Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

যশোরের রমজান শেখ হত্যা মিশনের প্রধান পিচ্চি রাজা সহ ৫ জন আটক

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১২ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২৬০জন দেখেছেন

Image
ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরের রেলগেটের আলোচিত মাদক কারবারী ৩২ মামলার আসামি রমজান শেখ (৩০) হত্যাকান্ডের ঘটনায় র‌্যাব-৬ যশোরের সদস্যরা মোস্টওয়ান্টেড পিচ্চি রাজাসহ হত্যা মিশনের ৫ জনকে আটক করেছেন। ১১ মার্চ দিনভর ৩টি অভিযানে একে একে ওই ৫ দুর্বৃত্তকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩টি চাইনিজ কুড়াল, দুটি আগ্নেয়াস্ত্র, দা, চাকু গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের আটকে চলমান রয়েছে অভিযান।

গত ৮ মার্চ মধ্যরাতে যশোর শহরের রেলগেট এলাকার বাবুর দোকানের সামনে ১০/১২ জনের একটি দুবৃত্ত দল কুপিয়ে হত্যা করে রমজানকে। ঘটনার রাত থেকেই হত্যা ঘটনায় কে বা কারা জড়িত খোঁজখবর নেয়া শুরু করে পুলিশ। এ সময় নিহত রমজানের পরিবারের লোকজনের দাবি, এলাকার পিচ্চি রাজা ও তার সহযোগিরা এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তারা দ্রুত পিচ্চি রাজা সহ খুনীদের আটক ও কঠোর শাস্তি দাবি করেন। এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৯ মার্চ সন্ধ্যায় এলাকার চিহ্নিত ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দেন নিহত রমজানের মা রেখা বেগম।

আসামি করা হয় রেলগেট কলাবাগান পাড়ার রাজা ওরফে পিচ্চি রাজা (২৫), তুহিন (২৮), চোরমারা দীঘিরপাড় এলাকার কুদরত (৩০), সাগর (২৬), শাওন ওরফে পটকে শাওন (২২), খড়কী এলাকার ইবাদুল (২৫), রেলগেট পশ্চিমপাড়ার দেলোয়ার হোসেন (২৪), শুকুর আলী (২৮), রায়পাড়া তুলাতলা এলাকার বাবু ওরফে পলিথিন বাবু (৩৫), রেলগেট পশ্চিমপাড়ার ইয়াছিন (২৬), চাঁচড়া ডালমিল এলাকার পায়েল (২২), বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন (২৮) ও আশ্রম রোড মহিলা মাদ্রাসার পাশের মেহেদী (৩০)কে।

মামলার পর ছায়া তদন্তে মাঠে নামে র‌্যাব ৬ যশোরের কয়েকটি চৌকস টিম। ১১ মার্চ যশোরের শংকরপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শা এলাকা থেকে রমজান হত্যাকান্ডের প্রধান আসামি দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী পিচ্চি রাজা সহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে দেশি বিদেশি অস্ত্রসহ। আটককৃত অন্যরা হচ্ছে শাওন ওরফে পটকা শাওন (২২) ইবাদুল (২৫), সুমন ওরফে ট্যাটু সুমন ও তুহিন (২৮)।

অভিযানের ব্যাপারে র‌্যাব জানিয়েছে, ১১ মার্চ ভোর রাতে চাঞ্চল্যকর রমজান আলী হত্যা মামলার আসামি শাওন ওরফে পটকে শাওন (২২) ও ইবাদুলকে (২৫) শংকরপুর ইসমাইল কলোনী এলাকা থেকে আটক করা হয়। তাদের তথ্যে একইদিন ভোর রাতে শংকরপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ট্যাটু সুমনকে আটক করা হয়েছে।

তার তথ্যে ভোর ৫ টায় বাঘারপাড়ার চাড়াভিটা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে রমজান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি তুহিনকে আটক করা হয়।

আটককৃত ওই ৪ জনের তথ্যে ১১ মার্চ বিকেল ৩ টায় শার্শার দাদখালী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রধান আসামি ও দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজা ওরফে পিচ্চি রাজাকে আটক করা হয়েছে। আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে তাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো স্থান থেকে রেলগেট চোরমারা দীঘির পাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ম্যাগাজিনসহ ১ টি বিদেশি পিস্তল, ১ টি ওয়ান শুটারগান, ৪ রাউন্ড গুলি, ১ টি টিপ চাকু, ৩ টি চাইনিজ কুড়াল, ১ টি চাকু ও ১ টি দা উদ্ধার করা হয়েছে।যে কারণে রমজান খুন

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে রমজান হত্যাকান্ড কি কারণে সে তথ্য মিলেছে। আটককৃত ৫ জন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায়, মামলার প্রধান এজাহারনামীয় আসামি পিচ্চি রাজা যশোর শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছিল এবং তাকে সেল্টার দিত নিহত রমজান আলী। রমজান আলী ও পিচ্চি রাজা একসাথে মাদক ব্যবসা পরিচালনা করত। কিন্তু তাদের মধ্যে এলাকায় মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি বিরোধ তৈরি হয়। কয়েক মাস আগে মাদক কেনাবেচা নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়। তারা একসাথে চলাফেরা করলেও রমজানের প্রতি পিচ্চি রাজার ক্ষোভ ছিল। ঝামেলা হওয়ার কিছুদিন পর আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে পিচ্চি রাজার স্ত্রী ইয়াবাসহ আটক হয়। এই আটকে রমজানের হাত আছে বলে আসামি পিচ্চি রাজা সন্দেহ করে।

এছাড়াও বেশ কয়েকদিন থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিচ্চি রাজাকে আটকের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছিল। পিচ্চি রাজাকে আটকে রমজান আাইশৃংখলা বাহিনীকে সহায়তা করতে পারে ভেবে পিচ্চি রাজা রমজানের উপর প্রতিশোধ নিতে সুযোগের অপেক্ষায় ছিল।

আরও খবর



তিতাস গ্যাসের প্রধান কার্যালয়ে বিশেষ সভায় যোগদান করেন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ১৮ মে ২০২৪ | ১৮৫জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃতিতাস গ্যাস প্রধান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এক বিশেষ সভায় অংশ গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল রাজধানীর কারওয়াণ বাজারে এই বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপক ও তদোর্ধ কর্মকর্তাদের নিয়ে এই সভা আয়োজন করা হয়। এসময় বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নুরুল আলম,পেট্রো বাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি হারুনুর রশিদ মোল্লাহ।

এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু বলেন, গ্যাসের ব্যবহারে আমরা অনেক বড় বড় পরিকল্পনা নিয়েছি, ঢাকা সহ নারায়ণগঞ্জে ১২ হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি যে প্রকল্পে আমরা সহযোগিতা পাচ্ছি এনডিবি ব্যাংক থেকে তারা ৫০০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা করতে রাজি হয়েছে বাকি টাকা আমরা নিজেরা ইনভেস্ট করব, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা সহ আশেপাশের এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত হবে, ইন্ডাস্ট্রি যাতে নিরবিচ্ছিন্ন করা যায় সেখানে কিভাবে দ্রুত অটোমোশন আনতে পারি মিটারের আওতায় আনতে পারি সেজন্য তিতাস ইতিমধ্যে ৩০ লক্ষ প্রিপেইড মিটার ইনস্টলেশন করার জন্য এডিবি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং জাপান ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করেছে, তারা আমাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য রাজি হয়েছে, এখন কনসালটেন্ট নিয়োগ করে এই বছরের মধ্যে আমরা টেন্ডারে চলে যাব, ফলে তিতাসকে ঢেলে সাজানোর জন্য ইতিমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশকে সামনে রেখে জ্বালানি বিভাগকে আমরা বলেছি একটি রোড ম্যাপ তৈরি করার জন্য। 

প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, ৩৩৬ টি শিল্প সংযোগ অবৈধ লাইনের জন্য বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ৪৭৫ টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে সংযোগ বিচ্ছিন্নের আওতায় আনা হয়েছে, ক্যাপটিভ পাওয়ার অবৈধভাবে ব্যবহার করত ৯৭ টি প্রতিষ্ঠান যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে, অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করা ১৩ টি সিএনজি স্টেশনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯৮৯ কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। আবাসিক, বাণিজ্যিক, ইন্ডাস্ট্রি সমস্ত গ্রাহকের বাড়ি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে সংযোগ চেক করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।


আরও খবর



নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি জহুরুল তদন্ত ওসি হলেন লুৎফর রহমান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধি:কর্মক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আত্রাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জহুরুল ইসলাম। ও নওগাঁ জেলার শ্রেষ্ঠ (তদন্ত) ওসি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন একই থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান। 

জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ সভায় এই ঘোষণা প্রদান করা হয়। 

সভাশেষে জেলার পুলিশ লাইনে শ্রেষ্ঠ ওসি ও শ্রেষ্ঠ তদন্ত ওসি‘র হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক। 

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান, ফৌজিয়া হাবিব খান, জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, জেলার সকল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রমুখ। এমন শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করায় জেলার পুলিশ প্রধানসহ জেলা পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন ওসি সেলিম রেজা ও ওসি (তদন্ত) লুৎফর রহমান।  

এ সময় পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রাশিদুল হক বলেন, যেকোনো পুরস্কারই একজন মানুষকে শ্রেষ্ঠ কর্মদক্ষতা প্রদর্শনের মাধ্যমে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পাথেয় হিসেবে কাজ করে। তাই পুলিশি সেবাকে প্রতিটি মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে সম্পন্ন করার নিমিত্তে কাজের শ্রেষ্ঠত্ব হিসেবে প্রতি মাসে আমরা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে জেলা পুলিশে কর্মরত সদস্যদের অনুপ্রেরণা প্রদান হিসেবে এই সম্মাননা প্রদান করে আসছি। আমি আশাবাদী এমন পুরস্কার পুলিশ সদস্যদের মাঝে নিপুণভাবে নিজেদের দায়িত্ব সম্পাদন করার ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। আগামীতেও জেলা পুলিশের এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হবে বলে তিনি জানান।


আরও খবর

পোরশায় ৫ মাদক সেবী আটক

রবিবার ১৯ মে ২০২৪




ভোটে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা: সিইসি

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ১১৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:অধাধ ও সুষ্ঠু উপজেলা নির্বাচন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এমনকি এই নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব রহিত করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে কোনো মন্ত্রী-এমপি প্রভাব বিস্তার করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার (৭ মে) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না। তবু কোনো মন্ত্রী ও এমপি ভোটে প্রভাব বিস্তার করেন কি না, তা কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হবে এবং তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এক প্রতিবেদনে জানা যায়, উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ জন মন্ত্রী-এমপিদের স্বজন। তারা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আসিবুর রহমান, সুবর্ণচর উপজেলার আতাহার ইশরাক চৌধুরী, সারিয়াকান্দি উপজেলার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন, বেড়া উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মো. আব্দুল বাতেন ও আব্দুল কাদের, নাজিরপুর উপজেলার এস এম নূর ই আলম, সোনাতলা উপজেলার মিনহাদুজ্জামান, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সফিকুল ইসলাম ও আলী আফসার, কুষ্টিয়া সদরের আতাউর রহমান, ধনবাড়ী উপজেলার হারুন অর রশীদ, মাদারীপুর সদরের পাভেলুর রহমান এবং রামগড় উপজেলার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিশ্ব প্রদীপ কারবারী।


আরও খবর



বাংলাদেশ-কাতারের ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে পাঁচটি চুক্তি এবং পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ ও কাতার।

পাঁচ চুক্তির মধ্যে আছে উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি, দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি এবং দু’দেশের ব্যবসা সংগঠনের মধ্যে যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

পাঁচ সমঝোতা স্মারকের মধ্যে আছে কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, শ্রমশক্তির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক এবং বন্দর ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।

চুক্তিগুলোর মধ্যে প্রথমটিতে কাতারের পক্ষে বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন হামাদ আল থানি ও বাংলাদেশের পক্ষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দ্বিতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, তৃতীয়টিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, চতুর্থটিতে কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি ও বাংলাদেশের নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এবং পঞ্চমটিতে কাতার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান শেখ খলিফা বিন জসিম আল থানি ও বাংলাদেশের ফেডারেশন অব চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম সই করেন।

সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে সবকটিতে কাতারের পক্ষে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সুলতান বিন সাদ আল মুরাইখি এবং বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সই করেন।

মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়। সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানীর তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে কাতারের আমিরকে ফুল দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


আরও খবর



অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও সিন্ডিকেটে কমছে ধানের দাম

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬২জন দেখেছেন

Image

আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে অতিরিক্ত টোল বা খাজনা আদায়ের কারনে প্রতি ঘন্টায় কমছে ধানের দাম বলে অভিযোগ করেন কৃষকরা। এক মন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করছেন হাট ইজারাদার মাসুদ ও তার লোকজন। পৌর এলাকার তালন্দ হাটে ঘটে রয়েছে এমন ঘটনা। এতে করে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।জানা গেছে, তানোর পৌরসভা থেকে প্রতি বছর হাটটি নিলাম হয়। এবার নিলামে রাজশাহীর গুড়িপাড়া এলাকার মাসুদ পেয়েছেন। পাওয়ার পর থেকেই সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমত খাজনা বা টোল আদায় করে থাকেন। 

সপ্তাহে বুধবার ও রবিবার তালন্দ হাট বার। হাটে বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা ভ্যানে করে ধান বিক্রি করতে আসেন। প্রতি হাটে প্রচুর পরিমানে ধান কেনা বেচা হয়।মফিজ নামের এক কৃষক বলেন, তালন্দ হাটে ধান বিক্রি করতে এসেছিলাম বাড়তি দাম পাওয়ার আসায়। কিন্তু গত হাটে একমন ধান প্রকার ভেদে ১২৭০ টাকা থেকে ১২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবারে কমে ১২৪০ টাকা থেকে ঊর্ধ্বে ১২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আবার একমন ধানে ৮ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত খাজনা আদায় ও ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেটের কারনেই ধানের দাম কমে যাচ্ছে।

দুলাল নামের এক কৃষক বলেন এক মন ধান বিক্রি করার জন্য এসেছে। ধাম বেশি পাব বলে দুপুর থেকে প্রচন্ড খরতাপের মধ্যে বসে ছিলাম। কিন্তু বাড়তি দাম নেই। যতই বেলা ঘনিয়ে আসছে ততই ধানের দাম সিন্ডিকেটের কারনে কমে যাচ্ছে। একমন ধান বিক্রি করেছি ১২৫০ টাকায়। ধানের দাম কমে গেলেও বাজারে নিত্যপন্যের দাম প্রচুর। একমন ধান বিক্রি করে প্রয়োজন মত বাজার করা যায় না। অবাক করার বিষয় সবকিছুর দাম বেশি হলেও ধানের দাম কম। আবার মড়ার উপর খাড়ার ঘা একমন ধানে খাজনা দিতে হচ্ছে আট টাকা করে।সিদ্দিক নামের আরেক কৃষক জানান, ১২ মন ধান বিক্রি করেছি। একমন ধানের দাম লেগেছে ১১৮০ টাকা। আর কিছুক্ষণ পর এদামও পাওয়া যাবে না।আরেকজন জানান, একমন ধানে আট টাকা তো নিচ্ছেই আবার একটি হাঁসে ২০ টাকা করে খাজনা আদায় করে থাকেন। খাজনা আদায় কারী উত্তম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ৮ টাকা খাজনা অনেক কম নেয়া হচ্ছে। সরকারি রেটে খাজানা আদায় করলে আরো বেশি হবে। সরকারি তালিকা দেখতে চাইলে তিনি দেখতে পারেননি।

সুত্র জানায়, হাটে খাজনা বা টোল আদায়ের তালিকা সাটাতে হবে। সে অনুযায়ী খাজনা আদায় করতে হবে। কিন্তু কোন নিয়মই মানছেন ইজাদার ও পৌর কর্তৃপক্ষ। বাজার মনিটরিং না থাকার কারনে ইচ্ছে মত টোল বা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। যদি নিয়োমিত মনিটরিং ব্যবস্থা বা অভিযান দিলে এত বেপরোয়া ভাবে খাজনা আদায় করতে পারত না। সবকিছু সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি। 
মুল ইজারাদার মাসুদ জানান,  এক মনে আট টাকা খাজনা আদায় অনেক কম হয়েছে। প্রতি হাটে ২০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে হচ্ছে। তাহলে এত বেশি টাকায় হাট নিয়েছেন কেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমি হাটে নেই সাক্ষাতে কথা হবে বলে দায় সারেন তিনি। 

পৌর মেয়র ইমরুল হকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নিয়ম অনুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি টাকা আদায় না করলে বেতনভাতা দেয়া হবে কোথাই থেকে। সরকারি তো বেতন দেয় না। পৌরসভার রাজস্ব থেকেই বেতন দিতে হয়। আর সরকারি নিয়মে আদায় হলে বেতন ভাতা হবে না।

আরও খবর