Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

যশোরে একেক ভবনে ৪ থেকে ৫টি হসপিটাল-ক্লিনিক

প্রকাশিত:শনিবার ০২ মার্চ 2০২4 | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১১১জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:যশোরে একটি ভবনের দুই তিন ও চার তলায় ইউনিক হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। জেনারেল হাসপাতালের প্রধান গেটের সামনেই বেসরকারি এই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটি। আনুমানিক ২শ’ ৫০ বর্গফুটের একেকটি কক্ষে ৫/ ৬টি শয্যা। হাসপাতালটিতে অনুপস্থিত মানসম্মত অপারেশন থিয়েটার। একই ভবনের নিচতলায় রয়েছে কমটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আরেকটি ফ্লাটে রয়েছে অর্থোপেডিক ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার। আরেকটি অংশের ২য় তলায় রয়েছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার। নিচ তলায় ল্যাবজোন স্পেশালাইজিড হসপিটালে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উন্নতমানের কোনো যন্ত্রপাতি নেই।

ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের ৫শ’ মিটার এলাকার মধ্যে মোট ১৬টি বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যার সবগুলোই পাশাপাশি ভবনে। এর মধ্যে ১৩ প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ লাইসেন্স নেই বলে নিশ্চিত করেছেন যশোর সিভিল সার্জন অফিস।যশোর জেনারেল হাসপাতাল আসা রোগীদের কেন্দ্র করেই মূলত সরকারি হাসপাতালের সামনেই সারিবদ্ধভাবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বেসরকারি এসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক। অথচ ১৯৮২ সালের মেডিকেল প্রাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ অধ্যাদেশে বেসরকারি হাসপাতাল গঠন এবং পরিচালনার দিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি হাসপাতালের ৩০০ গজের মধ্যে কোনো বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা ক্লিনিক থাকতে পারবে না। কিন্তু আইন অনুযায়ী যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনের চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। এখানে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার স্থাপন করার ক্ষেত্রে মানা হচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়মনীতি।

অভিযোগ উঠেছে, অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কমটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসাসেবার কোনো পরিবেশ নেই। দালালের ওপর নির্ভর করেই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানকার নিয়োগকৃত দালালরা যশোর জেনারেল হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে আনার পর গলাকাটা বাণিজ্য করা হয়। বিশেষজ্ঞ প্যাথলজিস্ট ও ল্যাব টেকনশিয়ান না থাকলেও রোগীদের প্যাথলজি রিপোর্ট হাতে ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উন্নতমানের যন্ত্রপাতিও নেই। মূলত রোগীদের সাথে প্রতারণা করে অর্থ হাতানোর ধান্দায় ব্যস্ত রয়েছেন কমটেক কর্তৃপক্ষ।

ইউনিক হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। আলোচিত এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি নানা অনিয়মের মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। এছ্ড়াা রয়েছে অপচিকিৎসার অভিযোগ। যশোর জেনারেল হাসপতালের কতিপয় চিকিৎসক সরকারি এই হাসপাতাল থেকে হাত পা ভেঙে যাওয়া রোগীদের গোপনে ইউনিক হসপিটালে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এখানে ডা. আনসার আলীর অপচিকিৎসায় চৌগাছার মাড়ুয়া গ্রামের দিনমজুর ফজলুর রহমানের ছেলে শামিনুর রহমানের (১০) জীবন সংকটাপন্ন হয়ে পড়ে। গরু বিক্রির টাকা দিয়ে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন ফজলুর রহমান। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনরা ইউনিক হসপিটালে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। ওই সময় হাসপাতালের পরিচালক উজ্জল বিশ্বাসও জখম হয়েছিলেন। এদিকে ছোট ছোট কক্ষে ৬ থেকে ৮ টি করে শয্যা রয়েছে। মোটা অংকের টাকা ব্যয় করেও আরামদায়ক পরিবেশে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগীরা।

যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, যশোর জেনারেল হাসপাতালের সামনে একই ভবনে একাধিক হাসপাতাল ক্লিনিক স্থাপনের বিষয়টি দুঃখজনক। স্বল্প জায়গায় হাসপাতাল ক্লিনিক স্থাপন করায় নিয়মমতো অপারেশন থিয়েটার, প্যাথলজি বিভাগ, চিকিৎসা ওয়ার্ড তৈরি করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। যে কারণে চিকিৎসা সেবায় ঝুঁকির সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযান চালিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ ও জরিমানা করা হয়েছে। বাকিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আরও খবর



রামগড়ে পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৬০জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পবিএ ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এর উদ্যোগে প্রতিবন্ধি  তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর মাঝে ঈদ উপহার  ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকাল ৫টার দিকে রামগড় থানা প্রাঙ্গণের সামনে জেলা পুলিশের আয়োজনে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ এবং প্রতিবন্ধীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে ঈদ বস্ত্র ও ইফতার বিতরণ করেন খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

ঈদ উপহার সামগ্রী পেয়ে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধি উপকার ভোগীরা খাগড়াছড়ি জেলার মানবিক পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)কে ধন্যবাদ জানাতে ভূলেননি।

রামগড় থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মো. ফখরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, রামগড় প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক মো. নিজাম উদ্দিন লাভলু, রামগড় উপজেলা প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, তৃতীয় লিঙ্গের সদস্য তিশা প্রমূখ।

প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে, খাগড়ছড়ি জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন,জেলার  আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি জেলা পুলিশ সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টিদের  বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।তারই ধারাবাহিকতায়  পবিত্র ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে রামগড় থানা এলাকার ৩০ জন অসহায়- হতদরিদ্র ও তৃতীয় লিঙ্গ ও প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইফতার ও ঈদ বস্ত্র হাতে তুলেদিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। প্রতিবন্ধি, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী  আমাদের সমাজেরই একটি অংশ। তাই তাঁদেরকে পৃথক করে দেখার সুযোগ নেই। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতার মাঝে এই গোষ্ঠী পিছিয়ে আছে। তবে সঠিক প্রশিক্ষণ ও সুযোগ পেলে তারাও সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে। জানিয়ে তিনি আরো বলেন এধরনের কার্যক্রম জেলা পুলিশের অব্যাহত রয়েছে। যা ভবিষ্যতে  এ ধরনের কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান।

এসময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মো, জসীম উদ্দিন পিপিএম, রামগড় সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.নাজিম উদ্দিন, রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেব প্রিয় দাশ,
রামগড় স্থল বন্দর ইমিগ্রেশন ইনচার্জ (ওসি) মো.মনির হোসেন সহ পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তা, সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


আরও খবর



খাগড়াছড়িতে ৫দিনব্যাপী বৈসাবী উৎসবের উদ্বোধন করলেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৯৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের পশ্চাদপদ মানুষকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত করতেই পার্বত্য চট্টগ্রামে উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সাথে আমাদের পার্বত্য মানুষের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য তুলে ধরতেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, আমরা চাই, সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করা।

 শুত্রুবার (৫এপ্রিল) খাগড়াছড়ি সদরে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ আয়োজিত ৫দিন ব্যাপী ঐতিহ্যবাহী বৈসাবী উৎসব ও বাংলা নববর্ষ ১৪৩১ উপলক্ষ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, এমপি এসব কথা বলেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপুর সভাপতিত্বে ২০৩ পদাতিক ব্রিগেড  খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ মো. আমান হাসান, ২৪ আর্টিলারি ব্রিগেড গুইমারা রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রাইসুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি জেলার ডিজিএফআই কমান্ডার কর্ণেল আব্দুল্লাহ মো. আরিফ, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, খাগড়াছড়ি বিজিবি সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো. নাজমুল হক,  খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সুমন চৌধুরী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো.শানে আলম, খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উপ-পরিচালক জিতেন চাকমা উপস্থিত ছিলেন।

 প্রধান অতিথি,র বক্তব্যে পার্বত্য চট্রগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন সম্প্রদায় আছেন যারা সংস্কৃতিমনস্ক সৃজনশীল কাজের প্রতি অনুরাগী। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ থেকে পরিচালিত হয়ে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে উন্নয়ন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের ফলেই পার্বত্য অঞ্চলের ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে।

জানিয়ে তিনি আরো বলেন,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষ্টি সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও এর ধারা অব্যাহত রাখতেই রাজধানী ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কমপ্লেক্স নির্মাণ করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশের সকল জাতি গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মাঝে ঐক্যের বন্ধন সৃষ্টি করার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। আমরা দেশের উন্নয়নের মূল স্রোতধারার সাথে সম্পৃক্ত থেকে দেশের উন্নয়নে কাজ করতে চাই। বিগত সময়গুলোতে আমাদের যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তা দুর করতে চাই। আগামিতে সাহস নিয়ে, শক্তি নিয়ে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যেতে চাই। প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে মিলে পাহাড়ে শান্তিপূণ সহাবস্থান ও সুসম বন্টন নিশ্চিত করবো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামিতে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দেশের উন্নয়ন কাজে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।

 পাহাড়ীরা বর্ষবরণ উৎসব পালন করে বিভিন্ন নামে। কেউ বৈসু, কেউ সাংগ্রাই আবার কেউ বিজু। বর্ষবরণ উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে এবং এগুলি বৈসাবি নামে পরিচিত। নতুন বছরের প্রথম দিন বর্ষবরণ উৎসব বৈসাবি পালিত হয় খাগড়াছড়ি, রাংগামাটি ও বান্দরবান জেলায়।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বর্ণিল সাজে সজ্জিত বৈসাবী আনন্দ র‌্যালিতে যোগ দেন। বৈসাবি  বাংলাদেশের  তিন পাহাড়ী জাতিগোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব। বৈসু, সাংগ্রাই, বিজু এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। তারা বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করে বাংলা নববর্ষ।

আরও খবর



বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:দুর্নীতির যে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে, তার অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ লক্ষ্যে একটি কমিটিও গঠন করেছে দুর্নীতি বিরোধী রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি।

এর আগে, পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। সোমবার (২২ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাউদ্দিন রিগ্যান হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন। রিটে দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবসহ চারজনকে বিবাদী করা হয়েছে।

জানা গেছে, বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে রিটের একটি কপি হাতে পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সেখানে বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এর আগে, গতকাল রোববার (২১ এপ্রিল) বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চিঠি দেন সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭ মাস চাকরি করে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে অবসরে যান। এরপর দেখা যায়, বেনজীর আহমেদ তার স্ত্রী ও কন্যাদের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি অর্জন করেছেন যা তার আয়ের তুলনায় অসম।

গত ৩১ মার্চ দৈনিক কালের কণ্ঠে ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। তাতে বলা হয়েছে, সাবেক মহাপরিদর্শক তার স্ত্রী জিশান মির্জা এবং দুই মেয়ে ফারহিন রিশতা বিনতে বেনজীর ও তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীরের নামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

বেনজীর আহমেদ তার পদের অপব্যবহার করে তার আয়ের তুলনায় প্রতিবেদনে উল্লিখিত সম্পত্তি অধিগ্রহণ করেছেন বলে বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে বলে চিঠিতে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

এমন পরিস্থিতিতে, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ, স্ত্রী, বড় মেয়ে ও ছোট মেয়ের বিরুদ্ধে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ সংগ্রহের জন্য তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নিতে দুদককে অনুরোধ করেন তিনি।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঢাকার অভিজাত এলাকাগুলোতে বেনজীর আহমেদের দামি ফ্ল্যাট, বাড়ি আর ঢাকার পাশে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে। দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোল্ডিংস ও পাঁচতারা হোটেল লা মেরিডিয়ানের রয়েছে দুই লাখ শেয়ার।

পূর্বাচলে রয়েছে ৪০ কাঠার সুবিশাল জায়গাজুড়ে ডুপ্লেক্স বাড়ি, যার আনুমানিক মূল্য কমপক্ষে ৪৫ কোটি টাকা। একই এলাকায় আছে ২২ কোটি টাকা মূল্যের আরও ১০ বিঘা জমি।

অথচ গত ৩৪ বছর ৭ মাসের দীর্ঘ চাকরিজীবনে বেনজীর আহমেদ বেতন-ভাতা বাবদ মোট আয় ১ কোটি ৮৪ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকার মতো হওয়ার কথা।


আরও খবর



ঈদের ছুটিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন,ঈদের সময় স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতি তদারকিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে ঈদুল ফিতর, এর পরপরই নববর্ষ। এসময় অনেক বড় একটা ছুটি। ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যান। এবার আমি হাসপাতাল সম্পর্কে যেটা নির্দেশ দিয়েছি, হাসপাতালে যারা চিকিৎসক কাজ করবেন, সাধারণত যারা সনাতন ধর্মের থাকেন তারাই এসময়ে কাজ করেন। ঈদের সময় রোগীদের উন্নত খাবার দেওয়া হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যাদের ডিউটি থাকবে সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায় কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না। আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এমন একটা রোগ, এখানে সচেতনতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। সঠিক সময় হাসপাতালে ভর্তি না হতে পারলে ডেঙ্গুতে অনেক সময় মানুষ মারাও যায়।

তিনি বলেন, প্রথম বিষয় হলো আমাদের সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা হলো পরের কথা। চিকিৎসা করার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা অলরেডি একটা মিটিং করেছি। ঈদের পরে আবার বসব যেন চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজে মুসল্লীদের কান্নার রোল

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৪৯জন দেখেছেন

Image

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:তীব্র গরম দাবদাহ বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে জনজীবন। গরম দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে ঝিনাইদহে বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ সালাতুল ইস্তিসকার আদায় করা হয়। বুধবার সকাল ৮.১০ মিনিটে ঝিনাইদহ উজির আলী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে আয়োজন করে জেলা ইমাম পরিষদ। নামাজে ইমামতি ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওঃ সাইদুর রহমান। নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।


আরও খবর