Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র উপদেষ্টা এবং বিএনপি'র সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মরহুম গাজী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২৭৪জন দেখেছেন

Image

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া'র উপদেষ্টা এবং বিএনপি'র সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক মরহুম গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ১ম মৃত্যু বার্ষিকীতে জাসাসের শ্রদ্ধা নিবেদন।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে তীব্র গরমে ৩০ মৃত্যু, সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯২জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সরকার এ সতর্কতা জারি করে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটন নগরীটিতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় একইরকম তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

চলমান সময় নিয়ে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। এর আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন জানান, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা স্থুল ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও পর্যাপ্ত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবচেয়ে গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গরম আবহাওয়ার একটি ঢেউ এ সপ্তাহে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের কারণে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপাসকরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে।

সূত্র:ফ্রান্স ২৪আরএফআইসাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


আরও খবর



যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়,তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো: রিজভী

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৬৬জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:যারা আমাদের কৃতদাস বানাতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়বো মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির আহমেদ রিজভী বলছেন, ১৮ কোটি দেশের মানুষ আমরা একবারও দূর্বল নই। সরকার দূর্বল হতে পারে, আমরা দূর্বল নই। আমাদের যে আত্নশক্তি, আমাদের যে সাহস, আমাদের যে জনগণের লড়াই করার ইতিহাস এবং ঐতিহ্য সবকিছু নিয়েই আমাদের উপর যারা খবরদারী করে আমাদের যারা কৃতদাস বানাতে চায়। তাদের বিরুদ্ধে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে লড়বো। সরকার কোন অবস্থাতেই আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। 

আজ রবিবার (৭ এপ্রিল) সকালে উত্তরায় দুঃস্হদের মাঝে এক ঈদ উপহার সামগ্রী শাড়ী লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম কফিল উদ্দিন আহমেদের উদ্যোগে দক্ষিণখান থানা বিএনপির আহবায়ক মোতালেব হোসেন রতন এর সভাপতিত্বে তার উত্তরার  ফায়দাবাদের বাসভবনে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশের কোন নিরাপত্তা আর নেই। বাংলাদেশের শাসক কে? এটাও আজ আমরা ঠিক বলতে পারি না। একজন শাসক রয়েছেন, তার কাজ হচ্ছে বিরোধী দলকে দমন করা, বিরোধী দলেরবকোন কর্মসূচি হলেই তা বানচাল কটা এবং তিনি একজন অবৈধ শাসকের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু তার প্রভু আছে, তারাই মূলত শাসকের ভূমিকা পালন করেছেন। কারন আমাদের দেশের লোকদের সীমান্ত হত্যা করছে, অথচ আমাদের দেশের অবৈধ প্রধানমন্ত্রী বা সরকার তা প্রতিবাদ করেন নি। প্রতিদিন ১ দিন ২ দিন পরপর হয় লালমনিরহাট, নওগা কিংবা য়শোর, ফেনী,কসবা এই সমস্ত সীমান্তবর্তী এলাকায় বাংলাদেশী মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। এদের জীবনের কেন নিরাপত্তা নেই। 

তিনি বলেন, একটা মানুষ যদি বেআইনি কাজ করে চলাফেরা করে তাকে গ্রেফতার করে বিচারের ব্যাবস্হা আছে। অথচ পাকিস্তানের সাথে ভারতের বর্ডার আছে, নেপালের সাথে বর্ডার আছে, আফগানিস্তানের সাথে সীমান্ত রয়েছে, ভূটানের সাথে সীমান্ত আছে, অথচ আপনারা কখনও শুনছেন না যে, তাদের সাথে সংঘর্ষ হয়েছে, সেখানে তারা সংঘর্ষ করতে সাহস পায় না। কারন তাদের প্রতিনিধীরা বাংলাদেশ শাসন করছে। তাদের বাংলাদেশের মানুষদের হত্যা করলে তাদের কিছু যায় আসে না। 

রিজভী আহম্মেদ বলেন, ওরা আমাদের পানি কেড়ে নিবে। ওরা একচেটিয়া বানিজ্য করবে। আমাদের কোন পন্য কিনবে না। বাংলাদেশে ওদের পন্যে সয়লাব হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কারখানার মালিকরা, আমাদের যে তাত। কত সমৃদ্ধশালী ছিল তাত। সে তাত ধ্বংস করে ভারতের লুঙ্গি শাড়ী কিনতে হয়। তাদের সকল পন্য আমাদের কিনতে হয়। এটার থেকে পরনির্ভরশীল হওয়ার জন্যই তো শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পুরো দেশকে আত্মনির্ভরশীল করছেন। জিয়াউর রহমান খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেই বিদেশে চাল রপ্তানি করেছেন। আর শেখ হাসিনা প্রতি নিয়ত প্রতি দিন বাংলাদেশকে ভারতের উপর নির্ভরশীল করার সকল যড়যন্ত্র তিনি করছেন। 

তিনি বলেন, আজকে সারা বাংলাদেশ কেন অরক্ষিত? 
আজকে কেন বান্দরবানের সারাচি, রুমাসহ বিভিন্ন থানায় ব্যাংক ডাকাতি হচ্ছে কেন? আজকে অন্য দেশের সন্ত্রাসীরা বাংলাদেশে আশ্রয় পায় কি করে? এটা কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানেন না। ঠিকই জানেন, কিন্তু তাদের কিছু করার নেই। কারন তারা নতজানু। ওদের কে যেমন তেমন করে বিদেশি প্রভুদের আশ্রয়েই তাদের থাকতে হয়। কারন ওদের কে ভোটে সরকার গঠন হয়নি। কারন তারা ভোটে সরকার গঠন করেনি। জনগণ ভোট দিতে পারেনি। ৭ জানুয়ারির  যে ডামী নির্বাচন সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে যায়নি। ৯৭% মানুষ ভোট দিতে কেন্দ্রে যায়নি। শুধু আওয়ামী লীগ আর আওয়ামী লীগের আত্নীয় স্বজনরাই ভোট কেন্দ্রে গিয়েছিল। আর ভোট কেন্দ্র সারাদিন সাহারা মরুভূমির মতো শূন্য হয়ে পড়েছিল। 

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, আজকে এই অবৈধ সরকারের ফ্যাসিষ্ট সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় দেখে, জনগণের কাছে তারা কোন জবাবদিহিতা করে না, বাংলাদেশের সকল ক্ষমতার উৎস হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণ। এই জনগনই কিন্তু এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারে এবং আমরা বিশ্বাস করি গত ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হয়েছে, একতরফা ডামি নির্বাচন, সেই নির্বাচনে তারা নিজেরা নিজেরই সরকার গঠন করেছে। সেই নির্বাচনকে বাংলাদেশের জনগণ বিনা ভোটে প্রত্যাখ্যান করেছে, আমরা সকলেই জানি বাংলাদেশের প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কোন মানুষ ভোট দিতে যায়নি, সেটা আমরা সকলেই দেখেছি দৃশ্যমান এবং আমাদের তথ্য মতে, ২% মানুষ ও ভোট দিতে যায়নি এবং  যারা আওয়ামী সমর্থক ছিলেন নির্বাচনে  তারাও ভোট দিতে যায় নাই। 

আমিনুল হক বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন  থেকে জাতিকে মুক্ত করতে দেশের গনতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে, জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই চলমান এক দফার আন্দোলন চলবে। 

তিনি বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে পুরো রমজান মাস ধরে আমাদের উত্তর মহানগরীর ৭১ টি ওয়ার্ডে ইফতার মাহফিল ও অসহায় মানুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছি এবং আজকে যে আমরা ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করছি, এটাও আমাদের দলীয় কর্মসূচির অংশ। 

৫ শত অসহায় নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণকালে শাড়ি লুঙ্গি  পেয়ে গরিব-দুঃখীদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। এ সময় অসহায়রা বলেন  প্রতিবছরই ঈদ এলে বিএনপি নেতা এম কফিল উদ্দিন আহমেদ ঈদ উপহার শাড়ি লুঙ্গি দেন, এতে আমরা খুব খুশি। 

এ সময় এম কফিলউদ্দিন বলেন, মানুষ আজ খুব অসহায় দিন যাপন করছেন। নিদারুণ কষ্টে চলছে তাদের জীবন।  তাদের জন্য কিছু করতে পারায় সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতেও অসহায়দের পাশে থাকার চেষ্টা করব।

ঈদ সামগ্রী বিতরণকালে মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আকতার হোসেন ও সদস্য দফতরের দায়িত্বে এবিএমএ রাজ্জাক সহ স্থানীয় বিএনপির  নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

আরও খবর



ব্যাংক-বীমা-অফিস-আদালত খুলছে আজ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ সোমবার (১৫ এপ্রিল) পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে টানা ছুটি শেষে সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খুলছে ।

গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দেশে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হয়। ঈদ উপলক্ষে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল (বুধবার, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার) সরকারি ছুটি ছিল। ঈদের পর ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ও ১৪ এপ্রিল রোববার পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাংলা নববর্ষের ছুটি। ফলে ১০ তারিখ থেকে ১৪ তারিখ পর্যন্ত ছুটি কাটাচ্ছেন চাকরিজীবীরা।

সোমবার (১৫ এপ্রিল) অফিস পাড়ায় যোগ দেবেন সরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক-বিমাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্মজীবীরা।

এ বছর সংবাদপত্রে ছুটি ছিল ছয় দিন। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) ৯ থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করে। এ কারণে ১০ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে কোনো সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়নি। তবে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় অনলাইন গণমাধ্যম ও টেলিভিশনগুলো খোলা ছিল।

এ ছাড়া স্কুল-কলেজ খুলবে আগামী সপ্তাহে।


আরও খবর



রেলওয়ের জমি,কোয়ার্টার ওপানির পাম্প দখল অব্যাহত,রেলকর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৪৬জন দেখেছেন

Image

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:সৈয়দপুরে রেলওয়ের জমি, কোয়ার্টার ও পনির পাম্প রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তার ঘুষ বাণিজ্যের কারণে রেলওয়ের কোয়ার্টার ও ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে পানির পাম্প ও দখল করে সেখানে স্হাপনা নির্মাণ অব্যাহত রয়েছে।  এই দপ্তরের উপসহকারী প্রকৌশলী রেলওয়ে জমিতে স্থাপনাকারীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকেন বলে দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েও মিলছে না কোনো প্রতিকার। এতে সৈয়দপুর রেলবিভাগ হারাচ্ছে পুরোনো দিনের ঐতিহ্য। যার ফলে প্রায় প্রকাশ্যেই চলছে কোয়ার্টারসহ কোয়ার্টার ভেঙে ঘরবাড়ি নির্মাণ,ভবনসংলগ্ন জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ ও পানির পাম্প দখল। গত ৫০ বছরে সৈয়দপুর রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে প্রায় সারে ৪ শত একর সম্পত্তি ও ১২৩৮কোয়ার্টার।

পার্বতীপুর ৭ নং রেলওয়ের কাছারি ফিল্ড কানুনগো সাজ্জাদ হোসেন দখলের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তৎকালীন রেল কর্তৃপক্ষ এ শহরে রেলকে ঢেলে সাজাতে প্রায় ৮৫০ একর ভূসম্পত্তি অ্যাকুয়ার করে নেন। ১৮৭০ সাল থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রেলওয়ের এসব অ্যাকুয়ারকৃত জমি সুরক্ষিত ছিল। এরপর থেকে শুরু হয় রেলওয়ের জমি দখল বিক্রয়। যেসব জমি বিভিন্ন ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে খতিয়ান ভুক্ত বা দখল হয়েছে,সেগুলির রেকর্ড সংশোধনী মামলা ও দখলদার উচ্ছেদের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। 

রেলওয়ে কারিগরি পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুর রহমান জানান,  সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কজন কর্মকর্তার ঢিলামি ও সেলামী নেয়ার কারণে ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় সারে ৪ শত একর জমি ও প্রায় ১২৩৮ কোয়ার্টার বেদখলে চলে যায়। দখলবাজরা ওই কজন রেল কর্মকর্তা রেলের জমি দখল বিক্রয় কারিদের সেলামি নিয়ে লাখ লাখ টাকার মালিক হলেও রেল বিভাগ দখল হারিয়েছে ৪২৭ একর সম্পত্তি ।

শহরের মুন্সিপাড়ার ইসলামিয়া স্কুল সংলগ্ন তন্ময় নামের এক ব্যাক্তি বলেন,ওই এলাকার ফটিক নামের এক ব্যক্তি রেলওয়ের কোয়ার্টার ভেঙে ও পতিত জমিতে একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করেছেন এবং তার ছত্র ছায়ায় আশপাশ এলাকায় প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা নির্মাণ হয়েছে। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়েও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার পকেট ভারী হওয়ায় প্রতিকার বা লাভবান হয়নি অভিযোগকারীসহ রেল বিভাগ। 

জানতে চাইলে ফটিক নামের ব্যাক্তিটি বলেন,মুন্সিপাড়ার কেউই কোয়ার্টার ভেংগে ঘরবাড়ি বানাতে রেলওয়ের লাইসেন্স বা অনুমতি নেয়নি। সবাই যেভাবে ঘরবাড়ি বানাচ্ছেন,আমিও সেভাবেই নির্মান করছি।

 এ ছাড়া শহরের রেললাইনের দুপাশ, ড্র্রেনসংলগ্ন এলাকা ও অফিসার্স কলোনি, রসুলপুর হাওয়াদ পাড়াও গার্ডপাড়া এলাকায় রেলওয়ের জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ কাজ চলছেই। একই সাথে বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্প দখল করে সেখানে নির্মান হচ্ছে পাকা দোকানপাট। 

স্থানীয়রা বলেন , সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের আঙুল ফুলে কলাগাছ হলেও রেল বিভাগ যেমন লোকসান ভুগছেন তেমনি অভিযোগকারীরা দখলদারদের হাতে লাঞ্ছিত হচ্ছেন। তারা বলেন, বাস্তুহারার নামে সৈয়দপুরের কোটি কোটি টাকার মালিকরাও রেলের জমি দখল করে বহুতল ভবন ও মার্কেট নির্মাণ করেছেন। বাস্তুহারাদের বাদ দিয়ে রেলওয়ের ঐতিহ্য রক্ষায় দখল হওয়া সব জমি উদ্ধার করে অপ্রয়োজনীয় সব জমি বিক্রি করা হলে সে টাকা দিয়ে পদ্মা সেতুর মতো সেতু নির্মাণের অর্ধেক অর্থ জোগান দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তারা।

শহরের মিস্ত্রি পাড়া মোড়ের বাবু নামের এক ব্যাক্তি বলেন, সেখানকার পানির পাম্প সংলগ্ন কিছু জমি বরাদ্দের জন্য শহীদ সন্তান শেখ জামিল ও নিয়াজ আহমেদ বাবলু পাকশি রেলবিভাগে আবেদন করেন। কিন্ত সেখানে পানির পাম্প বরাদ্দ দেয়া হয় না বলে জানানো হয়। এর পরপরই ঈদের আগে রমজান মাসে সরকারি বেসরকারি সব অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। ছুটি শেষে অফিস খোলার আগেই বাবলু নামের ওই যুবদল নেতা বানিজ্যিক বরাদ্দের কাগজ দেখিয়ে পানির পাম্পটি দখল নিয়ে স্হাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে দেন। তিনি আরো বলেন,শেখ জামিল হলেন শহীদ সন্তান। কিন্তু এরপরেও তাঁকে বরাদ্দ না দেয়ায় অভিযোগ দেয়া হয় স্হানীয় উপসহকারী প্রকৌশলীর দপ্তরে। কিন্তু ওই দপ্তরের উপসহকারী আবাসিক প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম  ঘটনাস্থল প্রদর্শন করার পরও কার্যকর কোন পদক্ষেপই নেননি। একজন যুবদল নেতা কিভাবে রেলওয়ের পানির পাম্প ও জমি বরাদ্দ পায়, এবং তার বিরুদ্ধে কিসের স্বার্থে ব্যবস্হা নেয়া হচ্ছে না সেটি ভাবার বিষয়। বিষয় টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নেয়ার জোড় দাবী জানান তিনি। 

বিষয়টি নিয়ে সৈয়দপুর রেলওেয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী সরিফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল যাই, সেখানে নিয়াজ আহমেদ প্রথমে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে রাজস্ব প্রদানের কাগজ দেখান, এটাকেই তিনি লাইসেন্স মনে করেন। পরে তার বরাদ্দের কাগজ চাইলে  স্হাপনা নির্মাণের একটি বানিজ্যিক লাইসেন্স প্রদর্শন করেন। তিনি আরো বলেন, যেহেতু জায়গাটি রেলওেয়ের এবং সেখানে পানির পাম্প বিদ্যমান,সেহেতু যদি লাইসেন্স দেয়া হয়, তাহলে সেটি বাতিল করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ষ্টেট বিভাগ পাকশির বিভাগীয় প্রধানের কাছে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত লাইসেন্স বাতিল করে পাম্প টি রেলওয়ের নিজ দখলে নিতে পারবো না, ততক্ষণ পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।  একই সাথে বেদখল হয়ে যাওয়া ভুসম্পত্তি দখলে নেয়ার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। 


আরও খবর



ফুলবাড়ীর আঁখিরা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৯০জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আঁখিরা গণহত্যার বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ। বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরীর নেতৃত্বে বীর মুক্তিযোদ্ধসহ সুধিজন আলাদীপুর ইউপির আঁখিরা বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।

পরে বধ্যভূমির স্মৃতিস্তম্ভ চত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. এছার উদ্দিনের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অম্বরিশ রায় চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মের হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তোজাম্মেল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শচিন্দ্র নাথ দাস, আলাদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাকির বাবলু, ইউপি সদস্য মো. আব্দুর রাজ্জাক, ইউপি সদস্য মো.ইদ্রিস আলী, ইউপি সদস্য অর্পণ রায়, ফুলবাড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার সাদাত মন্ডল,সাংগঠনিক সম্পাদক প্লাবন শুভ প্রমুখ। এসময় অন্যন্যা মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।শেষে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর