Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসক বেশে এরা কারা!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২৩জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট। সাদা অ্যাপ্রোন পরা কয়েকজন নারী দলবদ্ধভাবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে যান। তাদের প্রবেশের পর  রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ভেবে নড়েচড়ে বসেন। চিকিৎসক বেশে তারা সিভিডিতে (ব্রেইন স্ট্রোক) আক্রান্ত রোগীদের কাছে যান। এরপর নতুন ভর্তি হওয়া প্রতি রোগীকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে
ফিজিওথেরাপি (শারীরিক চিকিৎসা) দেয়া শুরু করেন। তারা দল বেধে হাসপাতালে প্রবেশের আগে ওই চক্রের সদস্যরা চিকিৎসাধীন রোগীদের মাথার কাছে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরিচিতি কার্ড রেখে আসেন। যারা কার্ড দিতে গিয়েছিল
তারাও ছিল সাদা অ্যাপ্রোন পরা।

কার্ড দিয়ে স্বজনদের বলা হয় রোগীর কোনো সমস্যা হলেই কার্ডের নম্বরে ফোন করবেন। সহজ সরল মানুষেরা চিকিৎসক মনে করে প্রায় তাদের ডেকে নেন। সাদা অ্যাপ্রোন পরে ফিজিওথেরাপি চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি এই হাসপাতালকে ঘিরে ফিজিওথেরাপি ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়াই একটি চক্র নামমাত্র ফিজিওথেরাপি সেন্টার খুলে ধান্দাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। চক্রের প্রায় সব সদস্য নারী। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে সেবা ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও সোনালী ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সদস্যরা গায়ে অ্যাপ্রন পরে চিকিৎসকের বেশে ওয়ার্ডে ওয়োর্ডে অবাধে প্রবেশ করছেন। প্রথম দেখাতে তাদেরকে যে কোন রোগীর স্বজন চিকিৎসক ভেবে নেন। রোগীর ফিজিওথেরাপির নামে
তারা স্বজনদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুফে নিচ্ছেন।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন সঞ্চিতা রানী জানান, রোববার দুপুরে গায়ে চিকিৎসকের সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও গলায় কার্ড ঝুলানো তিন মহিলা আসে। রোগী নতুন ভর্তি হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এরপর ৩শ’ টাকা নিয়ে ফিজিওথেরাপি দেন। সঞ্চিতা রানী আরও জানান, প্রথমে তাদেরকে তিনি চিকিৎসক ভেবেছিলেন। পরে বুঝতে পারেন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের লোক। হাসপাতালের পুরুষ- মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড ও পুরুষ-মহিলা পেইং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় রোগীর মাথার কাছে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ভিজিডিং কার্ড রয়েছে। জানতে চাইলে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন রাসেল হোসেন জানান, সাদা অ্যাপ্রন পড়া এক নারী কার্ড রেখে গেছেন। দুপুর দুই টার পর রোগীর কোন সমস্যা হলে কার্ডের নম্বরে কল করতে বলেছেন।

সূত্র জানায়, ব্যবসার স্বার্থে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের নারীরা চিকিৎসকের মতো সাদা অ্যাপ্রোন পরে রোগীর কাছে যান। তারা কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট না। অথচ তারা ফিজিওথেরাপিস্ট সেজে রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ ফিজিওথেরাপি মানে কি সেটাই জানেন না অ্যাপ্রন পরা চক্রের অনেক সদস্য। সূত্র আরও জানায়, তাদের ব্যবসা বাড়াতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয়/আয়া) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করেন। সিভিডি রোগী ভর্তি হলে তাদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়া হয়। বিনিময়ে কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিনিয়র একজন সেবিকা জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ‘ওরা’ যখন গায়ে অ্যাপ্রন পরে দলবেধে ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন তখন নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়। সহজ সরল মানুষ তাদেরকে চিকিৎসক ভেবে রোগের বর্ণনা করেন। ফিজিওথেরাপির নামে প্রতি রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা আদায় করা হয়।

মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান, ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে হয় ফিজিওথেরাপি বা শারীরিক চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অন্যতম এবং একটি অপরিহার্য শাখা। শুধু ওষুধ সব রোগের পরিপূর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। বিশেষ করে বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা থেকে যেসব রোগের সৃষ্টি হয়, তার পরিপূর্ণ সুস্থতা
লাভের উপায় ফিজিওথেরাপি। একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ফিজিওথেরাপি, যেখানে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর সব কথা শুনে-বুঝে, রোগীকে ভালোভাবে দেখে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর
সঠিক রোগ, আঘাত বা অঙ্গ বিকৃতির ধরন নির্ণয় করে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেথড যেমন-ম্যানুয়াল টেকনিক, তাপ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজন। অন্যথায় রোগীর আরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেয়া হলে রোগীদের অনেক সুবিধা হতো।

এই বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গায়ে চিকিৎসকের অ্যাপ্রন পরে হাসপাতালে যাওয়া পুরোপুরি নিষেধ। কারণ এতে রোগী ও স্বজনরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। তিনি আরও জানান, তারা সাধারণ পোশাক পরে দুপুর ৩ টার পর ওয়ার্ডে যেতে পারবেন বলে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মানলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।


আরও খবর



বিরামপুরে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৫জন দেখেছেন

Image

মিজানুর রহমান মিজান, বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃদিনাজপুর জেলার বিরামপুর সীমান্তে ভারতে পাচার কালে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করেছে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড ঘাসুডিয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা।

জয়পুরহাট-২০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জয়পুরহাট-২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোহাম্মদ তানজিলুর রহমান ভূঁইয়া জানান, বুধবার (১০ এপ্রিল ) রাত পৌনে তিনটার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমার নির্দেশে উপ-অধিনায়ক মেজর আফিক হাসান নেতৃত্বে ও ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি'র  টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ আসাদুজ্জামান এর সহযোগিতায় দিনাজপুর জেলার বিরামপুর উপজেলা সীমান্তের নিকটবর্তী এলাকা অভিযান চালান। এসময় হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে সাপের বিষ পাচারের চেষ্টাকালে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করেন বিরামপুর সীমান্তের ঘাসুড়িয়া ক্যাম্পের বিজিবি'র একটি বিশেষ টহলদল।

তিনি আরো জানান, সীমান্ত পিলার ২৮৯/১-এস হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ওসমান মোড়, ঈদগাহ মাঠ নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে এক কেজি সাপের বিষ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত সাপের বিষের আনুমানিক মূল্য এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। এবিষয়ে চোরাচালান আইনে বিরামপুর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। চোরাচালান প্রতিরোধে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও বিজিবি'র এই কর্মকর্তা নিশ্চিত করেন।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




কালিয়াকৈরে হঠাৎ ঝড়-শিলাবৃষ্টি একরাতে তছনছ গ্রামের পর গ্রাম

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ মার্চ 20২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি;গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হাওয়া ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে এক রাতে তছনছ হয়ে গেছে গ্রামের পর গ্রাম। বাড়িঘর ও গবাদি পশু রাখার ঘরের টিনের চাল ফুটো হওয়ায় বিপদগ্রস্থ ও দিশেহারা হয়ে পড়েছে মানুষ।

অপরদিকে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত। তবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শনিবার রাতে হঠাৎ দুই দফায় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃৃষ্টি হয়েছে। গত শনিবার তারাবির নামাজ ও রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ। রাত পৌনে ১০টার দিকে শুরু হয় ঝড়ো হওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। আবারও রাত ১টার দিকে আঘাত হানে ঝড়ো হাওয়া ও ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। বসত-ঘরের টিনের চালা ফুটো হয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়ে ছোট-বড় শিলা। এর সঙ্গে ছিল বৃষ্টির পানিও। আতকে উঠেন ঘুমন্ত মানুষ। মুহুর্তের মধ্যে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ে বাড়িঘর, ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। কেউ কেউ ঘরের চৌকি, আবার কেউ কেউ টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নেন। নষ্ট হয়ে গেছে বৈদ্যুতিক লাইন, ঘরের আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল। এ অবস্থায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন গ্রামের পর গ্রামের মানুষ। দুই দফায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টির আঘাতের কবলে পড়ে উপজেলার বহেড়াতলী, গাছবাড়ী, সোনাতলা, কাথাচুড়া, চাবাগান, ঠেঙ্গারবান্দ, বোয়ালী, বর্মণপাড়া, ফুলবাড়িয়া, পাবুরিয়াচালা, বড়ইবাড়ী, কুটামনি, ডাকুরাইল, কোন্দাঘাটা, পিপড়াসিট, গোলুয়া, ঢোলসমুদ্রসহ বিভিন্ন গ্রাম। এই ঝড় ও ভয়াবহ শিলা বৃষ্টির কবলে পড়ে এসব গ্রামের গরু রাখার ঘর ও গবাদি পশুও। শুধু তাই নয়, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টিতে আম ও লিচুর মকুল, কাঁঠাল, মৎস্য খামার, মাঠের বোরো ধান, কলাবাগানসহ মৌসুমী ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে গ্রামের পর গ্রামের কৃষকের মাথায় হাত বলেও জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

তাদের অভিযোগ, কৃষকের এমন অবস্থায়ও কোনো খোঁজ-খবর রাখেনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তারা। অপরদিকে এই ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর থেকে বৈদ্যুতিক লাইন ত্রুটি হয়ে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে এসব গ্রাম। ফলে বন্ধ রয়েছে রাইস মিল, মশলা গুড়ার মেশিন, ফ্রিজ, অনেকের মোবাইল ফোনসহ বৈদ্যুতিক ব্যবহার্য জিনিসপত্র।

ঠেঙ্গারবান্দ এলাকার সাংবাদিক ইমারত হোসেন জানান, হঠাৎ করে রাতে দুই দফায় ঝড় ও ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। এতে আমার ৮০ হাত ঘরের টিনের চাল নষ্ট হয়ে গেছে। শুধু আমার নয় গ্রামের বিভিন্ন লোকের ঘরের চালা ফুটো হয়ে নষ্ট হয়ে গেছে।

সম্পূর্ণ টিনের চাল বদলাতে হবে। টিন না বদলালে কোনো লোক তাদের ঘরে বসবাস করতে পারবেন না। তবে এই শিলাবৃষ্টিতে জনগণের লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে। স্থানীয় এক ইউপি সদস্য মহসিন মিয়া বলেন, ভয়াবহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। মাটিতে শিলার স্তুপ জমে গিয়েছিল। এরকম শিলা বৃষ্টি এর আগে কখনো দেখি নাই। অপর ইউপি সদস্য মফিজ উদ্দিন মোল্লা বলেন, অতিরিক্ত শিলাবৃষ্টিতে কিছু কিছু গ্রামে ঘরের টিনের চাল ঝাজড়া হয়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামের পর গ্রামের মাঠের ফসল নষ্ট হয়ে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে মৎস্য খামারীরাও ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, আমাদের সুপাভাইজাররা জানিয়েছে ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সব গ্রামের কৃষকের খুব ক্ষতি হয়নি। কিন্তু চাবাগান গ্রামে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে ব্যাপক ক্ষতি হয়নি।


আরও খবর



পবিত্র শবে কদর আজ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | ১০০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পবিত্র লাইলাতুল শবে কদর আজ ।শনিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারাদেশে শবে কদর পালিত হবে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান রাব্বুল আলামিনের নৈকট্য ও রহমত লাভের আশায় ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে পবিত্র লাইলাতুল কদরের রজনি পালন করবেন।

মহান আল্লাহ লাইলাতুল কদরের রাতকে অনন্য মর্যাদা দিয়েছেন। হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও এ রাতের ইবাদত উত্তম। এই রাতে আল্লাহর অশেষ রহমত ও নিয়ামত বর্ষিত হয়। পবিত্র রাতটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় এবাদত-বন্দেগি করে থাকেন।

রমজান মাসের লাইলাতুল কদরে পবিত্র কোরআন নাজিল শুরু হয়েছিল। এরপর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর নবুওয়াতের ২৩ বছর ধরে কোরআন নাজিল সম্পন্ন হয়। তাই মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া আদায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদসহ বাসা-বাড়িতে এবাদত বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। মুসলমানরা নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার, দোয়া, মিলাদ-মাহফিলের মধ্য দিয়ে শবে কদরের রজনি কাটাবেন।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এবং বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি রেডিও বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। শবে কদর উপলক্ষে রোববার সরকারি ছুটি থাকবে।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




৬৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী

মনিরুজ্জামান মনির মাস্টারের উদ্যোগে ঈদ উপহার বিতরণ

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

 সোহরাওয়ার্দীঃ

পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ডেমরা থানা ৬৫ নাম্বার ওয়ার্ড এলাকায় শনিবার সকালে আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির মাস্টারের উদ্যোগে ৩ শতাধিক গরীব অসহায় ও দুঃস্থের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে ।

বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ ইউনিট কমিটির সভাপতি ও ৬৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির মাস্টার আগত নারী,পুরুষ ও শিশুদের হাতে নতুন শাড়ি, পাঞ্জাবি, পায়জামা ও কামিজ তুলে দেন।


এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ।



বিশিষ্ট আওয়ামী লীগ নেতা, সমাজসেবক সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ ইউনিট কমিটির সভাপতি ৬৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির মাস্টার বলেন, আমি সব সময়ই গরীব, অসহায় ও দুঃস্থদের পাশে থাকতে চাই। আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান মনির মাস্টার এলাকায় সাধারণ মানুষের জন্য সব সময় এই ধরনের সহযোগিতার হাত প্রসারিত করে রাখেন। তার এই সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪




সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ | ১২০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সবর্জনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসতে হবে।

৭ এপ্রিল ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে, কাজ করি একসঙ্গেথে’ যথার্থ ও সময়োচিত হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের যুগান্তকারী উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন।

তিনি বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ অর্জন করেছে এমডিজি অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড ও গ্যাভি অ্যাওয়ার্ডের মতো আন্তর্জাতিক পুরস্কার। টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য ও বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ ‘ভ্যাকসিন হিরো’ নামে আখ্যায়িত হয়েছে। বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক আজ তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাপনার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে বাংলাদেশের জয়লাভ স্বাস্থ্যখাতে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত পনেরো বছরে চিকিৎসাসেবার মানোন্নয়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, চিকিৎসা শিক্ষা ও জনশক্তি উন্নয়ন, পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগ, পরিবার পরিকল্পনা ও জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ, নার্সিং সেবার উন্নয়ন, স্বাস্থ্যখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, আইন ও নীতিমালা প্রণয়নসহ ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা-বাস্তবায়ন করেছে। নতুন নার্সিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ ও মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং চিকিৎসকদের পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। হাসপাতালে রোগীদের সেবার জন্য চিকিৎসক, নার্স, সাধারণ বেড ও ওটি বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

সরকার প্রধান বলেন, বিভিন্ন হাসপাতালে টেলিমেডিসিন সেবা চালু করা হয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সারা দেশে ১৪ হাজার ২৮৫টি কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিকে সহজতর করা হয়েছে। ৫ম স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পুষ্টি সেক্টর কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবার সব চ্যালেঞ্জসমূহ অন্তর্ভুক্ত করে তা মোকাবিলার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এ সমস্ত সেবার মাধ্যমে আর্থিক প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা অর্জনের পথ সুগম হয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ সরকার বৈশ্বিক এই ঘোষণার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। আমাদের সরকার স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির অধিকারকে অন্যতম মানবাধিকার হিসেবে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করায় স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়ন এখন ঈর্ষণীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। শিশুমৃত্যু, মাতৃমৃত্যুর হারও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যখাতে সরকারের বিপুল অর্জনকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানান এবং ‘বিশ্বস্বাস্থ্য দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে নেওয়া সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন।


আরও খবর

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪