নিজস্ব প্রতিবেদক:নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) থেকে সারা দেশে তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে। বিএনপি ও জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।
এর আগে শনিবারের মহাসমাবেশ পণ্ড এবং সেখানে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যার হরতাল পালিত হয়েছে। এরপর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা করেন, ৩১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত টানা অবরোধ পালন করবে বিএনপি ও এর শরিক গণতন্ত্র মঞ্চ।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলা, নেতাকর্মীদের হত্যা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত বিভিন্ন দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মীর গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি হয়রানির প্রতিবাদে এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সোমবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, অবরোধ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে সংবাদপত্রের গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স, অক্সিজেন সিলিন্ডার গাড়ি ও জরুরি ওষুধ পরিবহন।
সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির হাইকমান্ড। সারাদেশে সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভিডিওবার্তা দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতা। একই সঙ্গে দায়িত্বশীল নেতাদের মাঠে থাকার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, সোমবার (৩০ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে সারা দেশে তিন দিনের (৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর) সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। তারা সব শ্রেণির মানুেষকে বৃহৎ স্বার্থে এ অবরোধ পালন করার জন্য আহ্বান করেন।