তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর পৌর সদর চাপড়া এতিম খানার মিটিংয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ব্যবসায়ী আবুল বাসার সুজন কে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন পৌর কৃষকদলের সদস্য সচিব আফজাল হোসেন বলে নিশ্চত হওয়াা গেছে। তার এমন প্রস্তাবে কয়েকগ্রামের জনসাধারন হট্রগোল শুরু করে সভাপন্ড করে দেন। গত সোমবার ইফতারের আগ মুহুর্ত্বে চাপড়া এতিম খানা চত্বরে ঘটে ঘটনাটি। এখবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকার ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পৌর সদর এলাকার চাপড়া এতিম খানায় প্রতি দুই বছর পর পর কয়েকগ্রাম বাসীকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। সেখান থেকে গ্রহনযোগ্য ধার্মিক ব্যক্তিকে সভাপতি ও সম্পাদক করা হয়। এভাবেই কমিটি গঠন হয়ে থাকে। গত সোমবার বিকেলের দিকে কমিটি গঠনের জন্য সভা আহবান করা হয়। সেই সভায় পৌরসভার কৃষকদলের আহবায়ক চাপড়া গ্রামের আফজাল হোসেন ব্যবসায়ী আওয়ামীলীগ নেতা আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। তার এমন প্রস্তাবে চাপড়া,ধানতৈড়সহ কয়েকগ্রামের বাসিন্দারা উত্তেজিত হয়ে হট্রগোল ধাক্কাধাক্কি শুরু করে দেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে বর্তমান সভাপতি জসিম উদ্দিন ও সম্পাদক শিক্ষক জিল্লুর রহমান সভা বাতিল করে দেন।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সম্পাদক চাপড়া স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান জানান, চাপড়া, ধানতৈড়, মিরাপাড়া,আড়াদিঘিসহ কয়েক গ্রামের মানুষের একান্ত সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। প্রতি দুই বছর পরপর মিটিংয়ের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হয়। সোমবারের মিটিং য়ের এক পর্যায়ে আফজাল আবুল বাসার সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দেন। এমন প্রস্তাবের সাথে সাথে লোকজন প্রচুর উত্তেজিত হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, চাপড়া এতিম খানা কোন রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান না। কারো একক কথায় কোন কিছু হয় না। কয়েকগ্রামের সামাজিক ভাবে গ্রহনযোগ ব্যাক্তিদের কমিটির সদস্য করা হয় এবং সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি সম্পাদক নির্ধারন করা হয়। আবুল বাসার সুজন সম্মানী ব্যক্তি তিনি যদি সভাপতি হতে চান সরাসরি প্রস্তাব করতেন। সেটা না করে তার হাটের কর্মচারী কৃষকদলের নেতাকে দিয়ে প্রস্তাব করাচ্ছেন। মনে হয় সুজন বিষয়টি অবগত ছিল না। তাহলে তিনি আফজালকে দিয়ে এমন প্রস্তাব দেওয়াতেন না। হয় তো এরাই বেশি তেল মারা শুরু করেছেন এবং মানি ব্যক্তির মান ক্ষুন্ন করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছুই না।
কাকে সভাপতি করতে হবে,কাকে করলে প্রতিষ্ঠান ভালো চলবে সেটা মতামতের ভিত্তিতে করা হবে। আফজালের মত ছেলে সভাপতির প্রস্তাব দেয় কি ভাবে। সব জায়গায় রাজনীতি তেল বাজি চলে না। এতিম খানাতেও দলীয় প্রভাব বিস্তর করার চেষ্টায় মরিয়া। অবাক করার বিষয় আফজাল পৌরসভা কৃষকদলের সদস্য সচিব আর সে আওয়ামীগ নেতা সুজনকে সভাপতি করার প্রস্তাব দিচ্ছেন। এরচেয়ে হাস্যকর দলবাজি আর কি হতে পারে। আবার সুজন নামে ও মেয়রের ভোট করার জন্য চাপড়ায় জায়গা কিনে বাড়ি করেছেন। তিনি কি দীর্ঘ দিনের স্থায়ী বাসিন্দা যে তাকে সভাপতি করতে হবে এমন বানা প্রশ্ন স্থানীয় সচেতন মহলের।
চাপড়া এতিম খানার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, এতিম খানা দীর্ঘ দিনের প্রতিষ্ঠান। এলাকার মানুষের সার্বিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে আসছে। কারো একক মতামতে কিছুই হয়না। কয়েকগ্রামের মানুষের মতামতের ভিত্তিতে পরিচালনা কমিটি গঠন হয়। গত সোমবার সুন্দর পরিবেশে মিটিং হচ্ছিল, আবুল বাসার সুজনের নাম প্রস্তাব করার সাথে সাথে হট্রগোল পক্ষ বিপক্ষ শুরু হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে মিটিং বাতিল করা হয়েছে, এখনো দিন ধার্য হয়নি।