Logo
আজঃ মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
শিরোনাম

বগুড়ায় নৌকা ও ঈগল মার্কার সমর্থকদের মারামারি মামলায় ৬ জন গ্রেফতার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০২ জানুয়ারী 2০২4 | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image
আব্দুল লতিফ - বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি:গত ৩১ ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ১২ টায়   বগুড়া- ১ ( সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি) আসনে  জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঈগল পাখি মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থী এসএম মোস্তাফিজুর রহমান শ্যামল এর রেজওয়ানুল হক রেজভী নামের একজন সমর্থক নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে সোনাতলা উপজেলাধীন ভেলুরপাড়া চারমাথা মোড়ে পৌঁছলে নৌকা মার্কার প্রার্থী সাহাদারা মান্নান এর সমর্থকগণ বেআইনী জনতাবদ্ধ ও দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভিকটিমের পথরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথারি মারপিট করে গুরুতর আহত করে। ভিকটিমকে প্রাথমিকভাবে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মামলা নং-০১, তারিখ-০১/০১/২০২৪ খ্রি. ধারা-১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০ রুজু হয়। ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরবর্তীতে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়েছে মর্মে জানা যায়। ঘটনাটি সারা দেশে চাঞ্চল্যের আলোড়ন তৈরি করে। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করতে র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ক্যাম্প গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ ২ জানুয়ারি সকাল .১০ টায়  র‌্যাব সদর দপ্তর ইন্ট উইং এর সহযোগিতায় র‌্যাব-১২, সিপিএসসি, বগুড়া ও সদর কোম্পানী, সিরাজগঞ্জ এর যৌথ অভিযানে সিরাজগঞ্জ জেলার সায়দাবাদ এলাকা হতে সূত্রে বর্ণিত মামলার এজাহারনামীয় আসামী মোঃ মিনহাদুজ্জামান লিটন (৫৩), পিতা- মৃত একেএম শাহাদৎ জামান, মোঃ লিমন (৩২), পিতা- মৃত আব্দুল লতিফ প্রাং, মোঃ রায়হান (২৮), পিতা- মোঃ আব্দুল্লাহিল বাকী ওরফে দুলু, মোঃ রানা (২৬), পিতা- অজ্ঞাত, মোঃ রাজন (৩৫), পিতা- মোঃ পিয়ালা মন্ডল, নিপুন (২৮), পিতা- মোঃ ফিরোজ কেরানী, সবাই সোনাতলা থানার  বাসিন্দা । গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সোনাতলা থানায় সোপর্দ করা হয় । পরে বগুড়া কোটহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা গেছে

আরও খবর



ছাত‌কে অনু‌মো‌দিত ছাড়াই ১৩‌টি গাছ কর্তন,শি‌ক্ষিকা হ‌য়ে আইন মানচ্ছেন না!

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪ | ৮০জন দেখেছেন

Image

র‌নি,ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:দেশব্যাপী খরতাপ, পরিবেশের রুক্ষতা নিয়ে হৈ—চৈ’এর মধ্যেই সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপ‌জেলার দ‌ক্ষিন খুরমা ইউপির ম‌নিঞ্জা‌তি সরকা‌রি প্রাথমিক বিদ‌্যাল‌য়ের প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ও পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃপ‌ক্ষের অনু‌মো‌দিত ছাড়াই নিয়ম নীতিকে বৃদ্ধাআঙ্গুল দে‌খি‌য়ে ১৩টি ছায়াবৃক্ষের গাছ কর্তন ক‌রে প্রায় ২ লাখ টাকার বি‌নিময় বি‌ত্রিু করেছেন। এ ঘটনায় ‌জেলাজু‌ড়েই ব‌্যাপক তোলপাড় সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এলাকার ক্ষুব্ধ পরিবেশপ্রেমিরা এই অবিচার সাইতে না পেরে বিচারের জন্য বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের কাছে ধরণা দিচ্ছেন তারা। গত ১ মে  সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রাথ‌মিক শিক্ষা কর্মকতার বরাব‌রে গ্রামবাসী লিখিত এক‌টি অ‌ভি‌যোগ দা‌য়ের ক‌রা হ‌য়ে‌ছে।

গ্রামবাসীর অ‌ভি‌যো‌গে বলা হয়, প্রায় তিন যুগ ধ‌রে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্কুলের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর যত্নে কিছু ছায়াবৃক্ষ বড় হয় । বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এই বৃক্ষের ছায়ায় পাঠ নিচ্ছে বহুদিন ধরে।

গত ৩ মাচ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, পরিচালনা কমিটির দুই সদস্যের সহায়তায় কতৃর্পক্ষ বা গ্রামের সঙ্গে কথা না বলেই এ বৃক্ষ গু‌লো কেটে বিক্রয় করেছেন। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা বলে গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে এসব তথ‌্য নি‌শ্চিত ক‌রেন ।

গ্রামের শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল আলী জানান, গাছগুলো কাটায় আমরা মর্মাহত হয়েছি। গাছগুলো আমার হাতে লাগানো, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ গাছ কর্তন করে না। কিন্তু আমাদের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এমন মর্মান্তিক কাজ ক‌রে‌ছে প্রধান শি‌ক্ষিকা পূরবী চৌধুরী ।

গ্রামের প্রাক্তন মেম্বার মফজ্জুল ইসলাম ও আব্দুর রশিদ জানান, বৃক্ষ কর্তনে কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি। আমরা জেনেছি বন বিভাগের অনুমতি, মতামত কিংবা তাদেরকে দিয়ে মূল্য নির্ধারণ করাও হয়নি।এই অনিয়মের বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্থানে ধরণা দিলেও কেউ আমাদের ফরিয়াদ আমলে নিচ্ছেন না কেউ—ই।

এব‌্যাপা‌রে প্রধান শিক্ষিকা পূরবী চৌধুরী জানান, উপ‌জেলার নিবাহী কর্মকতার অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির মাধ‌্যমে এই গাছগু‌লো কর্তন করা হয়ে‌ছে । 

এব‌্যাপাার ইউপি সদস‌্য সুমন মিয়া জানান,ইউএনও অনু‌মো‌দিত নি‌য়ে বিদ‌্যাল‌য়ের নানা জা‌তের গাছ গু‌লো কে‌টে‌ছেন শি‌ক্ষিকা।

এব‌্যাপারে ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গোলাম মুস্তাফা মুন্না জানান,ছাতকে বন বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পর বিট কর্মকর্তা সরেজমিনে গিয়ে মতামত ও মূল্য নির্ধারণ করে জেলা কমিটিতে পাঠিয়েছেন। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

এব‌্যাপারে জেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাদ উদ্দিন আহমদের কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ছাতক বন বিট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানালেন, তিনি বা ছাতক বন বিটের কর্মকর্তা এই বিষয়ে কিছুই জানেন না। তারা মতামতও দেয়নি। মূল্যও নির্ধারণ করেননি। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহন লাল দাস জানান,,অভিযোগ আমিও পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এব‌্যাপা‌রে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, এই বিষয়টি নিয়ে তিনি ছাতকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলবেন।


আরও খবর



ভারতের পররাষ্ট্রসচিব ঢাকায়

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা ঢাকায় এসেছেন। বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় এক বিশেষ ফ্লাইটে তিনি বিমানবন্দরে অবতরণ করেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক্স হ্যান্ডেলে (টুইটার) দেওয়া এক বার্তায় বলা হয়, সংক্ষিপ্ত সফরে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব একটি বিশেষ ফ্লাইটে আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় ঢাকা আসেন। আগামীকাল তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দেখা করবেন। এছাড়া বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে বার্তায় আশা প্রকাশ করা হয়েছে।

এর আগে গত ২০ এপ্রিল ঢাকায় আসার কথা ছিল ভার‌তের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রার। ত‌বে হঠাৎ কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থ‌গিত করেছে নয়াদি‌ল্লি।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পৌঁছে দিতে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা সফর করেন। ওই সময় তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন।


আরও খবর



শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪ | জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ (শুক্রবার)। ১৭ মে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন জীবন শেষে শেখ হাসিনা বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বিপথগামী একদল সেনা কর্মকর্তা নির্মম বুলেটের আঘাতে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এসময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতকগোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অন্ধকার। ঠিক তেমনি এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতে যেন নেতৃত্ব না যায়, সেজন্য নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সামরিক শাসকগোষ্ঠী।

পরে ১৯৮১ সালের ১৭ মে বিকেল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে শেখ হাসিনা ভারতের রাজধানী দিল্লী থেকে কোলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা শহর মিছিল আর স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শেরেবাংলা নগর পরিণত হয় জনসমুদ্রে।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’, ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’, ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছায় স্বাগতম’ ইত্যাদি স্লোগান।

দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার বিচার, স্বৈরতন্ত্রের চির অবসান ঘটিয়ে জনগণের হারানো গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা, সার্বভৌম সংসদীয় পদ্ধতির শাসন ও সরকার প্রতিষ্ঠার শপথ নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা।

১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার আনন্দ অশ্রুতে অবগাহন করে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেলসহ সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তা বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ ১৭ মে সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের শুভেচ্ছা বিনিময়, বিকেল সাড়ে ৩টায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য রাখবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

এছাড়া সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান বিশেষ প্রার্থনাসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে বিআরটিসি বাস বন্ধের ষড়যন্ত্র

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মুশফিকুর রহমানঃভূলতা (গাউছিয়া)-কুড়িল বিশ্ব রোডে বিআরটিসি বাস সার্ভিস চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে একটি মহল। রূপগঞ্জ ইউনিয়নের এক প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় স্থানীয় সিএনজি চালক ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে বিআরটিসি'র যাত্রীবাহী গাড়ির চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের উপড় চড়াও হয়ে প্রতিনিয়ত লাঠি সোটা নিয়ে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করছে বলেও জানা গেছে। এই বিষয়ে বিআরটিসি বাসের চালক ভুক্তভোগী খাইরুল মিয়া বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় মারধর ও প্রাননাশের অভিযোগ দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৭ সালে ভুলতা (গাউছিয়া) -কুড়িল বিশ্বরোড এই রুটে কিছু সংখ্যক বিআরটিসি বাস চালু করা হয়।সময় মতো সেবা ও কম খরচে যাত্রী পরিবহন করায় এ অঞ্চলের মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে বিআরটিসি বাস সার্ভিস। পক্ষান্তরে স্থানীয় ফিটনেস বিহীন প্রাইভেট ও বৈধ কাগজপত্র বিহীন সিএনজি গাড়ির যাত্রী কমে যায়। এই কারণে সেই সকল চালকরা অসন্তুষ্ট হয়ে যায়। শুরু থেকেই তারা বিআরটিসি চালক, হেলপার ও কর্মচারীদের প্রতি বৈরি মনোভাব পোষণ করে। তারা বিআরটিসি বাস বন্ধের জন্য উঠে পড়ে লেগে যায়। রুপগঞ্জের এক প্রভাবশালী ব্যাক্তির ইন্ধনে  ওই সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ির চালকগনকে ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে প্রায় সময়েই সরকার নিয়ন্ত্রিত পরিবহন বিআরটিসি বাসের চালক হেলপার কর্মচারীদের মারধর করে এবং গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন চালককে মার ধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রভাবশালী ব্যাক্তির ছত্রছায়ায় এই সন্ত্রাসী  বাহিনী এতটাই ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে যে বর্তমানে কোন চালক ওই রুটে বিআরটিসি'র বাস চালাতে চায় না। বিআরটিসি বাসের ভাড়া কম এবং সার্ভিস ভালো থাকায় যাত্রী সাধারণ এই গাড়িতে চড়তেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। অন্যদিকে ফিটনেসবিহীন প্রাইভেট কার অবৈধ সিএনজি দ্বিগুণ তিন গুণ ভাড়া নিয়ে যাত্রী বহন করে। আবার এই সকল পরিবহন গুলো নিরাপদ নয়। ফিটনেস বিহীন যানবাহনে প্রায় ঘটে নানা দুর্ঘটনা, রয়েছে জীবনের ঝুঁকি। স্বাভাবিক কারণেই যাত্রী সাধারণ ঐসব গাড়িকে এড়িয়ে চলে। এই কারণে ষড়যন্ত্রকারীরা বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ দীপক চন্দ্র সাহা জানান, "বিআরটিসি বাস চালককে মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"

উল্লেখ থাকে যে, ভুলতা গাউছিয়া, রূপগঞ্জ, কাঞ্চন এলাকার হাজার হাজার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করে। তারা কম খরচে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। এছাড়াও যাত্রী সাধারণ নিরাপদে বিআরটিসি বাসে চলাচল করতে পারে। তাই এই রুটে বিআরটিসি গাড়ি বন্ধ হয়ে গেলে যাত্রী সাধারণের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করবে।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দরে আন্তর্জাতিক মে দিবস পালিত

প্রকাশিত:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৭৪জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলোচনা সভা,র‌্যালী ও পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আন্তার্জাতিক মে দিবস পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টায় হিলি চারমাথা মোড়ে স্থলবন্দর শ্রমিক সংগঠন কার্যালয়ে জাতীয় ও মে দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে একটি র‌্যালি বের হয়ে বন্দরের প্রধান প্রধান সড়কগুলি প্রদক্ষিণ করে।

এরপর সেখানে মে দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী মিঠু এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন,হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ হারুন।

এতে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন,বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শাহেদ মল্লিক বাবু,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াত আলী,মে দিবস উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক

মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ স্থলবন্দর কুলি শ্রমিক,ইমারত নির্মাণ শ্রমিক,ট্রাক ট্যাংকলরী শ্রমিক,হিলি-বগুড়া-দিনাজপুর বাস মালিক সমিতি,স্থলবন্দর ট্রাক ড্রাইভার সমিতি, ইজিবাইক, অটোরিকশা,ভ্যান চালকসহ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহণ করেন মে দিবসে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,আগামীতে হিলি স্থলবন্দর এলাকার যে কোন সংগঠনের শ্রমিকদের সকল প্রকার সমস্যার দ্রুত সমাধান করার দেন। সেই সাথে সকল শ্রমিক সংগঠন মিলে একটি সংগঠন তৈরির আহবান জানানও তিনি।


আরও খবর