স্পোর্টস ডেস্ক; দিয়েগো ম্যারাডোনার মৃত্যুর পর প্রথম বিশ্বকাপ। এটা যেন অনেক ভক্ত মেনেই নিতে পারছেন না। দেড় বছর হলো পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ফুটবলের এই মহাতারকা। তিনি বেঁচে থাকলে আর্জেন্টিনাকে সমর্থন করতে নিশ্চিত কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যেতেন।
ম্যারাডোনা বেঁচে না থাকলেও উত্তসূরিদের বিশ্বকাপ জিতে দেশে ফেরার অনুরোধ জানালেন কন্যা তার দালমা। এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘মনে রেখো, আমার বাবা কিন্তু তোমাদের সঙ্গেই রয়েছে। ধরে নিতে পার, তিনিই এই দলের দ্বাদশ ব্যক্তি।
তিনি আরও বলেন, ‘এ বারের বিশ্বকাপে বাবার না থাকা প্রত্যেক মুহূর্তে উপলব্ধি করছি। তাই মেসির কাছে আমার একান্ত অনুরোধ, এ বার বিশ্বকাপ নিয়ে দেশে ফিরতেই হবে। তা হলেই বাবা সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাবেন। মনে রেখো, উনি কিন্তু তোমাদের দেখছেন।
এবারের কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দল আগেই জানিয়েছিল কিংবদন্তি ম্যারাডোনার কথা মাথায় রেখেই বিশ্বকাপে নামবে তারা। এছাড়া নিজের বিদায়ী বিশ্বকাপ জিতে স্মরণীয় করে রাখতে চান লিওনেল মেসি।
এদিকে এই বিশ্বকাপে ম্যারাডোনাকে পেছনে ফেলার সুযোগ রয়েছে মেসির সামনে। এখনো পর্যন্ত ফুটবল বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন হিসেবে সব থেকে বেশি ম্যাচ খেলেছেন দিয়েগো। চারটি বিশ্বকাপ মিলিয়ে মোট ২১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। অন্যদিকে মেসি চারটি বিশ্বকাপে খেলেছেন ১৯ ম্যাচ। অর্থাৎ এই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের তিনটি ম্যাচে খেললেই দিয়েগোর এই নজির ভেঙে ফেলবেন মেসি।
বিশ্বকাপে মারাডোনার গোলের সংখ্যাকেও টপকে যেতে পারেননি মেসি। ২১ ম্যাচ খেলে ৮টি গোল করেছেন ম্যারাডোনা। অন্যদিকে মেসি বিশ্বকাপে এখনো পর্যন্ত ৬টি গোল করেছেন।
বিশ্বকাপে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের মধ্যে গোলের ক্ষেত্রে অ্যাসিস্টের দিক দিয়ে শীর্ষে রয়েছেন দিয়েগো। ৮টি অ্যাসিস্ট করেছেন তিনি। মেসি বিশ্বকাপে ৫টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এবারের বিশ্বকাপে চারটি অ্যাসিস্ট করলেই ম্যারাডোনাকে টপকে যাবেন মেসি।