Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

২১ বিলিয়ন ডলারের ওপরে রিজার্ভ বেড়ে

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৫১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলারে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি এবং ব্যাংকগুলোর মধ্যে কারেন্সি সোয়াপ বা মুদ্রার অদলবদলের সুবাদে। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর আগে, গত সোমবার (৪ মার্চ) রিজার্ভ ২০ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার। তবে আসছে সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) এক বিলিয়ন ডলারের বেশি পরিশোধের পর রিজার্ভ ফের কমবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, ফেব্রুয়ারি মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটিও গ্রস রিজার্ভ বাড়ার কারণ হতে পারে। তাছাড়া প্রতিনিয়ত ব্যাংকের সাথে কারেন্সি সোয়াপ হচ্ছে। এটাও একটা কারণ হতে পারে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রিজার্ভের অর্থ যেখান থেকে আসে ও ব্যয় হয়, এই দুটোর মধ্যে ভারসাম্য নেই। ফলে রিজার্ভ ধরে রাখা যাচ্ছিল না। বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণ করায় বাণিজ্য ঘাটতি কিছুটা কমেছে। তবে এভাবে ধরে রাখাটা কতদিন সম্ভব হবে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে কারেন্সি সোয়াপের সুযোগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তখন থেকেই পদ্ধতিটি রিজার্ভে অবদান রাখতে শুরু করেছে।

মুদ্রার অদলবদলের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো তাদের নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট (বিদেশে থাকা দেশীয় ব্যাংকগুলোর অ্যাকাউন্ট) থেকে ডলার বিনিময় করছে, যার সুবাদে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রস রিজার্ভ বাড়াতে পেরেছে।

মুদ্রা অদলবদলের মাধ্যমে যে ডলার আসবে, তা নিট রিজার্ভ বাড়াতে ভূমিকা রাখবে না। কেননা মুদ্রার অদলবদল হয় স্বল্প মেয়াদে। গ্রস রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

তারল্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ব্যাংকগুলোকে প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালের আগস্টে রিজার্ভ দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের ঘর ছাড়িয়েছিল। বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়াসহ বিভিন্ন উপায়ে ওই সময় রিজার্ভ বাড়ানো হয়।

এরপর সংকটের কারণে ২৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে করে কমতে–কমতে গত নভেম্বর শেষে ১৯ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমেছিল।

আবারও বেড়ে ডিসেম্বরে ২১ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন হয়। তবে জানুয়ারি শেষে আবার কমে ১৯ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। এখন সোয়াপের ফলে রিজার্ভ ফের বাড়ছে।


আরও খবর



ডেমরায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ২৪৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানীর ডেমরা থানাধীন ভুট্টোচত্বর এলাকায় দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছরের পুরনো রাস্তা বন্ধ করে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করায় প্রায় ৪০ পরিবার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এতে স্কুল পড়ুয়া সন্তানদের নিয়ে পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভুক্তভোগী পরিবার গুলোর পক্ষে আব্দুল কাদের নামক এক ব্যক্তি এ বিষয়ে ডেমরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের জানান গত ২০০৯ সালে মাতুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ কন্ট্রাকটার কে সাথে নিয়ে জনসাধারণের চলাচলের জন্য ১২ ফুট রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়। মাতুয়াইল নিউটনের গুগল ম্যাপে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার নামে একজন মহিলা প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে গত কয়েকদিন আগে টিনের ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তার উপরে উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। রাস্তাটি দেয়াল তুলে বন্ধ করে দেয়ায় ভুক্তভোগী চল্লিশটি পরিবার বর্তমানে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই রাস্তার নিচ দিয়ে স্থানীয়দের গুরুত্বপূর্ণ সেবা প্রতিষ্ঠান ওয়াসার পানির পাইপ পয়ঃনিষ্কাশনের সুয়ারেজ লাইন স্থাপন করা হয়েছে। এ রাস্তাটি এই চল্লিশটি পরিবারের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এ রাস্তার ভেতরে বেশকিছু বহুতল ভবন অবস্থিত যেখানে শত শত যানবাহনও চলাচল করে আসছিল দীর্ঘদিন যাবৎ। এছাড়াও বর্তমানে আরো কিছু বহুতল ভবন নির্মাণাধীন অবস্থায় আছে।রাস্তা খুলে দেওয়ার দাবিতে ভুক্তভোগীরা কয়েক দফা প্রতিবাদ করেছেন। সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের  ৬৬নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ডেমরা থানাধীন বাদশামিয়া রোড সংলগ্ন ভুট্টো চত্বর এলাকার আয়েশা  হক ট্রেড সেন্টার সংলগ্ন এলাকায় জনৈক লিপি আক্তার চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন সড়কের প্রধান প্রবেশদ্বারে উঁচু দেয়াল তুলে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। লিপি আক্তার সন্ত্রাসীদের দাঁড় করিয়ে রেখে সশস্ত্র মহড়া দিয়ে ভয়-ভীতি সৃষ্টি করে এই স্থানে উচু প্রাচীর নির্মাণ করে। লিপি আক্তারের মা আয়েশা খাতুন ২০০৯ সালে এই জায়গাটি রাস্তার জন্য ছেড়ে দেয়। লিপি আক্তারের মা একই খতিয়ানভুক্ত এই জমি সহ আশেপাশের বিভিন্ন জমি এসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর কাছে বিক্রয় করেন। সেই সময় এই রাস্তাটিকেই চলাচলের রাস্তা হিসেবে দলিলে দেখানো হয়েছিল।সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রে রাস্তাটি দৃশ্যমান আছে। লিপি আক্তার ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে ও রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করতে আসা লোকজনকে কাপড় উঁচিয়ে নারী নির্যাতন মামলার ভয় ভীতি দেখিয়ে দমন করার চেষ্টা করছে।

ভুক্তভোগী আব্দুল কাদের গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, রাস্তাটি আমাদের ৪০টি পরিবারের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এটি বন্ধ করে দেয়ায় আমাদের জন্য বিষয়টি গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ায় পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল এই বিষয়ে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার নলেজে নেই তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো আসলে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

লিপি আক্তারের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি জানান, জমিটা আমার মায়ের দুই পাশের ফ্যাক্টরির জন্য এতদিন এই রাস্তাটি খোলা ছিল, কিন্তু আমার প্রয়োজনে বর্তমানে আমি রাস্তাতেই বন্ধ করে দিয়েছি, কিছু দিন আগে ৬৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে জোরপূর্বক আমার এই রাস্তার দেয়ালটি ভেঙ্গে দিয়েছিল।

এ বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল  ইসলামের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অবশ্যই স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করব।



আরও খবর



মাগুরায় কমরেড খালেকুজ্জামানের মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৬১জন দেখেছেন

Image
সাইদুর রহমান,মাগুরা স্টাফ রিপোর্টার:বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ এর কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা, প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড খালেকুজ্জামান মাগুরায় বাম প্রগতিশীল নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

রবিবার বিকেলে কিছু সময়ের জন্য মাগুরায় আসলে এই স্বল্প সময়ের  একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় মাগুরা রেডিয়েন্ট স্কুলে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা জাসদের সভাপতি এটিএম মহব্বত আলী,  ওয়ার্কাস পার্টির কাজী ফিরোজ নারী নেনেত্রী সম্পা বসুসহ বাম প্রগতিশীল নেতৃবৃন্দ, সম্মানিত  শিক্ষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আদিবাসী নেতৃবৃন্দ।

কমরেড খালেকুজ্জামানের সাথে এসেছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কমরেড ওসমান আলী, বাসদ কেন্দ্রীয় পাঠচক্র ফোরামের সদস্য কমরেড মোসায়েদ ঢালি, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কমরেড মাহমুদা হোসেন, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সদস্য কমরেড খাদিজা।

আরও খবর



তৃষ্ণার্ত মানুষের জন্য খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:বর্তমান সময়ে গরমের খুব খারাপ পরিস্থিতি। আর এই গরমে রিক্সাওয়ালা থেকে শুরু করে দিনমজুর ও রাস্তার খেটে খাওয়া মানুষের খাবার পানি সরবরাহ করছেন কাফরুল থানা পুলিশ। 

কাফরুল  থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ফারুকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে মানুষ ঘর থেকে বের হওয়া খুব কষ্টকর ব্যাপার। আর যারা জীবিকার তাকিদে ঘর থেকে বের হচ্ছে তারা সারাদিন খুব কষ্ট করছে। তাই তাদের এই কষ্ট দূর করার জন্য আমাদের এই সামান্য উদ্যোগ। বিশেষ করে যারা রিক্সাওয়ালা শ্রমজীবী মানুষ রয়েছেন তাদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। 

হঠাৎ করে কেনই ব্যতিক্রম  উদ্যোগ হাতে নিলেন সেই প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, আমরা যারা পুলিশ তারা সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করি। সেই দায়বদ্ধতা থেকে মানুষের কষ্ট কিছুটা লাঘব করার জন্য এই পানির ব্যবস্থা করা।এছাড়া কাফরুল  থানার বিভিন্ন জায়গায় ১৫০০ পানির  বোতল বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



পেঁয়াজের সাদা ফুলে সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১২৩জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:সবুজ কান্ডের ডগায় কদমের মতো দেখতে সাদা সাদা ফুলে ভরে গেছে উত্তর জনপদের ধানের রাজ্য খ্যাত নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মিরাপুর ফসলের মাঠ। যা প্রকৃতির মায়াজালে আবৃত্ত এক অনন্য দৃশ্য, যেখানে সাদা ফুলের সমারোহ নয়, বরং এক অপার সম্পদের আহ্ধসঢ়;বান। এই ফুলের প্রশান্ত সৌন্দর্যের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে ‘কালো সোনা’, যা বাংলাদেশের কৃষকদের অর্থনীতিতে এক অপূর্ব সংযোজন। পেঁয়াজের বীজের উচ্চ বাজার মূল্যের কারণে কৃষি জগতে ‘কালো সোনা’ নামে পরিচিত। যেখানে কৃষকের পরিশ্রম ও প্রকৃতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয় এই অমূল্য ‘কালো সোনা’।

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর, মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া গ্রামে চাষ করা হয়েছে পেঁয়াজের বীজ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর পেঁয়াজ বীজের সঙ্গে সম্পৃক্ত কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।চাষিরা বলছেন, এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় খরচ বাদে এই পেয়াজের বীজ চাষে লাভ হবে দ্বিগুণেরও বেশি, তাই এগুলো ‘কালো সোনা’ নামে খ্যাতি পেয়েছে।   

সরেজমিনে উপজেলার মিরাপুর, হাতিয়াপাড়া ও তারাটিয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মাঠে মাঠে এখন শোভা পাচ্ছে পেঁয়াজ বীজের সাদা ফুল।শেষ সময়ের পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। অনেকে আবার পেঁয়াজ বীজের গাছে শক্তি যোগানোর জন্য কীটনাশক স্প্রে করছেন। মৌমাছি সংকট থাকায় অনেক কৃষক আবার হাত দিয়েই পেঁয়াজ ফুলের ‘মধু ফেলা’র কাজ করছেন। এখন পর্যন্ত রোপন করা পেঁয়াজ বীজ গাছের ফলন ভালো হওয়ায় লাভের স্বপ্ন বুনছেন তারা। 

উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের পূর্বমিরাপুর গ্রামের কৃষক সাদ্দাম হোসেন জানান, গত বছর পেঁয়াজ বীজের দাম ভালো পাওয়ায় এ বছর আগ্রহ নিয়ে বেশি জমিতে পেঁয়াজ বীজের আবাদ করেছি। তিনি আরো বলেন, “এই এলাকায় আমিই প্রথম দানা চাষ শুরু করি। এই ফসল চাষে যা খরচ হয় তার থেকে দ্বিগুণ লাভ থাকে। বর্তমানে আমার দেখাদেখি এলাকার অনেক কৃষকই এই ফসলের চাষ করছে।” ছেলে-মেয়েকে লেখা-পড়ার খরচ চালাচ্ছি, আল্লাহর রহমতে এই ক্ষেত করে আমি ভালো আছি।” 

ফুলবাড়ি গ্রামের কৃষক মো. আব্দুর রহিম বলেন, আমি দীর্ঘ দিন যাবৎ পেঁয়াজ বীজের আবাদ করে থাকি। এই ফসল চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর ১বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজ চাষ করেছি। 

শাহাগোলা ইউনিয়নের হাতিয়াপাড়া গ্রামের কৃষক মো. উজ্জল হোসেন বলেন, এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আমি পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছি। ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছি। বিভিন্ন রোগবালাইয়ের জন্য কীটনাশক স্প্রে করতে হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে দেড় লাখ টাকার ওপরে বীজ বিক্রির আশা করছেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের তারাটিয়া ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদ হাসান জনান, উপজেলায় চলতি অর্থবছওে ২১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, এ বছর পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, তা ছাড়িয়ে যাবে। এছাড়া আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে বাণিজ্যিকভাবে পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করতে পারেন, এজন্য উপজেলা কৃষি অফিস বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ থেকে বাজারজাত করা পর্যন্ত পরামর্শের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ তালুকদার বলেন, পিঁয়াজের বীজ চাষে কৃষকরা যাতে লাভবান হতে পারেন এবং কৃষকরা যেন পিঁয়াজ চাষে কোনো প্রকার সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্যা সেখানেই আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। পিঁয়াজ চাষে যুক্ত উপজেলার কৃষকরা এবার বেশ উৎফুল্ল।কারণ তারা প্রাকৃতিক অনুকূল পরিবেশের জন্য এবার উৎপাদিত ফসলের ফলন ও দাম বেশ ভালো পাবেন বলে তিনি মনে করছেন।


আরও খবর



বড় হারে ঘরের মাটিতে সিরিজ শেষ বাংলাদেশের

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৫জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক: ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে লজ্জাজনকভাবে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ঘুরে দাঁড়ানোর মিশনে চট্টগ্রাম টেস্টে প্রত্যাশিত প্রতিরোধও গড়তে পারেনি লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। জয়-শান্ত-লিটনদের ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে স্বাগতিকেরা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) চট্টগ্রাম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলায় মাঠে নামে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা।

দিনটিতে ২৪৩ রানের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশের সামনে। যেখানে হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। তাই হাতে সময় থাকলেও প্রয়োজনীয় শক্তি ছিল না দলের কাছে। তাতে অনুমিত হারই শেষ পর্যন্ত দেখেছেন টাইগার বাহিনী।

এই ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ১৯২ রানে। এর আগে সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল স্বাগতিকরা।

দুই টেস্টের তিন ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখা গেছে। তবে সিরিজের শেষ টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তুলনামূলক ভালো করেছে বাংলাদেশ। ৩১৮ রান স্কোরবোর্ডে জমা করতে পেরেছে দলটি।

এই রান করতে বড় অবদান রেখেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ৮১ রান করে অপরাজিত ছিলেন।


আরও খবর

মেসির জোড়া গোলে জিতল মায়ামি

রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪