Logo
আজঃ শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩
শিরোনাম

‘আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি’

প্রকাশিত:সোমবার ২০ মার্চ ২০23 | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক ;রাজনৈতিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মাদারীপুরে এক্সপ্রেসওয়ের সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত মনগড়া বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে মাদারীপুরে শিবচরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মৃত্যুই বেদনার। সরকার সড়কে একটি মৃত্যুও চায় না। শেখ হাসিনা সরকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ও দুর্ঘটনা রোধে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

এ নিয়ে সরকার ইতোমধ্যে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন ও এর বিধিমালা কার্যকর করেছে বলে জানান সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, একটি প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্ঘটনাপ্রবণ স্পট ঝুঁকিমুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য স্পটও ঝুঁকিমুক্ত করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকৌশলগত সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং স্থাপন করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় সাইন-সিগন্যাল।

এ ছাড়া চালকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু, নবায়ণ ও প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

তিনি আরও বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সড়ক যোগাযোগে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। দেশব্যাপী জাতীয় মহাসড়কসমূহ পর্যায়ক্রমে ছয় লেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে।’

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকরি সব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি সড়কে চালক, পরিবহন শ্রমিক ও পথচারীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যও উদ্যােগ গ্রহণ করা হয়েছে।

এসব পদক্ষেপের জন্য সরকারকে সাধুবাদ না জানিয়ে হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে শুধু সমালোচনার জন্য সমালোচনা করে যাচ্ছে বিএনপি, যোগ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।


আরও খবর



কাশ্মীরে বাস খাদে পড়ে নিহত ১০

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে একটি বাস সেতুর ওপর থেকে গভীর খাদে পড়ে ১০ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫৫ জন। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কজনক।

আজ মঙ্গলবার সকালে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের বেসরকারি টেলিভিশন এনডিটিভি।

খবরে বলা হয়, অমৃতসর থেকে কাটরায় বৈষ্ণোদেবী মন্দিরে যাওয়ার সময় জম্মু-শ্রীনগর মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলায় বাসটি ছিটকে নিচে পড়ে যায়।

দুর্ঘটনার সময় বাসটিতে মোট ৭৫ জন যাত্রী ছিলেন বলেও জানিয়েছে এনডিটিভি। 


আরও খবর



ইমরান খানকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | ৭৮জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানের গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। পাশাপাশি তাকে দ্রুত মুক্তি দিতে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোকে (এএনবি) নির্দেশও দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভির অনলাইনে বলা হয়, এএনবি কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চে ইমরান খানকে উপস্থিত করে। সুপ্রিম কোর্টের বেঁধে দেওয়া সময়ের চেয়ে এক ঘণ্টা পর তাকে হাজির করা হয়।

তিন সদস্যবিশিষ্ট এ বেঞ্চের নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল। তার সঙ্গে বেঞ্চে আরও ছিলেন বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলি মাজহার। তারা ইমরান খানের গ্রেপ্তার অবৈধ কি না, এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি শোনেন।

গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর ইসলামাবাদ হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। তখন হাইকোর্ট বলেন, তাকে গ্রেপ্তার করা আইনত বৈধ।

আজ সুপ্রিম কোর্টে ইমরানকে হাজির করা হলে প্রধান বিচারপতি বান্দিয়াল বলেন, ‘আপনাকে দেখে ভালো লাগছে’। তিনি ইমরানকে তার গ্রেপ্তারের পর চলা সহিংসতার জন্য নিন্দা জানাতে বলেন।

আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকরা জানিয়েছেন- ইমরান খান শুনানির সময় বলেছেন, ‘আমি শুধু অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

গত মঙ্গলবার ইসলামাবাদের হাইকোর্ট চত্বর থেকে ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জানানো হয়, দুর্নীতির অভিযোগ তাকে গ্রেপ্তার করেছে এনএবি।

আদালত চত্বর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করায় শুরু হয় সমালোচনা। তবে ইমরানকে গ্রেপ্তারের কয়েক ঘণ্টা পরে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, এই পদক্ষেপ বৈধ ছিল। এরপর গতকাল বুধবার তার ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

উল্লেখ্য, গত বছর ইমরান খানের পিটিআইয়ের নেতৃত্বাধীন জোটে ফাটল ধরে। এরপর আস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এর পর থেকে ইমরান খানের নামে একের পর এক মামলা হচ্ছিল। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি হয়।


আরও খবর



শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ বুধবার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে দীর্ঘ নির্বাসন শেষে তিনি বাংলার মাটিতে ফিরে আসেন। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় তিনি বিমানে করে ভারত থেকে তৎকালীন ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন দেশব্যাপী বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করতে নানামুখী ষড়যন্ত্র শুরু করে ঘাতক গোষ্ঠী।

বাঙালি জাতির জীবনে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার। ঠিক এমন এক ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দেশমাতৃকার মুক্তির সংগ্রামে নেতৃত্ব দেওয়ার পবিত্র দায়িত্ব অর্পণ করা হয় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যার হাতে।

সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা। এদিন বিকাল সাড়ে ৪টায় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং বিমানে তিনি ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে তৎকালীন ঢাকার কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

বঙ্গবন্ধুর কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে সেদিন রাজধানী ঢাকা মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া আর প্রচ- ঝড়বৃষ্টিও সেদিন লাখ লাখ মানুষের মিছিলকে গতিরোধ করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে এক নজর দেখতে সেদিন সারা বাংলাদেশের মানুষের গন্তব্য ছিল রাজধানী ঢাকা। স্বাধীনতার অমর স্লোগান, ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে প্রকম্পিত হয় বাংলার আকাশ-বাতাস। জনতার কণ্ঠে বজ্রনিনাদে ঘোষিত হয়েছিল ‘হাসিনা তোমায় কথা দিলাম পিতৃ হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে আমরা আছি তোমার সাথে’। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’।

ঢাকার আকাশে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানটি দেখতে পেয়েই সব নিষেধ অগ্রাহ্য করে হাজার হাজার মানুষ বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকে পড়ে। অনেকটা ঝুঁঁকি নিয়েই বিমানটি অবতরণ করে। বিকাল ৪টা ৩২ মিনিটে শেখ হাসিনা সিঁড়ি দিয়ে একটি ট্রাকে নেমে আসেন। কুর্মিটোলা থেকে অল্প দূরত্ব শেরেবাংলা নগরে এসে পৌঁছতে শেখ হাসিনার সময় লাগে ৩ ঘণ্টা। পরে শেরেবাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘আমার আর হারাবার কিছুই নেই। পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সবাইকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

কর্মসূচি : শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আজ বেলা ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা বক্তব্য দেবেন। সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি।

এ ছাড়াও মসজিদ, মন্দির, প্যাগোডা, গির্জাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দেশব্যাপী বিশেষ প্রার্থনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। বেলা ১১টায় মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ (৩/৭-এ সেনপাড়া, পর্বতা, মিরপুর-১০)-এ খ্রিস্টান সম্প্রদায়, সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং সকাল ১০টায় ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ’৭৫ পরবর্তী বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছেন এবং তার নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকা-ের পর শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন একটি যুগান্তকারী ও তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। তিনি গত চার দশকের বেশি সময় আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।

দিবসটি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণের জন্য সারাদেশে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।

গতকাল মঙ্গলবার নেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যবর্তন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান করে যুবলীগ। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। মঙ্গলবার দুপুরে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব কনভেনশন হল (বিএসএমএমইউ) ও শাহবাগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।


আরও খবর



চুম্বনদৃশ্যে অভিনয়ে আপত্তি, ছেড়েছেন অনেক ছবি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৬ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:টলিউড অভিনেত্রী বাসবদত্তা চট্টোপোধ্যায়। সিনেমায় অভিনয় করলেও টেলিভিশন ধারাবাহিকেই তাকে বেশি দেখা যায়। তার অভিনয় দক্ষতা যতটা, তার চেয়ে কম কাজে তাকে দেখা যায় বলে মনে করেন অনেকেই। এসব বিষয়েই তিনি কথা বলেছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে।  

শুটিংয়ের সেটে কখনো রাগারাগি করেছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে বাসবদত্তা বলেন, ‘হ্যাঁ, বহুবার করেছি। আমার সামনে কোনো পরিচালক, প্রযোজক, প্রোগ্রামার আছে তাতে কোনো যায় আসে না। হয়তো বাজে ভাষা ব্যবহার করিনি। তবে ভুল দেখলে আমি আমি চুপ থাকি না। ভুলটা স্বীকার করলেই মিটে যায়। এ জন্য অনেকে মনে করেন আমি ঠোঁটকাটা, নাকউঁচু। সেই ভাবনা আমায় খুব একটা প্রভাবিত করে না।

তিনি বলেন, ‘আবার অনেক সময় যে দিন ছুটি চেয়েছি সে দিনই যদি আমার ডেট দরকার হয়, তখন কথা কাটাকাটি তো হবেই। আর আমি আগে থেকে ছুটি নিয়েছি, তার পর যদি শেষ মুহূর্তে আমাকে আসতে বলা হয়, আমি বাড়িতে বসে থাকব তবু ডেট দেব না।

কিন্তু ১৩ বছরের ক্যারিয়ারে এত কম সিনেমা বা সিরিয়াল করেছেন। ধীর গতিতে এগোচ্ছেন বলে মনে হয়- এ প্রশ্নের জবাবে অভিনেত্রী বলেন, ‘দোষ কিছুটা আমার। আমি বেছে কাজ করতেই পছন্দ করি। তিনটি সিরিয়ালে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছি। একটা সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর নিজের জন্য একটু সময় দরকার হয় আমার। আবার অনেক ক্ষেত্রে এমনও ঘটেছে কাজের কথা অনেক এগিয়ে যাওয়ার পরেও কাজটা আর হয়নি।

এমন ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে বাসবদত্তা বলেন, ‘আমার সঙ্গে এমন ঘটনা প্রচুর হয়েছে। বর্তমানে তারা প্রথম সারির পরিচালক। বড় ব্যানারে ছবি তৈরি করছেন। তারাই এমনটা করেছেন। একজনের নাম নিতে চাই না। আমি তখন ‘‘নেতাজি’’ সিরিয়াল করছি। তিনি দুই বছর ধরে আমার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলেন। শুটিংয়ে কত দিন আমাকে দরকার, সেটাও কথা হয়ে গেল। চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল যে চরিত্রটি আমিই করছি। সেটে আমি কথাও বলে রাখলাম।

তিনি বলেন, ‘দুইদিন পরে আমি পত্রিকায় পড়েছি সেই পরিচালক অন্য অভিনেত্রীকে নিয়ে ছবির কাজ শুরু করে দিয়েছেন। তারপর আমি তাকে মেসেজ করে লিখেছিলাম, আপনি যেটা করলেন, আমি আর কখনো আপনার সঙ্গে কাজ করব না। এখানে জানানোর ভদ্রতাটুকু মানুষের নেই।

সিরিয়াল, সিনেমায় তো কাজ করেছেন। ‘ওটিটি’ প্ল্যাটফর্মে কাজের সুযোগ এসেছে কি না, জানতে চাইলে বাসবদত্তা বলেন, ‘ওটিটির থেকে কাজের সুযোগ কম এসেছে। যখন ‘‘মন নিয়ে কাছাকাছি’’ সিরিয়ালটিতে অভিনয় করতাম তখন ‘‘হইচই’’ থেকে বেশ কিছু কাজের সুযোগ আসে। কিন্তু ওদের কনটেন্ট আমার জন্য ঠিক নয় বলে মনে হয়েছিল। তাই না করে দিয়েছিলাম।

চরিত্র বাছাইয়ে সময় আপনি কি অনেক শর্ত রাখেন? ছোট পোশাক পরা বা চুম্বনদৃশ্যে অভিনয় করতে নারাজ? এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, তা আপনি বলতেই পারেন। হাঁটুর উপরে পোশাক পরতে আমার তেমন সমস্যা নেই। তবে দৃশ্য নিয়ে সমস্যা আছে। যেমন উদাহরণ দিই। ‘‘উড়োজাহাজ’’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য আমাকে ডেকেছিলেন বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত। দেখাও করেছিলাম। কিন্তু সেখানেও একটি দৃশ্য ছিল, যেটা শুনে বলেছিলাম আমি ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে পারব না।

এ অভিনেত্রী বলেন, ‘এমন আরও একটি কাজ এসেছিল, যেখানে একটি ‘‘লিপলক’’-এর দৃশ্য ছিল। তাই সেটাও না করে দিই। আমার নিজের কিছু নীতি আছে সেটা থেকে সরতে পারব না। এত কিছুর পরেও তো ভালো কাজ করছি।


আরও খবর

মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন ফেরদৌস

বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩




যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য কি না এবং ওই প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে এসব তথ্য দাখিলের জন্য মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘গত ১১ মার্চ দৈনিক পত্রিকায় ‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু জবাব না পেয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করি। গতকাল রোববার এ রিটের শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতকে বলেছি, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নদী খননের কথা বলছেন। সরকারের নির্দেশনা হলো, নদী কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটা দেখা। এ ছাড়া নদী রক্ষার পক্ষে আইন ও হাইকোর্টের রায় রয়েছে। তা না করে কিছু কর্মকর্তা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ ধরনের প্রকল্প নেন কীভাবে? পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান দাউদকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা চেয়েছেন। এ ছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানির দিন থাকতে বলেছেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন।


আরও খবর