Logo
আজঃ সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম
রাশিদা আক্তার শান্তার উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা যশোরে সর্বোচ্চ ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত জয়পুরহাটে আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড তাহিরপুরে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে কোটি টাকার মালামাল পাচাঁরের অভিযোগ ডোমার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৮জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর দৌড়ঝাঁপ টিপু-প্রীতি হত্যা: ৩৩ জনের বিচার শুরু থাইল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ প্রজন্মকে দক্ষতা ও যোগ্যতায় স্মার্ট মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

আজ থেকে ১ ঘণ্টা বেশি সময় চলবে মেট্রোরেল

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আজ থেকে ১ ঘণ্টা সময় বাড়ল মেট্রোরেল চলাচলে। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর ইস্কাটনে মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

তিনি জানান, মেট্রোরেল রাত ৯টার পরেও চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ সিদ্ধান্ত আজ বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে। তিনি বলেন, ১৬ রমজান (বুধবার) থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়াবে রাত ৯টায় এবং মতিঝিল স্টেশন থেকে সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে।

তিনি বলেন, ১৬ রমজান থেকে ঈদুল ফিতরের আগের দিন পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচলের সময়সীমা এক ঘণ্টা বাড়বে। সেই সময় আরও ১০টি ট্রেন চলাচল করবে। এতে সেই সময় দিনে মেট্রো চলাচলের সংখ্যা হবে ১৯৪ বার। সেই সময় যাত্রী চলাচল করতে পারবেন দিনে ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫২ জন।

বর্তমানে মেট্রোরেল চলাচল করছে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত। পিক আওয়ারে (সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা এবং বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা) প্রতি ৮ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।


আরও খবর



এনএসআইয়ের নতুন ডিজি হোসাইন আল মোরশেদ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৪২জন দেখেছেন

Image

মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদকে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এই আদেশ জারি করে।

ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।


আরও খবর



পৌর মেয়রের অপসারণ দাবীতে ১৪ কাউন্সিলর সহ হাজারো মানুষের বিক্ষোভ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:অনিয়ম, দূর্ণীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও অদক্ষতার অভিযোগ তুলে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবীর  অপসারনের দাবীতে একাট্টা হয়েছেন প্যানেল মেয়র সহ পরিষদের ১৪ কাউন্সিলর। তারা গত ২৩ মার্চ স্হানীয় সরকার,  পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী বরাবরে লিখিত অভিযোগ করে, এরপর ৩১ মার্চ শহরের ওয়াবদা মোড়ে বেলা ১২ টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই দাবী তুলে ধরে পৌরবাসীর সহযোগিতা চেয়েছেন। 

এর আগে ২০ মার্চ  রংপুর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক বরাবরেও একই আবেদন করেছেন কাউন্সিলররা। স্ব স্ব কার্যালয়ে গিয়ে এই অভিযোগ জমা দিয়েছেন তারা।দুর্নীতিগ্রস্ত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবির বিরুদ্ধে বারবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও কার্যকর ব্যবস্হা না নেয়ায় ২৮ এপ্রিল সকাল সারে ১১ টা থেকে বেলা সারে ১২ টা পর্যন্ত ১৪ কাউন্সিল সহ প্রায় ৮ শতাধিক নারী পুরুষদের নিয়ে শহর ব্যাপি বিশাল বিক্ষোভ করার পর স্হানীয় প্রেসক্লাব চত্বরে পথসভার আয়োজন করে। সেখানে মেয়রের সকল  দুর্নীতি কর্মকাণ্ড তুলে ধরে অপসারণ দাবী করেন। 

প্যানেল মেয়র শাহীন হোসেনের ওই বিক্ষোভ ও পথসভার আয়োজন করেন। এতে তিনি নিজে সভাপতিত্ব করে মেয়রের অপসারণ দাবীতে বক্তব্য রাখেন ১৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জোবায়দুর রহমান শাহীন, ৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন আকতার, ১১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এরশাদ হোসেন পাপ্পু, ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল খালেক সাবু প্রমুখ। 
বক্তারা বলেন, মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবি,২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকেই বেহায়াপনা চালচলন করতে থাকে।২০২৩ সালে তার আপত্তিকর ভিডিও যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপর চলতি বছরেও একাধিক অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হয় তার।
পৌরসভার উন্নয়নে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হলেও শহর উন্নয়নে কোন কাজই করেন নাই তিনি। নামে বেনামে তিনি প্রতিমানে ১৫ জনের বেতন উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে চলেছেন।প্রতিমাসে যে ৬/৭ টাকা টোল উত্তোলন করা হয়, সে টাকাটাও আত্মসাত করে আসছেন ৩ বছর থেকে মেয়রের সকল অশ্লীল কর্মকান্ড, ভিডিও ও দুর্নীতির তদন্ত সাপেক্ষে স্হানীয় সরকার মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবী করেন তারা।  

অন্যান্য কাউন্সিলরদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্যানেল মেয়র-২ ও ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, ১৩, ১৪ ও ১৫ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রুবিনা সাকিল, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন পারভীন, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর ইয়াসমিন সুলতানা, ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফরহাদ হোসেন, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মানিক, ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জোবায়দুল ইসলাম মিন্টু, ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সৈয়দ মঞ্জুর আলম।

আরও খবর



মেহেরপুরে ঈদের কেনা কাটা ক্রেতারা সকলেই জরি ও চুমকী জরে আক্রান্ত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃদিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই মেহেরপুরের বিপনী বিতানগুলোতে বাড়ছে ভীড়। ধাক্কা ধাক্কি আর ভীড় উপচিয়ে নিজেদের পছন্দের অনুসঙ্গটি কিনছেন বেশ পরখ করে। তবে নারী পুরুষ সকলের পোশাকেই যেন জরি বা চুমকীর ছোঁয়া। এবারের ঈদে সকলেরই এটা ফ্যাশনে পরিনত হয়েছে।

মেহেরপুরের বিভিন্ন বিপনী বিতান ও শপিং মলে গিয়ে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। দেখা গেছে শাড়ীর দোকান গুলোতে শোভা পাচ্ছে বৈচিত্রময় নান্দনিক কারুকাজ, নকশা ও বুননের শাড়ী । বাজার ঘুরে ঘুরে যাচাই-বাছাই করে অনেকে কিনছেন মানানসই আর সবচেয়ে ভিন্ন শাড়ীটি। ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বিপণি বিতান প্রস্তুত নকশার শাড়ী নিয়ে। এবার নারী ও তরুণীদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে সূতী ও জামদানী। তাছাড়া সালোয়ার কামিজের ক্ষেত্রেও সূতি বেশ নজর কেড়েছে। এক হাজার টাকা থেকে ২৭ হাজার টাকা দামের শাড়ীও বিক্রি হচ্ছে। বিশেষ করে ভারতীয় শিফন, কাতান, বেনারশি জর্জেট ও মহিশুরী শাড়ির প্রতি টান সব বয়সী তরুণী ও নারীদের।

থ্রী পিচের ক্ষেত্রে সকলের পছন্দ আলাদা আলাদা। পাকিস্তানী কামিজ, আফগান আলিয়াট গাউন, ভারতীয় বিপুল, ভিয়েনা শালিকা ও দেশী ব্রান্ড পদ্মজা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে সকলের পছন্দে ভিন্নতা থাকলেও এক জায়গাতে সকলেই সমান। সেটি হচ্ছে- সকল পোশাকেই যেন জরি ও চুমকী ছোঁয়া চাই চাই ই। বিশেষ করে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের অভিনেত্রীদের পোশাকের সাথে অনেকটা মানানসই। তবে নির্দিষ্ট পোশাক জ¦রে কেউ আক্রান্ত নয়।

গাংনী এসএম প্লাজার কাজল বস্ত্রালয়ের স্বত্ত্বাধিকারী কাজল জানান, এবারে বেচা বিক্রি শুরু হয়েছে রমজানের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে। চাষিরা ফসল ঘরে তুলেছেন আর প্রবাসীরা তাদের পরিবারের জন্য আগেই কেনা কাটার জন্য টাকা পাঠিয়েছেন। তবে এবার ফুটপাত থেকে অভিজাত বিপনী বিতান সবখানেই ভীড় লক্ষণীয়। আভিজাত বিপনী বিতানে যে পোশাক পাওয়া যাচ্ছে একই ধরনের পোশাক রয়েছে ফুটপাতে। তবে গুণগত মানে পার্থক্য রয়েছে।

জামান ক্লথ স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী এমএস জামান জানান, বিভিন্ন বাজারে অবস্থিত দোকানগুলোতে চোখ রাখলেই বোঝা যায়, নারীদের সাথে পুরুষেরাও সমান তালেই টক্কর দিচ্ছেন। বেশ গুছিয়ে, ফ্যাশনে্আর জখবর করেই ঈদ মার্কেটিংয়ে

নামছেন তারা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে নানা দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন মন কাড়া পোশাকটির খোঁজে। তারা সময় ও পরিবেশ বুঝেই পোশাক নির্বাচন করছেন। বিভিন্ন দোকানগুলোও কিশোর আর তরুণদের উপযোগী নানা নকশার ঈদ পোশাক এনেছে। পাঞ্জাবীর গলা বুক আর হাতে রয়েছে নানা কারুকাজ। তরুণদের কাছে এবার চেক শার্ট ও নানা নকশার টি- শার্টের আগ্রহ বেশি। বিশেষ করে জরি ও চুমকীর ছোঁয়া।

শালদহ গ্রামের কলেজ ছাত্রী কেয়া জানান, তিনি একটি আফগান আলিয়াট গাউন কিনেছেন। এতেও চুমকীর ছোঁয়া রয়েছে। গেল বার এ ধরনের পোশাকের দাম কিছুটা কম হলেও এবার দাম একটু বেশি। তবে পছন্দের পোশাকটি কিনতে পেরে বেজায় খুশি।কুষ্টিয়া নার্সিং ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থী ফারজানা জানান, তিনি পাকিস্তানী কামিজ কিনেছেন। তবে জর্জেটের উপর চুমকীর কাজ করা। হাতের কাজ করা তাই দামও একটু বেশি বলে জানিয়েছেন এই ক্রেতা।

গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী জানান, বাজারে যাতে কেউ প্রতারিত না হয় বা চুরি ছিনতাইয়ের ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের কড়া নজরদারী রয়েছে।


আরও খবর



পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে-পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৫জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের মধ্যে সমপ্রীতির বন্ধন গড়ে তুলতে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকল সংস্কৃতির মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারে আমলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাঙ্গামাটি কাপ্তাই উপজেলার সাপছড়ি এলাকার ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থা কর্তৃক আয়োজিত ৭ম মহাসম্মেলন ও ৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল-২০২৪ অনুষ্ঠানে  প্রধান অতিথির বক্তব্যে  প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি এসব কথা বলেন। 

তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায় আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড়ের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় সবদিকেই অনেক দূর এগিয়েছে। আধুনিক সমাজেও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় তাদের কৃষ্টি, কালচার এবং ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। এটি প্রশংসার দাবীদার।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসন হতে রাঙ্গামাটির তঞ্চঙ্গা সম্প্রদায়ের জ্বরতী তঞ্চঙ্গাকে  সংসদ সদস্য হিসেবে পার্বত্যবাসীকে  উপহার দিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পার্বত্য অঞ্চলে  বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সহাবস্থানকে আরো গতিশীল করবে। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর  স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নব নিযুক্ত সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
 
এর আগে জাতীয় পতাকা উড্ডয়ন ও রঙীন বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি। 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য দীপ্তিময় তালুকদার। সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা। 

সম্মেলনের ১ম পর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি জ্বরতী তঞ্চঙ্গ্যা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদের সদস্য খোকনেশ্বর ত্রিপুরা, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই ছাইন চৌধুরী, কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো: মফিজুল হক প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যাণ সংস্থার সদস্য সচিব উজ্জ্বল তঞ্চঙ্গ্যা।

সম্মেলন এর দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ তঞ্চঙ্গ্যা কল্যান সংস্থার শিল্পিদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া কেন্দ্রীয় কাউনসিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

আরও খবর



জাতীয় ঈদগাহে থাকবে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান,জানিয়েছেন জাতীয় ঈদগাহের জামাতসহ ঢাকার সব ঈদ জামাতে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

হাবিবুর বলেন, প্রধান জামাতে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। জাতীয় ঈদগাহ ও আশপাশের এলাকায় এসবি সদস্যরা ইকুইপমেন্ট দিয়ে ও ডিএমপির ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। পুরো এলাকা সিসিটিভি, ড্রোন পেট্রলিং ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে। পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা প্রবেশপথে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ের মাধ্যমে তল্লাশি করবেন। ডিবি-এসবিসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা সাদা পোশাকে অবস্থান করবেন।

এখন পর্যন্ত ঈদ ঘিরে কোনো ধরনের জঙ্গি তৎপরতার আগাম খবর নেই। তারপরও সকল বিষয় পর্যবেক্ষণ করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে যোগ করেন।

ট্রাফিক ব্যবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে ১০টি জায়গায় পার্কিং ব্যবস্থা করেছে ডিএমপি ট্রাফিক বিভাগ। ঈদ জামাত ঘিরে ৮টি রাস্তা ডাইভারশন দেওয়া হবে, যাতে কোনো রকমের হয়রানি ছাড়া মুসল্লিরা আসতে পারেন। নারীদের জন্য নামাজের পৃথক ব্যবস্থা থাকবে, তাদের নারী পুলিশ সদস্যরা তল্লাশি করবেন।

এ ছাড়া, যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সোয়াট, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট স্ট্যান্ডবাই থাকবে। ঢাকায় ১৮৪টি ঈদগাহে ও ১ হাজার ৪৮৮টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রত্যেকটি ঈদ জামাতের জন্য আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। একটি জামাতও নিরাপত্তা বলয়ের বাইরে থাকবে না।

নাগরিকদের উদ্দেশ্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যারা ঈদের নামাজে অংশ নিতে আসবেন তারা আমাদের তল্লাশি কার্যক্রমে সাহায্য করবেন। কেউ দাহ্য বা ধারালো বস্তু নিয়ে আসবেন না। যেকোনো সমস্যা হলে পুলিশকে জানান। জামাত থেকে বের হওয়ার সময় ধৈর্যের সঙ্গে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘সারা দেশের সার্বিক ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে ঈদে ডিএমপি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। কেএনএফের বিষয় পাহাড়ে, ডিএমপি এলাকায় কোনো শঙ্কা নেই। যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে কেএনএফের সংশ্লিষ্টতা ছিল তাদেরও তৎপরতা নেই।

বাসের বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা বাস মালিক সমিতি ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার মিটিং করেছি। সবাই বলেছেন, তারা কোনোভাবেই সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে বাড়তি ভাড়া নেবেন না।

তিনি আরও বলেন, ডিএমপি এলাকার কাউন্টারগুলোতে সার্বক্ষণিক পুলিশি প্রহরা রয়েছে, যেন অভিযোগ আসলে ব্যবস্থা নিতে পারি।


আরও খবর