Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

ব্যবসায় প্রতারণার অভিযোগে সুন্দরগঞ্জে৮ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:সোমবার ৩০ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২০৯জন দেখেছেন

Image
একেএম শামছুল হক সুন্দরগঞ্জ (, গাইসবান্ধা)প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ৮ মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রফিকুল ইসলামকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ভোরে পাশ্ববর্তী রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত রফিকুল ইসলাম সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্র কদমতলা গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। তিনি আট মামলায় ৫ বছর ১ মাসের কারাদণ্ড প্রদান ও ৭৯ লক্ষ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়।

পুলিশ জানায়, আসামি রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়ে  দেশের বিভিন্ন আদালতে ১৫টিমামলা বিচারধীন রয়েছে। এসব মামলার মধ্যে ৮টি মামলায় ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, যশোর, নীলফামারী জেলার বিজ্ঞ আদালত এ সাজা প্রদান করেন। রফিকুল  আত্মসমর্পণ না করে দীর্ঘ দিন ধরে পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রংপুরের কাউনিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সুন্দরগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সেরাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রফিকুল ইসলামের নামে দেশের বিভিন্ন আদালতে ১৫টি মামলা  দায়ের হয়। ইতোমধ্যে ৮ টি মামলায় তাকে সাজা প্রদান করে আদালত। আরও ৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৮২জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মাগুরায় টেকসই ও সু সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বজনীন পেনশন স্কীম এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল  সোমবার বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাসের বেগ। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  মতবিনিময় সভা শেষে ফিতা কেটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্ক্রিমে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ।   প্রধান অতিথি  সকলকে নিরাপদ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও জনবান্ধব দেশ গড়তে সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

আরও খবর



২৩ নাবিককে যেভাবে দেশে আনা হবে, জানাল কেএসআরএম

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এমভি আব্দুল্লাহ সোমালিয়ান জলদস্যুদের জিম্মিদশা থেকে মুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছাতে পারে ২২ এপ্রিল।

গন্তব্যে পৌঁছাতে জাহাজটিকে নিরাপত্তা দিচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভি। সেখানে পৌঁছে ২১ নাবিক জাহাজে করে নৌপথেই দেশে ফিরতে চান। বাকি ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। তবে কেএসআরএম গ্রুপ বলছে, বাংলাদেশগামী ভাড়া জাহাজ পাওয়া না গেলে সব নাবিককে বিমানে করেই ফেরত আনা হবে।

বর্তমানে আরব আমিরাতের হামরিয়া বন্দরের পথে রয়েছে এমভি আব্দুল্লাহ। জাহাজটিকে এখন পাহারা দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপিয়ান নেভির দুটি জাহাজ। প্রথমে ১৯ এপ্রিল জাহাজটি হামরিয়ায় পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে, ইইউ নেভির সঙ্গে সমন্বয় করতে কিছু বাড়তি সময়ের কারণে সেটি পৌঁছাতে ২২ এপ্রিল পর্যন্ত সময় লেগে যেতে পারে।

কেএসআরএম গ্রুপ জানিয়েছে, ২৩ নাবিকের মধ্যে ২ জন আসতে চান উড়োজাহাজে। বাকি ২১ জনই আব্দুল্লাহতে করেই দেশে ফিরতে আগ্রহী। সেক্ষেত্রে দুবাই থেকে যদি বাংলাদেশগামী পণ্য পাওয়া না যায় তাহলে সব নাবিককেই উড়োজাহাজে করে দেশে আনা হবে।

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নাবিকদের দেশে আনতে ভালো ভূমিকা রাখছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। গতকাল তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বলেছে, নাবিকরা যদি চান তাহলে বিমানযোগে তাদের দেশে আনা হবে। এছাড়া জাহাজে সেসব নাবিকের স্থলাভিষিক্ত হবেন কারা, তা নিয়েও কাজ করছে মালিকপক্ষ।

কবির গ্রুপের সিইও মেহেরুল করিম বলেন, জাহাজ যদি চিটাগাং বন্দরে আসে, তাহলে ২১ নাবিকই তাতে আসতে চান। আর বাকি ২ জন বিমানে আসার ইচ্ছার কথা জানিয়েছে। তবে, যেভাবেই আনা হোক না কেন, তাদের আর লম্বা সময়ের জন্য জাহাজে পাঠানো হবে না।

আব্দুল্লাহ ছিনতাইয়ের পর নড়েচড়ে বসেছে কবির গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির সব জাহাজকে আনা হচ্ছে নতুন নিরাপত্তা বলয়ে। ইতোমধ্যে আব্দুল্লাহকে নেওয়া হয়েছে গার্ডিয়ান নামে ১টি সার্ভিলেন্স ব্যবস্থার আওতায়।

কবির গ্রুপের ডিএমডি মো. করিম উদ্দীন বলেন, যেদিকে সুবিধা পাওয়া যাবে সেদিকেই যেতে হবে। আমরা নিরাপত্তা নিয়ে ভাবছি। সেটা আরও কঠোর করা হবে।

উল্লেখ্য, কবির গ্রুপের সমুদ্রগামী জাহাজ রয়েছে ২৩টি। আর বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা প্রায় ১০০।


আরও খবর



ভোলায় ৭ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের ঈদ উযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে ভোলার ৭ গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ। তারা সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ০১ নং ওয়ার্ডের পঞ্চাইত বাড়ীর দরজায়, মুলাইপত্তন গ্রামের ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডে প্রায় এক হাজার মুসুল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তিনটি গ্রামের ৭শ পরিবার একদিন আগেই ঈদুল ফিতর পালন করেছে। সুরেশ্বরী দরবার শরীফের খলিফা ও মুলাইপত্তন গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত জামাতের ইমাম গোলাম মাওলা মঞ্জু জানান, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। আজ তিন গ্রামে পৃথক জামাতে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লি জামাতের সাথে নামাজ আদায় করেন।তিনি আরো বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাড়াও ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

একই ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের ০৯নং ওয়ার্ডের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ির দরজার মসজিদে একই সময় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ইমামতি করেন মাও: আনোয়ার হোসেন।তিনি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ৩০টি রোজা পূর্ণ করে আজ ঈদ উৎযাপন করছি। টবগী ১নং ওয়ার্ডের পঞ্চাইত বাড়ীর মসজিদে হাফেজ তানজীল নামাজের ইমামতি করেন।


আরও খবর



"গ্রামে যারা উৎপাদন করছেন তাদের কষ্ট নেই"

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে, তবে গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে টিবিসির কার্যক্রম সম্প্রসারণ প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টিসিবিতে যে লোকবল আছে সেটা দিয়ে আমরা মানুষের যে সেবা করে যাচ্ছি সেটাই যথেষ্ট। আর সাধারণ মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সেদিকে লক্ষ রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায়, বিশেষ করে যারা সীমিত আয়ের তাদের কষ্ট হচ্ছে। তবে, গ্রামে যারা নিজেরা উৎপাদন করতে পারেন বা করছেন তাদের খুব একটা কষ্ট নেই, হাহাকারও নেই।

তিনি বলেন, তারপরও আমাদের সবসময় প্রচেষ্টা থাকে দ্রব্যমূল্য যেন নিয়ন্ত্রণে থাকে। এজন্য যে যে পণ্যের প্রয়োজন সেটা যথাযথভাবে দেশে উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। পাশাপাশি আমদানিও করে যাচ্ছি। সেটা যত টাকাই লাগুক না কেন, আমরা কিন্তু খরচ করে যাচ্ছি। আমাদের রিজার্ভেও চাপ পড়ছে। মানুষের কল্যাণটা হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় কথা। সেদিকে আমরা লক্ষ রাখছি।

সরকারদলীয় এমপি মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং জনসাধারণ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার সুফল ভোগ করতে পারছেন।

স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য আবুল কালামের প্রশ্নের জবাবে জনগণের কষ্ট লাঘবে সরকার সবসময় সচেষ্ট উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব প্রকারের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অনেকাংশে সংযত করতে পেরেছি।

তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের কয়েকটি পণ্য, যেমন- জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গমসহ বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের মূল্য বাড়ায় আমাদের দেশে আমদানিজনিত মূল্যস্ফীতির চাপ অনুভূত হচ্ছে। পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘাতের ফলে সংকট ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এ পরিস্থিতিতেও আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, টাকার বিনিময় হারের সাম্প্রতিক পতন অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য শিগগিরই ক্রলিং পেগভিত্তিক মুদ্রাবিনিময় নীতি গ্রহণ করা হবে। নির্ধারিত করিডোরভিত্তিক এ ব্যবস্থা বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক উত্থান-পতন রোধ করবে বলে আশা করা যায়। ফলে এটি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।

মূল্যস্ফীতির ওপর বাহ্যিক প্রভাব কমিয়ে আনার লক্ষ্যে বিলাসদ্রব্য বা অপেক্ষাকৃত কম প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



যশোরে ভৈরব নদ থেকে বস্তাবন্দি মৃতদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে ভৈরবের শাখা নদী (কাটাখাল) থেকে নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় পুলিশ অজ্ঞাত অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধারের পর পিবিআই নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেছে। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ইমনকে হত্যা করে তার ইজিবাইক ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে ইমনের মরদেহ বস্তায় ভরে নদীতে ফেলে দিয়ে চলে যায় তারা। ইমন অভয়নগর উপজেলার প্রেমবাগ ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে।

নিহত ইমনের পিতা আবুল কালাম জানান, গত ২৮ এপ্রিল ভোর ৬টায় ইজিবাইক নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় ইমন। এরপর সে আর বাড়ি ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।

ইজিবাইক স্ট্যান্ডের অন্য চালকরা জানায়, ইমনকে সবশেষে বসুন্দিয়ার দিকে ভাড়া নিয়ে যেতে দেখেছে তারা। এ ঘটনায় তারা অভয়নগর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে পুলিশের কাছ থেকে ছেলের মৃত্যুর খবর তারা জানতে পেরেছেন।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল সাড়ে নয়টায় নদীর পাড় থেকে তারা প্রচন্ড দুর্গন্ধ পান। পরবর্তীকে তারা একটি বস্তায় ভরা এক যুবকের মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে। মুহুর্তের মধ্যে পুলিশ, পিবিআই, ডিবি সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে পিবিআই সদস্যরা ফিঙ্গার প্রিন্ট ও ইমনের কাছে থাকা মোবাইলের মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত করা হয়।

এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ২৮ এপ্রিল নিখোঁজ হয় ইজিবাইক চালক ইমন। এ ঘটনায় অভয়নগর থানায় জিডি করা হয়। পরবর্তীতে আজ সকালে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ইমনের পরিবারের সদস্যরা এসে পরিচয় শনাক্ত করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ইজিবাইক ছিনতাই করতে হত্যা দূর্বৃত্বরা করা হয়েছে ইমনকে। পরে লাশ ফেলে দেয়া হয়েছে নদীতে।


আরও খবর