Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বোরো চাষ নিয়ে শংকিত তানোর পৌর সদরের কৃষকরা

প্রকাশিত:সোমবার ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৮৫জন দেখেছেন

Image
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদর শেখ রাসেল মিনি স্টাডিয়াম সংলগ্ন শীতলীপাড়ার ভিতরে অবস্থিত গভীর নলকূপের তালা ভেঙ্গে দখলের দুদিনেও কোন ব্যবস্থা গ্রহন না করায় বোরো চাষ নিয়ে শংকিত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৪ ডিসেম্বর বিলের জমিতে বোরো চাষের পানি সেচের একমাত্র ভরসা গভীর নলকুপটির তালা ভেঙ্গে দখল করে বকুল নামের এক বখাটে। সে কিছু সদর এলাকার কিশোরদের নিয়ে তালা ভেঙ্গে নতুন তালা লাগিয়ে জবর দখল করে। এতে করে হিন্দুপাড়া, পালপাড়া, সিন্দুকাই, গুবিরপাড়া ও কুঠিপাড়াগ্রামের কৃষকদের জীবিকা নির্বাহের বোরো চাষ নিয়ে হতাশায় পড়েছেন। কারন বিগত তিন বছর আগে বকুলকে অপারেটর নিয়োগ দিলে ফসলহানির ঘটনার জন্ম দিয়ে কৃষকদের তোপের মুখে সেচের দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। ফলে কৃষকদের চাষাবাদ রক্ষার্থে বিগত দুবছর ধরে যে ভাবে চলছিল সে মোতাবেক পরিচালনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের জরুরী ভিত্তিতে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নচেৎ নানা কর্মসূচি র ঘোষনা করবেন বলেও হুশিয়ারি দেন কৃষকরা।

তবে গত ২৫ ডিসেম্বর ছুটির কারনে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান সোমবারে তালা ভাঙ্গার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও রহস্যজনক কারনে আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবেন না বলে সাব জানিয়ে দেন। তিনি আরো জানান, সোমবার দুপুরের দিকে পরিদর্শন করেছি। গভীর নলকুপ চলছে। তালা ভাঙ্গা দেখতে পায়নি। আপনি ছুটিতে ছিলেন তালা ভাঙ্গার পরপরই আপনাকে অবহিত করা হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি জানান, তালা ভাঙ্গার কোন প্রমান পায়নি, সন্ত্রাসী কায়দায় গভীর নলকুপের তালা ভেঙ্গেছে আপনি কি কোন ব্যবস্থা নিবেন কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আমার ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার নেই, ইউএনও স্যার কিভাবে সমিতি করে পরিচালন করেছে সুতরাং তিনিই ব্যবস্থা নিতে পারবেন, আমার কিছুই করনীয় নাই।

কৃষকরা জানান, গভীর নলকুপের তালা ভাঙ্গা দিবালোকের মত পরিস্কার। গভীর নলকুপ সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেখানে জোরপূর্বক তালা ভাঙ্গা আইনত অপরাধ। কিন্তু কেন বিএমডিএ ব্যবস্থা নিবে না এটা অযৌক্তিক। বিগত দুবছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে চাষাবাদ করে আসছি, এটাই কি বিএমডিএর গলার কাটা না কি। তানাহলে কেন বখাটে বকুলের ব্যবস্থা নিবে না। সঠিক ভাবে সেচ না দেওয়ার কারনে অনেকের ফসলহানি ঘটেছিল।এসব নিয়ে কৃষকরা ইউএনওর কাছে অভিযোগ ও অপারেটর বকুলকে রেখে সমিতির মাধ্যমে সেচ পরিচালনা করার জন্য কৃষকদের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক ১১০০ টাকা হারে বিগত দু বছর ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে সঠিক নিয়মে সেচ কার্যক্রম চলে আসছে। অথচ বকুল অপারেটর নিয়োগ পেয়ে ১৬০০-১৮০০ টাকা হার নিলেও সেচ সঠিক ভাবে দিত না। তার জন্য ফসল হানির কারনে সে অপারেটর থাকলেও সেচ দিতে পারবে না। অপারেটরের বেতন সে পেত। দু বছর সঠিক ভাবে চাষাবাদ হচ্ছে এটাই সহ্য হচ্ছে না। আমরা বকুল কে সেচ কাজে চায় না, সমিতির মাধ্যমে সল্প খরচে চাষাবাদ করতে চায়।

সমিতির সভাপতি কৃষক সারোয়ার জানান, কৃষকদের সুবিধার জন্য সমিতির মাধ্যমে অল্প খরচে চাষাবাদ হচ্ছে। কোন কৃষকের সেচ নিয়ে তীল পরিমান অভিযোগ নেই। অথচ বকুল অফিসকে না জানিয়ে তালা ভাঙ্গে। আমি ইউএনও বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীকে অবহিত করি। কিন্তু বিএমডির সহকারী প্রকৌশলী সোমবার দুপুরের দিকে গভীর নলকূপ পরিদর্শন করলেও তালা ভাঙ্গার কোন ব্যবস্থা নেয় নি। কৃষকের জন্য গভীর নলকূপ, কৃষকের স্বার্থ না বুঝে, যদি ব্যক্তি স্বার্থ দেখে তাহলে তো কিছুই বলার নেই। এঘটনার সুষ্ঠ বিচার না হলে আমি সভাপতির পদে থাকব না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পংকজ চন্দ্র দেবনাথ জানান, ডিসি অফিসে মিটিংয়ে আছি, আগামীকাল মঙ্গলবার বসা হবে বলে জানান তিনি। বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ জানান, গভীর নলকুপের তালা ভাঙ্গা হলে অবশ্যই বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে হবে। তাকে তো সরকার এমনি এমনি বেতন দিচ্ছে না। ইউএনও সাহেব যে সমিতি করে দিয়েছে তারাই সেচ পরিচালনা করবেন। বকুলের সেচ দেওয়ার কোন এখতিয়ার নেই। কৃষকদের চাষাবাদ বিগ্ন হবে এমন কাজ করা যাবে না। আমি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে।

বিকেল সাড়ে ৩ টার দিকে বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী সমিতির সভাপতি ক্যাশিয়ারসহ কৃষকদের দপ্তরে ডেকে তালা ভাঙ্গা ও মালামাল লুটের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেন। কুঠিপাড়াগ্রামের কৃষক আমজাদ, সুলু, ইয়াদালি ও ফজলু জানান, সোমবার মুন্ডুমালা হাটে মাছ কেনা বেচা করে ২-৩ হাজার টাকা লাভ হত। শুধু গভীর নলকুপের তালা ভাঙ্গার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন থানাকে দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিকেল ৪ টার দিকে উত্তেজিত কৃষকরা উপজেলা চেয়ারম্যানের গাড়ী উপজেলা পরিষদের তৈয়বের চায়ের দোকানে থামিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করলে আগামী কাল মঙ্গলবার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর



আইএসডিই এর উদ্যোগে মহেশখালীতে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বেসরকারী সমাজ উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান আইএসডিই বাংলাদেশের উদ্যোগে ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ গৃহহীন জনগোষ্ঠির মাঝে নতুন গৃহ হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৬ মার্চ ২০২৪ইং স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে এক অনানুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়। মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তারের কাছে নতুন ঘর হস্তান্তর উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ, কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ, আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, কালারমারছড়া ইউনিয়নের মহিলা মেম্বার আমেনা বেগম, ব্র্যাক এইচসিএমপি কক্সবাজারের প্রকল্প ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম, প্রকল্প কারিগরী কর্মকর্তা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, প্রজেক্ট ইঞ্জিনিয়ার মারুফুল ইসলাম, আইএসডিই বাংলাদেশের রোহিঙ্গা রেসপন্স এর কক্সবাজারের প্রধান মোঃ জসিম উদ্দীন সিদ্দীকী, আইএসডিই অর্থ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা সানাউল্যাহ, আইএসডিই মহেশখালী উপজেলা ব্যবস্থাপক মনজুর আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ব্র্যাক সাইক্লোন মোখা রেসপন্স টিমের ফোকাল পার্সন খালেদ মোরশেদ বলেন, উপকূলীয়ীয় মহেশখালী উপজেলাটি যে কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য খুবই ঝুঁকিপুর্ণ হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অনুকল পরিবেশ না থাকায় এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে সহায়তা পৌঁছানো কঠিন। সেখানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই দীর্ঘদিন ধরেই এখানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সেকারনেই আইএসডিই এর সাথে পার্টনাশীপের মাধ্যমে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহায়তা পৌঁছানো হয়। প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে এ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্ঠা করা হয়। কালারমারছড়া ইউনিয়নের প্যানেল ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবু আহমেদ বলেন, বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্রাকের সহায়তায় এ ধরনের মানবতাবাদী কর্মকান্ড পরিচালনায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সীমিত বাজেটে একটি পরিপূর্ন ঘর উপহার দেয়া হয়েছে। একই সাথে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থরাই সহায়তা পেয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। তবে এখানে ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির সংখ্যা অনেক বেশী, তাই সহায়তার পরিমান বাড়ানোর জোর দাবি জানান। আইএসডিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ও ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইডের সহায়তায় সাইক্লোন মোখা রেসপন্স প্রকল্পের আওতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘূর্ণীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির জন্য পুর্নবাসন কার্যক্রম বাস্তবায়নে আইএসডিইকে সম্পৃক্ত করায় ব্র্যাকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি আর ও বলেন, উপকূলীয় মহেশখালী উপজেলা নানাভাবে অবহেলিত ও বঞ্চিত। একই সাথে বিদ্যুত খাতের সরকারী বেসরকারী নানা মেঘা প্রকল্প চলমান থাকায় এখানে জীবন জীবিকা নিয়ে ঠিকে থাকা কঠিন, পরিবেশ প্রতিবেশ হুমকির মূখে ও উদ্ববাস্তু জনগোষ্ঠির সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় জনগনের সহযোগিতা নিয়ে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থদের বাছাই করা অনেক কঠিন থাকলেও সীমিত সামর্থের কারনে তা সম্পন্ন করতে হয়েছে। নতুন ঘর গ্রহিতা কালারমারছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম আধারঘোনা এলাকায় কহিনুর আক্তার তাঁর প্রতিক্রিয়ায় জানান, স্বামী হারা হবার কারনে নিজের ঘর তৈরী করার সামর্থ ছিলো না। সেকারনে ঘরবাড়ী হারা হয়ে মানবেতর জীবন যাপনে বাধ্য হয়েছিলেন। আইএসডিই সেখানে ত্রাণ কর্তা হয়ে আশ্রয়ের সুযোগ করে দিয়েছে, সেকারনে তাদের প্রতি চির কতৃজ্ঞ থাকবো।

উল্লেখ্য বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আইএসডিই ব্র্যাক ও অস্ট্রেলিয়ান এইড এর সহযোগিতায় মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নে ঘুর্নীঝড় মোখায় ক্ষতিগ্রস্থ জনগোষ্ঠির মাঝে ০৮টি নতুন ঘর, ১১টি ঘর মেরামত, ১৪টি নলকুপের প্লাটফরম তৈরী, ১৮টি নতুন স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা স্থাপন করা হয়।


আরও খবর



মধুপুরে আওয়ামীলীগের দু'পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপে ছত্রভঙ্গ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইলঃটাঙ্গাইলের মধুপুরে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৬ জন।গতকাল মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে দশটার দিকে মধুপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ চার রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে দু'পক্ষকেই ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

বাসস্ট্যান্ড এলাকার সাধারণ মানুষজনকে আতংকিত হয়ে এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে দেখা যায় এবং সাথে সাথে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।মহুর্তের মধ্যে ঘটনা স্থলে এসে উপস্থিত হন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জুবায়ের হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার ফারহানা আফরোজ জেমি, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমান, সহকারী কমিশনার ভুমি জাকির হোসাইন সহ মধুপুর থানা পুলিশের চৌকস দল।

মধুপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান জানান,  উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার আলম খান আবু ও উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট ইয়াকুব আলী এর পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে  চার রাউণ্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আহত ও ভাংচুরের বিষয়ে কোন পক্ষই লিখিত কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ বেদির পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে  জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, "ঈদের এই আনন্দের দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আগমন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আজ স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারছি। এই দিনে জাতির পিতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা, তাঁকে যেন জান্নাত দান করেন। আমিন, জয় বাংলা।"

এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, গোপালগঞ্জ জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহম্মেদ, সিনিয়র স্টাফ অফিসার (পিএস-২) মোঃ নাজমুল হোসেনসহ ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৪জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর



জলঢাকায় সাংবাদিকদের সম্মানে জামায়াতের ইফতার মাহফিল

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

(নিলফামারী) জলঢাকা, প্রতিনিধি:নীলফামারীর জলঢাকায় সাংবাদিকদের সন্মানে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এর ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৃস্হপতিবার বিকেলে পৌর সভার পেট্রোল পাম্পে  বিসমিল্লাহ হোটেলে এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন সংগঠনটি।এ উপলক্ষে সাংবাদিকদের সাথে অনুষ্ঠিতব্য মতবিনিময়ে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ওবায়দুল্লাহ সালাফি, উপজেলা জামায়াতের আমীর ও উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোকলেছুর রহমান, পৌরসভার উপ নির্বাচনে মেয়র পদপ্রাথী প্রভাষক ছাদের হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুজাহিদ মাসুম, উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মোয়াম্মার আল হাসান, নায়বে আমীর কামরুজ্জামান, পৌর আমীর মকবুল হোসেন, আইন ও মানবাধিকার সেক্রেটারি ওমর ফারুক ও এ‍্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম প্রমূখ।

এসময় জামায়াত নেতারা সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পৌরসভার উপ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি এবং আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছি।আপনারা সমাজের দর্পণ ও জাতির বিবেক, আশা করি ভালমন্দ যাচাই বাচাই করে সঠিক তথ্যগুলোই আপনারা তুলে ধরবেন এটাই আপনাদের কাছে আমাদের প্রত্যাশা। এসময় উপজেলাটিতে কর্মরত বিভিন্ন  প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর