Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করলো ‘হুয়াওয়ে ই-কিট’

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৩ নভেম্বর 20২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ২৬৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :ঢাকা, ২৩ নভেম্বর, ২০২৩: তথ্য ও ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) পণ্য বিতরণকে আরও সহজ করতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের বাজারে যাত্রা শুরু করলো হলো ‘হুয়াওয়ে ই-কিট’। এটি হুয়াওয়ের একটি সাব-ব্র্যান্ড, যা আইসিটি পণ্যের ক্ষেত্রে একটি সহজ সাপ্লাই চেইন ও ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম প্রদান করে। এ উপলক্ষে সম্প্রতি (২০ নভেম্বর, ২০২৩) এ হুয়াওয়ে বাংলাদেশ একাডেমিতে একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ ডিস্ট্রিবিউশন প্রক্রিয়ায় হুয়াওয়ে ই-কিটের সঙ্গে কাজ করবে এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড ও ইনফ্লো টেকনোলজিস সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড। এক্সেল ও ইনফ্লো- এর সঙ্গে যৌথভাবে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হুয়াওয়ে ই-কিট। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইনফ্লো টেকনোলজিস সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড এর সাউথ এশিয়া চ্যানেল্ধসঢ়;‌স ম্যানেজমেন্ট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশল্যা নারায়ণ; এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা এবং হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলেন লিউ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে, এক্সেল ও ইনফ্লো এর অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মূলত এসএমই গ্রাহক ও সহযোগীদের জন্যই হুয়াওয়ে ই-কিট সাব-ব্র্যান্ডটি কাজ করবে। এন্ড- টু-এন্ড এন্টারপ্রাইজ ডিজিটাল সল্যুশন্স তৈরি করতে এতে নীতিমালা, পণ্য, সল্যুশন্স, সেবা ও ডিজিটাল টুল প্ল্যাটফর্ম এর সমন্বয় করা হয়েছে। এসএমই বাজারে উন্নয়নের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে ই-কিট সহযোগীদের সঙ্গে একত্রে কাজ করবে এবং হাজারো প্রতিষ্ঠানকে ডিজিটাল হতে সহায়তা করবে।

ইনফ্লো টেকনোলজিস সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড এর সাউথ এশিয়া চ্যানেল্ধসঢ়;‌স ম্যানেজমেন্ট এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশল্যা নারায়ণ বলেন, “হুয়াওয়ে ই-কিট চালুর অনেক কৌশলগত গুরুত্ব রয়েছে। কেননা এটি ডিস্ট্রিবিউটর বা বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ও রিটেইলার বা খুচরা ব্যবসায়ীদের ক্ষমতায়ন করবে। হুয়াওয়ে ই-কিটকে সঙ্গে নিয়ে, আমরা সহযোগিতামূলক প্রবৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি। হুয়াওয়ে ই-কিটের মাধ্যমে এ অঞ্চলে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন ও ব্যবসায়িক সাফল্য অর্জনে বদ্ধপরিকর ইনফ্লো টেকনোলজিস।” এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক গৌতম সাহা বলেন, “হুয়াওয়ে ই- কিটের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। অত্যাধুনিক আইসিটি সল্যুশন্স প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে এই সাব-ব্র্যান্ড -এর সাথে আমরা একত্রে কাজ করব। এটি আমাদের দেশের টেকনোলজি ডিস্ট্রিবিউশন বা প্রযুক্তি বিতরণের প্রচলিত ধারাকে বদলে দেবে। বাংলাদেশের বাজারে হুয়াওয়ে ই-কিট এর যাত্রা শুরু মাধ্যমে আমাদের জন্য এক অনন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।”

হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হুয়াওয়ে সাউথ এশিয়া এন্টারপ্রাইজ বিজনেস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এলেন লিউ বলেন, “হুয়াওয়ে ‘হুয়াওয়ে ই-কিট’ নামে একটি সাব-ব্র্যান্ড চালু করেছে। এটি খুচরা বাজারে আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন পার্টনারদের মাধ্যমে উদ্ভাবনী আইসিটি পণ্যগুলোকে নিয়ে আসবে। খুচরা ব্যবসায়ের প্রবৃদ্ধি নিশ্চিতে ব্যবসায়ীদের জন্য এ সাব-ব্র্যান্ড ওনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। যেহেতু হুয়াওয়ে ই-কিট পণ্যগুলো আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের তালিকায় সহজলভ্য থাকবে, তাই পার্টনার ও গ্রাহকরা এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে এ সাব- ব্র্যান্ড।”

হুয়াওয়ে ই-কিট ডিস্ট্রিবিউশনের পুরো প্রক্রিয়ায়, পণ্য প্রচার, বাজারের সহজলভ্যতা ও বিক্রয়- পরবর্তী সেবা নিয়ে কাজ করবে এক্সেল টেকনোলজিস লিমিটেড। একইসঙ্গে, বাংলাদেশে এসব পণ্য নিয়ে আসা, স্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অর্ডার নেওয়া এবং হুয়াওয়ে ই-কিটের কাছ থেকে এসব পণ্য সংগ্রহের কাজ করবে ইনফ্লো টেকনোলজিস সিঙ্গাপুর পিটিই লিমিটেড।


আরও খবর



মোরেলগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মারামারিতে ১ জনের মৃত্যু,আহত ৭

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image
শেফালী আক্তার রাখি,মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:মোরেলগঞ্জে প্রতিপক্ষের মারপিটে এক কৃষক নিহত ও অপর ৭ জন আহত হয়েছেন। নিহত ব্যাক্তির নাম নাম আব্দুল হাকিম জোমাদ্দার(৬২)। সে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের গুয়াতলা গ্রামের আইয়ুব আলী জোমাদ্দারের ছেলে। শুক্রবার বেলা ৮ টার দিকে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। অপর আহতরা হচ্ছেন, হারুণ জোমাদ্দার(৫০), লতিফ জোমাদ্দার(৫৫), রশিদ জোমাদ্দার(৪২), আলম হাওলাদার (৭০), লিটন হাওলাদার(৪৫), জামিলা বেগম(৫০) ও মেহেদী হাসান(৩৫)।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষের আকস্মিক হামলায় হাকিম জোমাদ্দার নিহত হন বলে তার ছোট ভাই মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার জানিয়েছেন। 

মতিয়ার রহমান জোমাদ্দার বলেন, বেলা ৭ টার দিকে প্রতিবেশি শহিদুল হাওলাদার ১০-১২ জন লোক নিয়ে তার ভাই হাকিম জোমাদ্দারের ওপর প্রথম দফায় হামলা করে। 

আহত অবস্থায় হাকিম জোমাদ্দার চিকিৎসার জন্য রওয়ানা হলে পথিমধ্যে তাকে আটক করে পিটিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার ফাত্তাহ্ তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এ বিষয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন ঘটনাস্থল থেকে বলেন, মারপিটে একজন নিহত ও কয়েকজন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। নিহত হাকিম জোমাদ্দারের ঘাতকদের আটকের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।

আরও খবর



কুড়িগ্রামের রৌমারী প্রানী সম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে ভেড়া বিতরন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃপ্রানী সম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় রৌমারী উপজেলার চরাঞ্চলের দরিদ্র অসহায় ৩৪জন পরিবারকে ৩টি করে ভেড়া বিতরন করা হয়। সরকারের দেয়া বিনামূল্যে তিনটি করে ভেড়া পেয়ে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রান ভোরে দোয়া করেন দরিদ্র পরিবার গুলো। একটি অসচ্ছল পরিবাকে সচ্ছলের পথে দ্বার করাতে এসব প্রকল্প হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। ৩৪টি পরিবারের মাঝে ৩ টি করে ভেড়া বিতরনকালে বক্তারা বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ভেড়া বিতরনে সভাপত্বিত করেন প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান হাবিব এর সভাপত্বিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন রৌমারী উপজেলা মৎস কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সাদাত,বাংলা টিভি রৌমারী প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলামসহ আরও অনেকে।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে শিশু ধর্ষণ হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image
রাকিব সিরাজগঞ্জ থেকে:সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে শিশু সুবর্নাকে (৮) দল বেঁধে ধর্ষণ ও হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে সিরাজগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।সোমবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ পিবিআই কার্যালয়ে এতথ্য জানান পিবিআই পুলিশ সুপার রেজাউল করিম।

ধর্ষণের ঘটনা সবাইকে বলে দেয়া কথা বললে শিশু সুবর্নাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় বলে জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামী  ছাব্বির হোসেন (২০) ও শাকিল খান (২১) এতথ্য জানিয়েছে। এর মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিও দিয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, ২০১৭ সালে চৌহালী উপজেলার দত্তকান্দি হাই স্কুল মাঠে  মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে যায় শিশু সুবর্ণা। সেখানে দত্তকান্দি গ্রামের  রশিদ মেম্বারের ছেলে  মিলন পাশা সহ অন্যান্য আসামিরা ছাব্বির হোসেনের সঙ্গে শিশু সুবর্ণাকে খেলতে দেখে। তখন আসামিরা শিশু সুবর্ণাকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করে।  শিশুকে ধর্ষণের জন্য ছাব্বির হোসেন কে ৭ হাজার টাকা প্রস্তাাব দেয়। প্রস্তাবে রাজি হয়ে সাব্বির হোসেন শিশু সুবর্ণাকে নিয়ে মধ্য শিমুলিয়া চরে ফসলের মাঠে নিয়ে যায়। সেখানে একে একে ৮ জন ধর্ষন করে শিশুটিকে। এসময় শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বার বার বলতে থাকে সবাইকে ঘটনার কথা বলে দিবো।

তখন আসামীরা চিন্তা করে শিশুটি যদি ঘটনার কথা সবাইকে বলে দেয় তাহলে বিপাকে পড়তে হবে। তাই ধর্ষনকারীরা শিশুটিকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। শিশুটির পড়নের ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রেখে চলে যায়। এঘটনায় শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামী করে মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়ে পিবিআইকে।

পিবিআই ভিকটিম সুবর্ণার সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখতে পায় শিশু সুবর্ণা কে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।  এছাড়া তার যৌনাঙ্গ হতে কালো রক্ত বের হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষায় শিশু সুবর্ণার পড়নের পোশাকে বীর্যের উপস্থিতি পাওয়া যায়।

পিবিআই তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল শিশু সুবর্ণার ফুপাতো ভাই ছাব্বির হোসেন (২০) কে ঢাকার শ্যামলী থেকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।  পরে তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার  দত্তকান্দি থেকে  শাকিব খান (২১) নামে এক যুবক কে গ্রেফতার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।

আরও খবর



বিরামপুর সীমান্তে তিন কোটি টাকার সাপের বিষ উদ্ধার

প্রকাশিত:শুক্রবার ১০ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ৮৮জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা হতে অবৈধ পথে ভারতে সাপের বিষ পাচারের সময় দুই কেজি ৪৭১ গ্রাম সাপের বিষ উদ্ধার করেছে ২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ জয়পুরহাট ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি) অধীনস্থ ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা। যার আনুষ্ঠানিক মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা

শুক্রবার (১০ মে) রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বিরামপুর সীমান্তের ঘাসুরিয়া সীমান্তে ভারতে পাচারকালে মালিকবিহীন অবস্থায় সাপের বিষগুলো উদ্ধার  করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ব্যাটালিয়ন ( বিজিবি)  অধিনায়ক লে. কর্নেল নাহিদ নেওয়াজ।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি, বিরামপুর উপজেলার ঘাসুরিয়া এলাকা দিয়ে কিছু সাপের বিষ  ভারতে পাচার হচ্ছে।  এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে উপ-অধিনায়ক মেজর আফিক হাসানের নেতৃত্বে ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের  বিজিবি সদস্যেদের সমম্বয়ে বিরামপুর সীমান্তের ২৮৯/৪২ পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে উচা গোবিন্দপুর নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।  এসময় মালিকবিহীন ২টি কাচের জার উদ্ধার করা হয়। যার ভিতরে রক্ষিত অবস্থায় সাদা রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ২০৩ গ্রাম এবং কালো রংয়ের সাপের বিষ ১ কেজি ৪৭১ গ্রাম উদ্ধার রয়েছে। সর্ব মোট ২ কেজি ৪৭১ গাম সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯৬ লাখ ৫২ হাজার টাকা। এবিষয়ে বিরামপুর থানায় মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বেও ১০ এপ্রিল/২৪ইং বুধবার বিরামপুর উপজেলার ঘাসুড়িয়া  সীমান্ত পিলার ২৮৯/১-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড়, ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করা  হয়েছিল।উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য ছিল এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। চোরাচালান প্রতিরোধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবি'র এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর



নবীনগরে সন্তান রেখে প্রবাসীর স্ত্রী লাপাত্তা, থানায় জিডি

প্রকাশিত:শনিবার ১১ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৬৫জন দেখেছেন

Image

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর সদরের হযরত ওয়ালী শাহ মাজার সংলগ্ন ভাড়া বাসা থেকে ১ সন্তানের জননী রুনা আক্তার (৩৫) ভাড়া বাসার মালামাল, স্বর্ণের গয়না ও নগদ টাকা নিয়ে লাপাত্তা। প্রবাসী মো. মোয়াজ মিয়ার বড় বোন আকতারা বেগম বাদী হয়ে এ বিষয়ে নবীনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মো. মোয়াজ মিয়া প্রবাসে থাকেন সাত বছর হলো। গ্রামের বাড়ি উপজেলার রুসুল্লাবাদ ইউপির কালগড়ায়। মো. মোয়াজ মিয়ার মা-ভাই-বোনদের সাথে রুনা বেগমের বনাবনি না হওয়ায় নবীনগর সদরে ভাড়া বাসায় তার স্ত্রী রুনাকে রেখে প্রবাসে চলে যান তিনি। মো. নিরব নামে তার ১২ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। 

জিডি সূত্রে জানা যায়, রুনা বেগম তার গ্রামের বাড়ি পুরান শ্রীরামপুরের প্রতিবেশী ফরহাদ মিয়ার সাথে ঘরের মামলা নিয়ে পালিয়ে গেছে রবিবার (০৫-০৪-২৪) সন্ধ্যায়। 

মো. নিরব জানান, আম্মা কার লগে যানি হারাকন কতা কইতো! আব্বার কল ধরত না। পরে মেসেজে দেহি ফরহাদ নামের একজনের লগে মেসেজ দিতো। আমারে ফালাই দিয়া কই জানি গেছে গা। 

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক বাড়িওয়ালা বলেন, কয়েক দিন আগে এসে বলতেছে রুনা নাকি কালগড়া চলে যাবে। তার স্বামী বাড়িতে আসতেছে। সেজন্য তারা বাসা ছেড়ে দেবে। পরে রবিবার দেখলাম ৫-৬ জন ছেলে এসে বাসার মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে গেছে। 

আকতারা বেগম বলেন, আমার ভাতিজা আমার কাছে আইয়া কান্দাকাডি করতাছে হের মা নাকি বাসা ছাইড়া দিয়া গেছে গা। আমি কইলাম, কই গেছে! হে ক, জানি না। পরে আমার ভাইয়েরে ফোন দিচি, বাড়িওয়ালারে ফোন দিচি, আম্মার কাছে ফোন দিচি। কোন খুঁজ নাই। পরে বুইধবার মোয়াজের লগে কতা কইয়া থানাত গিয়া জিডি করচি। 

রুনার বাবা মো. ইউনুস মিয়া বলেন, আমি সোমবারে হুনচি তাই (রুনা) কই জানি গেছে গা। এহন পর্যন্ত কোন হবর পাইচি না। 

রুনার শ্বাশুড়ি বলেন, বউয়ে (রুনা) রবিবার বাড়িওয়ালীরে কইচে কালগড়া আইবো, আর তো তার কোন হবর নাই। আগেও একবার এক পোলার লগে গেছে গা। অহন হুনছি, বউয়ের বাড়ির লগের এক পোলার লগে গেছে গা।

  -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর