Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের যে কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনে মাথা ঘামানো উচিত নয় :রামি দেশাই

প্রকাশিত:বুধবার ০৭ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ২১৫জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ডেস্কঃ দেখা গেছে, আরব বিশ্ব সব সময়ই কোনো না কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের আলোচনার বাইরেই থেকে যায়। এক রিপোর্টে দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ৮০টির মতো দেশে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। মজার ব্যাপার, এসবের অর্ধেকের বেশি দেশে গণতান্ত্রিক শাসন নেই।

নির্বাচনের দিন যেহেতু ঘনিয়ে আসছে, শেখ হাসিনার উচিত হবে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বিষয়টি মোকাবিলা করা। তবে ব্যাপকমাত্রায় হস্তক্ষেপের সম্মুখীন হয়েও শেখ হাসিনা রাখঢাক করেননি। সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তারা গণতন্ত্র হরণের চেষ্টা করছে এবং এমন একটি সরকার আনতে চাইছে যাদের গণতান্ত্রিক ভিত্তি নেই। এটি করা হলে তা অগণতান্ত্রিক হবে।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশের কূটনীতিকের ওপর থেকে ‘অতিরিক্ত পুলিশ’ প্রটোকল প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ। অনেকে আমেরিকার সাম্প্রতিক ভিসানীতিকে এ ঘটনার প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, দেশটি (আমেরিকা) হয়তো তাঁকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এ অভিযোগ শুধু শেখ হাসিনারই নয়, বিশ্বজুড়েই বিভিন্ন দেশের ক্ষমতার পালাবদলের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাক গলানোর ইতিহাস আরও জটিল।

বিশ্বজুড়ে মার্কিন স্বার্থবিরোধী হওয়ার কারণে অথবা গণতন্ত্রের প্রয়োজনের কথা বলে কিংবা কর্তৃত্ববাদী সরকার থাকলে সেসব দেশের ‘সরকার পতনে’ ঐতিহাসিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্টতার নজির রয়েছে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা যেতে পারে হাওয়াই, কিউবা ও ক্যারিবিয়ান দেশগুলোর কথা। এসব দেশের ক্ষেত্রে মার্কিন সংশ্লিষ্টতা বা কলকাঠি নাড়ার মাত্রা অনেকটাই সরাসরি ছিল।

কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৭ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)’ প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমেরিকা তাদের এসব কর্ম বেশ গোপনেই সারছে। পরের দুই দশকের মধ্যে ১৯৫৩ সালে ইরানে, ১৯৫৪ সালে গুয়েতেমালায় ও ১৯৬৩ সালে দক্ষিণ ভিয়েতনাম তার উদাহরণ।

২০০০ সালে যুগোস্লাভিয়ার প্রেসিডেন্ট স্লোবোদান মিলোসেভিচের পতন ও ২০০৩ সালের ইরাক আক্রমণে সিআইএ’র ভূমিকা অনেকটাই স্পষ্ট। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বিগনিউ ব্রেজেনস্কি সে সময় জর্জ ডব্লিউ বুশকে বোঝাতে চেয়েছিলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বিপজ্জনক হতে পারে।

যাই হোক, আমেরিকার কোনো হস্তক্ষেপই হয়তো একক ফ্যাক্টরের ওপর ভিত্তি করে করা হয়নি। যদিও দৃশ্যমান পদক্ষেপগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে বা গণতন্ত্রীকরণের লড়াই হিসেবে আখ্যা দেওয়া হতে পারে, অনেক ক্ষেত্রেই এর অন্তর্নিহিত কারণগুলো মূলত নিজেদের স্বার্থে। অতীতে বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতা তাৎপর্যময় হয়ে উঠেছিল। যেমন স্নায়ুযুদ্ধের সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন আধিপত্য বিস্তারের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লিপ্ত হয়েছিল। তখন সোভিয়েত জোটপন্থি ভারতকে মোকাবিলা করতে পাকিস্তানের মতো দেশগুলোকে সমর্থন দিয়েছিল আমেরিকা।

একইভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রবেশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কারণ এখানে তার ভূরাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। যেমন দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত অবস্থান, এখানকার মূল্যবান সম্পদ, বাণিজ্যপথ, বাজার, নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা। আফগানিস্তানের মতো দেশে সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টা, বাংলাদেশের মতো দেশে মানবিক উদ্বেগ এবং চীনের মতো দেশের অর্থনৈতিক উদ্বেগ। এসব কারণেই দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোয় হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্তের প্রতি ঝুঁকেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী পাকিস্তান ও আফগানিস্তানকে একটি অনিশ্চিত অবস্থানের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এ দুই দেশে বিশৃঙ্খলা এতটাই বড় আকার ধারণ করেছে যে, সম্ভবত সেখানকার ভূরাজনৈতিক পতন ইরাকের পরে সবচেয়ে জটিল হিসেবে চিহ্নিত হবে।

আফগানিস্তানে ‘মার্কিনপন্থি গণতান্ত্রিক’ সরকার বসানোর কয়েক দশকের চেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হলে, সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের জনগণকে শুধু হতাশই করেনি বরং এ অঞ্চলের সমগ্র নিরাপত্তাকেই হুমকির মুখে ঠেলে দেয়। বিশ্বের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার নৈতিক প্রতিশ্রুতি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল, কিন্তু সেখানে তাদের একটি বড় উদ্দেশ্য ছিল যা তারা ঠিকই সাধন করেছিল।

প্রেসিডেন্ট বাইডেন আমেরিকার জনগণকে বুঝিয়েছেন, ওসামা বিন লাদেন এবং অন্য মার্কিনবিরোধী সন্ত্রাসীদের নিশ্চিহ্ন করতে আফগানিস্তানে তাদের যে মিশন, তা সফল হয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এটি উদ্বেগের বিষয় বলে মনে হয়নি যে, তারা আফগানিস্তান থেকে যখন বেরিয়ে যাচ্ছে, তখন তালেবান ২০০১ সালের চেয়েও অনেক বেশি শক্ত সামরিক অবস্থানে ছিল। তখন তারা দেশের প্রায় অর্ধেক এলাকা নিয়ন্ত্রণ করছিল। আর ওইসব জায়গায় আমেরিকার সৈন্য ছিল সংখ্যায় খুবই নগণ্য।

প্রতিবেশী পাকিস্তানও বাদ পড়েনি। ইমরান খান যেমন একবার বলেছিলেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কেবল পাকিস্তানকে তাদের সমস্যা দূর করার জন্য দরকারি বলে মনে করে। তারা আফগানিস্তানে নিজ সৈন্যদের রসদসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহে পাকিস্তান হয়ে যাতায়াতের সুযোগ ব্যবহার করেছিল। বৈরিতার কারণে ইরান কিংবা রাশিয়াপন্থি উত্তরের দেশগুলো দিয়ে সেখানে প্রবেশ করতে পারেনি তারা। কিন্তু পাকিস্তান প্রথম থেকেই একটি ভিন্ন গল্পের শিকার হয়েছে।

ব্যাপকভাবে সাহায্যনির্ভর পাকিস্তানে ৩ হাজার কোটি ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এটি করেছে শুধু আফগানিস্তানে তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য। অভিযোগ রয়েছে, পাকিস্তানে মোশাররফের স্বৈরশাসনের সময় গণতান্ত্রিক উত্তরণসংক্রান্ত কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়াই প্রায় ১ হাজার কোটি ডলার সাহায্য করেছিল বুশ প্রশাসন। আর এ সহায়তার বেশির ভাগই গিয়েছিল সামরিক বাহিনীতে। আর এ ঘটনা তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের প্রতি মার্কিন সমর্থনের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেয়। অথচ তারা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমানে বাংলাদেশ) গণহত্যার জন্য দায়ী ছিল। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরাচারী শাসনকে সমর্থন করেছিল, যদিও তখন ঢাকার মার্কিন কনস্যুলেট জেনারেল দিয়েছিলেন ভিন্ন পরামর্শ।

বাস্তবতা হলো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমা শক্তিগুলো তাদের উচ্চাভিলাষী দৃষ্টিকোণ থেকে এ অঞ্চলকে দেখে। তারা নৈতিকতার দোহাই দিয়ে ঢোকে আর যাওয়ার সময় নিজস্বার্থে চম্পট দেয়। আফগানিস্তান এর উজ্জ্বল উদাহরণ।

সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বজুড়ে তার আধিপত্য নিশ্চিত করতে চাইছে। বাইডেন প্রশাসন অনেকবার গণতন্ত্রের মূল্যবোধের কথা বলে নিজেকে ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতা বলে জাহির করেছে। কিন্তু গণতন্ত্র নিশ্চিত করার জন্য তাদের পর্যবেক্ষণ, চাপ এবং নিষেধাজ্ঞা সারা বিশ্বে সমানভাবে প্রযোজ্য বলে মনে হয় না।

বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুমের অভিযোগে র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর আবার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সম্প্রতি নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাড়িতে গিয়ে তার ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এসবে বোঝা যায়, বাংলাদেশে গভীরভাবে দৃষ্টি রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এ ক্ষেত্রে ভারতকে পরিস্থিতি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে মার্কিন হস্তক্ষেপের ফলে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তবর্তী এলাকা নাজুক পরিস্থিতির মুখে রয়েছে। একইভাবে উত্তর-পূর্ব সীমান্তের ওপারে তেমনটি হলে আরও জটিলতা দেখা দিতে পারে।

বিশ্ববাসীর জন্য এখন আর মোড়ল রাষ্ট্রের কোনো প্রয়োজন নেই। কেননা বর্তমান বিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের উচিত স্থানীয় জনগণকেই তাদের নিজেদের ভালোমন্দ নির্ধারণে স্থানীয় জনগণের সক্ষমতার ওপর আস্থা রাখা। এতদসত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র যদি ‘মুক্তবিশ্বের’ নেতার ভূমিকা পালনের জন্য জেদি হয়, তাহলে তাদের পরামর্শ দেওয়া যায় যে, তারা ওই নেতাগিরিটা আফগানিস্তান দিয়েই শুরু করুক।

লেখক : ডিস্টিংগুইশড ফেলো, ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন

৫ জুন, ২০২৩ ইন্ডিয়া টুডেতে প্রকাশিত


আরও খবর



মালিতে নৌকা-সেনাঘাঁটিতে হামলা, নিহত ১১৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:আফ্রিকার দেশ মালিতে পৃথক দুই হামলায় বেসামরিকসহ অন্তত ১১৪ জন নিহত হয়েছেন। ঘোষণা করা হয়েছে তিনদিনে রাষ্ট্রীয় শোক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির উত্তর পূর্বাঞ্চলে এক নৌকায় হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন বেসামরিক। অন্যদিকে এক সেনাঘাঁটিতে হামলায় ১৫ সেনা ও ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হন।

২০২০ সাল থেকে সামরিক জান্তা দেশটি পরিচালনা করছে। ক্ষমতাদখলের সময় তারা দেশজুড়ে সমর্থন পেয়েছিলেন। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেইতার বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল সাধারণ মানুষ। তবে ক্ষমতা দখলের পর দেশের খুব একটা অগ্রগতি হয়নি। উন্নতি হয়নি নিরাপত্তা ব্যবস্থারও। দেশের একাদিক জায়গায় জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটেছে। জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা ও আইএস সংশ্লিষ্টগ্রুপগুলো ২০১২ সাল থেকে দেশটিতে তাণ্ডব চালাচ্ছে।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রিভার নাইজার নদীতে একটি নৌকায় হামলা চালানো হয়। এতে প্রাণ হারায় ৪৯ বেসামরিক নাগরিক। মালি সরকার বলছে, সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন এই হামলা চালিয়েছ।

নৌকাটির অপারেটর কোমানাভ বলেন, অন্তত তিনটি রকেট নৌকাটি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছিল। হামলার পর নৌকাটি বিকল হয়ে যায়। পরে সেনা সদস্যরা গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করেন।

অন্যদিকে গাও অঞ্চলের বুরেম সার্কেল সেনা ঘাঁটিতেও হামলা চালানো হয়। এতে ১৫ সেনা ও ৫০ জন সন্ত্রাসী নিহত হন।

বিবিসি বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে মালিতে জঙ্গি হামলার ঘটনা বেড়েছে। তবে সরকারের দাবি, রুশ ভাড়াটে সেনা দল ওয়াগনার গ্রুপ এর সংশ্লিষ্টতায় পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে।


আরও খবর



ডেমরায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানী ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার আপন ঘর নামক নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলার লিফটের সামনে থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ অনুসন্ধান শাখা সিআইডির ক্রাইমসিন দলের সদস্যরা এসে ফরেনসিক পরীক্ষা করেন। তবে মৃতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভবনটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় ডেভলপার শামীম নামে জনৈক ব্যক্তি।

ডেমরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে, প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



মধুপুরে সিএনজি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ৩

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ২৪৪জন দেখেছেন

Image

বাবুল রানা বিশেষ প্রতিনিধি মধুপুর টাঙ্গাইল:টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে সিএনজি ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে সিএনজি চালক সহ ৩জন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে।রবিবার (১৭সেপ্টেম্বর)বিকাল ৪টার দিকে মধুপুর দিক থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে এসে পৌঁছালে কুড়ালিয়া বাজার থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশার সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় সিএনজি চালক সহ সামনে বসা দুই যাত্রী মারাত্মক ভাবে আহত হয় এবং অটোরিকশায় বসা কুড়ালিয়া বি.কে উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭/৮জন ছাত্র ছাত্রী অল্পের জন্য মারাত্মক র্দুঘটনা থেকে প্রানে বেঁচে যায়।স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করলে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেন এবং অন্যজনকে আশংকাজনক অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। তাৎক্ষণিক ভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুস সাত্তার জানান, মধুপুর থেকে ছেড়ে আসা সিএনজি খুব দ্রুত গতিতে এসে অটোরিকশার সাথে লাগিয়ে দিলে এই মর্মান্তিক র্দুঘটনাটি ঘটে। অটোরিকশায় থাকা ছাত্র ছাত্রীরা লাফিয়ে রাস্তার নিচে পরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী আরিফ হোসেন জানান, আমি বিকট শব্দ শুনে দৌড়ে এসে দেখতে পাই, সিএনজির সামনে বসা দুই যাত্রী সহ চালক চাপা পড়ে আছে। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে অঝরে রক্ত পড়ছে। আমি স্থানীয়দের সহায়তায় তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাই।ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যে লাউফুলা ফাঁড়ির এসআই আজহার আলী এসে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোল্লা আজিজুর রহমানের পরামর্শ ক্রমে সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যান।

বলাবাহুল্য গত জানুয়ারি ২০২৩ সাল হতে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৯ মাসে কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে ৭টি  ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে এবং এই সড়ক দুর্ঘটনায় ১জনে মৃত্যু সহ অনেকেই পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ সব সড়ক দুর্ঘটনার জন্য গারো বাজার, সাগরদীঘি, সখিপুর ও ভালুকা এলাকার সিএনজির বেপরোয়া চালকদের দায়ী করছেন এলাকাবাসী।তারা বলছেন, এখানে তিন রাস্তার সংযোগস্থল থাকার সত্বেও সিএনজি চালকগন এদিক ওদিক না দেখেই খুব দ্রুতগতিতে এই মোড় পাড়ি দিয়ে থাকে যে কারণে প্রায়ই মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রী ও সাধারণ পথচারী।

বিশিষ্টজনেরা বলছেন, বাহিরের উপজেলার সিএনজি কি ভাবে মধুপুর থেকে যাত্রী আনা নেওয়া করে তা আমাদের বোধগম্য নয়। প্রায় শতশত  সিএনজি এই ব্যস্ততম রোডে প্রতিদিন যাতায়াত করছে যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই এমনকি চালকদের নাম পরিচয়ের কোনো তথ্য কারো কাছে নেই। বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সিএনজি গুলো প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটিয়ে চলে যাচ্ছে পরবর্তীতে তাদের কোনো নাম পরিচয় পাওয়া যায় না।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীগন এই কুড়ালিয়া বাগবাড়ী মোড়ে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি স্পিড ব্যাকার সহ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গোদাগাড়ীতে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১২০জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃরাজশাহীর গোদাগাড়ীতে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দুলাল আলমের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) আতিকুল ইসলাম। এ সময় বক্তব্য রাখেন মাটিকাটা আদর্শ ডিগ্রী কলেজ অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল রাজুসহ স্কুলও মাদ্রাসার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচ্য বিষয় ছিল, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দশটা হতে চারটা খোলা রেখে পাঠদান অব্যাহত রাখতে হবে এবং বাল্য বিবাহ নিরোধ, স্কাউটিং গাল গাইডিং অব্যাহত রাখা, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর নতুন কারিকুলম সঠিকভাবে পালন করা, বিদ্যালয় পরিষ্কার রাখা, ল্যাব ও লাইব্রেরী ভালোভাবে পরিচালনা করা, মিড ডে মিল, শিক্ষার্থীদের ড্রেস, শিক্ষকদের ড্রেস নিশ্চিত করা, এসেম্বলি করা, প্রতিষ্ঠানের ক্যাশ বই,সকল রেজিস্টার, ডেইলি কালেকশন রেজিস্টার আপটুডেট রাখা ও ব্যাংকের মাধ্যমে হিসাব পরিচালনা করা, শিক্ষারমান উন্নয়নে সঠিক মূল্যায়ন নিশ্চিত করার বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন। প্রধান অতিথি বলেন ইউএনও আতিকুল ইসলাম বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দশটা চারটা খোলা রাখা এবং সকল নিয়ম-শৃঙ্খলা সঠিকভাবে পালনের উপর বিশেষ গুরুতর করেন, অনুপস্থিত ক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা উল্লেখ করেন, তিনি বিকাল বেলায় আকস্মিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন বলে জানান ।এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মাটিকাটা কলেজের প্রিন্সিপাল আব্দুল আওয়াল রাজু মইশালবাড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী, বাসুদেবপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোকসেদুল হাসান মুকুল।


আরও খবর



প্রথমবারের মতো সিয়াম-ফারিণ

প্রকাশিত:সোমবার ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৩জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক:কাজিনদের সম্পর্কের গল্প নিয়ে মিজানুর রহমান আরিয়ান নির্মাণ করেছেন নতুন সিনেমা ‘পুনর্মিলনে’। আর এতে জুটি হয়েছেন সিয়াম আহমেদ ও তাসনিয়া ফারিণ। এর মধ্যে দিয়ে প্রথমবারের মতো সিনেমায় জুটি হয়েছেন তারা।

নির্মাতা মিজানুর রহমান আরিয়ানের কথায়, ‘কোনো ট্যুরে গেলে বন্ধুত্ব হয়, আবার অফিস ও ইউনিভার্সিটিতে বন্ধুত্ব হয়। আমরা স্কুল-কলেজের বন্ধুত্বের গল্প দেখি। তবে একটা গল্প দেখানো হয় না সেটা হল- কাজিনদের বন্ধু্ত্েবর গল্প। এবার আমার গল্প হলো কাজিনদের বন্ধুত্বের গল্প নিয়ে। আমাদের ফান, ফর্তি ও পুনর্মিলনে সবাইকে নস্টালজিক ফিল দেবে।

কাজটি নিয়ে বেশ এক্সসাইটেড অভিনেতা সিয়াম আহমেদ। তার ভাষ্য, ‘এটি একটি বন্ধুত্ব, ভালোবাসা ও ফিরে আসার গল্প। আমাদের দেশে ফিল গুড কাজ খুব কম হয়। আরিয়ান আমার চোখে এক অসাধারণ গল্পকথক। তার সঙ্গে আমার ছোটপর্দায় অল্প কিছু কাজ হয়েছে। কিন্তু আমি অবাক হই যে দর্শক আজও আমাদের প্রত্যেকটা কাজের কথা মনে রেখেছে।

ফারিণ বলেন, ‘এই সিনেমার গল্প পড়ার পর দ্বিতীয়বার আর ভাবতে হয়নি আমাকে। নিজেকে গল্পের অংশ মনে হয়েছে। সিয়াম ভাইয়ের সঙ্গে এই প্রথম কাজ করা হলো। তিনি খুব অবজার্ভেন পারসোন। আশা করি, ভালো একটা কাজ হতে চলেছে।

সিয়াম-ফারিণের পাশাপাশি ‘পুনর্মিলনে’ আরও অভিনয় করেছেন শাশ্বত দত্ত, নূর ইমরান মিঠু, তাজনূভা জাবীন, নওবা তাহিয়া, দীপ্ত দে, জান্নাতুল ফেরদৌস কাজল, টুনটুনি হামিদ, মানস বন্দ্যোপাধ্যায়, শোয়েব মনির, হামিদুর রাহমান, গোলাম ফরিদা ছন্দা, মালা ভট্টাচার্য্যসহ অনেক। শিগগিরই সিনেমাটি উন্মুক্ত হবে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম চরকিতে।


আরও খবর