে না পেরে বিএনপি জনগণ ও আওয়ামী লীগকে দোষ দিয়ে যাচ্ছে। জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক দল সংগঠিত না থাকলে দুর্যোগ মোকাবিলা কঠিন। মানুষের পাশে থেকে আওয়ামী লীগ জনগণের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এবার ক্ষমতায় আসতে না পারলে গত ১৫ বছরের উন্নয়ন লুট হয়ে দেশ অন্ধকারে চলে যেত। আমরা যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য না, আদর্শ নিয়ে রাজনীতি করেছি। এখন মানুষের আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনটাই আমাদের লক্ষ্য।

তিনি আরও বলেন, যারা জ্বালাও পোড়াও করবে, তাদের মানুষ কেন ভোট দেবে। ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি নির্বাচনে আসেনি। এখন নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে। নির্বাচনে না এসে এখন হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। কিছু খুচরা পার্টি আছে, তারা লাফায়। দেশে কিছু রাজনৈতিক দল আছে, একজনের কথায় যারা তিড়িং বিড়িং করে লাফায়, কিন্তু কিছু করতে পারে না। নিজেরা সংগঠন করতে না পেরে আওয়ামী লীগ ও জনগণকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।

প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেন ব্যাহত না হয়। মানুষের ভাগ্য নিয়ে কেউ যেন ষড়যন্ত্র করতে না পারে। বিদেশে থেকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেদের তৈরি করতে হবে। কেউ যেন দেশকে পেছনে নিতে না পারে।


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



জিম্মি নাবিকরা জাহাজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা জাহাজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিভিন্ন দেশের মতো সোমালিয়ায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে।

নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন, পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবং একসঙ্গে ছবিও তোলেন। ছবিটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।


আরও খবর



দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান কত?

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দিন দিন মেগাসিটি ঢাকায়ও বিভিন্ন দেশের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বায়ুদূষণ। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হলে শহরটির বাতাসের মানের কিছুটা উন্নতি হয়। অবশ্য কয়েক দিনের তীব্র গরমের মধ্যেও ঢাকার বাতাসের মান কিছুটা উন্নতির দিকে রয়েছে। তবে বাতাসে স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছেই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, ১২৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১০ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

আগের দিন সোমবার (২২ এপ্রিল) সকালে ১৩০ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৫ নম্বরে ছিল শহরটি। তার আগের দিন রোববার (২১ এপ্রিল) সকালে ৯২ স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ২০ নম্বরে ছিল ঢাকা।

এদিকে আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৮৯ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি শহর। এছাড়া ১৬৯ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে কাতারের দোহা শহর, ১৬৮ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের শহর চিয়াং মাই, ১৬৬ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা শহর এবং পঞ্চম অবস্থানে থাকা নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু শহরের স্কোর ১৬১।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।

২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।


আরও খবর



ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন, তারা (ছাত্রলীগ) দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) দলের দপ্তরর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিল। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন। তারা দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব শুরু হয় সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহাবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শবিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। নীতি-আদর্শকে পাশ কাটিয়ে বৈষয়িক চিন্তা ও বিলাসি জীবনযাপনে অভ্যন্ত করা হয় তাদের। এর ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে ছাত্ররাজনীতিতে একটি কলুষিত ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একইভাবে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন হয়। এর ছোঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যাহত করে। এই নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমাদের আফসোস হয়। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বোঝে না যে এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছে এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের সমোলোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এখন তো তাদের নেতাকর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এটা তারা চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নাই। বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর।


আরও খবর



বিমানবন্দর এলাকায় নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন, দুর্ঘটনার আশংকা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৮৯জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী)প্রতিনিধি:সৈয়দপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই রানওয়ের ৪০০ গজ উত্তরে নির্মাণ হচ্ছে বহুতল ভবন। নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি ওই ভবন নির্মাণ করলেও আইনি কোন পদক্ষেপই নিচ্ছেন না এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ।  বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকার মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের অনুমতি না থাকলেও শুধুমাত্র পৌর কর্তৃপক্ষের নকশা অনুমোদন নেয়ার কথা বলে নির্মাণ কাজ চলছে বহুতল ভবনের। এ নিয়ে বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কিত বিমান কর্তৃপক্ষ। 

বিমান কর্তৃপক্ষ জানায়, বর্ষা মৌসুমে বা আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটলে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তায় বিপদসীমার অনেক নিচে দিয়ে ৪৫ ডিগ্রী এ্যাঙ্গেলে উড়ন্ত বিমান অবতরণ করা হয় বিমানবন্দরে। ওই সময় ঘন মেঘের কারণে বিমান পাইলট সামনের কোন উঁচু স্থাপনা বা টাওয়ার ভালোভাবে দেখতে পান না। যার ফলে পাইলট বারবার বিমান বন্দর টাওয়ারের কাছে জানতে চান অবতরণ বিমানের সামনে কোন বহুতল ভবন, টাওয়ার বা গাছপালা আছে কিনা। থাকলে সেখানে আঘাত লেগে বিমান ক্রাশের সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। এ কারণে শুধুমাত্র বিমান ক্রাশের ভয়েই বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে কোন প্রকার বহুতল ভবন বা টাওয়ার স্থাপনে অনুমতি দেয়া হয় না। বিমান ও যাত্রীদের নিরপত্তায় ওই নির্দেশনা দেয়া না হলেও সৈয়দপুর বিমানবন্দরের উত্তর পার্শে সহ কয়েক স্হানে নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবন। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিমানবন্দর রানওযের উত্তর পার্শে ৪০০ ফিট্ এর মধ্যে নুর ইসলাম নামের এক ব্যাক্তি সিভিল অ্যাভিয়েশন এর আইনকে তোয়াক্কা না করে বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেছেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের অনুমতি ও পোরসভার নকশা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন কারো অনুমতির দরকার নাই।ভবনটি নির্মানের জন্য উপর মহলের নির্দেশ রয়েছে। প্রথম শ্রেণির পৌরসভা  সৈয়দপুরে দালানকোঠা বা বহুতল ভবন  নির্মাণ হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে নির্মাণের জোর তাগিদ দেয়া হলেও তা মানছেন না নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তি সহ অনেকেই। 

জানা,গেছে,সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পূর্বপাশে সেনাসিবাস, উত্তর ও পশ্চিম পাশে পৌর এলাকা এবং দক্ষিণ পাশে বাঙ্গালীপুর ইউনিয়ন। বিধি অনুযায়ী ২৫ নটিকেল মাইল এলাকা বাদ দিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ চিঠি দিয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। ওই চিঠির জবাবে সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদল ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুসা উদ্দিন বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে বহুতল ভবন নির্মাণের নকশা পাশ করবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দেন বলে জানা যায় । এছাড়াও যদি কোন ভবনের কারণে বিমান চলাচলে বিঘ্ন ঘটে বা সমস্যা দেখা দেয় তাহলে ওইসব বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দেন তারা। কিন্তু তারা মারা যাওয়ার পর তাদের দেয়া প্রতিশ্রুতির কোন কাজই হচ্ছেনা। বর্তমান পৌর পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ কোন কার্যকরী ব্যবস্থা না নেয়ার কারনে বিমান উঠানামায় আতংকের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শুপ্লব কুমার ঘোষ জানান,বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরটি আঞ্চলিক বিমানবন্দরে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত রয়েছে । বর্তমানে এ বিমানবন্দরে প্রতিদিন বাংলাদেশ বিমান,ও ইউএস-বাংলার বিমান চলাচল করছে। যাত্রীসেবাও দেওয়া হচ্ছে শতভাগ। কিন্তু বিমানবন্দরের ২৫ নটিকেল মাইলের মধ্যে উঁচু ভবন থাকায় আতঙ্কে রয়েছে বিমানের পাইলটরা। তিনি বলেন নুর ইসলাম নামের ওই ব্যাক্তিকে রানওয়ে সংলগ্ন ভবন নির্মাণের কোন প্রকার অনুমতি দেয়া হয় নি। অবতরণে আতঙ্কিত ভবনগুলোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পৌর কর্তৃপক্ষ ও সিভিল এ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্শন করেন তিনি । 

সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি বলেন, নিরাপদে বিমান চলাচলের স্বার্থে রানওয়ে সংলগ্ন বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য কোন নকশা পাস করা হয় নি। যারা রানওয়ের আশপাশ এলাকার বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তারা এক প্রকার গায়ের জোরেই করছেন। রানওয়ের আশপাশ এলাকার সকল অবৈধ বহুতল ভবন গুড়িয়ে দিতে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।


আরও খবর