Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

যুক্তরাষ্ট্রে গোলাপের ৯ বাড়ি, দুদককে অনুসন্ধানের নির্দেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৩০৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলার ব্যয়ে ৯টি বাড়ি কেনাসহ আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আবদুস সোবহান গোলাপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। এরপর রিটটি আজকের কার্যতালিকায় ছিল।

রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, এনবিআরের চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে। রিটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক গোলাপ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ৪০ লাখ ডলারে বাড়ি কেনার বিষয়ে প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্ট বা ওসিসিআরপি’র ওয়েবসাইটে করা একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৪ সালে প্রথম নিউইয়র্কে অ্যাপার্টমেন্ট কেনা শুরু করেন। ওই বছর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস এলাকায় একটি সুউচ্চ ভবনে অ্যাপার্টমেন্ট কেনেন তিনি। পরের পাঁচ বছরে তিনি নিউইয়র্কে একে একে মোট ৯টি প্রপার্টি বা সম্পত্তির (ফ্ল্যাট বা বাড়ি) মালিক হন। এসব সম্পত্তির মূল্য ৪০ লাখ ডলারের বেশি (ডলারের বর্তমান বিনিময় মূল্য অনুযায়ী প্রায় ৪২ কোটি টাকা)। বিষয়টি নির্বাচনী হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেননি বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়।

মো. আবদুস সোবহান মিয়া ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে মাদারীপুর-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। গত ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় সস্মেলনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে তিনি প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদ পান। তিনি দলের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদকও ছিলেন।


আরও খবর



প্রকৃতি'র ইফতার ও দোয়া মাহফিল-২০১৪

প্রকাশিত:শুক্রবার ২২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

রাজধানীর ডেমরায় হিজলতলা বাদশা মিয়া রোড এলাকায় প্রকৃতি'র ল্যান্ড প্রজেক্ট-১ এ ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার ২২ মার্চ এই ইফতার মাহফিলের কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ডাঃ মোঃ মনজুরুল হক মন্টু, সঞ্চালনা করেন প্রকৃতি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ সুজাত আলী জাকারিয়া।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক' ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মশিউর রহমান মোল্লা সজল। ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডিএমপি ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন(পিপিএম),ডি.কে গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম কাজী সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে দেশের কল্যাণে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।



আরও খবর



ব্যাংকে ডাকাতি ও অপহরণ: রুমা ও থানচিতে পুলিশের ৬ মামলা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ডাকাতি বান্দরবানে দুই দিনে ৩ ব্যাংকে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুট, থানায় হামলা ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) রুমা ও থানচি থানায় মামলাগুলো রেকর্ড করা হয়।

মামলার এজাহারে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথা বলা হলেও কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি। সব মামলায় এজাহারে থেকে ৫শ’ আসামি অজ্ঞাত লেখা রয়েছে।

চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি নূর আলম গণমাধ্যমকে বলেন, দুই থানায় ব্যাংক লুট, অস্ত্র ছিনতাই, ডাকাতির ঘটনায় কয়েকশ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীকে আসামি করে ৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া গত রাতে থানচিতে আক্রমণের ঘটনায় আরও একটি মামলা করা হবে।

এর আগে, গত মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা ঘেরাও করে কেএনএফের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র-গুলি লুট করে এবং তাদের মারধর করে সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা লুট করার চেষ্টা চালায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে দুর্গম পাহাড়ে চলে যায়।

এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই পরদিন বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে আবারও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে হামলা করে ১৭ লাখ ৪৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

এসময় সন্ত্রাসীরা কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ব্যাংকের বিভিন্ন ব্যক্তির মোবাইল ফোন নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

সবশেষ গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে রুমা থেকে সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে উদ্ধার করে র‌্যাব। কিন্তু এ ঘটনার পরপরও থানচি বাজার ও থানায় হামলা করে সন্ত্রাসীরা।

এসময় তাদের প্রতিহত করতে অন্তত ৫০০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পরে মধ্যরাতে বান্দরবানের আলীকদমের ২৬ মাইল এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর একটি চেকপোস্টেও গুলির ঘটনা ঘটে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে উপবৃত্তি বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৬জন দেখেছেন

Image

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর অর্থে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছাত্র ছাত্রীদের মাঝে শিক্ষা উপবৃত্তি ও বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হল রুমে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিক্ষা উপবৃত্তি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ৫২ জন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে এবং ৬ জন ছাত্রীর মাঝে বাইসাইকেল বিতরণ করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকার ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ছেলে মেয়েরা যাতে লেখাপড়া করতে পারে, এজন্য বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে নতুন বই, শিক্ষা বৃত্তি, শিক্ষা উপকরণ সহয়তা করছেন। বর্তমান সরকার দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী আদিবাসী ছেলে মেয়েরা যাতে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে, সেজন্য শিক্ষা বৃত্তি চালু করেছেন। আদিবাসী সন্তানরা যেন সহজে স্কুল-কলেজে যেতে পারে সেজন্য বাই সাইকেল প্রদান করেছেন। বিতরণী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান এ কথা বলেন। 

এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সামিয়েল মার্ডি,উপজেলা ইএসডিও ম্যানেজার খায়রুল আলম, আদিবাসী নেতা সুগা মর্ম,স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপকারভোগী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। 

আরও খবর



বৃদ্ধি পেয়েছে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১১জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল,হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:আলুর বাজার স্বাভাবিক রাখতেই দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা।শনিবার (৩০ মার্চ) ভারতীয় ১৩ টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক আলু আমদানি করা হয়। এমআর এন্টারপ্রাইজসহ কয়েকটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এসব আলু আমদানি করেছেন।রোববার (৩১ মার্চ) হিলি বন্দরে আমদানিকৃত আলু প্রতিকেজি ৩১ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আর হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে।

আমদানিকারক মেসার্স মনোয়ার চৌধুরী এর প্রতিনিধি রুবেল হোসেন জানান, গেলো ১ ফেফ্রয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর আমদানিকারকেরা ৭ ফেব্রুয়রি পর্যন্ত বন্দর দিয়ে আলু আমদানি করেন। কিন্তু আলু আমদানিতে লোকসান দেখা দেওয়ায় একমাস আমদানি বন্ধ রাখেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি আরও বলেন,একমাস পর আলুর চাহিদা ও দাম বাড়ায় ৯ মার্চ থেকে আমদানিকারকেরা ফের আলু আমদানি শুরু করেন। এরপর থেকে প্রতিদিনই হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি হচ্ছে। তবে গতকাল শনিবার সবচেয়ে বেশি আলু আমদানি হয়েছে।

হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা ময়নুল ইসলাম,হিলি বাজারে প্রতিকেজি দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। তবে ভারতীয় আলু সব হিলির বাইরে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বাজারে দুই একজন অল্প করে নিয়ে আসলেও বিক্রি কম হয়। ভারতীয় আলুর স্বাদ কম তাই নিতে চায় না ক্রেতারা।

হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ইউসুফ আলী জানান, দেশে আলুর বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলো ১ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানির অনুমতি দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। হিলি বন্দরের ৫২ জন আমদানিকারক ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানির অনুমতি পান। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি ভারত থেকে আলু আমদানি শুরু হয়। মাত্র ৪ দিন ৭ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আলু আমদানি করা হয়। এরপর একমাস আলু আমদানি বন্ধ থাকে। ৯ মার্চ থেকে আবারও আমদানি শুরু হয়।

পানামা হিলি পোর্ট-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মো: সোহরাব হোসেন প্রতাব মল্লিক বলেন,গতকাল শনিবার (৩০ মার্চ) স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় ১৩টি ট্রাকে ৩৩২ মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে। কাস্টমসের যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে আলুগুলো দেশের বিভিন্ন মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন আমদানিকারকেরা।


আরও খবর



ছাত্রলীগ দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন,ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন, তারা (ছাত্রলীগ) দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সোমবার (১ এপ্রিল) দলের দপ্তরর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এদেশের স্বাধীনতা অর্জনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান অনস্বীকার্য।

তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে ছাত্রলীগের ১৭ হাজার নেতাকর্মী জীবন উৎসর্গ করেছিল। ছাত্রলীগ সর্বদা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করে চলেছে। ছাত্রলীগ সুনির্দিষ্ট গঠনতন্ত্র ও নীতি-আদর্শ মেনে পরিচালিত ছাত্র সংগঠন। তারা দখলদারিত্বে বিশ্বাসী নয়।

সেতুমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদারিত্ব শুরু হয় সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাত ধরে। স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান নিজের অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে ছাত্রদের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, ক্ষমতা ও অর্থের প্রলোভনে মোহাবিষ্টের মাধ্যমে ছাত্রনেতাদের আদর্শবিচ্যুত ও পথভ্রষ্ট করে ছাত্রদল প্রতিষ্ঠা করা হয়। নীতি-আদর্শকে পাশ কাটিয়ে বৈষয়িক চিন্তা ও বিলাসি জীবনযাপনে অভ্যন্ত করা হয় তাদের। এর ধারাবাহিকতায় দিনে দিনে ছাত্ররাজনীতিতে একটি কলুষিত ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, একইভাবে স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে স্বাধীন বাংলাদেশে পাকিস্তানি ভাবধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতাবিরোধী পরাজিত শক্তি রাজনীতিতে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রচলন হয়। এর ছোঁয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পড়তে থাকে এবং তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার গণতান্ত্রিক পরিবেশকে ব্যাহত করে। এই নীতি ও আদর্শ বিবর্জিত ধারার বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নিরন্তর সংগ্রাম জারি রেখেছে।

বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমাদের আফসোস হয়। বিএনপি নেতৃবৃন্দ বোঝে না যে এদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে মিথ্যাচারের ধারা অব্যাহত রাখলে তারা জনগণ থেকে আরও দূরে সরে যাবে। তারা ক্ষমতায় এসে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বিরোধী বয়ান তৈরির মধ্য দিয়ে দেশবিরোধী রাজনীতির ধারা সৃষ্টি করেছে এবং তা পরিপুষ্ট করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি নেতাদের সমোলোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথে হেঁটেছিল। তাই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। এখন তো তাদের নেতাকর্মীরা একের পর এক মুক্তি পাচ্ছে। অথচ তাদের মুখে অত্যাচার-নির্যাতনের তথাকথিত বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে এটা তারা চিরস্থায়ী পন্থা হিসেবে বেছে নিয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কোনো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে নাই। বরং নির্বাচন বানচাল ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে যে ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করতে চেয়েছিল, সরকার তা থেকে জনগণের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অভয়ের পরিবেশ সৃষ্টিতে বদ্ধপরিকর।


আরও খবর