আন্তর্জাতিক ডেস্ক:কংগ্রেসের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের দাবি করা হয়েছে ভারতের প্রধান বিরোধী ও পুরোনো দল। দলটির দাবি, আয়কর দপ্তর (আইটি) তাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দিয়েছে। ভারতের লোকসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে এমনটি হলো। খবর বিবিসির।
জব্দ করার খবর জানানোর পরে ফের কংগ্রেস থেকে বলা হয়, আদালতের শুনানি পর্যন্ত আয়কর কর্মকর্তারা তাদের অ্যাকাউন্টের তহবিল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
রাজনৈতিক দলের অ্যাকাউন্টের লেনদেন বন্ধের বিষয়টিকে গণতন্ত্রের ওপর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছেন কংগ্রেসনেতা মল্লিকার্জুন খাগড়ে। এ বিষয়ে মন্তব্য চাইলেও কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি সরকার ও আয়কর দপ্তর।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে কংগ্রেসনেতা অজয় মাকেন বলেন, দলের চেকের বিপরীতে অর্থ দেওয়া হচ্ছে না এমনটি দুদিন আগে ঊর্ধ্বতনদের জানানো হয়। তদন্তের জন্য দলটির সমস্ত অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে বলে তাদের জানানো হয়েছে।
অজয় মাকেন বলেন, দলের অ্যাকাউন্টগুলোতে যে অর্থ রয়েছে তা আসে জনসাধারণের অনুদানের মাধ্যমে। এ ছাড়া ইয়ুথ উয়ংয়ের অ্যাকাউন্টে অর্থ আসে সদস্যদের কাছ থেকে। কংগ্রেসের ইয়ুথ উয়ংয়ের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান এই কংগ্রেসনেতা।
আয়কর দপ্তরের এই কাজে তাদের দলের সমস্ত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রভাবিত হবে দাবি করে অজয় মাকেন বলেন, ‘আমাদের কাছে খরচের মতো কোনো অর্থ নেই। এমনকি, বিদ্যুৎ বিল ও কার্যালয়ের কর্মীদের বেমন দেওয়ার মতো অর্থও নেই।’ কি কারণে এমনটি করা হয়েছে তা জানিয়ে এই কংগ্রেস নেতা বলেন, ২০১৮-১৯ সালের কর রিটার্ন জমা দেওয়ায় ৪৫ দিন দেরি হওয়ায় এমনটি করেছে তারা। আয়কর দপ্তর কংগ্রেসকে ২১০ কোটি রুপি দিতে নির্দেশ দিয়েছে।
কংগ্রেসনেতা ভিভেক তানখা বলেন, এ নিয়ে তারা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। অন্তর্র্বতীকালীন সময়ে অ্যাকাউন্টগুলোর অর্থ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে আয়কর দপ্তর। আগামী বুধবার এ নিয়ে আদালতে শুনানি হবে।
সমালোচকদের দাবি, বিরোধীদের দমনে সরকারি দপ্তরগুলোকে ব্যবহার করছে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার। নির্বাচনের আগে এই তৎপরতা বেড়েছে। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি ও মোদি।