Logo
আজঃ রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

১৩ বছরপর বাবার পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৬ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১১২জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে দীর্ঘ ১৩ বছরপর আদালতের নির্দেশনায় বাবার রেখে যাওয়া পৈত্রিক ভিটা ফিরে পেলো রোকনুজ্জামান রোকন (৪৫)। যার জন্য মহামান্য বিজ্ঞ আদালতের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ভুক্তভুগি রোকনের পরিবার।

মামলা সুত্রে জানাযায়, ডিমলা বাবুরহাট এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের সর্বকনিষ্ঠ ছেলে রোকনুজ্জামান রোকন। তার বাবার রেখে যাওয়া ডোমার পৌর এলাকার ছোটরাউতা মৌজায় কাজী পাড়া এলাকায় জেএল নং-২৩, খতিয়ান-৩৭৪, ১৩১৬ হালদাগে ৮৫ শতক জমি রেখে রোকনের বাবা আব্দুল জব্বার ১৯৭৯ সালে মৃত্যু বরণ করেন। তারা ৯ ভাই বোনের মধ্যে রোকন ছিলো সর্বকনিষ্ঠ বাবার মৃত্যু কালীন সময়ে রোকনের বয়স ছিলো ৩ বছর। নাবালক থাকাকালীন অবস্থায় সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে রোকনের বড় ভাইবোনেরা ১৯৮০ সালে উক্ত জমিটি রোকনকে ঠকিয়ে এলাকার আনোয়ার, মোকলেছার, আঃ আজিজ নামক ব্যাক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। রোকন সাবালক হওয়ার পর জমি বিক্রির বিষয়টি জানতে পেরে দিশেহারা হয়ে পড়ে এবং স্ত্রী সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে থাকে। রোকনুজ্জামান

রোকন তার নাবালকের সম্পত্তি এবং বাবার পৈত্রিক জমি উদ্ধারের জন্য গত ০৫/০৬/২০১১ইং তারিখে নীলফামারী জেলার বিজ্ঞ বিচারক আদালতে অন্য-১৯/১১ মোকদ্দমা দায়ের করে। দীর্ঘদিন মামলা চলাকালীন সময়ে যাহা-২৮/০২/২০১৮ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত রোকনের পক্ষে রায় প্রদান করেন। ০৬/০৩/২০১৮ইং তারিখে ডিক্রী লাভ করে। নীলফামারী জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক জনাব মোঃ মাহমুদুল করিম এ রায় প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৪/০২/২০২৪ ইং তারিখে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ডোমার থানা পুলিশ এবং বিজ্ঞ আদালতের লোকজন ভেকু মেশিন দিয়ে উক্ত জমিটির স্থাপনা ভেঙেদিয়ে বাদী রোকনুজ্জামান রোকনকে ২ দাগে প্রায় ৯ শতক জমি উদ্ধার করে দখল বুঝিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে রাকনুজ্জামান রোকন জানান, দীর্ঘ ১৩ বছর পর আমার নাবালকের সম্পত্তি আমাকে সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে ফিরিয়ে দেয়ায় সেখানে আমার স্ত্রী, সন্তান পরিবার মিলে ঘড়বাড়ী তুলে সুখে শান্তিতে বসবাস করছি। বাংলাদেশ বিচার বিভাগ এবং বিজ্ঞ আদালতের প্রতি চির কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।


আরও খবর



সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে না

প্রকাশিত:বুধবার ০৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১১৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক;বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে ত্রুটি। ফলে মঙ্গলবার রাত থেকেই এসব ডোমেইন সার্ভার নিয়ন্ত্রিত কোনো সরকারি-বেসরকারি ওয়য়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

যেসব ওয়েবসাইটের শেষে ডট গভ ডট বিডি, ডট বাংলা বা ডট কম ডট বিডি রয়েছে সেগুলো বিটিসিএলের সার্ভার থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।

দেশের প্রায় সবগুলো মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে বানানো। ফলে সেগুলোতে প্রবেশ করতে পারছেন না ব্যবহারকারীরা।

এ ছাড়া ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান দারাজ, ইভ্যালি ও সংবাদ সংস্থা ইউএনবিসহ বহু বেসরকারি ওয়েবসাইট এসব ডোমেইন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করায় সেগুলোতেও প্রবেশ করা যাচ্ছে না।

জানা যায়, মঙ্গলবার রাত থেকে বিটিসিএল নিয়ন্ত্রিত তিনটি ডোমেইন সার্ভারে ত্রুটি দেখা দিয়েছে। এর ফলেই ব্যবহারকারীরা সরকারি-বেসরকারি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারছেন না।


আরও খবর

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ

রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪




খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৩৯জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জেলার সকল ইউনিটের ইনচার্জদের নিয়ে জেলা পুলিশের এপ্রিল মাসের কীট প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার ( ২২ এপ্রিল)  জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে কীট প্যারেড ও মাসিক কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে মার্চ মাসের আইনশৃঙ্খলা ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার)।কীট প্যারেড পরিদর্শন শেষে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর (পিপিএম বার) ফোর্সদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন।পুলিশ সদস্যদের শৃঙ্খলা ও কল্যাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। 

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যদের নিকট থেকে পুলিশ লাইন্সের আবাসন, রেশন, পরিবহন, ডিউটি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিভিন্ন সমস্যাসহ তাদের নিকট হতে সমস্যা সমূহের সমাধানের বিষয়ে সকলের ব্যক্তিগত মতামত সমূহ শুনেন এবং সমস্যাগুলো সমাধানের সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি সকল অফিসার ও ফোর্সকে পুলিশের অভ্যন্তরীন শৃঙ্খলা, সদাচরণ, পেশাদারিত্ব এবং আইন ও বিধি মেনে কাজ করার জন্য নির্দেশ দেন। জেলার অভ্যন্তরীণ আভিযানিক ও দাপ্তরিক  বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখায় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের ০৫ জন পুলিশ অফিসারকে সার্বিক মূল্যায়নের প্রেক্ষিতে মার্চ মাসের জেলার শ্রেষ্ঠ হিসেবে অত্র মাসের কল্যাণ সভায় সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান এর মাধ্যমে পুরষ্কৃত করা হয়।

পুরষ্কার প্রাপ্তরা হলেন-শ্রেষ্ঠ সার্কেল- মাটিরাঙ্গা সার্কেল,সহকারী পুলিশ সুপার  আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ, , শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ –মাটিরাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কমল কৃষ্ণ ধর, শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) – মাটিরাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. শরীফ, শ্রেষ্ঠ এসআই –মাটিরাঙ্গা থানার এস আই মো. মাসুদ আলম পাটোয়ারী, শ্রেষ্ঠ এএসআই -মাটিরাঙ্গা থানার এএসআই শাহ নেওয়াজ (পিপিএম),।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) অপরাধ সভায় জেলার সকল অফিসার ইনচার্জদের উদ্দেশ্য মাদক ও চোরাচালান এর বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতিতে তৎপরতার সহিত পুলিশিং কার্যক্রম করার নির্দেশ দেন। সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দ্রুততম সময়ে প্রকৃত জড়িত আসামীদের গ্রেফতার সহ লুন্ঠিত বা চোরাইকৃত সম্পত্তির দ্রুততম সময়ে উদ্ধারের জন্য গুরুত্ব আরোপ করেন।কোন ঘটনায় নিরীহ কোন ব্যাক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখার জন্য সকল সার্কেল অফিসার, সকল অফিসার ইনচার্জ ও সকল ফাঁড়ী ইনচার্জদের  নির্দেশ প্রধান করেন।

আরও খবর



হিলিতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৫২জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:চলছে বৈশাখ মাস সারাদেশে প্রচন্ড তাপদহ ও তীব্র গরম। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে রোদ ও গরমের তীব্রতা। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বাহির হচ্ছে না সাধারণ মানুষ। ঠিক সেই সময়ে দিনাজপুরের হাকিমপুর হিলিতে রিকসা,ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও পথচারীদের মাঝে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ১২ টায় হাকিমপুর উপজেলার চারমাথা মোড়ে প্রায় ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেন হাকিমপুর উপজেলা শাখার শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দরা।এসময় সেখানে দিনাজপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ-সেক্রেটারি মোঃ মোসলেম উদ্দিন,হাকিমপুর উপজেলা শাখার উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম,সভাপতি সবিরুল ইসলাম,সদস্য ডাঃ সাইদুর রহমান, মেহেদী হাসানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

রিকসা চালক মফিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড তাপ ও তীব্র গরম এর কারণে ঘর থেকে মানুষ বিনা প্রয়োজনে বাহির হচ্ছে না। পেট তো আর এসব বুঝে না। তাই রিকশা নিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। সকাল থেকে যাত্রী ও তেমন পাচ্ছি না। চারমাথা মোড়ে বসে আছি এমন সময় হঠাৎ আমার হাতে পানির বোতল ও খাবর স্যালাইন তুলে দেন। আমি খুব খুশি। আমি তাদের জন্য মন থেকে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাদের ভালো করেন।ইজিবাইক চালক নাজমুল হোসেন বলেন,প্রচন্ড রোদ ও তীব্র গরমে তারা পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করছেন। আমি তাদের উদ্যোগকে সাদুবাদ জানাই।হাকিমপুর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বলেন, তীব্র গরম ও প্রচন্ড তাপদহে পুড়ছে সারাদেশ।

এসময় সবচেয়ে কষ্টে থাকে রিকসা, ভ্যান, ইজিবাইক চালক ও খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। তাই আমরা কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার হিলি চারমাথা মোড়ে ২০০ জন শ্রমিক ও পথচারীদের মাঝে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করেছি। আমি সমাজের বিত্তবান ও সকল রাজনৈতিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি আহবান জানাই তারাও যেন শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ায় !।সভাপতি সবিরুল ইসলাম বলেন,কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা হিলি চারমাথা মোড়ে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করলাম। আমাদের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত শ্রমিকদের বিশুদ্ধ পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



নাসিরনগরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০,গ্রেপ্তার ১০

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃপ্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়েছে।শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রায় এক  ধরে চলে এ সংঘর্ষ। এতে নারীসহ উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা। এলাকাবাসী জানায়, এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ওসি বলেছেন, পরিস্থিতি সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় পুলিশ মনির মিয়া ৩৫,জামাল মিয়া ৩৫,ফাইজুল ৩৮ফারুক ৬০,রিফাত ২৪,বিজয় ২০,দিদার, সাহাব উদ্দিন ২০,আজহারুল ১৮,শিমুল ১৮ কে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোর্পদ করেছেন।স্থানীয় লোকজন জানায়, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফান্দাউক গ্রামের কিশোর-তরুণরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে। খেলা চলাকালীন দুই তরুণের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। যা এক পর্যায়ে সংঘর্ষে গড়ায়।এ সংবাদ বড়দের কাছে পৌঁছালে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।একটি সূত্র জানায়, বিবদমান দুই পক্ষের একটি পক্ষকে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল আওয়াল সমর্থন দেন।

অপর পক্ষ সমর্থন পায় মো. রিপন মিয়া নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির। বিষয়টি নিয়ে সালিশে বসে আলোচনার সিদ্ধান্তও হয়।এলাকাবাসী জানায়, শুক্রবার জুমার নামাজ পড়তে সাধুপাড়া নূরে মদিনা মসজিদে যান আবদুল আওয়ালের পক্ষের লোকজন। নামাজ থেকে বের হওয়ার পর তাদের ওপর অতর্কিতে হামলা করে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকেরা।এ সংবাদ দ্রুত গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে নারীসহ দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

তাদের মধ্যে মো. নূরে আলম, মো. সজল, নাছির মিয়া, সাগর মিয়া, শিমুল মিয়া, তফু মিয়া, দিদার মিয়া, কাজল মিয়া, ফসাল শিয়া, হৃদয় মিয়া ও নূরেম বেগম আওয়ালের পক্ষের লোক। প্রতিপক্ষের আহতরা হলেন– গোলাম নূর, রুবেল মিয়া, আলা উদ্দিন, শাহনাজ বেগম, জিনিয়া বেগম, ফাতেমা বেগম ও রুজিনা বেগম।স্থানীয় সূত্র জানায়, আহত আরও বেশ কয়েকজন হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে গেছেন। যে কারণে তাদের নাম জানা যায়নি।সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল আওয়াল এ বিষয়ে বলেন, ‘ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলা নিয়ে সামান্য বাকবিতণ্ডা হয়।

বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয়ভাবে বিচার-সালিশের ব্যবস্থাও হয়। কিন্তু আজ শুক্রবার নামাজ পড়তে গেলে রিপন মিয়ার পক্ষের লোকজন আমাদের পক্ষের লোকদের ওপর হামলা করে।’রিপন মিয়ার পক্ষের মো. রাজা মিয়া বলেন, ‘ঈদের দিন ছোট ছেলেদের মধ্যে মারামারি হয়। স্থানীয় মাতবররা বিষয়ডা শেষ কইরা দিবেন– বলছিলেন।’ তিনি দাবি করেন, জুমার নামাজ থেকে বের হওবার পর আওয়ালের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এর বেশি কিছু জানেন না তিনি।নাসিরনগর থানার ওসি মো. সোহাগ রানা সমকালকে বলেন, ফান্দাউকে ক্রিকেট খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দশ জনকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ডোমারে ক্যান্সরে আক্রান্ত শিশু আমির হামজাকে বাচাঁতে সহায়তা চেয়ে বাবা-মায়ের আকুতি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | ৫৭জন দেখেছেন

Image

ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি:নীলফামারীর ডোমারে মরণব্যধি ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত শিশু আমির হামজা (৪) কে বাচাঁতে সকলের কাছে সহযোগিতা চেয়ে বাবা ও মায়ের আকুতির যেন শেষ নেই। গত ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে শিশুটি। অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছে না বাবা- মা। তাই দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন আমির হামজার পিতা শাহিন আলম ও মা নিলুফা ইয়াসমিন।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিনমুজুর শাহিন আলম। তার একমাত্র ৪ বছর বয়সী পুত্র সন্তান আমির হামজা মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগ দেখা দেয়। গত অক্টোবর মাসে ঢাকা পিজি হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসা নিয়ে ৪ মাস যাবত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশু হেমাটোলজি ও অনকোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ নুসরাত জাহান তত্ত্ববাবধানে চিকিৎসাধীন করে এখন ৫০% সুস্থ্য হয়েছে। ডাঃ জানান, এক থেকে দুই বছর শিশুটিকে চিকিৎসা নিতে হবে, তাহলে সুস্থ হবে। বাড়ী ভিটার সামান্য জমি গরু ছাগল বিক্রি করে এবং অন্যের কাছে ধারদেনা করে পিজি হাসপাতাল থেকে শুরু করে রংপুর পর্যন্ত প্রায় ২ লক্ষ টাকা সন্তানের পিছনে ব্যয় করে অসহায় ও দিশেহারা হয়ে বর্তমানে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছে।

বাকী দিনগুলোর চিকিৎসা খরচ জোগাতে দেশের বিত্তবান ও দানবীর ব্যাক্তিদের কাছে সন্তানের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা কামনা করেন। যোগাযোগের জন্য মোবাইল নম্বর- ০১৭৮০-৬১০-৫৪১ বিকাশ ও নগদ। এ বিষয়ে জোড়াবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যন সাখাওয়াৎ হাবিব বাবু জানান, শাহিন আলম ছেলেটি খুব অসহায়, আমরা পরিষদের পক্ষ থেকে সকলে মিলে সাধ্য মতো সহযোগিতা করেছি। শিশুটিকে বাচাঁতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। আপনাদের সহযোগিতায় বেচেঁ যেতে পারে শিশুটির প্রাণ।


আরও খবর