Logo
আজঃ মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪
শিরোনাম
দেশে বিস্তৃত ইভি লাইনআপ উন্মোচন করলো মার্সিডিজ-বেঞ্জ দুপুরের মধ্যে ঢাকাসহ ১৫ অঞ্চলে ৮০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি হামাস: গাজাবাসীর উচ্ছ্বাস লোডশেডিং শূন্যে নেমে এসেছে : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা নিয়ে যা বললেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ইভটিজিং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষকের দুহাত ভাঙ্গলো কিশোর গ্যাং!! ১৪ দিনের নিষেধাজ্ঞা, বৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শনে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিং না করার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মাদক ও আটক বাণিজ্যর অভিযোগে গোদাগাড়ী থানার ছয় পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড মিল্টন সমাদ্দারের আরও অনেক লোমহর্ষক ঘটনা আছে: হারুন

দেশে ১৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ২৭০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭৩ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। এতে দৈনিক আসছে ৪ কোটি ৯৩ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, চলতি মাসের ১৫ দিনে যে পরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে এসেছে এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৫ কোটি ৭ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৯ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার এবং আগস্টে রেমিট্যান্স এসেছে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এক মাসের ব্যবধানে রেমিট্যান্স কমেছে ৩৭ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলার।

বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।


আরও খবর



‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করলো এনার্জিপ্যাক

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসের এবারের স্লোগান ‘পরিবর্তনশীল জলবায়ুতে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের নিশ্চয়তা’র সাথে সঙ্গতি রেখে সম্প্রতি ‘বিশ্ব কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ পালন করে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি। 

এ উপলক্ষে গাজীপুওে এনার্জিপ্যাক ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক, খুলনার জি-গ্যাস এলপিজি মাদার প্ল্যান্ট ও রূপগঞ্জের জি-গ্যাস স্যাটেলাইট প্ল্যান্ট-১০১, অর্থাৎ এনার্জিপ্যাকের সকল কারখানায় বিশেষ ব্রিফিং, র‌্যালি সমাবেশ ও ফটো সেশনের আয়োজন করা হয়। এসব কার্যক্রমের মাধ্যমে ক্রমশ পরিবর্তনশীল জলবায়ুর মাঝেও নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ঘটে। 

কর্মীদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে এনার্জিপ্যাক অত্যন্ত সচেতন। এমন প্রত্যয় দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে প্রতিষ্ঠানটি নিয়মিতভাবে স্বাস্থ্য-বিষয়ক ক্যাম্পেইনের আয়োজন করে থাকে, যেন কর্মীরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা দেয়ার ক্ষেত্রে আন্তরিক হতে পারে। কর্মস্থলের ঝুঁকি কমিয়ে আনতে প্রতিষ্ঠানটির সকল কারখানায় নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মানদ- নিশ্চিত করা হয়। 

এ বিষয়ে এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হুমায়ূন রশিদ বলেন, “এনার্জিপ্যাক সবসময় নিরাপত্তা, কর্মীদের স্বাস্থ্য ও টেকসই পরিবেশের ওপর গুরুত্বারোপ করে। আমাদের সকল প্রচেষ্টাতেই এর প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। এমনকি সামনের দিনেও আমরা সকল কর্মীর জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশের মতো মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ গ্রহণ করবো।”  


আরও খবর



মাগুরায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে:'স্মার্ট শিক্ষা, স্মার্ট দেশ' স্লোগানে মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর উদ্যোগে মাগুরায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।

২৮ এপ্রিল, রবিবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির আয়োজনে একটি র‍্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক অতিক্রম শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা ও অবিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

মাগুরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মনির হোসেনের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব) ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) (অতিরিক্ত দায়িত্ব)প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ রোকুনুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আব্দুল কাদের। মাগুরা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর মোঃ‌মিজানুর রহমান, শালিখা সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ মশিউর রহমান সহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীগণ।

অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন, টেকসই উন্নয়ন ও আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই।  প্রধানমন্ত্রী দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন।

আরও খবর



সেনাবাহিনীকে আরও দক্ষ করে তোলা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানিয়েছেন দেশের উন্নয়নের পাশাপাশি সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) সকালে ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম-সেনাপ্রাঙ্গণের উদ্বোধনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার দেশের অন্যান্য সেক্টরের উন্নয়নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে গড়ে তুলেছে অত্যন্ত আধুনিক, দক্ষ ও সময়োপযোগী বাহিনী হিসেবে। ঢাকা সেনানিবাস এলাকায় বসবাসকারীদের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির জন্য এ নতুন ভবনের নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আর্মি সেন্ট্রাল অডিটরিয়াম।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে এএফআইপি ভবনে প্রবেশ করেন এবং নতুন ভবনে স্থাপিত বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন। এসময় এএফআইপি কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ডা. নিশাত জুবাইদা নতুন ভবনের মূল বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরেন।

২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্যাথলজি সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষে ‘সশস্ত্র বাহিনী ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজির সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করে। প্রকল্পটি ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের আগে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এরপর প্রধানমন্ত্রী সেনাপ্রাঙ্গণের ভবন উদ্বোধন করেন। সেনাপ্রাঙ্গণ ভবন গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার এবং সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান।


আরও খবর



রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়নের নিচে নামল

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রিজার্ভ আবার ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমেছে। বৃহস্পতিবার ( ১৮ এপ্রিল) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত সপ্তাহ শেষে রিজার্ভ ২০ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলার ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল ২০২১ সালের আগস্টে। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়। এরপর থেকে ডলার সঙ্কট কাটাতে গিয়ে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল। এরপর আবার বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। এরপর কমতে–কমতে গত মার্চ শেষে ১৯ দশমিক ৯১ বিলিন ডলারে নেমেছিল। এরপর গত সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছিল।

সাধারণত প্রতি বছর রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে গত মার্চে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা আগের বছরের একই মাস বা আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় কম।

মূলত ১২৩-১২৫ টাকায় উঠে যাওয়া ডলারের দর হঠাৎ করে ১১২ থেকে ১১৫ টাকায় নামায় অনেকে আবার হুন্ডিতে টাকা পাঠাচ্ছেন। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকিং চ্যানেলে মোট এক হাজার ৭০৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল এক হাজার ৬০৪ কোটি ডলার।

এ হিসেবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ১০৪ কোটি ডলার বা ৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ। গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।

ব্যাংকাররা জানান, কয়েকদিন আগেও ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে প্রতি ডলারে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা পাচ্ছিলেন প্রবাসীরা। গত ১০ মার্চ পর্যন্ত ডলারের দল স্থিতিশীল ছিল। তবে সোয়াপের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে ডলার তুলে নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকগুলো ডলার কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এরপর কমতে–কমেতে গত মাসের মাঝামাঝিতে তা ১১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৩ টাকায় নেমেছিল।

এদিকে হুন্ডিতে ডলারের দর পাওয়া যাচ্ছে ১২০ থেকে ১২১ টাকা। তবে ব্যাংকগুলো দর আবার বাড়িয়ে এখন ১১৫ টাকায় রেমিট্যান্স কিনছে।


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর