Logo
আজঃ শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করে না, নষ্ট রাজনীতি করে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:শুক্রবার ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যাচার করায় আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি মানুষের ভোট পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আজ শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী হলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিষোদগার, মিথ্যাচার ছাড়া বিএনপির আর কী আছে? মিথ্যাচারের জন্য মানুষ আর আপনাদের ভোট দেবে না। বিএনপিকে বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে না।

বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সুস্থ রাজনীতি করে না, নষ্ট রাজনীতি করে। বিএনপি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করেছে ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করেছে, অর্থ পাচার করেছে। আর এই ষড়যন্ত্রকারীরাই কি না রাষ্ট্র মেরামত করতে চায়? যারা নষ্ট রাজনীতি করে তারা রাষ্ট্র মেরামত করতে পারে না, রাষ্ট্রকে ধ্বংস করে। ফলে নির্বাচনে জনগণ বিএনপিকে লাল কার্ড দেখাবে।


তিনি বলেন, ‘ঢাকা আজ মিছিলের নগরী। সারা ঢাকায় আওয়ামী লীগ প্রস্তুত আছে। সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভোট চোরদের বিরুদ্ধে, বোমাবাজদের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। বিএনপির বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত। স্বাধীনতাবিরোধীদের রুখতে হবে।

এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার সময় বিবৃতি না দেওয়ায় বুদ্ধিজীবীদের সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপি বুদ্ধিজীবীদের মাধ্যমে মির্জা ফখরুলের মুক্তি চায়, ভালো। ফখরুল তাদের বন্ধু। তাদের শুভাকাঙ্ক্ষী। তিনি অসুস্থ আমরা জানি না। বুদ্ধিজীবীরা বিবৃতি দিয়ে বলছেন তিনি নাকি অসুস্থ। এ বাংলাদেশে যখন ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন কী আপনারা বিবৃতি দিয়েছিলেন? বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় আপনাদের মুখের ভাষা কোথায় ছিল? আমি জানতে চাই কোথায় ছিল প্রতিবাদ, জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যা করা হলো, কোথায় ছিল আপনাদের প্রতিবাদ। আহসানউল্লাহ মাস্টারকে যখন প্রকাশ্যে হত্যা করা তখন কী প্রতিবাদ করেছিলেন?

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি প্রমুখ।


আরও খবর



দোয়ারাবাজারের এক কিশোরী ধর্ষন ক‌রে গুম করার অভিযোগ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৮জন দেখেছেন

Image

র‌নি ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:সুনামগ‌ঞ্জের দোয়ারাবাজারে এক কিশোরী ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অভিযোগের ঘটনায় জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।  এ ঘটনায় জনম‌নে নানা প্রশ্ন দেখা দি‌য়ে‌ছে।

কি‌শোরী নিযাত‌নের ঘটনার ছয় দিন অতিবাহিত হলেও এখ‌নো কি‌শোরী সন্ধান মিলছে না ব‌লে এলাকাবাসীর অ‌ভি‌যোগ ক‌রে‌ছেন।  গত ১১ এপ্রিল রাতে দোয়ারবাজার উপ‌জেলার বাংলাবাজার ইউপির মৌলার পাড় আপনের টিলা নি‌য়ে পালাত্রু‌মে  কি‌শোরী্র উপর অমানবিক নিয়া‌ত‌নের ঘটনা ঘ‌টে।

এলাবাসীর সুত্রে জানা যায় ১০ এপ্রিল সন্ধ্যায় তার  বাড়ি থেকে রাগ করে বের হয়ে বাঘমাড়া বাজারে
চ‌লে যায়। প‌রে কি‌শোরী‌কে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য কালামের বাড়িতে নিয়ে যান।  সেখানে কালাম মেম্বার কিশোরীর ঠিকানা জিজ্ঞেস করলে এ সময়  কিশোরী জানায় তার বাড়ি বাঁশতলা শহীদ মিনার কলোনীর মৃত- সাইফুল ইসলামের কন‌্যা ।

তখন কালাম মেম্বারের পাশে বাড়ির ছেলে আব্দুল কুদ্দুছ ওরফে মটোকে মোবাইল ফোনে মেয়ের বিষয়টি অবগত ক‌রেন।

আব্দুল কুদ্দুছ ঐ কিশোরীর পরিচয় নিশ্চিত করে   ১১ এপ্রিল কিশোরীকে আব্দুল কুদ্দুছের মাধ্যমে তার বাড়িতে পৌছি‌য়ে দেয়ার দায়িত্ব দেন ইউপি সদস্য।

আব্দুল কুদ্দুছ এ কিশোরীকে বাড়ি না দি‌য়ে এলাকার কুখ‌্যাত চোরাকারবা‌রি বখাটে জনৈক জুটনের কাছে তো‌লে দেন।

এরপর জুটন মেয়েটাকে তার বা‌ড়ি না দি‌য়ে  মৌলারপাড়স্ত আপনের টিলার উপরে নি‌য়ে জোরপু্বক ঐ কিশোরীকে সন্ধ্যা থেকে রাত ভর পালাত্রু‌মে ধর্ষন ক‌রেন জুটন সহ তার দুই সহযোগিরা।

সেখান থেকে রাত ৩টার দিকে  মেয়েটা পালিয়ে পুনরায় সা‌বেক কালাম মেম্বার বাড়িতে এসে অবস্থান নেন।  এরপর কালাম মেম্বারেকে তার স‌ঙ্গে সব কিছু খুলে বলেন কি‌শোরী। তাৎক্ষনিক সা‌বেক কালাম মেম্বার স্থানীয় সংবাদ কর্মীদের খবর দিলে সে কয়েকজন সংবাদ কর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে এ কিশোরীর জবানবন্দী রেকর্ড করেছি‌লেন।

পরে তাদের মাধ‌্যমে দোয়ারবাজার থানায় নিয়ে যান। থানায় যাওয়ার পর আসামির পক্ষ নেন পু‌লিশ।  থানার ও‌সির স‌ঙ্গে আসামী‌দের বড় অংকের টাকার বি‌নিময় রফা দফার মাধ‌্যমেই অ‌লি‌খিত চু‌ক্তি হয়। পু‌লিশ ঘটনা‌টি চাপা দি‌য়ে নিযা‌তিত কি‌শোরীকে ভয়‌ দে‌খি‌য়ে তার চাচার জিন্মায় দেয়া হয়। এরপর থেকে ঐ ধর্ষিতা কি‌শোরীকে আড়াল করে রাখা হচ্ছে। এলাকাাসীর ধারনা করা হচ্ছে বড় অংকের টাকার বিনিময়ে বিষয়টি থানায় পু‌লিশ ধামাচাপা দেয়ার অ‌ভি‌যোগ ক‌রেন। ধর্ষনের মত এ ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার পর তাকে ডাক্তারী পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া মা বাবা বিহিন অসহায় কিশোরীকে গুম করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ ক‌রেন এলাকাবাসী লোকজন।

এব‌্যাপা‌রে ছাতক দোয়ারবাজার সা‌কেল সহকা‌রি পু‌লিশ সুপার রণজয় চন্দ্র মল্লিক, জানান,এঘটনার খোজ খবর নি‌য়ে ভিকটিম উদ্ধার ক‌রে আইনানুগত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে।


আরও খবর



ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ে ২ জনের মৃত্যু ॥বিধস্ত অন্তত ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি ॥ আহত- ৩৫

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:ভোলায় কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। উপরে পড়েছে কয়েক শত গাছপালাসহ বিদু্যুতের খুটি। এ সময় ঘর চাঁপায় ও বজ্রপাতের আঘাতে মোঃ হারিছ (৭০) ও বাচ্চু (৩৫) নামের দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে নারী-শিশু সহ অন্তত ৩৫ জন। রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে জেলার মনপুরা, লালমোহন, বোরহানউদ্দিনসহ বিভিন্ন উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। আকস্মিক এ ঝড়ের আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জেলার মুখভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা মনপুরা ও লালমোহন। দুই উপজেলায় অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রায় দুই শত ছোট বড় গাছপালা সহ উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। তাছাড়া বিদ্যুতের তার ও সড়কের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গাছ উপরে পড়ে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিদ্যুৎ সংযোগ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, রোববার সকাল থেকেই হয়ে ওঠে চারিদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন। দেখা দেয় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস এর সাথে বজ্রপাত। হঠাৎ করে বেড়ে যায় বৃষ্টি ও বাতাসের পরিমান। এরপর ১১টার দিকে বাতাসের পরিমান বেড়ে গিয়ে রূপ নেয় কালবৈশাখী ঝড়ে। মূহুর্তের মধ্যে জেলার মনপুরা, লালমোহন সহ কয়েকটি উপজেলায় ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৫ থেকে ৬ শতাধিক ঘরবাড়ি এবং দোকানপাট বিধ্বস্ত হয়।উপড়ে পড়েছে দুই শাতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুটি। বিভিন্ন সড়কে গাছ পড়ে কয়েক ঘন্টা যাবত বিচ্ছিন্ন হয়েছে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝড়ের প্রভাবে লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডে ঘর চাঁপা পড়ে হারিছ আহমেদ (৭০) নামে এক ভিক্ষুক নিহত হয়েছেন। তিনি পার্শ্ববর্তী ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অন্যদিকে বজ্রপাতে উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরলেঙুটিয়া গ্রামে মো. বাচ্চু নামে (৩৫) বছরের আরো এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি ওই এলাকার কয়ছর আহমেদের ছেলে। এছাড়া ঝড়ে আড়াইশত ঘরবাড়ির ক্ষতি হয়েছে। যার মধ্যে অন্তত পঞ্চাশটি ঘর পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে ছিঁড়ে গেছে বিদ্যুতের তার। কৃষি ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ঝড়ে প্রাণহানিসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে বরাদ্দের জন্য জেলায় পাঠাবো। বরাদ্দ পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের তা প্রদান করা হবে।

এদিকে পবিত্র ওমরাহ হজ্জ পালনের লক্ষ্যে সৌদি আরবে থাকা অবস্থায় খবর পেয়ে ভোলা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব নুরুন্নবী চৌধুরী শাওন একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার কথা জানিয়ে বলেন, ৭ এপ্রিল সকালে আমার নির্বাচনী এলাকা লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলায় ব্যাপক ঝড় হয়। উক্ত ঝড়ে দুই উপজেলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্তসহ লালমোহন উপজেলায় ১ জন ঘর চাঁপায় ও ১ জন বজ্রপাতে মারা যান। নিহতদের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকা এবং আহত সকল পরিবারের মাঝে নগদ ১০ হাজার করে আমার পক্ষ থেকে অনুদান দেই। সেই সাথে লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা প্রশাসন সহ আওয়ামী লীগের সকল নেতা-কর্মীদের মানুষের পাশে থেকে সর্বোচ্চ সহায়তা করার নির্দেশ প্রদান করেছি। আমি ওমরা পালনের লক্ষে স্ব-পরিবারে বর্তমানে পবিত্র মদিনায় অবস্থান করছি। ওমরা শেষ করে নির্বাচনী এলাকায় ফিরে ঝড়ে আহত, নিহত ও ক্ষতিগ্রসন্ত পরিবারের মাঝে পৌঁছাবো ইনশাআল্লাহ্। আপনারা সকলে আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

অপরদিকে ভোলার বিচ্ছিন্ন মনপুরা উপজেলায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে পুরো দ্বীপাঞ্চল। এতে উপজেলার হাজিরহাট, উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকার ৩ শাতাধিকের ওপরে ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়।

এর মধ্যে উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের তিনটি গ্রাম ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এতে ঝড়ের কবলে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। খোলা আকাশের নিচে রয়েছে প্রতিটি পরিবার। এছাড়াও অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ঘর বিধ্বস্ত হওয়ার পাশাপাশি উপজেলার মনোয়ারা বেগম মহিলা কলেজের টিন সেড ক্লাসরুমটি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ে গাছপালা পড়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে ঝড়ের কবলে অনেকের মাছের ট্রলার ও নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়াও বিভিন্ন চরে থাকা কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ রয়েছে।

এদিকে ঝড়ে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে শিশু সহ ১১ জন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুত্বর আহত ৫ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুর সাড়ে ১২ টায় থেকে ১ টা পর্যন্ত আধা ঘন্টাব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের পাশাপাশি বৃষ্টির তান্ডবে এই সমস্ত ক্ষয়-ক্ষতি হয়।

এদিকে কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান ঘোষনা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার। ঝড়ের তান্ডবে ঘরের নিচে চাঁপা পড়ে আহত ১১ জন হলেন, আল আমিন, ফাতেমা, তানভির, লিটন, হেলাল, হানিফ, আরতি বালা, মনির, সানজিদা আক্তার, জরিনা, শাকিল, ফরিদ ও ইব্রাহীম। এদের সবার বাড়ি হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

কালবৈশাখী ঝড়ে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরের মালিকরা হলেন-উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসেরহাট গ্রামের সোলেমান, কাশেম বেপারি, রিয়াজ, কৃষ্ণমোহন, তীপাংকর, মাইনুদ্দিন, রবি আলম, হাফেজ সোহরাব, রিয়াজ, সোনারচর গ্রামের কাসেম,ফরিদ, কবির, পূর্ব সোনারচর গ্রামের আবদুল্লাহ, ছলেমান, গোপালচন্দ্র দাস, জসিম, গিয়াস উদ্দিন বেপারি, নিরব, কাসেম মিয়া, হাজিরহাট বাজার ব্যবসায়ী কবিরের মুদি দোকান ঘর, চরফৈজুদ্দিন গ্রামের মনির, আবুতাহের, সাহাবুদ্দিন , মাফুল্লা মাঝি। অপরদিকে ৩ নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের আলম বাজার সংলগ্ন আবদুল হাশেম,দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের জনতা বাজারের হারুন চৌকিদার, বাবুল পিটার, আঃ রহমান হাজারী ও সহিদ হাওলাদারের নাম পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, আধা ঘন্টা ব্যাপি কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে বৃষ্টির তান্ডবে সবচেয়ে বেশি ঘর-বাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয় উপজেলা হাজিরহাট ইউনিয়নের দাসের হাট, সোনারচর ও চরফৈজুদ্দিন গ্রামে। এই সমস্ত এলাকায় আনুমানিক ৩ শতাধিক ঘরবাড়ি সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়াও উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ও দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নে ঝড়ে তান্ডবে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ঝড়ের তান্ডবে দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দারা জীবনের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়তে দেখা গেছে। অনেকে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে। এছাড়াও চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন রকম সহযোগিতা করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

উপজেলার ২ নং হাজিরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগ সভাপতি নিজাম উদ্দিন হাওলাদার জানান, হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে হাজিরহাট ইউনিয়নে দুই থেকে আড়াইশত ঘরের ওপরে সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হয়। চর থেকে কৃষকের ৩০ টি গরু নদীতে পড়ে হারিয়ে যায়। এমপি মহোদয় তাৎক্ষনিক একলক্ষ টাকা অনুদান দিয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াইশত থেতে তিনশত ঘর সম্পূর্ণরুপে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মাঠে ক্ষয়-ক্ষতির নিরুপন করা হচ্ছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। কোন সাহায্য সহযোগিতা পেলে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেওয়া হবে।

মনপুরা উপজেলা চেয়ারম্যান সেলিনা চৌধুরী বলেন, হাঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে আমাদের উপজেলার শতাধিক বাড়ি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর পুরোপুরি ক্ষতির মধ্যে পড়েছে। আংশিক ক্ষতি হয়েছে আরো বেশি।

যদিও আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা নিরূপন করার কাজ করছি। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করে যাচ্ছি। তাছাড়া বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে ও উপড়ে গিয়ে বন্ধ রয়েছে মনপুরা, লালমোহনসহ কয়েকটি উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। যদিও পল্লি বিদ্যুৎ এবং ওজোপাডিকোর মাঠ কর্মীরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল করার জন্য মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন।

এদিকে ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সাহায্য সহযোগীতা করার জন্য জেলা প্রশানের পক্ষ থেকে প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে বিজিএফ এর চালসহ বিভিন্ন ধরনের শুকনো খাবার দিয়ে যাচ্ছেন।

এ ব্যপারে ভোলা জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিমান প্রাথমিক ভাবে বলা না গেলে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারের মাঝে চালসহ বিভিন্ন শুকনো খাবার ও ঔষধপত্র দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে ঘরের নিচে চাঁপা করে মারা যাওয়া ব্যক্তি ও বজ্রপাতে মারা যাওয়া ২ ব্যক্তির পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।


আরও খবর



শার্শা থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা সহ আটক ১

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫০জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:শার্শা থানা পুলিশের পৃথক দুটি অভিযানে ৩৮ কেজি গাঁজা সহ আয়না মতি (৪০) নামে এক নারী মাদক চোরাকারবারী আটক হয়েছে। রোববার দিনগত (৩১ মার্চ) গভীর রাতে উপজেলার হরিনাপোতা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আয়না মতি মৃত আব্দুল আলীমের স্ত্রী।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা লক্ষনপুর ইউনিয়ানে দুটি অভিযান পরিচালনা করে আয়না মতি নামে এক জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় তার বসত বাড়ীর পশ্চিম পাশে গোয়াল ঘরেথেকে বিশ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

অপর এক অভিযানে হরিনাপোতা গ্রামের পলাতক আসামী মুনসুর হোসেনের বাড়ীর পিছনে টয়লেটের সেপ্টি টেংকি তল্লাশী করে ১৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় মুনসুর হোসেন সহ তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়।

শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মনিরুজ্জামান (বি পি এম) বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লক্ষনপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে ৩৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এসময় এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।


আরও খবর



আল জাজিরা নিষিদ্ধে ইসরায়েলে আইন পাস

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ এপ্রিল 2০২4 | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নিষিদ্ধ করার লক্ষ্যে আইন পাস করেছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আইনটি ৭০-১০ ভোটে পাস হয় এবং তেল আবিব সরকারকে ইসরায়েলে বিদেশি সংবাদমাধ্যমের কার্যালয় বন্ধ করার মতো ক্ষমতা দেয়।

বিলটি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারকে ইসরায়েলে বহুল প্রচারিত সংবাদমাধ্যমটির সম্প্রচার বন্ধ করার ক্ষমতা দিয়েছে।

সংবাদ সংস্থা এএফপি এবং টাইমস অফ ইসরায়েল-এর বরাতে আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বিলটি পাস করার জন্য নেসেটে আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং 'অবিলম্বে আল জাজিরা বন্ধ করার জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

মূলত ইসরায়েলি বাহিনী ও গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাসের চলমান যুদ্ধে হামাসের পক্ষে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগেই এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আল জাজিরার বিরুদ্ধে। গত ১৫ অক্টোবর ইসরায়েলের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী শালোমা খারহি অভিযোগ করেছিলেন, চলমান এই যুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যের এই প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমটি নিয়মিত হামাসঘেঁষা সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে, যা ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য বিপদের কারণ হয়ে উঠতে পারে। ইসরায়েলের বেতার সংবাদমাধ্যম আর্মি রেডিওকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও জানিয়েছিলেন, শিগগিরই এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে ইসরায়েলের সরকার।

এর আগে, গত বছর ২০ অক্টোবর ইসরায়েলের পার্লামেন্ট নেসেটে আল জাজিরার সম্প্রচার এবং সেটির স্থানীয় কার্যালয় ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করতে বিল পাস হয়।


আরও খবর



সাসটেইনেবিলিটি এক্সিলেন্সের জন্য ‘ইকোভাডিস সিলভার মেডেল’ পেল সিগওয়ার্ক

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পরিবেশে টেকসই উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য আবারও ইকোভাডিস সিলভার মেডেল রেটিং পেয়েছে প্রিন্টিং কালি ও কোটিং প্রস্তুতকারী কোম্পানি সিগওয়ার্ক ড্রাকফারবেন এজি অ্যান্ড কোং কেজিএএ।   এর আগে ২০২২ সালেও এই মেডেল অর্জন করে জার্মান এই কোম্পানিটি। 

এর মধ্য দিয়ে বর্তমান ইকোভাডিস রেটিংয়ে সিগওয়ার্ক নিজের শিল্প খাতের শীর্ষ ১৮% কোম্পানির মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। এই উন্নতি ব্যবসায়িক ইউনিট ও অঞ্চল জুড়ে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠানের দৃঢ়  প্রতিশ্রুতির বিষয়টি তুলে ধরে।

ইকোভাডিস একটি বৈশ্বিক সাসটেইনেবিলিটি রেটিং প্রদানকারী সংস্থা। বিভিন্ন কোম্পানির পরিবেশগত, সামাজিক ও নৈতিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির দক্ষতার ওপর ভিত্তি করে তাদের মূল্যায়ন করে সংস্থাটি। পরিবেশগত প্রভাব, শ্রম ও মানবাধিকার, নৈতিকতা এবং টেকসই উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের পারফরম্যান্সের বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে থাকে ইকোভাডিস। 

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০২৩ সালের স্কোরকার্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল পরিবেশগত উন্নয়ন। এই অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে টেকসই ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি, নিঃসরণ কমানো এবং সার্কুলার প্যাকেজিং সমাধান। এই ক্যাটাগরিতে সিগওয়ার্ক ১০০ পয়েন্টের মধ্যে ৮০ পয়েন্ট অর্জন করেছে।

অনুমোদিত বিজ্ঞান-ভিত্তিক লক্ষ্যমাত্রা উদ্যোগের (এসবিটিআই) ক্ষেত্রেও বৈধতা অর্জন করেছে সিগওয়ার্ক। এতে দেখা যায়, সিগওয়ার্ক গ্রিনহাউজ গ্যাস হ্রাসের লক্ষ্যমাত্রা বিজ্ঞানসম্মতভাবে কমিয়েছে, যা বৈশ্বিক জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনেও সমানভাবে অবদান রাখে।   

সিগওয়ার্কের সিনিয়র গ্লোবাল সাসটেইনেবিলিটি ম্যানেজার সারাহ মাহ বলেন, “কালি ও কোটিং শিল্পে টেকসই ব্যবসায়িক অনুশীলনের ওপর আমরা যে প্রচেষ্টা ও গুরুত্ব দিয়েছি, এই বর্ধিত রেটিং পারফরম্যান্স তারই একটি প্রমাণ।” 

তিনি আরও জানান, “আমরা আমাদের অর্জন নিয়ে গর্বিত। একইসাথে আমাদের কার্যক্রম ও ভ্যালু চেইনে সাসটেইনেবিলিটি বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি সংক্রান্ত উদ্যোগ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানতে সিগওয়ার্কের সাসটেইনেবিলিটি পেইজ এবং সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্ট ভিজিট করুন।


আরও খবর