Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4
শিরোনাম

আইইউবি র শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে গতবারের ন্যায় এবারো সরস্বতীপূজার প্রস্তুতি

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ১৬৫জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার : সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পূজা আগামী সপ্তাহে। বিদ্যা, জ্ঞান, কলা ও শুদ্ধতার প্রতীক হিসেবে দেবী সরস্বতীর পূজা করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। 

বাংলাদেশের প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজা হলেও বেসরকারি ইউনিভার্সিটি ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের আসন্ন সরস্বতী পূজা আয়োজনের অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জানুয়ারির শেষদিকে পূজা আয়োজনের লিখিত অনুমতি চাওয়া হলেও গত সপ্তাহে তাদের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চর্চা করছে সর্বস্তরের জনগণ এবং ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

প্রতি বছর বার বার আবেদন পত্র দিলেও আশানরূপ কোনো প্রতিকার না আসায়, গতবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের চাপ অগ্রাহ্য করে শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পরে ক্যাম্পাসের বাহিরে রমনা কালী মন্দিরে প্রথমবার পূজো করে। গতবছরের ন্যায় এবছর ক্যাম্পাসের অদূরে ভাটারায় সরস্বতীপূজার আয়োজন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনাতনী শিক্ষার্থীরা। এই উপলক্ষ্যে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ২য় বারের মত জ্ঞান, বিবেক ও বিদ্যাময়ী মা সরস্বতী দেবীর পূজা অর্চনার মধ্য দিয়ে এক মহোৎসবের আয়োজন করতে যাচ্ছে।

সরস্বতীপূজা দুর্গাপূজার মতোই সর্বজনীন পূজা। দলমত-নির্বিশেষে শিশু-বৃদ্ধবনিতা সরস্বতীপূজায় অংশগ্রহণ করে। মায়ের কাছে বিদ্যা চাইতে সবাই জোড় হাত তুলে প্রণাম করে। মা তো বিদ্যার দেবী, তাই তাঁর কাছেই বিদ্যা চাইবে সবাই। বিদ্যা যদি না পাই, তবে তো পূর্ণাঙ্গ মানুষ হতে পারব না। একজন পরিপূর্ণ মানুষ হতে হলে বিদ্যার বিকল্প নেই। আচার-আচরণ, স্বভাব-প্রকৃতি সবকিছুই পরিপূর্ণতা পায় বিদ্যার গুণে। তাই বিদ্যার দেবীকে অঞ্জলির মাধ্যমে নিবেদন করে শিক্ষার্থীরা—তাদের মনস্কামনা যেন দেবী সরস্বতী পূরণ করেন, এই প্রার্থনাই পূজার মূলমন্ত্র।

সরস্বতীপূজা যে শুধু হিন্দুধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের নিয়েই হয় তা কিন্তু নয়, তাদের সঙ্গে ধর্মবর্ণ-নির্বিশেষে সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ থাকে এ পূজার আকর্ষণীয় দিক। পূজামণ্ডপে ছেলেমেয়েদের সুন্দর সাজে সজ্জিত হয়ে গান, আরতি, অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ, রঙিন সাজে ধূপধূনা আর ফুল দিয়ে অঞ্জলি দিতে দেখা যায়। এ দৃশ্য দেখলে মন আনন্দে ভরে যায়, কে হিন্দু, কে মুসলমান, কেই-বা খ্রিষ্টান—বোঝা কঠিন। এ যেন এক মিলনমেলা। তখনই সত্যিকারভাবে ফুটে ওঠে সেই চিত্র—‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’।

পূজার দিনে সকলের কামনা থাকে, দেশটি যেন সত্যিকারভাবেই অসাম্প্রদায়িক চেতনায়, মুক্তিযুদ্ধের আলোকে সাংস্কৃতিক অঙ্গন ভরে থাকে বছরের সারাটা দিন। সরস্বতী দেবীর কাছে সকলের প্রার্থনা যেনো একটিই, ‘মাগো, তুমি বিদ্যা দাও সকলেরে’।

এই  মহোৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করতে সকলের সবান্ধব উপস্থিতি ও সহযোগিতা কামনা করছে পূজো কমিটির সদস্যরা। তাদের চাওয়া, পূজা প্রাঙ্গণ মুখরিত যেনো হয়ে উঠে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের পদচারণায় এবং অন্যতম শক্তি হলো তাদের ক্যাম্পাসের অসাম্প্রদায়িক চেতনা। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন বাংলাদেশ এবং মমতাময়ী শেখ হাসিনা র নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলে সহযোগিতা করে, এটিই সকলের কামনা।

আরও খবর



মধুপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৭৮জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের মধুপুর ও ধনবাড়ী  উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

মধুপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসের আয়োজনে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল)  সকাল ১১ টার দিকে  উপজেলা পরিষদ হলরুমে টাঙ্গাইল জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মতিউর রহমান এর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  টাঙ্গাইল জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী।  

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত মো. শরফুদ্দিন ।  

এসময উপস্হিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী  অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, মধুপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) জাকির হোসাইন, মধুপুর থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা আজিজুর রহমান, ধনবাড়ী থানা অফিসার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান, মধুপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ফারহানা শিরিন, ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মনি সংকর রায় প্রমুখ।

উক্ত মতবিনিময় সভায় ভোটগ্রহন কর্মকর্তাগণদের সুষ্ঠু অবাদ ও  নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের জন্য দিক নির্দেশনা মুলক পরামর্শ প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানটি  সঞ্চালনা করেন উপজেলা শিক্ষা একাডেমিক অফিসার মহি উদ্দিন আলমগীর। 

 -খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ঈদ উদযাপনে পুলিশের ১৮ পরামর্শ

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ১৩৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপনের লক্ষ্যে ১৮টি পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে।

পরামর্শগুলো হলো-

যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

পর্যাপ্ত সময় নিয়ে ঈদের ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন। ভ্রমণকালে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনায় রাখুন।

চালককে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালাতে তাগিদ দিবেন না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে বাসের ছাদে কিংবা ট্রাক, পিকআপ ও অন্যান্য পণ্যবাহী যানবাহনে ভ্রমণ করবেন না।

রাস্তা পারাপারের ক্ষেত্রে জেব্রা ক্রসিং অথবা ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করুন। যেখানে জেব্রা ক্রসিং বা ফুট ওভারব্রিজ নেই সেখানে যানবাহনের গতিবিধি দেখে নিরাপদে রাস্তা পার হউন। প্রয়োজনে পুলিশের সহায়তা নিন। ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বেপরোয়া গতিতে কিংবা লড়ু ৎরফরহম করবেন না। এতে জীবন বিপন্ন হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

অপরিচিত কোন ব্যক্তির নিকট থেকে খাবার খাবেন না।

বাস মালিকদের প্রতি অনুরোধ

অদক্ষ, অপেশাদার, ক্লান্ত বা অসুস্থ চালককে যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ি চালাতে না দেওয়া। চালক যাতে নিয়ম মেনে গাড়ি চালায় এবং ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং না করে সেজন্য চালককে নির্দেশ দেওয়া। বাসে অতিরিক্ত যাত্রী উঠানো যাবে না। ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় বের করা যাবে না।

বাস চালকদের প্রতি অনুরোধ

ওভার স্পিডে গাড়ি চালাবেন না, ঝুঁকিপূর্ণ ওভার টেকিং করবেন না। ক্লান্তি বা অবসাদ বা অসুস্থ অবস্থায় গাড়ি চালাবেন না। ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সবসময় সাথে রাখুন।

আঞ্চলিক সড়ক/মহাসড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে প্রয়োজনে পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোটের যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে নৌযানে উঠবেন না। নৌযানের ছাদে যাত্রী হয়ে ভ্রমণ করবেন না। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌযানে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

যাত্রাপথে ঝড় দেখা দিলে এদিক ওদিক ছোটাছুটি না করে নিজের জায়গায় অবস্থান করুন। স্পিডবোটে ভ্রমণের ক্ষেত্রে লাইফ জ্যাকেট পরিধান করুন।

লঞ্চ/স্টিমার/স্পিডবোট মালিকদের প্রতি অনুরোধ

নির্ধারিত সংখ্যক ও নির্ধারিত গ্রেডের মাস্টার ও ড্রাইভার দ্বারা নৌযান পরিচালনা করুন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় নৌযানের চলাচল বন্ধ রাখুন। নৌযানের মাস্টার ব্রিজে যাত্রী সাধারণের অবাধ চলাচল বন্ধ করার জন্য দু’পাশ অস্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন। লঞ্চে পর্যাপ্ত বয়া রাখুন।

লঞ্চ/ স্টিমার/ স্পিডবোট চালকদের প্রতি অনুরোধ

আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান নিয়ে বন্দর ত্যাগ করুন। ডেকের উপর যাত্রীদের বসার স্থানে মালামাল পরিবহন থেকে বিরত থাকুন। পর্যাপ্ত সংখ্যক বয়া/ লাইফ জ্যাকেট নৌযানে রাখুন।

যাত্রাপথে ঝড়ের আশঙ্কা দেখা দিলে নৌযানকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিন বা তীরে ভিড়িয়ে রাখুন। নৌযানে মোবাইল ফোন ও রেডিও রাখুন এবং নিয়মিত আবহাওয়ার বুলেটিন শুনুন।প্রয়োজনে আবহাওয়া সংক্রান্ত অ্যাপ ব্যবহার করুন।

বৈধ কাগজপত্র বিহীন নৌযান পরিচালনা থেকে বিরত থাকুন।

সকল ফায়ার পাম্প ও অগ্নি নিরোধক যন্ত্রপাতির সঠিকতা নিশ্চিত করুন। দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান সনাক্তকরণের লক্ষ্যে নৌযানসমূহে ১০০-১৫০ ফুট লম্বা দড়ি সম্বলিত বয়া এবং লাইফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা রাখুন।

ট্রেন যাত্রীদের প্রতি অনুরোধ

ট্রেনের ছাদে, বাফারে, পাদানিতে ও ইঞ্জিনে ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণের সময় পাথর নিক্ষেপ সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। ট্রেনে ভ্রমণকালে মালামাল নিজ দায়িত্বে রাখুন। বিনা টিকেটে ট্রেনে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন।

গুজবে বিভ্রান্ত হবেন না। যে কোন তথ্যের সত্যতা যাচাই করতে পুলিশকে অবহিত করুন। জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করুন।

প্রয়োজনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের কন্ট্রোল রুমে ০১৩২০০০১২৯৯, হাইওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৮২৫৯৮, রেলওয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৭৭৫৯৮, নৌ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ০১৩২০১৬৯৫৯৮, র‍্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) ০১৭৭৭৭২০১৯৯ নম্বরে এবং জেলা পুলিশ সুপার ও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর সাথে যোগাযোগ করুন।


আরও খবর



ফুলবাড়ীতে সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দের ২৪লক্ষ টাকা বিতরণ

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ০১ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দিনাজপুর ৫ আসনের সংসদ সদস্য এ্যডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপির বিশেষ বরাদ্দ ফুলবাড়ীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিতরণ করা হয়েছে ।

শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে এমপির বরাদ্দ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে সংসদ সদস্যের পক্ষে চেক বিতরণ করেন ফুলবাড়ীতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান বাবুল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক, সহ- সভাপতি আবুল কাশেম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম ডাবলু, উপজেলা তাঁতীলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, ফুলবাড়ী উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ শাহ মোঃ আব্দুল কুদ্দুস, কাজীহাল ইউপি চেয়ারম্যান মানিক রতন, খয়েরবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক, দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, এলুয়াড়ী ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ মমতাজুর রহমান, দৌলতপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে মোট ২৪ লক্ষ টাকার এই বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এ সময় প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



কুষ্টিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৫৩জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি:কুষ্টিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা লুটপাট, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার, অপরাধী এবং আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানের দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০এপ্রিল) বেলা ৩ টার সময় কুষ্টিয়া সদর মডেল থানার সামনে কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুস্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্মের সভাপতি হাবিবুর রহমান, সহসভাপতি আল আসাদ রেমন, সাধারন সম্পাদক শেখ শুভিন আক্তার, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক খন্দকার মাহাবুব হোসেন মিলন, সাংগাঠনিক সম্পাদক এসএম তৌফিকুল কবির তুহিন, অর্থ সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ শাওন , প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোছাঃ ফাতেমা খাতুন, সদস্য হাবিবা, নীম, নজরুল ও আরিফ প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনে নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কুষ্টিয়া জেলা শাখার  প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কুষ্টিয়া সদরের বটতৈল আনসার ক্যাম্প মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত আব্দুর রহমানের (পুলিশ) মেয়ে মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের বাড়ীর সামনে তার মেসার্স ফাহিম ট্রেডার্স নামক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দোকানে গত ৮ এপ্রিল বেলা সাড়ে এগারটার সময় হামলা চালিয়ে লুটপাট করে এলাকার চিহ্নিত কিছু সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারী। এদিন থানায় অভিযোগ দিলেও তা নিতে বিলম্ব করেন কুষ্টিয়া সদর মডেল থানা পুলিশ। মামলা নং-১৮ , তাং-১১/০৪/২০২৪ইং । এরই মধ্যে উল্টো হামলাকারীদের অভিযোগ এজাহার নিয়ে পুলিশ তার হীন মানুষিকতার পরিচয় দেন । নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সেই সাথে লুটপাট ও হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং অপরাধী ও আসামীদের পাল্টা মিথ্যা মামলা থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে অব্যাহতি প্রদানে পুলিশের প্রতি আহবান জানান। নতুবা আগামীতে জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারের বরাবর স্মারকলিপি প্রদানসহ আরো বড় ধরনের কর্মসূচি গ্রহন করা হবে বলে হুশিয়ারি দেন।

আরও খবর



নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় শিক্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০২ মে 2০২4 | ৬৯জন দেখেছেন

Image

এম এম হারুন আল রশীদ হীরা নওগাঁ প্রতিনিধি:নওগাঁয় ছাত্রী ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত আবুল হাসান (২৫) নামে এক আরবী শিক্ষককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়। বুধবার দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আবুল হাসান বদলগাছী উপজেলার পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। তিনি ওই গ্রামের আরবী শিক্ষক ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আবুল হাসান।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ মে সকাল ৬টার দিকে আবুল হোসেনের বাড়িতে আরবী পড়তে যান একই গ্রামের ভুক্তভোগী ৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী। ওইদিন অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা আসতে দেরী করায় তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। এক পর্যায়ে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা চলে আসলে তাৎক্ষণিক তাকে ছেড়ে দিয়ে সবাইকে আরবী পড়াতে শুরু করেন আবুল হোসেন। পড়া শেষে বাড়িতে গিয়ে পুরো ঘটনা বাবা-মাকে জানায় ওই শিক্ষার্থী। পরে ওইদিনই ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে বদলগাছী থানায় আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টা মামলা করেন। মামলায় তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা থাকায় তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে থানা পুলিশ। এরপর দীর্ঘ শুনানি শেষে ৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ কৌঁসুলী (পিপি) অ্যাডভোকেট আজিজুল হক। তিনি বলেন, এ রায়ের মধ্য দিয়ে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এই বার্তা সমাজে ছড়িয়ে পড়লে অন্য শিক্ষকরা এমন জঘন্য ন্যাক্কার অসামাজিক ঘটনা ঘটানোর আগে অন্তত হাজার বার ভাববে।

আসামীপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, শিক্ষক আবুল হাসান ন্যায় বিচার পাননি। তাই আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।


আরও খবর