Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিশ্ব বাজার মাতাতে এল রিয়েলমি জিটি৫ প্রো

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২১২জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে এবারে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিতে তরুণ প্রজন্মের সেরা পছন্দের ব্র্যান্ড রিয়েলমি নিয়ে এলো তাদের জিটি সিরিজের নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোন – জিটি৫ প্রো! স্ন্যাপড্র্যাগন ৮ জেন ৩ মোবাইল প্ল্যাটফর্ম এবং আইএমএক্স৮৯০ সেন্সর যুক্ত ইন্ডাস্ট্রি’র সর্বপ্রথম পেরিস্কোপ লেন্স সমৃদ্ধ এই শক্তিশালী জিটি ডিভাইসটি নিঃসন্দেহে “ফ্ল্যাগশিপ” ফোন ব্যবহারের রোমাঞ্চকে নতুন করে প্রমাণ করতে যাচ্ছে!

ডিভাইসটির মূল বৈশিষ্ট্যের জায়গায় রয়েছে এর উন্নততর সিপিইউ, জিপিইউ, এআই পারফর্মেন্স এবং এনার্জি এফিশিয়েন্সি, অর্থাৎ শক্তি সঞ্চয় ক্ষমতা। তাই যেকোনো অ্যাপ্লিকেশন চালু করার সময়, গেম খেলার সময় ফ্রেম রেটে কিংবা ছবি প্রসেসিংয়ের ক্ষেত্রে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো দেবে দূর্দান্ত গতিময়তা, যা কেবল শীর্ষমানের ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস থেকেই আশা করা সম্ভব।

রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে যোগ করা হয়েছে থ্রিভিসি (ভেপর চেম্বার) কুলিং সিস্টেম। স্মার্টফোন শিল্পে এ যাবতের সবচেয়ে বড় এই ভিসি এরিয়া’র ১২ হাজার মিমি ২ পর্যন্ত অংশে হিট ডিসিপেশন সক্ষমতা রয়েছে, সুতরাং হ্যান্ডসেটটি ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এছাড়া বিশ্বের প্রথম হ্যান্ডসেট হিসেবে এতে আরো যুক্ত হয়েছে গিক পারফর্মেন্স প্যানেল ২.০, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুসারে সিপিইউ ফ্রিকোয়েন্সি মড্যুলেশনের সুবিধা নিতে পারবেন।

যারা ছবি তুলতে ভালোবাসেন তাদের জন্য সুখবর, কারণ রিয়েলমি’র এই সর্বাধুনিক ফ্ল্যাগশিপে রয়েছে সনি এলওয়াইটি-৮০৮ সুপার লাইট সেন্সর। তাছাড়া এই ডিভাইসটিতে রিয়েলমি তাদের এখনো পর্যন্ত সবচাইতে বড় মূল ক্যামেরাটি যোগ করেছে, যাতে রয়েছে ১/১.৪-ইঞ্চি সাইজ সেন্সর, এবং এফ/১.৬৯ আল্ট্রা-লার্জ অ্যাপারচার। সেন্সরটি অল্প আলোতেও পরিষ্কার ছবি তোলা বা ভিডিও ধারণের ক্ষেত্রে বেশ কাজে আসবে, সেই সাথে এইচডিআর ইফেক্ট তৈরিতেও সাহায্য করবে। আনকোরা সুপারলাইট ইমেজিং ইঞ্জিন এবং প্রোলাইট অ্যালগরিদমের সমন্বয়ে রীতিমতো চোখ ধাঁধানো ছবি তোলার সুবিধা দেয় রিয়েলমি জিটি৫ প্রো। এতে আরো রয়েছে আইএমএক্স৮৯০ টেলিফটো ক্যামেরা, যা মূল ক্যামেরা লেভেল সেন্সর আকৃতির ক্ষেত্রে রেকর্ড গড়েছে। অপটিক্যাল হার্ডওয়্যার, চিপ কম্পিউটিং পাওয়ার আর ইমেজিং অ্যালগরিদম নিয়ে কোয়ালকল ও আর্কসফটের সাথে যৌথভাবে কাজ করার মাধ্যমে টেলিফটো ইমেজের এই অনন্য মান অর্জন করেছে রিয়েলমি।

স্ক্রিনে উজ্জ্বল আলো বা ব্রাইটনেস ব্যবহার করে যেকোনো কিছু দেখার ক্ষেত্রে স্মার্টফোন বাজারে ৪৫০০ নিটের সবচেয়ে উজ্জ্বল আলো পাওয়া যাবে রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে। এর ডিসপ্লে’তে আরো রয়েছে দেড় হাজার গোল্ডেন রেজ্যুলুশন, ২১৬০ হার্জ হাই-ফ্রিকোয়েন্সি পিডব্লিউএম ডিমিং, এবং ৪৫০পিপিআই ডিসপ্লে।

ফলে একদিকে যেমন ডিসপ্লে’র কারণে ব্যাটারির ওপর তেমন কোনো চাপ পড়বে না, অন্যদিকে স্ক্রিনে ছবি দেখার অভিজ্ঞতাও হবে আরো আরামদায়ক।

সিওপি প্রযুক্তির মাধ্যমে ডিভাইসটির ডিসপ্লের নিচে রাখা হয়েছে ১.৩৬ মিমি’র সুক্ষ্ম বর্ডার, ৯৪.২০ শতাংশের স্ক্রিন-টু-বডি অনুপাত, ০.৫ হার্জ থেকে ১৪৪ হার্জ পর্যন্ত ইন্টেলিজেন্ট রিফ্রেশ রেট, এবং ১.০৭ বিলিয়ন কালার ডিসপ্লে, যেটির ডলবি অ্যাটমোস ভিডিও প্লেব্যাক এবং প্রো-এক্সডিআর সক্ষমতা রয়েছে।

এছাড়াও ডিভাইসটির ডিসপ্লেতে ফুল-ব্রাইটনেস আই প্রটেকশন সুবিধা রয়েছে। টিইউভি আই কম্ফোর্ট সার্টিফিকেশন ৩.০ অর্জন করা ডিভাইসটি থেকে স্বাচ্ছন্দ্যময় ভিউয়িং এক্সপেরিয়েন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সন্দেহের সুযোগই থাকছে না!

রিয়েলমি জিটি৫ প্রো’তে রয়েছে র‍্যাপিড পাম আনলক সুবিধা, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা হাতের তালু ডিভাইসের স্ক্রিনের কাছাকাছি নিয়ে আসার মাধ্যমে নিমিষেই ডিভাইসটি আনলক করতে পারবেন। সেটটির এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় নিয়ন্ত্রিত জেসচার কন্ট্রোল সিস্টেম এরকম মোট ১২টি অঙ্গ- ভঙ্গিমার সাহায্যে ফোনের বিভিন্ন ফিচার ব্যবহারের সুবিধা থাকছে। চার্জিং নিয়েও দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই, কারণ রিয়েলমি রিয়েলমি জিটি৫ প্রো ডিভাইসটিতে থাকছে ৫৪০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি, সেই সাথে ১০০ ওয়াটের ফাস্ট চার্জিং এবং ৫০ ওয়াটের ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা। ডিভাইসটিতে রিয়েলমি ইউআই ৫.০’র সাথে রয়েছে ইউনিভার্সাল আইআর ব্লাস্টার কন্ট্রোল, উন্নততর এনএফসি, এক্স-এক্সিস লিনিয়ার মোটর, ডলবি অ্যাটমোস ডুয়াল স্পিকারস, এবং আইপি৬৪ মানের ধুলা ও পানি নিরোধ সক্ষমতা। আগামী প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ ফোনের মজা উপভোগ করতে এবার তাহলে আর দেরি কীসের?


আরও খবর



তিতাস গ্যাসকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ'র যুগান্তকারী পদক্ষেপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১৮৯জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃপেট্রো বাংলার অধীনস্থ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের বিস্ময়কর প্রতিভা এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যাবহারকারী ও দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কঠোর মনোভাব ও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করায় কোম্পানীর লোকসান কমে এসেছে বহুগুণ।রাজধানী ঢাকা ও ঢাকার আশপাশের শহর এবং ময়মনসিংহে গ্যাস সরবরাহ করে তিতাস। তিতাস গ্যাসের আওতাধীন দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে লক্ষ লক্ষ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার সঙ্গে জড়িত কিছু কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ঠিকাদার।গত ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিসন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলী ইকবাল মোহাম্মদ নুরুল্লাহর স্থলে প্রকৌশলী মো. হারুনুর রশীদ মোল্লাহ্ ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে যোগদান করেন।সেই সময় থেকে অদ্যাবধি তিতাস গ্যাসের এমডি থাকা অবস্থায় বিভিন্ন কৌশলে সিষ্টেম লস কমাতে কাজ করে চলেছেন তিনি।প্রতিনিয়ত তাকে লড়াই করতে হয়েছে নানা অনিয়ম দুর্নীতি ও অবৈধ গ্যাস সংযোগের সাথে যুক্ত রাঘব বোয়ালদের সাথে। কখনো স্থানীয় প্রভাবশালী কখনো রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কাজ করেছেন তিনি। দীর্ঘ দিন অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেগে থেকে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করেছেন।অন্যদিকে তিতাস গ্যাসের বিশাল অঙ্কের বকেয়া বিল আদায়ে গ্রাহককে সচেতন করা সহ বকেয়া আদায়ে কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছেন তিনি।এ কারণে তার শত্রুর কোনো অভাব নেই।অবৈধ গ্যাস সংযোগের বিরুদ্ধে তিতাস গ্যাস কর্তৃক পরিচালিত এই অভিযানে যাদের স্বার্থহানি হয়েছে, সে সব স্বার্থান্বেষী মহল বা ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানা ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে নানা মাধ্যমে।তবুও থেমে থাকেনি তার অগ্রযাত্রা। এ যাবত কালে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের বিষয়ে কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি তদন্ত কমিটি।তিনি তিতাস গ্যাস কোম্পানিকে ধ্যান জ্ঞান মনে করেন। গত ২ মার্চ শনিবার রাজধানীর ৩০০ ফুট সড়কে তিতাস গ্যাস কর্মচারীদের পিকনিকের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়লে এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ এবং তার স্ত্রী দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক কর্মচারীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাক্তিগতভাবে পাঁচ লাখ টাকা চিকিৎসার জন্য দেন। একজন মানবিক গুন সমৃদ্ধ কর্মবীর লোক হারুনুর রশিদ মোল্লাহ। কোম্পানিটিকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদ করতে সক্ষম হয়েছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক একইসঙ্গে ক্যাপটিভ পাওয়ার ও শিল্প সেক্টরে ও অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার রেকর্ড করেছেন তিনি, সিএনজি ফিলিং স্টেশনের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন, বকেয়া আদায়ে,নিয়েছেন নানা যুগান্তকারী উদ্যোগ।সব ধরনের অবৈধ গ্যাস–সংযোগ চিহ্নিত করে তা বিচ্ছিন্ন,বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা, সংস্থার হিসাব যাচাইয়ে অডিটর নিয়োগ সময় উপযোগী নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুতুড়ে গ্রাহকদের চিহ্নিত করা হচ্ছে।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ জানান, তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে,স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগ একটি রোড ম্যাপ তৈরি করবে। ইতোমধ্যেই , ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।হাজার হাজার অবৈধ লাইন, শিল্পেও অবৈধ লাইন। অনেক বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, যে গুলো এখনো বাকি আছে সেগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। সব সিএনজি স্টেশনের গ্যাস ব্যবহার নিয়ে অডিট করা হবে। আইন ও বিধি মানছে কি না, তা–ও দেখা হবে। তিতাসের সিস্টেম লস (কারিগরি ক্ষতি) ২২ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। এটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে।

ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে টেন্ডারে চলে যাবে তিতাস।

এছাড়াও তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে আয়োজিত এক সভায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব উৎস থেকে তিতাস গ্যাস সংগ্রহ করে, সেখানে মিটার বসানো হয়েছে। এতে সিস্টেম লস কমে আসছে।প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গিয়ে বিভিন্ন রকম বাধা এসেছে। এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নিজে। তাই কেউ পার পাবে না, কোনো বাধায় কাজ হবে না। গত দুই বছরে ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৭০টি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে তিতাস। এর মধ্যে ৩৩৬টি শিল্প, ৯৭টি শিল্পের নিজস্ব উৎপাদিত বিদ্যুৎ (ক্যাপটিভ), ৪৭৫টি বাণিজ্যিক, ১৩টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ আছে। ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ লাইন অপসারণ করেছে তিতাস। একই সঙ্গে ৬০৪ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে অবৈধ গ্যাস ব্যবহারের জন্য।

১৯৬২ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তিতাস নদীর তীরে বিরাট একটি গ্যাস ক্ষেত্র আবিষ্কৃত হয়। ১৯৬৪ সালের ২০ নভেম্বর কোম্পানি আইনের আওতায় যৌথ তহবিল কোম্পানি হিসেবে তিতাস গ্যাস আত্মপ্রকাশ করে। শিল্প উন্নয়ন সংস্থা ৫৮ মাইল দীর্ঘ তিতাস ডেমরা সঞ্চালন পাইপ লাইন নির্মাণ করে দেয়ার পর১৯৬৮ সালের ২৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহার মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে বিশিষ্ট কথা সাহিত্যিক শওকত ওসমানের বাসায় প্রথম আবাসিক গ্যাস সংযোগের মাধ্যমে তিতাস গ্যাসের আবাসিক লাইনের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৭২ সালে এক অধ্যাদেশ বলে তিতাস গ্যাসকে জাতীয়করণ করা হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে অন্যতম বৃহৎ প্রতিষ্ঠান।এই কোম্পানিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারলে একদিকে সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে অন্যদিকে দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।


আরও খবর



ফ্লোরিডায় নতুন কনসাল জেনারেল সেহেলী সাবরীন

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক সেহেলী সাবরীন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের নতুন কনসাল জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বর্তমানে সেহেলী সাবরীন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার মিশনে যোগদানের তারিখ থেকে বদলির আদেশ কার্যকর হবে।

২০০৫ সালের ২ জুলাই ২৪তম বিসিএসের (পররাষ্ট্র) সদস্য হিসেবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন সেহেলী সাবরীন।

২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ক্যানবেরায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রথম সচিব এবং ২০১৪-২০১৭ সালে জাকার্তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

২০২১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মহাপরিচালক (কনস্যুলার ও কল্যাণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন সেহেলী সাবরীন।


আরও খবর



হিলি দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক দিন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে বন্দর অভ্যন্তরের সকল ধরনের কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।

বুধবার সকাল ১০ টায় বিষয়টি বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক রবিউল ইসলাম সুইট।

তিনি জানান মহান আর্ন্তজাতিক পহেলা মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে সরকারী ছুটি থাকায় হিলি কাস্টমসের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরফলে দু’দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে দুদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ বন্দরের সব কার্যক্রম চালু হবে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল ইসলাম বলেন, হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।


আরও খবর



পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলর সহ হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১০৫জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর  অপসারনের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে, এরপর ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর ব্যবস্হা না নেয়ায় ২৮ এপ্রিল সকাল সারে ১১ টা থেকে বেলা সারে ১২ টা পর্যন্ত ১৪ কাউন্সিল সহ প্রায় ৮ শতাধিক নারী পুরুষদের নিয়ে শহর ব্যাপি বিশাল বিক্ষোভ করার পর স্হানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভার আয়োজন করে। সেখানে মেয়রের সকল  দুর্নীতি কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপসারণ দাবী করেন। 

প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের ওই বিক্ষোভ ও পথসভার আয়োজন করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে মেয়রের অপসারণ দাবীতে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।
পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।প্রতিমাসে যে ৬/৭ টাকা টোল উত্তোলন করা হয়, সে টাকাটাও আত্মসাত করে আসছেন ৩ বছর থেকে মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে স্হানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল ২৭ বস্তা টাকা

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদে এবার ৯ টি দানবাক্স ও ১ টি অস্থায়ী দানবাক্স থেকে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে, চলছে গণনা। ৪ মাস ১০ দিন পর শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় এ দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়।

আজ শনিবার সকালে পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। পরে মসজিদের দোতলায় এনে টাকা গণনার কাজ শুরু হয়েছে। তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হলেও এবার রমজানের কারণে ৪ মাস ১০ পরে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হবে।

পাগলা মসজিদের টাকা গণনা কাজে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, সিবিএ নেতা আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

সর্বশেষ এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর খোলা হয়েছিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স। তখন রেকর্ড ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এছাড়া বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কারও পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স ২০২৩ সালে চারবার খোলা হয়েছিল। চারবারে মোট ২১ কোটি ৮৭ লাখ ৮৫ হাজার ১৮১ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। টাকার পাশাপাশি হীরা, বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণ।


আরও খবর