Logo
আজঃ শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪
শিরোনাম

বাজারে প্রভাব এড়াতে শনিবারেই চিনি রিফাইন ও সরবরাহ শুরুতে আশাবাদী এস. আলম গ্রুপ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের একটি চিনির গুদামের দুর্ভাগ্যজনক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বিগত ৪ মার্চ বিকেলে ভয়াবহ এই আগুনের ঘটনা ঘটে। সরকারের উচ্চমহল, ফায়ার সার্ভিস, নৌ ও বিমানবাহিনী সহ মিলের কর্মচারী ও প্রশাসনের সার্বিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৬৪ ঘণ্টা পর গুদামের আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়েছে। আগামী শনিবার (৯ মার্চ) থেকে যেন আবারো চিনি উৎপাদন ও সরবরাহ শুরু করা যায়, তাই মিল পরিষ্কারের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের ফলে আগুনে পুড়ে গেছে ১ লাখ টনের মতো অপরিশোধিত চিনি। সৌভাগ্যবশত আশেপাশেই অবস্থিত চিনির অন্য ৩-৪টি গুদাম আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। আগামী ১০-১২ দিনের পরিশোধিত চিনি প্রস্তুত রয়েছে যা ভোক্তাদের জন্য বাজারের সরবরাহ নিশ্চিত করবে। অধিকন্তু, শনিবার থেকে পুনরায় চিনি পরিশোধন কার্যক্রম শুরু হলে তা বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রাখবে।

এস. আলম গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক আখতার হাসান বলেন,  “আজ বিকেল থেকে ইতোমধ্যে পরিশোধিত থাকা চিনির মজুত থেকে বাজারে সরবরাহ শুরু হচ্ছে। আগামী শনিবার থেকে মূল কারখানায় উৎপাদন শুরু করা হবে। সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এই অগ্নিদুর্যোগের কোনো প্রভাব যেন বাজারে না পড়ে।”

তিনি আরো বলেন, “পুড়ে যাওয়া গুদামটিতে এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি অপরিশোধিত চিনি ছিল। বাকি গুদামগুলোতে বর্তমানে ৬ লাখ ৪১ হাজার মেট্রিক টন চিনির কাঁচামাল রয়েছে।”

এস. আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে প্রয়োজন মোতাবেক সব ধরনের ফায়ার ইকুইপমেন্ট ও অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাই ছিল। তবে আগুনের ভয়াবহতা মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় তা তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। দেশের সুগার মিলে সবচেয়ে বড় এ অগ্নিকাণ্ডের কারণ তদন্তে ইতোমধ্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে  সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এটি নাশকতার ঘটনা কি না তাও খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছে কল-কারখানা অধিদপ্তর।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পরিবেশ দূষণ এড়াতে- গলিত চিনি এস. আলম গ্রুপের নিজস্ব খালি জায়গায় সরিয়ে ফেলা হচ্ছে। প্রায় ৩০টি ডাম্পট্রাক দিয়ে গলিত র-সুগার ডাম্পিং করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ চেষ্টা করে হচ্ছে যাতে র-সুগার নদীতে না পড়ে। এছাড়া, গুদামের দেওয়াল ধসে পড়ার আশঙ্কায় দেওয়া হয়েছে বালির বাঁধ। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী নেওয়া হয়েছিল সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।


আরও খবর



জানো প্রকল্পের আওতাধীন বিভাগীয় পর্যায়ে প্রকল্পের সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪০জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:জয়েন্ট এ্যাকশন ফর নিউট্রিশন আউটকাম-জানো প্রকল্প বাস্তবায়নে যৌথভাবে কাজ করছে কেয়ার বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও ইকো স্যোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও)। ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে ও অস্ট্রিয়ান ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশনের অর্থায়নে বিগত ৫ বছর যাবত শিশু, গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী মা এবং কিশোর কিশোরীদের স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের জন্য রংপুর ও নীলফামারী জেলার ৭ টি উপজেলায় কাজ করে ব্যপক সফলতা বয়ে এনেছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রংপুরে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন কন্ধসঢ়;ফারেন্স কক্ষে প্রকল্পের বিভাগীয় পর্যায়ে সমাপ্তিকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডাঃ এবিএম আবু হারিফ এর সভাপতিত্বে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট শারমিন সুলতানা লাবণ্য’র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আবু জাফর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে মাধ্যমমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক এসএম আব্দুল মতিন লস্কর, শিক্ষা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক শফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর কবির, কৃষি বিভাগের ডিপুটি ডিরেক্টর আনোয়ার হোসেন, জেলা শিক্ষা অফিসার হাফিজুর রহমান, এনায়েত হোসেন, জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী পংকজ কুমার সাহা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জানো প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার পংকজ ময় ত্রিপুরা, আশিক বিল্লাহ। প্রকল্পটি মূলতঃ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সহ বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং সরকারের প্রায় ২২ টি দপ্তর ও মন্ত্রনালয়ের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নে একটি সহায়ক প্রকল্প হিসেবে কাজ করে আসছে। প্রকল্পের অর্জন, সমাপ্তির যৌক্তিকতা এবং দায়বদ্ধতা নিশ্চিতকরণের নিমিত্তে প্রকল্পের সাথে সংযুক্ত সকল অংশীজনের অবগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়।


আরও খবর



মুজিবনগর দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালে তিনি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী দিয়েছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে। এ ছাড়া ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর



গাংনীতে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে এবার সমিতি গঠন

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১০২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃএবার সোচ্ছার হয়েছে সাধারণ জনতা। কসাইদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মেহেরপুরের মহল্লায় মহল্লায় গড়ে উঠেছে সমিতি। দৈনিক সাপ্তাহিক অথবা মাসিক কিস্তিতে চাঁদা উত্তোলন করে তা দিয়ে গরু কিনছেন সমিতির লোকজন। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরু জবাই করে গোস্ত ভাগাভাগি করবেন তারা। এতে যেমন সাশ্রয়ী হবেন সাধারণ লোকজন তেমনি চাপ পড়বে কসাইদের উপর। সমিতির বিষয়টি ভালভাবে দেখছেন সচেতন মহল ও স্বয়ং হাটমালিক।

জানা গেছে, রমজান মাসের আগ থেকেই ছিল দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি। ক্রেতা সাধারণের সুবিধার্থে সরকার গোমাংসের দাম ৬৮০ টাকা নির্ধারণ করলেও কসাই সিন্ডিকেট তা প্রত্যাক্ষাণ করে। বাজারে গো মাংসের দাম সাড়ে সাতশ’ টাকা কেজি। তবে ঈদের আগে ও পরে দাম আটশ টাকা থেকে ১০০০ টাকা নির্ধারণ করতে পারেন কসাইরা। কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে মহল্লায় মহল্লায় সমিতি গঠন করে নিজেরাই গরু কিনে জবাই করার সিদ্ধান্ত নেন লোকজন। এতে সাশ্রয়ী দামে মাংস পাবেন তারা। তাছাড়া কসাইদের উপর বেশ চাপ পড়বে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

জেলার বৃহত্তম পশুহাট বামন্দীতে গিয়ে দেখা গেছে, বিভিন্ন মহল্লা থেকে সমিতি গঠন করে লোকজন আসছেন গরু কিনতে। গাংনী ভিটাপাড়ার মকলেছুর রহমান জানান, কসাইরা নানা ভাবে জিম্মি করে ফেলেছে সাধারণ মানুষকে। চড়া দামে গোস্ত কিনতে হয়। তাছাড়া কসাইরা ইচ্ছেমত মাংস বিক্রি করে। সাশ্রয়ী দামে মাংস পেতে সমিতি গঠন করা হয়েছে। এতে যেমন পছন্দ মতো গোস্ত পাওয়া যাবে তেমনি অনেকটা সাশ্রয়ী হবে। তবে কসাইদের উপর অনেকটা চাপ পড়বে বলেও জানান তারা। একই কথা জানালেন গাংনীর মালসাদহ গ্রামের আফজাল হোসেন। তিনি আরো জানান, তারা ৩২ জন সাপ্তাহিক কিস্তিতে টাকা উত্তোলন করেছেন। এক লাখ ৮২ হাজার টাকা দিয়ে একটি গরু কিনেছেন।

গরু কিনতে আসা কুষ্টিয়া সদরপুরের রাজ্জাক ও মাসুদ রানা জানান, কসাইদের কাছ থেকে তারা গোস্ত কেনেন না তিন বছর ধরে। প্রতিটি উৎসবে কসাইরা বেপরোয়াভাবে দাম হাঁকে গরুর গোস্তের। বাধ্য হয়ে ৩০ জনের একটি সমিতি গঠন করেছেন। সাপ্তাহিক চাঁদা তুলে গরু কিনতে আসেন। দেখে শুনে বুঝে পছন্দের পশুটি কিনেছেন। এতে অনেক সাশ্রয় বলে দাবী করেছেন তিনি। তবে সব ধরনের পশুর দাম একটু বেশি বলে জানালেন এই সমিতি প্রধান।

গরু বিক্রেতা গাড়াবাড়িয়ার আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি তার নিজের বাড়ির গরু এনেছেন হাটে। কয়েকহাট আগে গরুর যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক কম। আমদানী বেশি হওয়ায় দর পতন বলে জানালেন তিনি। তবে কসাই সিন্ডিকেট ভাংতে যে সমিতি গঠন করা হয়েছে এটাকে সাধুবাদ জানানে এই গরু বিক্রেতা। একই কথা জানালেন গরু ব্যবসায়ি কামারখালির আনোয়ার ও সহড়াবাড়িয়ার আশরাফুল।

জেলার ঐতিহ্যবাহী বামন্দী পশু হাটের ইজারদার সিরাজুল ইসলাম জানান, ঈদের আগেই জমে উঠেছে পশুহাট। বেচা বিক্রিও বেশ ভাল। এবার জনগন অনেকটা সচেতন। বিভিন্ন গ্রাম মহল্লা থেকে লোকজন আসছেন দলবদ্ধ ভাবে। এরা সমিতি করে গরু কিনছেন। পশু পালনকারীরাও ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন। বেচা বিক্রিও বেড়েছে। কসাইদের হাতে জিম্মী না হয়ে নিজেরাই গরু কিনে গোস্তের ব্যবস্থা করার বিষয়টি সাধুবাদ জানিয়েছেন এই হাট মালিক।


আরও খবর



সদরঘাটে দুর্ঘটনা: দুই লঞ্চের চালকসহ আটক ৫

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১২৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:এমভি ফারহানের দুই চালক ও ম্যানেজার এবং এমভি তাসরিফের দুই চালককে আটক করা হয়েছে।ঢাকার সদরঘাটে পন্টুনে বেঁধে রাখা একটি লঞ্চের রশি ছিঁড়ে নিচে পড়ে হতাহতের ঘটনায়

বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নৌপুলিশ তাদের আটক করে। এর আগে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এমভি তাসরিফ ও এমটি টিপু নামে দুটি লঞ্চ পন্টুনে বাঁধা ছিল। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ভোলা থেকে আসা লঞ্চ এমভি ফারহান ওই দুই লঞ্চের মাঝখান দিয়ে পন্টুনে ভেড়ার চেষ্টা চালালে তাসরিফের রশি ছিঁড়ে লঞ্চটিতে উঠতে চাওয়া কয়েকজন যাত্রী গুরুতর আঘাত পান।

দ্রুত তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক পাঁচজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এমভি ফারহান-৬ ও এমভি তাসরিফ-৪-এর রুট পারমিট বাতিল করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক জয়নাল আবেদীন এ তথ্য জানান।

এছাড়া এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। কমিটি আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ‘র চেয়ারম্যানের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, নিহত পাঁচজনের মধ্যে এক পরিবারের তিনজন হলেন মো. বেলাল (৩০), তার স্ত্রী মুক্তা (২৪) এবং তাদের চার বছর বয়সী মেয়ে মাইশা। অপর দু’জন হলেন ঠাকুরগাঁওয়ের তরুন রবিউল (১৯) এবং পটুয়াখালীর রিপন হাওলাদার (৩৮)।



আরও খবর



সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে বৃদ্ধের মৃত্যু

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

জহুরুল ইসলাম খোকন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর সৈয়দপুরে হিট ষ্ট্রোকে জামিল হোসেন (৬৫) নামের এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল আনুমানিক বিকাল সারে ৫ টায় গরমের তাপমাত্রা সহ্য করতে না পেরে হিট ষ্ট্রোকে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়।জামিল হোসেন শহরের নতুন বাবু পাড়ার তিল খাজা রোর্ডের মরহুম মন্জুর হোসের ছেলে বলে জানা যায়। 


স্হানীয়রা জানান,জামিল হোসেন ওইদিন বিকাল আনুমানিক সারে ৫ টায় তার বাড়ি সংলগ্ন এক দোকানে যান সওদা কেনার জন্য। সওদা কিনে বাড়ি ফেরার সময় পথেই হিট ষ্ট্রোক করেন। দোকানী আলী হোসেন সহ বাড়ির লোকজন অসুস্থ বৃদ্ধাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান।সেখানে কর্মরত চিকিৎসক আফরোজা বেগম সুমি তাঁকে মৃত্যু বলে ঘোষণা দেন।

জানতে চাইলে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন,হিট ষ্ট্রোকে মারা যাওয়ার কথা শুনে ঘটনাস্থল যাই।তবে মৃত্যুের শরীরে আঘাতের কোন দাগ ছিল না। 

এবিষয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দর আবহাওয়া অফিসে কর্মরত লোকমান হোসেন বলেন, বেশ কয়েক দিন থেকে ৩৯ থেকে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠানামা করেছে।প্রচন্ড তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। 

সৈয়দপুর ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওয়াসিম বারি জয় বলেন, প্রচন্ড গরমে হিট ষ্ট্রোক থেকে বাঁচতে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রচন্ড গরমে অস্থির অস্থির লাগলে ১/২ ঘন্টা পরপর ঘাড় ও মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। পানি খেতে হবে সবসময়। এরপরেও অস্বস্তি বোধ করলে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন তিনি। 

আরও খবর