স্পোর্টস ডেস্ক:নিউজিল্যান্ড চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে । গতবারের রানার্স-আপ নিউজিল্যান্ড এবার উদ্বোধনী ম্যাচেই চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় ৯ উইকেটে। পরের ম্যাচে নেদারল্যান্ডসকেও হারিয়েছে কিউইরা।
অন্যদিকে বাংলাদেশ নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে বড় ধাক্কা খায়। আগামীকাল শুক্রবার চেন্নাইতে দুই দলেরই তৃতীয় ম্যাচ। চেন্নাইয়ের উইকেট বরাবরই স্পিনিং। তাই তো নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক মনে করিয়ে দিয়েছেন, এই ম্যাচে স্পিনাররাই পার্থক্য গড়ে দিতে পারে।
‘আমাদের যে আগামীকাল বড় চ্যালেঞ্জের (বাংলাদেশের স্পিনারদের কারণে) সম্মুখীন হতে হবে এ সম্পর্কে অবগত আছি। আইসিসির টুর্নামেন্টে সব দলই সমান, যে কেউ যে কাওকে হারিয়ে দিতে পারে। এখানে আপনাকে একেক ভেন্যুতে খেলতে হয়, প্রতিনিয়ত কন্ডিশন পরিবর্তন হয়, ভিন্ন কন্ডিশনে ভিন্ন চ্যালেঞ্জ থাকে। এটা একটা বড় ভূমিকা রাখে। আমরা সবাই জানি চেন্নাইয়ে স্পিনারদের জন্য বাড়তি সুবিধা থাকে। আমি জানি দুই দলেই বেশ ভালো মানের কয়েকজন স্পিনার আছেন, যারা আগামীকালের ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। কিন্তু আমাদের একটাই কাজ থাকবে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলা, নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলা।
বাংলাদেশ দলে সাকিব আল হাসান, মেহেদী মিরাজ ছাড়াও স্পেশাল স্পিনার হিসেবে রয়েছেন নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদী হাসান। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যদি একাদশে থাকেন তিনিও ঘোরাবেন হাত।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের স্পিনারদের তো দেখা হয়েছেই ঘরের মাঠে। ইশ শোধি একাই হারিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশকে। মিচেল স্যান্টনার, রাচিন রবীন্দ্র কিংবা গ্লেন ফিলিপসরা তো আছেনই।
স্পিনের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে কন্ডিশনেরও যে চ্যালেঞ্জ আছে এ নিয়েও কথা বলেন উইলিয়ামসন। বিশেষ করে উপমহাদেশের কন্ডিশন নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডের জন্য সহায়ক নয়। এখানে বাংলাদেশকে এগিয়ে রাখছেন কিউই অধিনায়ক।
উপমহাদেশের কন্ডিশন সম্পর্কে বাংলাদেশ বেশ অবগত। তাদের অনেকগুলো ম্যাচ উইনার আছে। কিন্তু আমি আবারও ওই বিষয়টাই তুলে ধরব যে আইসিসির টুর্নামেন্টে যে কেউ যে কাওকে হারাতে পারে। এখানে কন্ডিশন বড় ভূমিকা পালন করে, এছাড়া প্রতি দলে একাধিক ম্যাচ উইনার তো থাকেই। প্রত্যেক দলই আপনাকে চ্যালেঞ্জে ফেলবে। এখানে দল হিসেবে ভালো খেলাই আসল কারণ টুর্নামেন্টটা অনেক বড়। তাই আমাদের নিজেদের সেরাটা দিয়েই পুরো টুর্নামেন্টে খেলবে।’
এই ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে ফিরছেন কেইন। প্রথম দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি পুরোপুরি ফিট না হওয়ায়। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে ফেরার কথা নিজেই জানিয়েছেন তিনি।
আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়েছে। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নিজের নাম দেখে রোমাঞ্চিত ছিলাম। এখন এখানে বসে আছি। নতুন ভেন্যু, নতুন প্রতিপক্ষ সব সময়ই চ্যালেঞ্জের। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।