Logo
আজঃ শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৮ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৩৯জন দেখেছেন

Image
তানোর(রাজশাহী)প্রতিনিধি : নানা প্রতিকুলাতার মাঝেও কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম  রক্ত ঘামের রোপা আমনের বাম্পার ফলন হচ্ছে রাজশাহীর তানোরে। অনেক শংকায় ছিল উপজেলার কৃষকরা। কারন রোপনের সময় ছিল না বৃষ্টির পানি, সবকিছুর বাড়তি দাম। কিন্তু মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে রক্তঘামের সেই সোনালী ধান বাড়ির আঙ্গিনায়। বিঘায় ২২ থেকে ২৪ মন করে ফলন হচ্ছে, ধানের রংও সোনালী, কোন খাত নেই, বাজার দাম ভালো। ফলে শংকার মাঝেও কিছুটা হলেও হাসির ঝিলিক বিরাজ করছে কৃষকের মুখে। এদিকে শীতের আমজে ধান কাটা প্রায় শেষ, মাড়ায়, বোরো বীজ তলাসহ আলুর জমি তৈরিতে প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক কৃষকরা। আর ধান কাটার  জন্য মুল ভরসা বহিরাগত শ্রমিক। মুলত এজন্যই দ্রুত কাটা শেষ হয়েছে।  দিনরাত সমান তালে চলছে কৃৃষি কাজ। ধম ফেলার সময় নেই উপজেলার কৃষক শ্রমিক ও কৃষানীদের। অবশ্য ধান মাড়ায়ের জন্য বাড়ির খৈলানে বড় বড় পালা শোভা পাচ্ছে। তবে আলু ও বোরো চাষের জন্য সার পাওয়া নিয়ে শংকিত চাষীরা। চারদিকে সবকিছুর হাহাকার থাকলে সুষ্ঠ ভাবে মাঠের ধান আঙ্গিনায় আসায় তুষ্ট কৃষানীরা।
কৃষি শ্রমিক মুস্তফা জানান, আলু রোপনের জন্য নিমেষেই মাঠ থেকে ধান কাটা শেষ হয়ে গেছে। এখন চলছে মাড়ায়ের কাজ। রাতে মাড়ায় দিনে আলুর জমি তৈরি, বোরো বীজতলা তৈরিতে প্রচুর ব্যস্ত সময় পার হচ্ছে। ধানের যেমন ফলন, কালার, তেমনি দামও পাচ্ছেন কৃষকরা।

উপজেলার কামারগাঁ মাদারিপুর এলাকার কৃষক, আব্দুল, লুৎফর, আইয়ুবসহ অনেকে জানান, ধানের বাম্পার ফলন হচ্ছে। এবার খরচও দ্বিগুন হয়েছিল। এখন আলু বোরো রোপনের জন্য কৃষকরা সার পাচ্ছে না। বাড়তি দামেও মিলছে না সার। বিশেষ করে আলু রোপনের সময় পটাশ ও ডিএপি সার প্রচুর লাগে। কিন্তু দিনরাত ঘুরেও  পটাশ সার মিলছে না। গত রোববার সোমবারে বলা হল বৃহস্পতিবারে পটাশ সার আসবে, কিন্তু এখন বলা হচ্ছে ২৭ নভেম্বরের আগে কোনভাবেই পটাশ সার পাওয়া যাবে না। আবার রাতের আধারে পটাশ ও ডিএপি সার পাচার হচ্ছে। যারা ১০০. ৫০০ কিংবা ১০০০ বিঘা আলুর প্রজেক্ট করবে তাদের সারের কোন সমস্যাদি নেই। শুধু সমস্য আমাদের মত প্রান্তিক কৃষকদের।পাচন্দর ইউপির কৃষক মুন্জুর জানান, আমনের ফলন ভালো হয়েছে, দাম ভালো পেয়ে কৃষকদের মাঝে আনন্দ বিরাজ করছে।  দীর্ঘ দিন ধরে আলুর চাষাবাদ করে আসছি। কিন্ত ব্যতিক্রম এবারে। ২৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করব। কিন্তু এখনও সার মিলছে না। কয়েক ডিলারের কাছে ধরনা দিয়েও মিলছে না। অথচ অনেকের বাড়িতে দোকানে সার মজুদ করে রেখেছে। সারের অভাবে আলু চাষ নিয়ে শংকিত।

তালন্দ এলাকার এক প্রান্তিক কৃষক জানান, ন্যায্য দামে সার কিনতে সপ্তাহ ধরে ঘুরেও মিলেনি। এজন্য আসা ছেড়ে দিয়েছি। অথচ রাত ১১ টা ১২ টা আবার ভোর ৪ টা ৫ টার দিকে সার পাচার করছে প্রতিনিয়ত। আর আমরা গেলে বলা হচ্ছে এখন না তখন এভাবে দিনের পর দিন প্রতারনা করছে।পৌর সদর এলাকার এক আলু চাষী জানান, তানোর পাড়া গ্রামের সার ব্যবসায়ী গণির কাছে অফিস থেকেই ১০০ বস্তা পটাশ সার রাখা আছে। কৃষি অফিস থেকে অর্ডার হলে দিচ্ছে তাছাড়া দেওয়া হচ্ছে না। এসব নাকি ভিআইপি মৌসুমী আলু চাষীদের জন্য। রোপা আমন পার হয়েছে তো আলুর সার নিয়ে সিন্ডিকেটের শেষ নেই। ধানের ফলন ভালো পাওয়ায় অনেকে আলু চাষ করবেন, কিন্তু সারের অভাবে অনেকেই সেই সিদ্ধান্ত থেকে রেরিয়ে এসেছে।

বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ধানের মাঠ থেকে ধান কাটা উত্তোলন শেষ। আলুর জন্য জমি তৈরির কাজ চলছে দিনরাত। এক প্রকার প্রতিযোগিতা চলছে কে আগে চাষ করতে পারে, বা কার জমি আগে রোপন হবে। 
কৃষক মফিজ, জাইদুর, মতিসহ অনেকে জানান, এত ফলন হবে কল্পনা করা যায়নি। কারন সময়মত বৃষ্টির পানি, সার না পাওয়ার কারনে ফলন নিয়ে হতাশায় ছিল। কিন্ত বাম্পার ফলন। প্রতি বিঘায় উর্ধ্বে ২৫ মন নিম্মে ২২ মন করে ফলন হচ্ছে। ধানের বাজার যেমন আশানুরূপ, তেমনি খড়ের দামও ভালো। কিন্তু সব ভালো হলেও সার নিয়ে দূর্ভিক্ষ চলছে। বিগত সময়ে এক বিঘা জমিতে যদি ৭/৮ হাজার টাকা খরচ হলেও এবারে দ্বিগুন খরচ করেও লাভ হচ্ছে।
গুবিরপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জানান, ধান কাটা মাড়া শেষ, দুবিঘা জমিতে আলু চাষ করব। এজন্য তালন্দ বাজারে লাবনী ট্রেডার্স মালিক গণেশের কাছে তিন বস্তা পটাশ নিতে চাইলে ৪ হাজার টাকা দাম নিবে। দু একশো টাকা বেশি হলে মানা  যায়, কিন্তু এতো বেশি দামে কিনে আবাদ করার সামর্থ্য নেই।
মোহনপুর উপজেলার ঘাষিগ্রাম এলাকার কৃষক আক্তার জানান, আলুর জমি চাষ হয়ে গেছে। বিগত প্রায় ১৫ দিন ধরে পটাশ ও ডিএপি সার পাচ্ছিনা। যে ডিলারের কাছে যাচ্ছি সে দাম চাচ্ছে দিগুন। নিলে নাও না নিলে বিদায় হও। মনে হচ্ছে তারাই সারের নিয়ন্ত্রক। আবার অনেকে বলছি সরকারি ভাবে বরাদ্দ নেই। কিন্তু প্রতিদিন কেশরহাট থেকে তানোরে বাড়তি দামে পটাশ ডিএপি সার পাচার হচ্ছে। আমনের ভালো ফলন হলেও যে আবাদে বেশি লাভ, সেই আলু সারের জন্য চাষ করতে না পারলে কঠিন সমস্যায় পড়তে হবে। যদি সার শংকট হত তাহলে বাড়তি দামে কিভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এসব রাঘব বোয়াল ডিলারদের চরম সিন্ডিকেট। তারা কৃষকদের ভুলভাল বুঝিয়ে খেপিয়ে দিচ্ছেন সরকারের বিরুদ্ধে। যার প্রভাব প্রতিটি ঘরে ঘরে। সরকারের সব অর্জন ম্লান করে দিয়েছে সিন্ডিকেট চক্র।

উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, এবারে উপজেলায় ২২ হাজার ৬৩৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৫ দশমিক ৫০ মে:টন ফলন ধরা হয়েছিল। কিন্তু এর বেশি ফলন হবে। প্রায় দেড় লক্ষ মে: টন মত ফলন হবে বলে আসা করছি।  উপজেলার জনসাধারনের চাহিদা প্রায় ৫২ হাজার মে:টনের মত, উদ্বৃত্ত  দ্বিগুন  বেশি ফলন আসবে। যেহেতু ধান কাটা শেষ হলেও মাড়ায় চলছে। মাড়ায় শেষ হলে সঠিক হিসেব পাওয়া যাবে। ফলন ভালো হওয়ার আরেকটি কারন, সেটা হচ্ছে একাধিক মাঠ দিবস, সার্বক্ষনিক তদারকি, যেখানেই সমস্য সেখানে গিয়ে সঠিক পরামর্শ দেওয়ার কারনে রোগ বালা তেমন ছিল না। আর আবহাওয়া অনুকুলে ছিল। এটাও ফলন ভালো হওয়ার আরেকটি নিয়ামত বলেও ধারনা এই কর্মকর্তার।


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর



ডিএমপির নতুন পরিকল্পনা ঈদে ঢাকায় অপরাধ দমনে

প্রকাশিত:সোমবার ০৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৮৫জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকায় ঈদের ছুটিতে অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদে ফাঁকা ঢাকায় বাসাবাড়িসহ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে চুরি-ডাকাতি রোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সময় সোনার দোকান ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা বেশি ঘটে। তবে, এবার অপরাধীরা সেই সুযোগ পাবে না। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মালিক ও নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। এসব অপরাধের সঙ্গে কোনো নিরাপত্তাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকার সম্ভবনা আছে কিনা সেটাও খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।

রোববার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদরদপ্তরের উপকমিশনার (ক্রাইম) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশে চুরি ও ছিনতাইসহ ঈদ কেন্দ্রিক সব ধরণের অপরাধ দমনে ৩৩টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ডিএমপির প্রতিটি বিভাগকে এ নির্দেশনা পালন করতে বলা হয়েছে।

ঈদ ও ঈদ পরবর্তী মহানগরীর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় করণীয় নির্দেশা হলো–

১. নিরাপত্তা পরিকল্পনায় মোতায়েন সব অফিসার ও ফোর্স সন্দেহজনক ব্যক্তির দেহ ও অন্যান্য বস্তু সৌজন্যতার সঙ্গে তল্লাশি করবেন।

২. ঈদগাহ প্রাঙ্গণ ও আশপাশ এলাকায় যেন কোনো ভিক্ষুক ও হকার প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করবেন।

৩. সন্দেহজনক বা জরুরি কোনো বিষয় অবগত হলে তা অতি দ্রুত সময়ে হাইকোর্ট অভ্যন্তরে সাব-কন্ট্রোলরুম বা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে জানাতে হবে।

৪. ঈদের ছুটির সময় দৃশ্যমান পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিদিনই এলাকা ও স্থান পরিবর্তন করে কার্যকর চেকপোস্ট পরিচালনা করতে হবে। এসব চেকপোষ্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৫. মোটরসাইকেল বিরোধী অভিযান এ সময় জোরদার করতে হবে। ট্রাফিক ও অপরাধ বিভাগ যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করবেন। তিনজন আরোহী কোনক্রমেই চলাচল করতে পারবে না।

৬. ঈদের ছুটিতে রাজধানী খালি হয়ে যায়। যানচলাচল সীমিত হয়ে পড়ে। এ সুযোগে কিছু যুবক উচ্চ গতিতে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। এ প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক চেকপোষ্ট, তল্লাশি ও গাড়ি চেকিং কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

৭. ছুটিকালীন সময়ে ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ছাদ ছিদ্র করে, সিধ কেটে চুরি, ডাকাতির আশংকা থাকে বিধায় ব্যাংক, স্বর্ণের দোকানের ওপরে ও আশপাশের এলাকায় যারা বসবাস করে তাদের প্রতি বিশেষ নজরদারি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৮. ছুটিকালীন সময়ে বিভিন্ন ব্যাংকের বুথে সংঘবদ্ধ চক্র দ্বারা অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে বিধায় অনাকাঙ্ক্ষিত চুরি-ডাকাতি, হত্যার ঘটনা প্রতিরোধে সিকিউরিটি গার্ডদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

৯. বাসাবাড়ি, অফিস-আদালত, মার্কেট, ব্যাংক, স্বর্ণের দোকান ও বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে নিজস্ব প্রাইভেট সিকিউরিটি দ্বারা নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে হবে।

১০. প্রতিটি থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্টসহ দৃশ্যমান পুলিশি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাতে থানার মোবাইল প্যাট্রোলসমূহ হুটার বাজিয়ে টহল দিবে। ছুটিকালীন সময়ে বাসা পরিবর্তনের নামে বাসাবাড়ির মালামাল যাতে চুরি না হয় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১১. চেকপোস্ট চলাকালীন সময়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করার পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ছুটিকালীন সময়ে বেপরোয়া যানবাহন চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

১২. প্রতিটি থানা থেকে প্রতিদিন তিনটি মোটরসাইকেল মোবাইল টিম টহল ডিউটি করবে। প্রতিটি টিমে এক সঙ্গে তিনটি মোটরসাইকেল থাকবে। প্রতিটি মটরসাইকেলে একজন এসআই, একজন এএসআই অস্ত্রসহ ও একজন কনস্টেবল শর্টগানসহ মোতায়েন করতে হবে।

১৩. ঢাকা মহানগরীর প্রবেশ ও বাহির পথসমূহে ২৪ ঘণ্টা চেকপোস্টের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ঈদ পরবর্তী সময়ে সকল থানা এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় চেকপোস্ট কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে।

১৪. নিরাপত্তা ডিউটিতে নিয়োজিত যেকোন ফোর্স মোতায়েন হওয়ার পূর্বে ইনচার্জ অফিসার তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে যথাযথ ব্রিফিং প্রদান করবেন।

১৫. ঈদের দিন থেকে সব বাণিজ্যিক বিপনীবিতান ও স্বর্ণের মার্কেটে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার। মার্কেট মালিক সমিতির মাধ্যমে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও মালিক সমিতি কর্তৃক তদারকি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

১৬. সব ব্যাংক এবং এটিএম বুথের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা। এ সংক্রান্তে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের সঙ্গে সভা করে তাদেরকে নিরাপত্তা টিপস প্রদান করতে হবে।

১৭. আবাসিক এলাকায় পুলিশের মোবাইল প্যাট্রল গমনা-গমন নিশ্চিত করাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ফুট প্যাট্রলের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অতিরিক্ত গাড়ি প্রয়োজন হলে উপকমিশনার (পরিবহন) সরবরাহের ব্যবস্থা করবেন।


আরও খবর



ঘাটাইলে চোরাই গরু ও গাড়ি রেখে পালালো চোর

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯জন দেখেছেন

Image
সবুজ সরকার সৌরভ,ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের ঘাটাইলে পাচটি গরুসহ গাড়ি রেখে পালিয়েছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ সময় স্থানীয় উৎসুক জনতা গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। জ্বলছে গরু চুরিতে ব্যবহৃত ট্রাকটি।২৪শে এপ্রিল (বুধবার) সকালে উপজেলার জামুরিয়া ইউনিয়নের গালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাঁচটি গরু বোঝাই একটি মাঝারি ট্রাক রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যায়। এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে গাড়িটিকে ধাওয়া করে গাড়ির ড্রাইভারের রাস্তা পরিচিত না হওয়ায় গাড়িটি জামুরিয়া ইউনিয়নের আঞ্চলিক সড়কের গালা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয় লোকের বেশি জমায়েত দেখে গাড়ি রেখে ড্রাইভার এবং চোরের দল পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় উৎসুক জনতা গাড়ি থেকে গরু নামিয়ে গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এখনো গরুর মালিকের খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে গরুগুলো এলাকাবাসীর হেফাজতে রয়েছে।

ঘাটাইল থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত সজল খান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এগুলো চোরাই গরু। চোর চক্র হয়তো কোথাও থেকে চুরি করে নেওয়ার সময় ধরা পড়ার ভয়ে রেখে পালিয়ে গেছে। ঘটনাটি তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের অভিযানও অব্যাহত রয়েছে।

আরও খবর



খবর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মামুনুল হাসান টিপু সাহেবের বড় ভাই মারা গেছেন

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image
তরিকুল ইসলাম:খবর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মামুনুল হাসান টিপু সাহেবের বড় ভাই মোহাম্মদ অলি মিয়া মারা গেছেআজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা চার মিনিটে নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনমরহুমের জানাজার নামাজ আগামীকাল বাদ জুম্মা দাফন করা হবে নিজ গ্রামে তার এই মৃত্যুতে খবর প্রতিদিনের পরিবারের পক্ষ থেকে গভীর শোক

আরও খবর



গাংনীতে তিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৩জন দেখেছেন

Image

মেহেরপুর প্রতিনিধি ঃ মেহেরপুরের গাংনীতে সাহারবাটি ও ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদের শুন্য হওয়া তিনজন সদস্যদের শুন্য হওয়া সদস্যদের নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়া সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে নির্বাহি অফিসার প্রীতম সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ২ (  গাংনী ) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ নাজমুল হক সাগর, বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র আহমেদ আলী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন। । অনুষ্ঠানে সহকারী কমিশনার ভুমি নাদির হোসেন শামীম সহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ ও বিভিন্ন সরকারি ূপ্তরের কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ষোলটাকা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডে নবনির্বাচিত সদস্য তাহিরুল ইসলাম তুহিন, সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের দুই নম্বর ওয়ার্ডে মহিবুল ইসলাম ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে আবুল বাশার শপথ গ্রহণ করেন। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাজমুল হক সাগর নবনির্বাচিত সদস্যদের উদ্দেশ্যে  বলেন, জনগণের ও সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে স্বচ্ছতা,দায়িত্বশীল হতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সরকারের সবচেয়ে তৃনমুল সংগঠন হিসেবে তার সদস্য হিসেবে আপনারা সরকারের সকল উন্নয়ন কাজে অংশগ্রহণ করবেন এবং জনগনের সুবিধা জন্য কাজ করবেন। দলমত সকল শ্রেণির মানুষের জন্য কাজ করার আহবান জানান তিনি।


আরও খবর