Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাংলাদেশে মেসিদের সফরের বিষয়ে আর্জেন্টাইনরা কিছু জানে না!

প্রকাশিত:বুধবার ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ | ২৭৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনা দলের আগামী জুনে বাংলাদেশ সফর নিয়ে গতকাল বাফুফের মন্তব্যের পর আলোড়ন তৈরি হয়। আজ বুধবার এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। তবে অনিবার্য কারণবশত সেই সংবাদ সম্মেলন স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

কিন্তু একদিন পরেই ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিতে শুরু করেছে। যেখানে আর্জেন্টিনার শীর্ষ সংবাদমাধ্যম 'টিওয়াইসি স্পোর্টস' এর সাংবাদিক গাস্তোন এদুল দাবি করেছেন, মেসিবাহিনীর বাংলাদেশ সফর নিয়ে নাকি এখন পর্যন্ত কোনো আলোচনাই হয়নি।

গাস্তোন টুইটারে তিনি লিখেছেন, 'আগামী জুনে খেলা নিয়ে আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচ লিওনেল স্কালোনির চুক্তি নবায়ন সংক্রান্ত বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) অন্য কিছু ভাবছে না।'

এদিকে বুধবার সকালে বাফুফের মিডিয়া অফিসার খালিদ মাহমুদ নওমি সাংবাদিকদের জানান, ‘অদ্য ১৮-০১-২০২৩ তারিখ বুধবার দুপুর ২:৩০ ঘটিকার বাফুফে'র পূর্বনির্ধারিত প্রেস ব্রিফিংটি অনিবার্য কারণবশতঃ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না বিধায় আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’

এর আগে গতকাল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনার চেষ্টা করছে বলে জানায় বাফুফে। ঢাকায় তারা ফিফা প্রীতি ম্যাচ খেলবে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেছেন, জুনে মেসিদের ঢাকা সফর অনেকটাই নিশ্চিত।

বিষয়টি নিয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আর্জেন্টিনার প্রস্তাবিত এই সফর চূড়ান্ত হয়ে এসেছে। এখন শুধু টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন নিয়ে আলোচনা চলছে। ওরা আমাদের জানিয়েছে যে জুনের ফিফা উইন্ডোতে আসতে চায়। টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশনে সমস্যা না হলে জুনে ওরা আসবে বলাই যায়।’

আর্জেন্টিনার এ প্রীতি ম্যাচ বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজন করতে চায় বাফুফে। তবে স্টেডিয়ামটিতে চলছে সংস্কারকাজ। জুনের আগে সংস্কারকাজ শেষ হবে কিনা, তা নিয়ে রয়েছে সংশয়।

তবে বাফুফে সভাপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামেই খেলা হবে। আমরা আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে চিঠি দিয়েছি জরুরি ভিত্তিতে সব করে দিতে। তারা রাজি হয়েছে। স্টেডিয়াম ঠিকঠাক না হলে খেলাই তো হবে না।’

এর আগে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল আর্জেন্টিনা। নাইজেরিয়ার বিপক্ষে হওয়া সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে জিতেছিল মেসিরা। তবে এবার মেসিদের প্রতিপক্ষ কারা, তা জানায়নি বাফুফে।


আরও খবর



মিরসরাইয়ে অনির্বাণ যুব ক্লাবের মেধাবৃত্তি প্রদান ও সনদপত্র বিতরণ

প্রকাশিত:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

মিরসরাই প্রতিনিধ:মিরসরাইয়ের অন্যতম সেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা অনির্বাণ যুব ক্লাবের ১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষার সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের গেড়ামারা ফরেস্ট অফিস এলাকায় অবস্থিত সংগঠনের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু ও সাধারণ সম্পাদক শামীম ওসমানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাখাওয়াত উল্যাহ রিপন, করেরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান গিয়াস উদ্দিন জসিম, সাধারণ সম্পাদক শেখ সেলিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস.এম আবুল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কামরুল হোসেন, বারইয়াহাট ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডি'র সদস্য আব্দুল আউয়াল মেম্বার, স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন উদয়ন ক্লাবের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, রেকটো প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রবিউল হক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজার (সাপ্লাই চেইন) রফিকুল ইসলাম, জেএইচএম ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের ম্যানেজার (সেলস ডিপার্টমেন্ট) শাহাদাত হোসেন সবুজ।

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, রাজিব কৃষ্ণ জীবন, আজিজুল হক, স্বেচ্ছাসেবী সমাজ উন্নয়ন সংস্থা জাগ্রত প্রতিভার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা ভূঁইয়া, উদয়ন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম শাহীন, রক্তিম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাজিদ হাসান, এসটি লায়ন্স স্পোর্টিং ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম রাফি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তিলাওয়াত করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সরোয়ার উদ্দিন, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সহসাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোজাফফর হোসেন সোহাগ এবং সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু।

১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণকারীদের মধ্য থেকে প্রতি ক্লাসে ৬ জন করে মোট ৫৪ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। আনুষ্ঠানিক ভাবে সনদপত্র, শিক্ষা সামগ্রী, সম্মাননা ক্রেস্ট ও প্রাইজমানি প্রদান করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২৭ অক্টোবর সকালে ১ম অনির্বাণ যুব ক্লাবের মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়- যেখানে ২টি ইউনিয়ন, ১ টি পৌরসভার প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কিন্ডারগার্টেন ও মাদ্রাসা'র ৩৮ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮০৫ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে এবং একই বছরের ২০ ডিসেম্বর উক্ত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয় এবং সংগঠনের উপদেষ্টা দীন মোহাম্মদ দিলু ১ম মেধাবৃত্তি পরীক্ষার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

মেধাবৃত্তি সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সংগঠনের সদস্য এবং এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



মাদক কারবারে সাবেক এমপি বদির ২ ভাইয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সিআইডি

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৯৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) থেকে জানানো হয়েছে,মাদক ব্যবসার সঙ্গে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির মিডিয়া সেন্টারে এ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

‘সিআইডির জালে মাদকের গডফাদাররা: বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া।

তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে সিআইডি ৩৫টি মামলা তদন্ত করে মাদক মামলার মূল হোতা তথা গডফাদারদের মাদক ব্যবসা থেকে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ (ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রাখা), ক্রয়কৃত জমি, বাড়ি ও ফ্ল্যাটসহ বিভিন্ন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির সন্ধান পায়। এসব মামলায় অবৈধভাবে অর্জিত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭৮.৪৪ কোটি টাকা। সিআইডি ইতোমধ্যে উল্লিখিত মামলাসমূহের মধ্যে ৩টি মামলায় গডফাদারদের ৯.১৪ একর জমি ও ২টি বাড়ি যার মূল্য ৮.১১ কোটি টাকা ক্রোক এবং মাদক সংক্রান্ত মানিলন্ডারিং বিভিন্ন মামলায় ব্যাংকে রাখা ১ কোটি ১ লাখ ২৩ হাজার ৪২৫ টাকা ফ্রিজ করেছে। আরও ৩৫ দশমিক ১৭৩ একর জমি, ১২টি বাড়ি ও ১টি গাড়ি যার মূল্য ৩৬ দশমিক ৮২ কোটি টাকা ক্রোকের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

সিআইডি প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহাম্মদ আলী মিয়া আরও বলেন, মাদকের গডফাদার হিসেবে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম বার বার উঠে এসেছে। ৩৫ মামলার তদন্ত করতে গিয়ে সিআইডি বদি বা তার ভাইয়ের মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। মাদক মামলার মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে টেকনাফের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির দুই ভাই আমিনুর রহমান ও আব্দুর শুক্কুরের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। বদির বিরুদ্ধেও যদি আমরা সাক্ষ্য-প্রমাণ পাই তাহলে ছাড় দেওয়া হবে না। যার বিরুদ্ধেই তথ্য-প্রমাণ পাব ধরা হবে, ছাড় দেওয়া হবে না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কক্সবাজারে পর্যায়ক্রমে মাদকের সব গডফাদারদের আইনের আওতায় আনা হবে। মাদক ব্যবসায় যারা অবৈধভাবে সম্পদ ও অর্থ বিত্তের মালিক হয়েছেন তাদের অবৈধ সম্পদ আইনি প্রক্রিয়ায় সরকারি কোষাগারে চলে যাবে। দেশ প্রেমিক নাগরিকদের প্রতি মাদক গড ফাদারদের তথ্য সিআইডিকে প্রদান করার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে আইন আছে প্রয়োগ নেই: বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া,সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্তে আইন আছে কিন্তু তা প্রয়োগ না করার কারণে দিনদিন বেড়েই চলেছে মৃত্যুর মিছিল। অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সীমান্ত গডফাদার ও তার সোর্সরা চোরাচালান ও চাঁদাবাজি করে গত ৩বছরে হয়েগেছে কোটিকোটি টাকার মালিক। তারা সিলেট ও সুনামগঞ্জসহ নিজ এলাকায় নির্মাণ করেছে বিলাস বহুল বাড়ি, ক্রয় করেছে একাধিক গাড়ি।

জানা গেছে- গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদের দিন বিকেলে জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট ও চাঁনপুর সীমান্তের রজনী লাইন ও নয়াছড়া এলাকা দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করতে গিয়ে গর্তে পড়ে হোসেন আলী (৩২) নামের আরো এক চোরাকারবারীর মৃত্যু হয়েছে। সে উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে। এরআগে গত সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল ৬টায় চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা ও মাদক পাচাঁর করার সময় চোরাকারবারী বাবুল মিয়া (৩৫) চোরাই কয়লার বস্তা নিয়ে ভারতের ভিতরে গর্তে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। পড়ে তার সাথে থাকা সহযোগীরা লাশ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসে। মৃত বাবুল মিয়া উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে। অপরদিকে এদিন সকাল ১১টায় ভারত থেকে পাচাঁরকৃত চোরাই কয়লা নিয়ে চারাগাঁও সীমান্তের বাঁশতলা এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ জজ মিয়া (৪০) নামের চোরাকারবারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। এঘটনা দুই পক্ষের আরো ১০জন আহত হয়। তাদের মধ্যে ৩জনকে গুরুতর অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের স্থানীয় চিকিৎসক দ্বারা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। মৃত চোরাকারবারী জজ মিয়া উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের লালঘাট গ্রামের কিতাব আলীর ছেলে। তারআগে গত মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকাল ৯টায় বালিয়াঘাট সীমান্তের লাকমা ও টেকেরঘাট পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা দিয়ে অবৈধ ভাবে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে দুই ভায়রা ভাই চোরাকারবারী খাইরুল মিয়া (২৫) ও মুখলেছ মিয়া (২৬) এর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এরআগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ ) সকাল ৭টায় টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া এলাকা দিয়ে কয়লা পাচাঁরের সময় চোরাকারবারী আইয়ুব আলী (২৮) ও গত ৫ মার্চ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যায় চারাগাঁও সীমান্তে কয়লা পাচাঁরের সময় ট্রলির নিচে চাপা পড়ে অনিন্দ্র দাস (১৩) এর মৃত্যু হয়। এছাড়াও গত ৩ মাসে বালিয়াঘাট সীমান্তে কয়লা পাচাঁর করতে গিয়ে চোরাই কয়লার গুহায় মাটি চাপা পড়ে ৭জনসহ লাউড়গড় সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান করতে গিয়ে বিএসএফের ধাওয়া খেয়ে যাদুকাটা নদীতে ডুবে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এসব মৃত্যুর জন্য দায়ী সীমান্ত চোরাকারবারীদের গডফাদার তোতলা আজাদ ও তার সোর্স বাহিনীর বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি আইনগত কোন পদক্ষেপ।

সীমান্তবাসী জানায়- বর্তমানে সীমান্ত গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে টেকেরঘাট সীমান্তের বড়ছড়া, বরুঙ্গাছড়া ও রজনী লাইন এলাকায় সোর্স আক্কল আলী, কামাল মিয়া, সাইদুল মিয়া ও এই সীমান্তের টেকেরঘাট, লাকমা এলাকায় রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, বালিয়াঘাট সীমান্তের লালঘাট এলাকায় ইয়াবা কালাম, হোসেন আলী, এই সীমান্তের দুধেরআউটা, ড্রাম্পের বাজার, নতুন বাজার, ঘোড়াঘাট, শ্রীপুর, তেলিগাঁও, বৈঠাখালী এলাকায় জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির হোসেন, নেকবর আলী, চারাগাঁও সীমান্তের জঙ্গলবাড়ি, কলাগাঁও এলাকায় আইনাল মিয়া, রিপন মিয়া, সাইফুল মিয়া, রফ মিয়া ও এই সীমান্তের বাঁশতলা, এলসি পয়েন্ট এলাকা দিয়ে সোহেল মিয়া, বাবুল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, লালঘাট এলাকায় শরাফত আলী, শামসুল মিয়া, পাশের বীরেন্দ্রনগর সীমান্তের লামাকাটা, সুন্দরবন এলাকায় লেংড়া জামাল, একই সীমান্তের বাগলী এলাকা দিয়ে শেখ মস্তোফা, চাঁনপুর সীমান্তের জম্মত আলী, জামাল মিয়া, নজরুল, হারুন ও লাউড়গড় সীমান্তের বায়েজিদ, জসিম মিয়া, জজ মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং ভারত থেকে প্রতিদিন অবৈধ ভাবে পাচাঁরকৃত ১ মেঃটন চোরাই কয়লা থেকে পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ১হাজার টাকা, বিজিবির নামে ৭শ টাকা, সমিতি ও কাস্টমসের নামে ৫শ টাকা চাঁদা উত্তোলন করাসহ পাচারকৃত পেয়াজ, চিনি, গরু, ঘোড়া, ইয়াবা, মদ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, চুনাপাথর, বল্ডার পাথর, সুপারী, কসমেটিকস, কাপড় ও অন্যান্য মালামাল থেকে প্রতিদিন কোটি টাকার চাঁদা উত্তোলন করছে। তারা গত ১ মাসে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে প্রায় ১০হাজার মেঃটন কয়লা পাচাঁর করেছে বলে জানাগেছে।

এব্যাপারে বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বন্ধ করার জন্য পুলিশ ও বিজিবি প্রশাসানের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের বারবার অবগত করার পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়না। এর ফলে আমরা ৩ শুল্কস্টেশনের হাজার হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে বালিয়াঘাট বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৭), চারাগাঁও বিজিবি ক্যাম্প (০১৭৬৯-৬১৩১২৬) ও টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে কল করে জানানোর কারণে তারা আমার মোবাইল (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) নাম্বারটি ব্লক করে দেয়। এই বিষয়ে জানাতে বিজিবি অধিনায়কের সরকারী নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা। বিএসবির গোয়েন্দা সদস্য ফারুক খান বলেন- সীমান্ত চোরাচালানের বিষয়ে আপনি বিজিবি অধিনায়ককে জানান, আর আমি আমার উপরস্থ কর্মকর্তাকে জানাব।

তাহিরপুর থানার ওসি কাজী নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধ করার দায়িত্ব বিজিবির। থানা-পুলিশের কোন সোর্স নাই। যারা সোর্স পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাংগিয়ে চাঁদাবাজি করছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করার পরও ফোন রিসিভ না করার কারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



মেহেরপুরের বাজারে অপরিপক্ক লিচু বিক্রি হচ্ছে

প্রকাশিত:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০৮ মে ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের বাজারে উঠতে শুরু করেছে রসালো ফল লিচু। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ঝরে পড়ায় পরিপক্ক হবার আগেই বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করছেন চাষিরা। ফলে লিচুর আসল স্বাদ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ভোক্তারা। অপরিপক্ক লিচু না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকগন। অপরদিকে লিচুর গুণগত মান ঠিক রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছে কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ৮০০ হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। শুরুতে ৬০ শতাংশ গাছে মুকুল এসেছিল। এ সব বাগানে, আটি লিচু, মোজাফ্ফর বোম্বাই, চিলি বোম্বাই, আতা বোম্বাই ও চায়না-থ্রি জাতের লিচু উৎপাদন হয়ে থাকে।

লাভজনক হওয়ায় এ জেলায় লিচুর আবাদ বাড়ছে। এখানকার লিচু রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

চলতি মৌসুমে একটু দেরী করেই গাছে মুকুল এসেছিল তাও অনেক কম। উপরন্ত প্রচন্ড তাপদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে গাছ থেকে ঝরে গেছে অনেক লিচু। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। কৃষকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণেই পরিপক্ক হবার আগেই গাছ থেকে লিচু পেড়ে ফেলতে হচ্ছে। কারণ গাছ থেকে লিচু ঝরে পড়ছে। গাছে লিচু ফেটে যাচ্ছে। কাক্সিক্ষত দাম না থাকায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উৎপাদন খরচ তুলতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। 

তবে লিচুর আবাদে চাষিরা লোকসান গুনলেও লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পরিপক্ক হবার আগেই লিচু বাজারে আসায় লিচুর স্বাদও কমছে বলে জানান ভোক্তারা। বাজারে লিচু কিনতে আসা আজমাইন হোসেন জানান, বাজারে নতুন ফল এসেছে। তাই বাড়ির ছেলে মেয়েদের জন্য কিনেছেন। যদিও একটু স্বাদ কম। আরো কিছুদিন গাছে থাকলে লিচু পুষ্ট হতো স্বাদও পাওয়া যেতো। 

লিচু চাষি শওকত আলী জানান, তার বাগানে শতাধিক লিচু গাছ থাকলেও ফল এসেছে অর্ধেক গাছে। আবার গত বছরের তুলনায় সেই গাছ গুলোতে লিচু দাঁড়িয়েছে কম। আর রোদ্রের তাপে গাছ থেকে লিচু একাই ঝরে পড়ছে। গাছে গোড়াই পানি দিয়েও তেমন একটা ফল পাওয়া যাচ্ছে না। আবার যেগুলো গাছে আছে, তা আবার আকারে ছোট। যার কারণে এবারে বাগানে যা লিচু পাওয়া যাবে তা তিন ভাগের এক ভাগ।

ক্রেতা সেলিম রেজা জানান, বাজারে প্রকারভেদে লিচুর দাম এবার একটু চড়া। প্রতি ১০০ লিচুর দাম হাঁকা হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত, প্রতি পিস হিসেবে যার দাম আসছে দুই টাকা পঞ্চাশ পয়সা থেকে তিন টাকা পর্যন্ত। এ বছর লিচুর দাম একটু বেশি হলেও মৌসুমি ফল হিসেবে ক্রেতারা এ লিচু কিনছেন বেশি দামে। এক পন (৮০) টি লিচু কিনলাম ১৯০ টাকায়। আরও বেশি নেয়ার ইচ্ছে ছিল তবে টক ও তুলনামূলক আঠির আকার বড়, রয়েছে পোকার আক্রমণও তাই বেশি কেনা হয়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক এম কে রেজা জানান,হাইপোগ্লাইসিন এ সাধারণত কাঁচা বা আধা পাকা অর্থাৎ পাকা নয়, এমন লিচুতে পাওয়া যায়। এটি একটি অ্যামিনো অ্যাসিড, যা মারাত্মক বমি বমি ভাব সৃষ্টি করে। অন্যদিকে মিথাইলিন-সাইক্লো-প্রোপাইল-গ্লাইসিন উপাদানটি গ্রহণের ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ দ্রুত কমে যায়। এর কারণে বমি, অচেতন এবং দুর্বল হয়ে পড়ে রোগী। কাঁচা বা আধা পাকা লিচু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ। এ বিষয়ে সতর্ক থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে সচেতনতাও বাড়াতে হবে।

গাংনী উপজেলা কৃষি অফিসার ইমরান হোসেন জানান, লিচুর গুণগত মান ধরে রাখার জন্য আরও কয়েকদিন পর লিচু বাজারজাত করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে কৃষকদের। শিলাবৃষ্টি এবং ঝড় ছাড়া বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তা লিচুর জন্য উপযোগী। অপরিপক্ক লিচু খেলে ভোক্তরা লিচুর পুষ্টিমান পাবে না। লিচুর স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবে। এমনকি লিচুর যে ওজন হওয়ার কথা তাও হবে না।


আরও খবর



নওগাঁয় মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত, স্বামী জেলহাজতে

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ০৬ মে ২০২৪ | ৮৭জন দেখেছেন

Image

নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁ মহাদেবপুরে মাদকের টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার চেষ্টা করেছে মাদকসেবী স্বামী ফজলে রাব্বী (৩৬)। মাদকসেবী স্বামীকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলা সদরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় ওই গৃহবধুর ছোট ভাই সৌরভ হোসেন বাদি হয়ে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের করেন। 

মামলা সূত্রে জানায়, প্রায় ১৩ বছর পুর্বে এনায়েতপুর ইউপির কালুশহর মোল্লাপাড়া গ্রামের মৃত তজিবর রহমানের ছেলে ফজলে রাব্বীর সাথে নওগাঁ সদর উপজেলার বাছাড়ীগ্রাম পুর্বপাড়ার রেজাউল ইসলামের মেয়ে রিপা বানুর (৩০) বিয়ে হয়। তাদের ঘরে রাফিয়া জান্নাত (৯) ও সামিউল ইসলাম রোহান নামের চার বছরের ছেলে রয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাব্বী ট্রেডার্স নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছেন এবং ওই দোকানের পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। স্বামী ফজলে রাব্বী অধিক মাত্রাই মাদকাশক্ত হয়ে পড়ায় প্রায় তিন মাস পূর্বে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেন স্ত্রী রিপা বানু। ঘটনার দিন রাতে মাদক সেবনের টাকা না পেয়ে স্ত্রীর কানের দুল ও গলার চেইন নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্ত্রীর মাথায়, কপালে ও পেটে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে রেফার্ড করেন। পুলিশ ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ফজলে রাব্বীকে আটক করে। 

সত্যতা নিশ্চিত করে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত ফজলে রাব্বীকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।


আরও খবর