Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আওয়ামীলীগ নেতাকে সভাপতি করতে কৃষকদল নেতার প্রস্তাব হট্রগোল পন্ড

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৮ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩১১জন দেখেছেন

Image
তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদর চাপড়া এতিম খানার মিটিংয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন কে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন পৌর কৃষকদলের সদস্য সচিব আফজাল হোসেন বলে নিশ্চত হওয়াা গেছে। তার এমন প্রস্তাবে কয়েকগ্রামের জনসাধারন হট্রগোল শুরু করে সভাপন্ড করে দেন।  গত সোমবার ইফতারের আগ মুহুর্ত্বে চাপড়া এতিম খানা চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। 

জানা গেছে, পৌর সদর এলাকার  চাপড়া এতিম খানায় প্রতি দুই বছর পর পর কয়েকগ্রাম বাসীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সেখান থেকে গ্রহনযোগ্য ধার্মিক ব্যক্তিকে সভাপতি ও সম্পাদক করা হয়। এভাবেই কমিটি গঠন হয়ে থাকে। গত সোমবার বিকেলের দিকে কমিটি গঠনের জন্য সভা আহবান করা হয়। সেই সভায় পৌরসভার কৃষকদলের আহবায়ক চাপড়া গ্রামের আফজাল হোসেন   ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। তার এমন প্রস্তাবে চাপড়া,ধানতৈড়সহ কয়েকগ্রামের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে হট্রগোল ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সম্পাদক শিক্ষক  জিল্লুর রহমান সভা বাতিল করে দেন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সম্পাদক চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, চাপড়া, ধানতৈড়, মিরাপাড়া,আড়াদিঘিসহ কয়েক গ্রামের মানুষের একান্ত সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি দুই বছর পরপর মিটিংয়ের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সোমবারের মিটিং য়ের এক পর্যায়ে আফজাল আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। এমন প্রস্তাবের সাথে সাথে লোকজন প্রচুর উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়। 

স্থানীয়রা জানান, চাপড়া এতিম খানা কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না। কারো একক কথায় কোন কিছু হয় না। কয়েকগ্রামের সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ ব্যাক্তিদের কমিটির সদস্য করা হয় এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি সম্পাদক নির্ধারন করা হয়। আবুল বাসার সুজন সম্মানী ব্যক্তি তিনি যদি সভাপতি হতে চান সরাসরি প্রস্তাব করতেন। সেটা না করে তার হাটের কর্মচারী কৃষকদলের নেতাকে দিয়ে প্রস্তাব করাচ্ছেন। মনে হয় সুজন বিষয়টি অবগত ছিল না। তাহলে তিনি আফজালকে দিয়ে এমন প্রস্তাব দেওয়াতেন না। হয় তো এরাই বেশি তেল মারা শুরু করেছেন এবং  মানি ব্যক্তির মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই না।

কাকে সভাপতি করতে হবে,কাকে করলে প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে সেটা মতামতের ভিত্তিতে করা হবে। আফজালের মত ছেলে সভাপতির প্রস্তাব দেয় কি ভাবে। সব জায়গায় রাজনীতি তেল বাজি চলে না। এতিম খানাতেও দলীয় প্রভাব বিস্তর করার চেষ্টায় মরিয়া। অবাক করার বিষয় আফজাল পৌরসভা কৃষকদলের সদস্য সচিব আর সে আওয়ামীগ নেতা সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এরচেয়ে হাস্যকর দলবাজি আর কি হতে পারে। আবার সুজন নামে ও মেয়রের ভোট করার জন্য চাপড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন।  তিনি কি দীর্ঘ দিনের স্থায়ী বাসিন্দা যে তাকে সভাপতি করতে হবে এমন বানা প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের।

চাপড়া এতিম খানার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এতিম খানা দীর্ঘ  দিনের প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। কারো একক মতামতে কিছুই হয়না। কয়েকগ্রামের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি গঠন হয়। গত সোমবার সুন্দর পরিবেশে মিটিং হচ্ছিল, আবুল বাসার সুজনের নাম প্রস্তাব  করার সাথে সাথে হট্রগোল পক্ষ বিপক্ষ শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়েছে, এখনো দিন ধার্য হয়নি।

আরও খবর



তাহিরপুরে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজদের রামরাজত্ব : দেখার কেউ নাই

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ২২জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া-সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে সরকারের কোটিকোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন ভারত থেকে অবৈধ ভাবে গরু, ঘোড়া, মহিষ, ছাগল, পাথর, কয়লা, পেয়াজ, সুপারী, কসমেটিকস, নাসির উদ্দিন বিড়ি ও চিনিসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী পাচাঁরের পর বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে লাখলাখ টাকা চাঁদা উত্তোলনের খবর পাওয়া গেছে।

কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে আইনগত কোন পদক্ষেপ না নেওয়ার কারণে সীমান্ত এলাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে চোরাকারবারী ও চাঁদাবাজরা। আ  এই চোরাচালান করতে গিয়ে গত ৩ মাসে প্রায় ২৫জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। তাই এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপরস্থ কর্মকর্তাদের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন।

খোঁজ জানা গেছে- আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার চারাগাঁও সীমান্তের লামাকাটা, জঙ্গলবাড়ি, এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী আইনাল মিয়া, রফ মিয়া, সাইফুল মিয়া, রিপন মিয়া, লেংড়া জামালগং ২শ টন কয়লা, ৫শ বস্তা চিনি ও পেয়াজসহ বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য পাচাঁর করেছে। একই সময় এই সীমান্তের কলাগাঁও, চারাগাঁও এলসি পয়েন্ট, বাঁশতলা ও লালঘাট এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী বাবুল মিয়া, সোহেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন বাবলু, দীপক মিয়া ও নজির মিয়াগং গত ২দিনে প্রায় ৫শ টন কয়লা পাচাঁর করে বিজিবি ক্যাম্পের পাশে অবস্থিত একাধিক ডিপুসহ বাড়িঘরের ভিতরে মজুত করেছে। এজন্য ১ বস্তা (৫০কেজি) অবৈধ কয়লা থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা ও অন্যান্য মালামাল থেকে বিভিন্ন হারে চাঁদা উত্তোলন করেছে সোর্স পরিচয়ধারী আইনাল মিয়া, সোহেল মিয়া ও বাবুল মিয়া। অন্যদিকে টেকেরঘাট সীমান্তের বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী আক্কল আলী ১বস্তা চোরাই কয়লা থেকে বিজিবির নামে ৫০টাকা, থানা ও সাংবাদিকদের নামে ১টন অবৈধ কয়লা থেকে ২হাজার টাকাসহ ১ ঠেলাগাড়ি চুনাপাথর (৫০ ফুট) থেকে বিজিবির নামে ১শ টাকা চাঁদা নিয়ে প্রায় ২শ মেঃটন কয়লা ও ৩শ মেঃ টন চুনাপাথর পাচাঁর করে বড়ছড়া-জয়বাংলা বাজার সংলগ্ন কাঠের ব্রিজ ও আশেপাশের একাধিক ডিপুতে মজুত করেছে। একই সময়ে পাশের চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া, গারো ছড়া, রাজাই, কড়ইগড়া ও বারেকটিলা এলাকা দিয়ে চোরাচালান মামলার আসামী শাহিবুর রহমান, কাজল মিয়া, জয়ধর মিয়া, শফিকুল, নিজাম মিয়া, নজরুল, জামাল মিয়া, হারুন, জম্মত আলীগং ৩শ মেঃ টন কয়লা, ২০টি গরু, ২শ বস্তা চিনি, ৩৫০বস্তা পেয়াজ পাচাঁর করেছে। একই ভাবে এউপজেলার বালিয়াঘাট সীমান্তে দুধের আউটা, লালঘাট, লাকমা এলাকা দিয়ে গডফাদার তোতলা আজাদের নেতৃত্বে সোর্স জিয়াউর রহমান জিয়া, মনির মিয়া, রতন মহলদার, কামরুল মিয়া, হোসেন আলী, ইয়াবা কালাম ও লাউড়গড় সীমান্তে যাদুকাটা নদী, সাহিদাবাদ, দশঘর, পুরান লাউড় এলাকা দিয়ে সোর্স পরিচয়ধারী চোরাকারবারী বায়েজিদ মিয়া, জসিম মিয়া, রফিকুল, নুরু মিয়া, জজ মিয়া, মোস্তফা মেম্বারগং কয়লা, পাথর, চিনি, পেয়াজ, গরু, মদ, গাঁজা, ইয়াবা পর করে চাঁদাবাজি করলেও দেখার কেউ নাই।

এব্যাপারে তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়ন পরিষদের মেম্মার কফিল উদ্দিন বলেন- সীমান্ত দিয়ে পাচাঁরকৃত প্রতি গরু থেকে ১হাজার টাকা, ১ বস্তা চিনি থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা পেয়াজ থেকে ১শ টাকা ও ১ বস্তা কয়লা থেকে ৫০টাকা করে চাঁনপুর বিজিবি ক্যাম্পের নামে চাঁদা নেওয়া হয়। একারণে সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। বর্তমানে ধান কাটার সময় কিন্তু চোরাচালানের কারণে শ্রমিক পাওয়া যায়না। বড়ছড়া কয়লা ও চুনাপাথর আমদানি কারক সমিতির আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবুল খায়ের বলেন- সীমান্ত চোরাচালান দিনদিন বেড়েই চলেছে। এই চোরাচালানের কারণ আমরা প্রায় ৩হাজার বৈধ ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ্য হচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এব্যাপারে বারবার জানানোর পরও তারা কোন পদক্ষেপ নেয় না।

এব্যাপারে সাংবাদিক মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া বলেন- সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজির বিষয়ে জানাতে চারাগাঁও ক্যাম্প কমান্ডার সিদ্দিক এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৬), চাঁনপুর ক্যাম্প কমান্ডার ঈশ^র চন্দ্র পন্ডিত এর সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৯) সহ বালিয়াঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৭) ও টেকেরঘাট ক্যাম্পের মোবাইল (০১৭৬৯-৬১৩১২৮) নাম্বারে বারবার কল করার পর ফোন রিসিভ না করে তারা আমার মোবাইল নাম্বার (০১৭১৫-৬৪৩৮৮৭) ব্লক করে দেয়।

তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন বলেন- সীমান্ত চোরাচালান বন্ধের দায়িত্ব বিজিবির। আপনারা বিজিবির সাথে কথা বলুন। এব্যাপারে জানতে সুনামগঞ্জ ২৮ ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাহবুবুর রহমানের সরকারী মোবাইল (০১৭৬৯-৬০৩১৩০) নাম্বারে বারবার কল করলেও কেউ ফোন রিসিভ করেনা।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন,ঈদের সময় স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতি তদারকিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে ঈদুল ফিতর, এর পরপরই নববর্ষ। এসময় অনেক বড় একটা ছুটি। ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যান। এবার আমি হাসপাতাল সম্পর্কে যেটা নির্দেশ দিয়েছি, হাসপাতালে যারা চিকিৎসক কাজ করবেন, সাধারণত যারা সনাতন ধর্মের থাকেন তারাই এসময়ে কাজ করেন। ঈদের সময় রোগীদের উন্নত খাবার দেওয়া হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যাদের ডিউটি থাকবে সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায় কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না। আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এমন একটা রোগ, এখানে সচেতনতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। সঠিক সময় হাসপাতালে ভর্তি না হতে পারলে ডেঙ্গুতে অনেক সময় মানুষ মারাও যায়।

তিনি বলেন, প্রথম বিষয় হলো আমাদের সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা হলো পরের কথা। চিকিৎসা করার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা অলরেডি একটা মিটিং করেছি। ঈদের পরে আবার বসব যেন চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



সাফজয়ী মাগুরার অর্পিতা ও উম্মে কুলসুম শ্রীপুরে সংবর্ধনা পেলেও জেলা পর্যায়ে কোন সংবর্ধনা পেলেননা

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

স্টাফ রিপের্টার মাগুরা থেকে:সম্প্রতি নেপালে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সাফ নারী অনুর্ধ-১৬ টূর্ণামেন্টে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আর এগৌরব এনে দিতে এবং   বাংলাদেশ দলের নেতৃত্বে থাকা মাগুরার জেলার শ্রীপুর উপজেলার কৃতি খেলোয়াড় সাফ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ী জাতীয় দলের দুই নারী ফুটবলার অর্পিতা বিশ্বাস ও উম্মে কুলছুমকে সংবর্ধনা দিয়েছে শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন।তবে মাগুরা জেলার নাম উজ্জল করলেও মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কিছু না করায় বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি ক্রীড়ামোদী মানুষেরা।  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল।

গত ১০ মার্চ অর্পিতা বিশ্বাসের নেতৃত্বে নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত ফাইনাল ম্যাচে ভারতকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে বাংলাদেশ। অর্পিতা বিশ্বাস মাগুরার জেলার শ্রীপুর উপজেলার গোয়ালদহ গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের এক মাত্র মেয়ে। আরেক নারী ফুটবলার উম্মে কুলছুম উপজেলার মহেশপুর গ্রামের কুদ্দুস এর মেয়ে। দুজনেরই স্থানীয় গোয়ালদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক শহিদুল ইসলামের হাত ধরে ফুটবলের হাতেখড়ি। খেলেছেন অনুর্ধ-১৪ ও অনুর্ধ-১৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে। বর্তমানে দু’জনই বিকেএসপির শিক্ষার্থী।

কোচ শহিদুল ইসলাম জানান, অর্পিতা মেধাবী ফুটবলার। সে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৬ দলের বর্তমান ক্যাপ্টেন। একই সাথে উম্মে কুলছুম ও তার সহযোদ্ধা। দু’জনেই খুব ভালো ফুটবল খেলেছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। শ্রীপুর-মাগুরা বাসীর গর্ব এরা। বিগত সাফ জয়ী আরো দুজন নারী ফুটবলার ইতি রানী ও সাথী আমাদের শ্রীপুরের সন্তান। সব সময় চাই এরা ভালো কিছু করুক। দেশের জন্য বড় বড় সুনাম অর্জন করে আনুক।

শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল বলেন, অর্পিতা বিশ্বাস ও উম্মে কুলছুম সে দেশের জন্য যে অর্জন বয়ে এনেছে তাদের সফলতায় আমরা গর্বিত। তারা আমাদের দেশের সম্পদ। বরাবরই শ্রীপুর উপজেলা প্রশাসন তাদেরকে সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা দিয়ে আসছে।  এত বড় অর্জন এনে মাগুরা জেলার নাম উজ্জল করলেও মাগুরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন কিছুই করা হয়নি এটা মাগুরার ক্রীড়ামোদী মানুষকে আহত করেছে বলে বেশ কিছু ক্রীড়াপ্রিয় মানুষ জানান।


আরও খবর



জিম্মি নাবিকরা জাহাজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর নাবিকরা জাহাজে ঈদের নামাজ আদায় করলেন।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিভিন্ন দেশের মতো সোমালিয়ায় ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে।

জানা গেছে, ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য এদিন নাবিকদের জাহাজের ডকে যাওয়ার সুযোগ দেয় দস্যুরা। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে নাবিকদের জন্য বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা করা হয় বলেও জানা গেছে।

নামাজের পরে তারা কোলাকুলি করেন, পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এবং একসঙ্গে ছবিও তোলেন। ছবিটি গণমাধ্যমের হাতে এসেছে।


আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৪জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর