Logo
আজঃ রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩
শিরোনাম

বাংলাদেশ শান্তিতে বিশ্বাসী, যুদ্ধ নয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমাদের সশস্ত্র বাহিনী যুদ্ধের জন্য নয়, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য। বাংলাদেশ যুদ্ধ নয়, শান্তিতে বিশ্বাসী।’ আজ রোববার চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

এর আগে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ-২০২২ পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টার দিকে সেখানে পৌঁছে রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করেন তিনি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের সরকার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী ও আধুনিকায়নে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে।’

নবীন ক্যাডেটদের দেশসেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে, তোমরা এ দেশের সন্তান; জনগণের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই তোমাদের সবাইকে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ ও হাসি-কান্নার সমান অংশীদার হতে হবে। সুযোগ্য নেতৃত্ব, সার্বিক দিক-নির্দেশনা, পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার মাধ্যমে তোমাদের দেশের সেবা করে যেতে হবে। দেশপ্রেমের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করাই হবে তোমাদের পেশাগত জীবনের প্রধান ব্রত।

তিনি বলেন, ‘৭৫-এর পর দীর্ঘ ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। তখন সেনাবাহিনীকে আধুনিকায়ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আমরা শান্তি চাই, যুদ্ধ নয়। জাতির পিতাই বলেছেন - সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; আমরা তা মেনে চলছি। সেভাবে আমরা আমাদের দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন করে স্বাধীন হয় দেশ। আর এই স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন এ সশস্ত্র বাহিনী প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা স্বাধীনতার পর দেশ গঠনের দায়িত্ব নেন, ওই সময় তার একটাই লক্ষ্য ছিল আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদার ও শক্তিশালী বাহিনীতে গড়ে তোলা।

সরকারপ্রধান বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস হারিয়ে যেতে বসেছিল, আমরা সরকার গঠন করার পর তা উদ্ধার করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং আদর্শ নিয়ে সশস্ত্র বাহিনী গড়ে উঠতে পারে সেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ার সময়ে বঙ্গবন্ধু সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করেছেন। তারই নীতি অনুসরণ করে বর্তমান সরকারও সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করে চলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সৌভাগ্য ২০২১ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। আমরা যেহেতু ২০২১ সালে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আজকের নবীন অফিসাররাই হবে ২০৪১ এর সৈনিক। যারা বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবে।

সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দুর্যোগ-দুর্বিপাক সব ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করে। সশস্ত্র বাহিনীর সব সদস্যকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’ ভাষণের শুরুতে ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টে ঘাতকদের হাতে তার পরিবারের সদস্যদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করেন শেখ হাসিনা।

মিলিটারি একাডেমি থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন শেখ হাসিনা। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ড মাঠে জনসভায় যোগ দেবেন।

চট্টগ্রাম নগর, চট্টগ্রাম উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে একটি ১৬০ ফুট লম্বা নৌকার আদলে তৈরি সভা মঞ্চে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। জনসভা থেকে চট্টগ্রামের ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন শেখ হাসিনা।


আরও খবর



চিকিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ‘শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে: ডা. সামন্ত লাল সেন

প্রকাশিত:বুধবার ০৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৬ মার্চ ২০২৩ | ১৪১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর সিদ্দিকবাজারের নর্থ সাউথ রোডের দুটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় শ্বাসনালী পু‌ড়ে যাওয়ায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের কেউই শঙ্কামুক্ত নন ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।

আজ বুধবার সোয়া ১১টার দিকে বার্ন ইনস্টিটিউটে সাংবা‌দিক‌দের সঙ্গে আলাপকা‌লে তিনি এ তথ্য জানান।

ডা. সামন্ত লাল সেন ব‌লেন, ‘গতকালের দুর্ঘটনায় আমা‌দের এখা‌নে ১১ জন রোগী ছিল, তার ম‌ধ্যে একজন‌কে ঢাকা মে‌ডি‌কে‌লে ট্রান্সফার করা হ‌য়ে‌ছে; কারণ তার বার্ন নাই।

ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক বলেন, ‘বর্তমানে যে ১০ জন আছে তার ম‌ধ্যে তিন জন আইসিইউতে, দুজন লাইফ সা‌পো‌র্টে আছে। আর বা‌কিরা আছেন এস‌ডিইউ‌তে।

চি‌কিৎসাধীন ১০ জ‌নের ম‌ধ্যে কেউই শঙ্কামুক্ত নয় জা‌নি‌য়ে এই চিকিৎসক ব‌লেন, ‘যারা আছে তা‌দের কেউই শঙ্কামুক্ত নয়। কারণ, কারও শরীরের ৮০ পার‌সেন্ট, কারও ৯০ পার‌সেন্ট; কারও ৫০ পার‌সেন্ট দগ্ধ হয়েছে। সবারই শ্বাসনালী পু‌ড়ে গে‌ছে। আমরা কাউকেই শঙ্কামুক্ত বল‌তে পারব না।


আরও খবর



দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে আবির

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ | ৭৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা আবির চট্টোপাধ্যায়! আর তার এই দ্বিতীয় বিয়ের ঘটকালি করছেন পরিচালক অর্জুন দত্ত! ইন্ডাস্ট্রিতে এমন গুঞ্জনই রটেছে। যা নিয়ে ভক্তরা বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। সুখী দাম্পত্য জীবন কাটানোর পরেও কেন অভিনেতা তার বর্তমান স্ত্রীকে ডিভোর্স দিচ্ছেন? কে হচ্ছে তার দ্বিতীয় স্ত্রী? এসব চিন্তায় তাদের ঘুম হারাম। আসলে তেমন কিছুই নয়, যা হচ্ছে তার পুরোটাই সিনেমায়।

টালিউডের অন্দরে যে খবর ভাসছে তাতে শোনা যাচ্ছে, অব্যক্ত থেকে শ্রীমতীর মতো সিনেমা উপহার দিয়েছেন যে পরিচালক, সেই অর্জুন দত্তই আবিরের দ্বিতীয় বিয়ে দিতে চলেছেন। কিন্তু এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত পরিচালক বা অভিনেতা কেউই কিছু জানাননি। বরং মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছেন।

তবে আপাতত শোনা যাচ্ছে, অর্জুন দত্তের আগামী সিনেমার নাম হতে চলেছে ‘ডিপ ফ্রিজ’। সেখানেই দেখা যাবে আবির চট্টোপাধ্যায়কে। তাতে তার প্রাক্তনের ভূমিকায় দেখা যাবে তনুশ্রী চক্রবর্তীকে। তবে দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী কে হচ্ছেন সেটা এখনো জানা যায়নি। এখানে দেখা যাবে, প্রথম পক্ষে আবিরের একটি ছেলেও আছে।

সম্পর্কে যখন আর টান থাকে না, অনুভূতি যখন ঠাণ্ডা হয়ে যায়- তখন সেটা বরফের মতো মনে হয়। অনেকটা ডিপ ফ্রিজের মতো। সেই সম্পর্কের নানা ধাপ, চরিত্রের নানা দিক সিনেমাটিতে উঠে আসবে বলে জানা গেছে। আগেও যেমন পরিচালক তার সিনেমাতে সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছিলেন, এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলেই অনুমান করা যাচ্ছে।

এই সিনেমাতে সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন সৌম্যঋত। তবে কার কণ্ঠে এই সিনেমার গান শোনা যাবে সেটা এখনো জানা যায়নি। কিন্তু গানে যে তার একটা বড় ভূমিকা থাকবে সেটা অনেকটা নিশ্চিত। এখনো অনেক উত্তর অধরা থাকলেও পয়লা বৈশাখের আগেই নাকি এই সিনেমার শুটিং শুরু হয়ে যাবে।

এদিকে অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় আবারও ফিরছেন ছোট পর্দায়। তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ধারাবাহিক দিয়ে। সেই ধারাবাহিকেই ফিরছেন বাংলা সিনেমা জগতের জনপ্রিয় এ তারকা। তবে একটি বিশেষ চরিত্রে, কিছু দিনের জন্য। সান বাংলায় শুরু হয়েছে ‘বিনোদনের মহা পার্বণ’। ওই চ্যানেলের অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাথী’। আর এই ধারাবাহিকেই বহুদিন পর দেখা যাবে আবীরকে।

এতে আবীর হিসেবেই হাজির হবেন তিনি। ‘সাথী’র নায়ক ওম তথা ইন্দ্রজিৎ বসুর কলেজের সিনিয়ের চরিত্রেই দেখা যাবে আবীরকে। কার্যত হিরো হয়েই এন্ট্রি নিবেন আবীর।

এদিকে আবীরকে আবারও ধারাবাহিকে ফিরতে দেখে খুশি তার অনুরাগীরা। কিছুটা নস্টালজিকও বটে। ‘প্রলয় আসছে’ থেকে শুরু করে ‘খুঁজে বেরাই কাছের মানুষ’, ‘এক আকাশের নীচে’, ‘বহ্নিশিখা’সহ বহু সিরিয়ালে অভিনয় করেছেন আবীর।

শুধু মাত্র মূল চরিত্রই নয়, তাকে দেখা গেছে পার্শ্বচরিত্রেও। যদিও তার ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে বছর কয়েক আগেই। এখন তিনি পর্দা কাঁপান ব্যোমকেশ হয়ে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস


আরও খবর



ইরানি ১১ ড্রোন ভূপাতিতের দাবি ইউক্রেনের

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

 অনলাইন ডেস্ক: ইউক্রেনে আজ সোমবার ইরানি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে ১৪ টির মধ্যে ইরানের তৈরি ১১টি শহীদ ড্রোন ভূপাতিত করেছে ইউক্রেনে সেনাবাহিনী। দেশটির সামরিক বাহিনী বার্তা আদান-প্রদানের অ্যাপ টেলিগ্রামে এ তথ্য জানিয়েছে। খবর সিএনএনের।

রাজধানী কিয়েভের কাছ থেকে এসব ড্রোন ধ্বংস করার দাবি করেছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। কিয়েভ সিটি সামরিক প্রশাসন তাদের এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই দফায় ড্রোন হামলা চালায় রুশ বাহিনী। এই কারণে কিয়েভে পাঁচ বিমান হামলার সাইরেন সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা ধরে ছিল।

তবে এসব হামলায় কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ পর্যন্ত টানা ১৩ মাসে গড়েছে এই যুদ্ধ। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনও লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও বেড়েছে।


আরও খবর



হেনস্থার শিকার তাপসী

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৬১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের অভিনেত্রী তাপসী পান্নু কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মডেল হিসেবে। ২০১০ সালে আসেন অভিনয় জগতে। তার দু’বছর আগে ২০০৮ সালে ভারতের সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি। তখন তিনি ছাত্রী। প্রতিযোগিতায় হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন বলে জানালেন অভিনেত্রী। 

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, তাপসী জানান, প্রবল পক্ষপাতিত্ব হয়েছিল বাছাই পর্বে। প্রশ্ন উঠেছিল সেখানে তার থাকার যোগ্যতা নিয়ে। চরম অপমানিত হতে হয়েছিল তাকে।

দিল্লি থেকে বেছে নেওয়া তিনজনের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। তাকে লড়াই করতে হয়েছিল পেশাদার মডেলদের সঙ্গে। তাদের তুলনায় তিনি ছিলেন অপেশাদার, অনভিজ্ঞ। তখনও পর্যন্ত তিনি শুধু ফটোশ্যুট করেছিলেন। টিভির কোনো বিজ্ঞাপনে তার মুখ দেখা যায়নি, র‌্যাম্পে হাঁটার অভিজ্ঞতাও তার ছিল না।

তিনি জানান, গ্রুমিং পর্বে বুঝেছিলাম, এটা আমি করতে পারব না। আমাদের হাঁটা শেখানো হত, কীভাবে হাসব তাও শেখানো হত। হেমন্ত ত্রিবেদী তখন ছিলেন শিক্ষক হিসেবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার হাতে থাকলে কখনোই তুমি প্রথম আটাশজনের মধ্যে জায়গা পেতে না।’

শ্যুটিং শেষের পার্টির পরে তাপসী বুঝতে পারেন, কতটা ঝুঁকিপূর্ণ এবং খারাপ পরিবেশের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে। সেই কাহিনী তুলে ধরে অভিনেত্রী বলেন, নানা রকম পক্ষপাতিত্বের ঘটনা ঘটত সেখানে। প্রতিযোগীদের নানা চুক্তিতে সই করানো হয়েছিল। শর্ত ছিল যে, প্রতিযোগীদের উপার্জনের তিরিশ শতাংশ তিন বছরের জন্য অনুষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে।

সেই প্রতিযোগিতা থেকে দুটি খেতাব পেয়েছিলেন তাপসী। সেরা নতুন মুখের পুরস্কার (মিস ফ্রেশ ফেস) এবং সুন্দর ত্বকের পুরস্কার (মিস বিউটিফুল স্কিন)।

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে তেলুগু সিনেমা দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন তাপসী। ২০১৩ সালে ‘চশমে বদ্দুর’ দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় তার। আশির দশকের বিখ্যাত হিন্দি সিনেমার এই রিমেকটির পরিচালক ছিলেন ডেভিড ধাওয়ান।


আরও খবর



‘বাস উল্টে যাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই’

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২৫ মার্চ ২০২৩ | ৮৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;‘খুলনা থেকে ভোরে আমি বাসে উঠি। শিবচরে বাস উল্টে যাওয়ার পর আর কিছু মনে নেই। জ্ঞান ফিরে দেখি স্থানীয় এক ভাই আমার পাশে।’ এভাবেই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিচ্ছিলেন খুলনা থেকে আবিদ শেখ। তিনি টঙ্গীবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুরে জনতা ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন।

খুলনা থেকে আজ রোববার ভোর ৪টার দিকে ছেড়ে আসে ইমাদ পরিবহনের বাসটি। বাসটি মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। এতে ১৬ জন নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৩০ জন। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।

প্রাণে বেঁচে যাওয়া ওই বাসের আরেক যাত্রী মহারাজ খাঁ (৩০) বলেন, ‘চলতে চলতে দেখলাম হঠাৎ গাড়ি বামে মোড় নিছে। লোকজন চিৎকার শুরু করে। এরপর গাড়ি উল্টে গেলো। এরপর আমার আর মনে নাই। বাসটা যে কতবার উল্টাইছে নিজেও বলতে পারি না। এরপর বাস খাদে পড়ে যায়।’

মহারাজের সামনের সিটে ছিলেন আনোয়ারা। ছেলে সাজ্জাদকে নিয়ে আনোয়ারা বাগেরহাটের মোল্লারহাট থেকে আসছিলেন। ভোর ৬টার দিকে মোল্লারহাট থেকে বাসে ওঠেন তিনি। দুর্ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কীভাবে কী হলো বলতে পারছি না। মুহূর্তেই বাস খাদে পড়ে যায়।’


আরও খবর