Logo
আজঃ শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, ‘সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে সরকার চিন্তিত নয়। এটি নিয়ে বিএনপির চিন্তার কারণ আছে। তারা নির্বাচনের আগে বা পরে নৃশংসতা চালাতে পারে।

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন ভিসা নীতি অনুযায়ী ভোটে অনিয়মের সঙ্গে জড়িত কোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। এটি কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।

গতকাল বুধবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে গণমাধ্যমে দেওয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে, বুধবার রাতে বাংলাদেশের জন্য আলাদাভাবে ভিসা নীতি ঘোষণা করে বিবৃতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা দানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার ব্যবস্থা সম্বলিত নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এই নীতির আওতায় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মুক্ত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হবে। কেউ এর ব্যতিক্রম ঘটানোর জন্য দায়ী হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেওয়া হবে না।

লাদেশের মুক্ত, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বচনে যারা অন্তরায় হবে তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা রেষ্ট্রিকশান প্রদান করবে। এর মধ্যে বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য, আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




তানোরে কর্মসূচী কাজের উদ্বোধন ও পরিদর্শন অসন্তোষ

প্রকাশিত:রবিবার ১২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি:রাজশাহীর তানোরে চলতি অর্থ বছরে অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির( ইজিপিপি) প্রকল্পের আওতায় প্রথম পর্যায়ের কাজের শুভ উদ্ধোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন। শনিবার সকালের দিকে উপজেলার তালন্দ ইউনিয়ন ( ইউপির) লালপুর সাবেরের বাড়ি থেকে চাত্রাপুকুর পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজের শুভ উদ্ধোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও এটিএম কাউসার আলী, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন বাবু প্রকল্প সভাপতি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার খালেদা বেগম। এই কাজের জন্য ৪৩ জন শ্রমিকের মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৪ জন। সেখান থেকে ইউএনও যান পাঁচন্দর ইউপির কোয়েল গোয়াল পুকুর জব্বারের মটরের ঘর হতে নোনা ডাঙ্গা হয়ে মাসনা কুড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার। একাজে ২৬ জন শ্রমিক থাকার কথা থাকলেও মাত্র ১৫ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন। কাজের সভাপতি মেম্বার মফিজ উদ্দিন, তিনি জানান উদ্ধোধনের দিন এজন্য সব শ্রমিক আসেনি। এপ্রকল্পের কাজ দেখে ইউএনও বাঁধাইড় ইউপির একান্নপুর সাদিকুলের বাড়ি হতে হরিশপুর ফিরোজের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। একাজে ২১ জন শ্রমিকের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাত্র ১১ জন। কাজের সভাপতি মেম্বার সচিন্দ্রনাথ মাহাতো। তিনি কাজের স্থানে ছিলেন না। মোবাইলে কথা বলা হলে তিনি জানান, ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের দেয়া শ্রমিকরা কাজে আসেন নি, আমি যে কয়টির নাম দিয়েছি সবাই এসেছে। বাঁধইড় মিশনপাড়া পাকা রাস্তা হতে বাঁধাইড় প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। একাজে ২৭ জন শ্রমিকের মধ্যে মাত্র ১৬ জন উপস্থিত ছিলেন। প্রকল্প সভাপতি ১,২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আক্তারা বেগম। তিনি জানান এলাকার শ্রমিকরা ভিআইপি ও চেয়ারম্যানের এবং মেম্বারের দেয়া শ্রমিকরা অনুপস্থিত আছেন। 

পিআইও বলেন, প্রতিটি প্রকল্পে যে পরিমান শ্রমিক আছে সবাইকে উপস্থিত থেকে কাজ করতে হবে।যারা অনুপস্থিত থাকবেন তাদেরকে টাকা দেয়া হবেনা।প্রতিটি কাজ পরিদর্শনে অসন্তোষ প্রকাশ করে নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, একজন শ্রমিক অনুপস্থিত থাকলে প্রকল্প সভাপতি কে জবাব দিতে হবে। কোনভাবেই অনুপস্থিত থেকে টাকা পাওয়া যাবেনা। আর রাস্তার মাটি দিয়ে রাস্তা সংস্কারও করা যাবেনা। জমি থেকে মাটি নিয়ে রাস্তা সংস্কার করতে হবে। কেউ যদি মনে করে কাজে না এসে টাকা পাবে এটা হবে না। অতীতে কি হয়েছে সেটা দেখার বিষয় না। বর্তমানে শতভাগ কাজ বুঝিয়ে নেয়া হবে। তিনি প্রকল্প সভাপতির কঠোর নির্দেশ দিয়ে আরো বলেন, আমি কখন কিভাবে কাজ দেখতে আসব কেউ জানতে পারবে না। কাজে এসে যদি শ্রমিক কম পাওয়া যায় তাহলে সে ভাতা পাবে না। শতভাগ কাজ বুঝে নেয়া হবে।

এছাড়াও, বাধাইড় ইউপির দিবস্থলী সাত্তারের বাড়ি হতে দিবস্থলী রাজ্জাকের জমি পর্যন্ত সংস্কার। একাজে শ্রমিক ২৫ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার অজেদুল। কলমা ইউপির মালবান্ধা এরশাদের বাড়ি হতে দায়মা পুকুর পর্যন্ত ড্রেন খনন। শ্রমিক সংখ্যা ২৫ জন। প্রকল্প সভাপতি মেম্বার শহিদুল। একই ইউপির অমৃতপুর সাধুর মোড় হতে মজিবরের দোকান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। শ্রমিক সংখ্যা ২৫ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার কালাম। ওই ইউপির পিপড়া রেনুলের বাড়ি হতে শেষ মাথা পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। শ্রমিক সংখ্যা ২৫ জন, প্রকল্প সভাপতি মহিলা মেম্বার সাজেনুর বেগম। মাড়িয়া সুমনের বাড়ি হতে সইবুরের দোকান পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার। শ্রমিক সংখ্যা ২৩ জন, প্রকল্প সভাপতি আসগর আলী। পাচন্দর ইউপির সিদপুর হতে কুন্দাইন চারকুড়া পুকুর হয়ে গুড়ইল ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ৩৩ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার গাফফার। ওই ইউপির চককাজিজিয়া হাজেরের বাড়ি হতে মোহনপুর কচুয়া পুকুরের শেষ পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ২৮ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার মাইনুল ইসলাম। সরনজাই ইউপির শুকদেবপুর পাকা রাস্তা মোড় হতে মান্নানের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ৩২ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার আলিম। কামারগাঁ ইউপির ভবানিপুর গোরস্থানে মাটি ভরাট, শ্রমিক সংখ্যা ২৬ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার আনিরুল। ওই ইউপির শ্রীখন্ডা পালপাড়া আইয়ুব মাস্টারের বাড়ি হতে ষষ্ঠী পালের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ২৬ জন, প্রকল্প সভাপতি সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বেলী বেগম। একই ইউপির ধানোরা খাজেম আলীর চাতাল হতে জহিরের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ২৬ জন, প্রকল্প সভাপতি মেম্বার লুৎফর রহমান। চান্দুড়িয়া ইউপির জুড়ানপুর পাকা রাস্তা হতে আফাজের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা সংস্কার, শ্রমিক সংখ্যা ৩৫ জন, প্রকল্প সভাপতি নিজাম উদ্দিন।

আরও খবর



রাজধানীতে মাদক বিরোধী অভিযানে ১৭ মামলা, গ্রেপ্তার ২৮

প্রকাশিত:শনিবার ২৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানী ঢাকায় মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ২৮ জনকে গ্রেপ্তার করে ১৭টি মামলা দায়ের ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) থেকে শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কে. এন. রায় নিয়তি জানান, আসামিদের কাছ থেকে তিন হাজার ২০৫ ইয়াবা, ৬২ কেজি ৯০৮ গ্রাম গাঁজা, ১৬ গ্রাম হেরোইন ও ২৭ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে ডিএমপির বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ১৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




সিইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত:বুধবার ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য বা বিশৃঙ্খলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে । 

বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি। এর আগে তফসিলের নিরাপত্তার বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করা প্রয়োজন, পুলিশ তাই করবে। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সে আন্দোলনে সহযোগিতা করবে।

বুধবার (১৫ নভেম্বর) ইসি ভবনে ডিএমপি কমিশনার এসব কথা বলেন। এর আগে তফসিলের নিরাপত্তার বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা, মো. আলমগীর ও মো. আনিছুর রহমান, ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন।

বেলা ২টা ১৫ মিনিটে ইসি থেকে বের হন ডিএমপি কমিশনার। এর আগে দুপুর ১টা ৮ মিনিটে তিনি ইসি ভবনে প্রবেশ করেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, তফসিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখার জন্য ইসিতে এসেছি, নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন হলে পুলিশ সে আন্দোলনে সহযোগিতা করব। আন্দোলনের নামে যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায় তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।


আরও খবর

আরও ১১০ ইউএনওকে বদলির অনুমোদন ইসির

বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩




সিরাজগঞ্জে ১৬ হাজার ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারি আটক

প্রকাশিত:বুধবার ২২ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮১জন দেখেছেন

Image

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পৃথক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ১৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ ৪ মাদক কারবারিকে আটক করেছে। মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম, এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আাটককৃতরা হলেন, বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার দাইমুল্যা গ্রামের মৃত শাহজাহান ফকিরের ছেলে মোঃ শাফায়েত ফকির(৩৫) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত ইমদাদুলের ছেলে মোঃ জুয়েল মিয়া (৩০) এদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

অপর দিকে বগুড়া শিবগঞ্জ থানার সিহালী গ্রামের মোঃ দিলবর ফকিরের ছেলে মোঃ বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ (৩২) জয়পুরহাট জেলার কালাই থানার সমশিরা গ্রামের সুজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ মিজানুর রহমান (২৮) এদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জুলহাজ উদ্দীন, বিপিএম, পিপিএম, জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার ভোরে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় গোলচত্বর এলাকায় চেকপোষ্টে ডিউটি করাকালে মোঃ শাফায়েত ফকির ও মোঃ জুয়েল মিয়াকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

অপর দিকে মঙ্গলবার সকালে সয়দাবাদের সদানন্দপুর মিয়াবাড়ী মার্কেটের সামনে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ ও মোঃ মিজানুর রহমানকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮ হাজার পিচ ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত আসামী মোঃ জুয়েল মিয়া (৩০) এবং মোঃ বাছেদ ফকির অরফে আঃ বাছেদ (৩২) এদের বিরুদ্ধে ১টি করে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হবে।


আরও খবর



শার্শায় বিজিবির জব্দকৃত ৭২ কেজি স্বর্ণ পাচার মামলায় ৩ জনের ফাঁসি

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image
ইয়ানূর রহমান:যশোরের শার্শা থানার শিকারপুর থেকে বিজিবির বহুল আলোচিত ৭২ কেজি সাড়ে ৪শ’ গ্রাম স্বর্ণ আটকের মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ২ জনের যাবজ্জীবন এবং ৪ জনের ১৪ বছর করে কারাদন্ড ও অর্থদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর- ২০২৩), যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তাজুল ইসলাম এ আদেশ প্রদাণ করেন। 

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ভারতীয় নাগরিক।বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্টপক্ষের অতিরিক্ত পিপি আসাদুজ্জামান।মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, যশোরের শার্শা উপজেলার শিকারপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার তোফাজ্জেল হোসেন তরফদারের ছেলে মহিউদ্দিন তরফদার, জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম ও নারিকেলবাড়িয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে মুজিবুর রহমান।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, শার্শার গোকর্ণ গ্রামের মাঝেরপাড়া গ্রামের আলী হোসেন সরদারের ছেলে মাসুদ রানা, ভারতের চব্বিশ পরগনা জেলার বাগদা থানার গাংগুলিয়া গ্রামের নুর জালাল মন্ডল ওরফে মেছের আলীর ছেলে (বর্তমানে যশোরের শার্শার কৃষ্ণপুর গ্রামের শফিকুল মন্ডল মোল্যা ওরফে লিদু)।১৪ বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, শার্শার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল মোড়লের ছেলে সফি, আব্দুল মোমিনের ছেলে ইমরান হোসেন, আব্দুল কাদেরের ছেলে রুবেল হোসেন, রামচন্দ্রপুর গ্রামের নওশাদ আলীর ছেলে কবির হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৯ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে কয়েকজন চোরাচালানি শার্শার নারিকেলবাড়িয়া- সিকারপুর গ্রামের মাঠের মধ্য দিয়ে ভারতের দিকে যাওয়ার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করেন বিজিবি সদস্যরা।এ সময় মহিউদ্দিনকে আটক করা হয় এবং দু’জন ব্যাগ ফেলে পালিয়ে যায়। 

আটক মহিউদ্দিনের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ভারতে পাঁচারের উদ্দেশ্যে নেওয়া ২২৪ পিস সোনার বার ও পলাতকদের ফেলে যাওয়া দুটি ব্যাগ থেকে ৪শ’ পিসসহ মোট ৬২৪ পিস সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন ৭২ কেজি সাড়ে ৪'শ গ্রাম। মূল্য ৩১ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।এ ঘটনার পরদিন বিজিবির সিকারপুর বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার মুকুল হোসেন বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে  শার্শা থানায় মামলা করেন।

এ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ঢাকা সিআইডি পুলিশের এসআই কোরবান আলী সরকার।সর্বশেষ বৃহস্পতিবার, মামলার রায় ঘোষণার দিনে ছয় আসামির উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 
একই সাথে পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আরও খবর