Logo
আজঃ মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩
শিরোনাম

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল, চিকিৎসক বেশে এরা কারা!

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ১২৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান : রোববার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট। সাদা অ্যাপ্রোন পরা কয়েকজন নারী দলবদ্ধভাবে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে যান। তাদের প্রবেশের পর  রোগীর স্বজনরা চিকিৎসক ভেবে নড়েচড়ে বসেন। চিকিৎসক বেশে তারা সিভিডিতে (ব্রেইন স্ট্রোক) আক্রান্ত রোগীদের কাছে যান। এরপর নতুন ভর্তি হওয়া প্রতি রোগীকে ৩শ’ টাকার বিনিময়ে
ফিজিওথেরাপি (শারীরিক চিকিৎসা) দেয়া শুরু করেন। তারা দল বেধে হাসপাতালে প্রবেশের আগে ওই চক্রের সদস্যরা চিকিৎসাধীন রোগীদের মাথার কাছে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের পরিচিতি কার্ড রেখে আসেন। যারা কার্ড দিতে গিয়েছিল
তারাও ছিল সাদা অ্যাপ্রোন পরা।

কার্ড দিয়ে স্বজনদের বলা হয় রোগীর কোনো সমস্যা হলেই কার্ডের নম্বরে ফোন করবেন। সহজ সরল মানুষেরা চিকিৎসক মনে করে প্রায় তাদের ডেকে নেন। সাদা অ্যাপ্রোন পরে ফিজিওথেরাপি চক্রের সদস্যদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও তারা কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি এই হাসপাতালকে ঘিরে ফিজিওথেরাপি ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠেছে। ফিজিওথেরাপিস্ট ছাড়াই একটি চক্র নামমাত্র ফিজিওথেরাপি সেন্টার খুলে ধান্দাবাজি চালিয়ে যাচ্ছেন। চক্রের প্রায় সব সদস্য নারী। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মেনে সেবা ফিজিওথেরাপি সেন্টার ও সোনালী ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সদস্যরা গায়ে অ্যাপ্রন পরে চিকিৎসকের বেশে ওয়ার্ডে ওয়োর্ডে অবাধে প্রবেশ করছেন। প্রথম দেখাতে তাদেরকে যে কোন রোগীর স্বজন চিকিৎসক ভেবে নেন। রোগীর ফিজিওথেরাপির নামে
তারা স্বজনদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা লুফে নিচ্ছেন।

পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন সঞ্চিতা রানী জানান, রোববার দুপুরে গায়ে চিকিৎসকের সাদা অ্যাপ্রোন পরা ও গলায় কার্ড ঝুলানো তিন মহিলা আসে। রোগী নতুন ভর্তি হয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করেন। এরপর ৩শ’ টাকা নিয়ে ফিজিওথেরাপি দেন। সঞ্চিতা রানী আরও জানান, প্রথমে তাদেরকে তিনি চিকিৎসক ভেবেছিলেন। পরে বুঝতে পারেন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের লোক। হাসপাতালের পুরুষ- মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ড ও পুরুষ-মহিলা পেইং ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় রোগীর মাথার কাছে বিভিন্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ভিজিডিং কার্ড রয়েছে। জানতে চাইলে পুরুষ পেইং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বজন রাসেল হোসেন জানান, সাদা অ্যাপ্রন পড়া এক নারী কার্ড রেখে গেছেন। দুপুর দুই টার পর রোগীর কোন সমস্যা হলে কার্ডের নম্বরে কল করতে বলেছেন।

সূত্র জানায়, ব্যবসার স্বার্থে ফিজিওথেরাপি সেন্টারের নারীরা চিকিৎসকের মতো সাদা অ্যাপ্রোন পরে রোগীর কাছে যান। তারা কেউ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট না। অথচ তারা ফিজিওথেরাপিস্ট সেজে রোগীকে চিকিৎসা দিচ্ছেন। অথচ ফিজিওথেরাপি মানে কি সেটাই জানেন না অ্যাপ্রন পরা চক্রের অনেক সদস্য। সূত্র আরও জানায়, তাদের ব্যবসা বাড়াতে হাসপাতালের ওয়ার্ডে দায়িত্বরত কর্মচারীদের (ওয়ার্ডবয়/আয়া) সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ রক্ষা করেন। সিভিডি রোগী ভর্তি হলে তাদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়া হয়। বিনিময়ে কর্মচারীরা তাদের কাছ থেকে কমিশন পেয়ে থাকেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিনিয়র একজন সেবিকা জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের ‘ওরা’ যখন গায়ে অ্যাপ্রন পরে দলবেধে ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন তখন নিজেদের খুব অসহায় মনে হয়। সহজ সরল মানুষ তাদেরকে চিকিৎসক ভেবে রোগের বর্ণনা করেন। ফিজিওথেরাপির নামে প্রতি রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ৩শ’ টাকা আদায় করা হয়।

মেডিসিন বিভাগের একজন চিকিৎসক জানান, ফিজিও (শারীরিক) এবং থেরাপি (চিকিৎসা) শব্দ দুটি মিলে হয় ফিজিওথেরাপি বা শারীরিক চিকিৎসা। ফিজিওথেরাপি আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক অন্যতম এবং একটি অপরিহার্য শাখা। শুধু ওষুধ সব রোগের পরিপূর্ণ সুস্থতা দিতে পারে না। বিশেষ করে বিভিন্ন মেকানিক্যাল সমস্যা থেকে যেসব রোগের সৃষ্টি হয়, তার পরিপূর্ণ সুস্থতা
লাভের উপায় ফিজিওথেরাপি। একটি আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসা পদ্ধতি হলো ফিজিওথেরাপি, যেখানে একজন ফিজিওথেরাপিস্ট রোগীর সব কথা শুনে-বুঝে, রোগীকে ভালোভাবে দেখে এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রোগীর
সঠিক রোগ, আঘাত বা অঙ্গ বিকৃতির ধরন নির্ণয় করে রোগীকে বিভিন্ন ধরনের ফিজিক্যাল মেথড যেমন-ম্যানুয়াল টেকনিক, তাপ ও ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট প্রয়োজন। অন্যথায় রোগীর আরও ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। তিনি আরও জানান, সরকারি হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট নিয়োগ দেয়া হলে রোগীদের অনেক সুবিধা হতো।

এই বিষয়ে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুস সামাদ জানান, ফিজিওথেরাপি সেন্টারের সাথে সংশ্লিষ্টদের গায়ে চিকিৎসকের অ্যাপ্রন পরে হাসপাতালে যাওয়া পুরোপুরি নিষেধ। কারণ এতে রোগী ও স্বজনরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে। তিনি আরও জানান, তারা সাধারণ পোশাক পরে দুপুর ৩ টার পর ওয়ার্ডে যেতে পারবেন বলে অনুমতি দেয়া হয়েছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা না মানলে তাদের হাসপাতালে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।


আরও খবর



নবীনগরে দুই মাথা বিশিষ্ট বাছুর জন্ম দিলেন গাভী

প্রকাশিত:শনিবার ২০ মে ২০23 | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মাদ হেদায়েতুল্লাহ্ ,নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার নাটঘর ইউনিয়ন বড়হিত গ্রামে জহির আলম এর একটি গরুর গর্ভে দুই মাথা চার চোখ বিশিষ্ট্য অস্বাভাবিক বাছুর জন্ম হয়েছে।বাছুরটি এক নজরে দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় করছে তার বাড়িতে।আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক এর সিজারের মাধ্যমে দুই মাথা চার চোখ বিশিষ্ট ওই গরুর বাছুরের জন্ম হয়।


স্থানীয় বাসীন্দারা বলেন,সকালে শুনলাম জহির আলমের একটি গাভীর দুই মাথা চার চোখ ও চার কান বিশিষ্ট একটি বাছুর জন্ম হয়েছে।দুই মাথা চার চোখ ও চার কান নিয়ে জন্ম নেওয়া বাছুর টি কে এক নজরে দেখার জন্য বিভিন্ন গ্রাম থেকে উৎসুক জনতা ভীড় করে তার বাড়িতে।এই ধরনের ঘটনা এই প্রথম দেখলাম আমরা।

জহির আলম এর স্ত্রী বলেন,আমার স্বামী ফার্ণিচারের কাজ করে। আমার বাবা আমাকে একটি গরু ক্রয় করে দেই লালন পালন করার জন্য।সেটি আমি দীর্ঘ দিন ধরে লালন পালন করে আসছি। প্রথমে একটি বাছুর জন্ম দেয় গাভী টি,পরবর্তীতে ৯ মাস পরে গাভী টি ফিরলে পূণরায় ধরিয়ে দেয়।গাভী টির গতকাল রাত থেকে প্রসব এর যন্ত্রনা শুরু হয়।আজ সকালে গাভীর ফুড়া বের হলে আমার চাচা শুশুর কে অবগত করি।তারা বাছুর খালাস করতে গিয়ে দেখে বাছুরের দুটি মাথা।পরে ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক কে অবগত করলে ডা: গাভীর পেট কেটে বাছুর টিকে বের করে।এই ঘটনা প্রথম বার ঘটল।আমি ঋণ করে গাভী টি লালন পালন করেছি,গাভী টি বাচে কিনা সন্দেহ আছে।

ভেটেরিনারি পল্লিচিকিৎসক ডা: হাবিবুর রহমান বলেন,আজ সকালে একটি গাভীর বাছুর খালাস করতে গিয়ে দেখে বাছুরের দুটি মাথা।পরে আমাকে অবগত করলে আমি গাভীর পেট কেটে অপারেশন করে বাছুর টি খালাস করি।বাছুরের একটি মাথা ভিতরেই মারা যায় এবং অপর একটি মাথা খালাসের দুই তিন মিনিট পরে মারা যায়।তবে গাভী টি এখন সুস্থ্য রয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজি উৎপাদন হয়

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৮ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ৩০ মে ২০২৩ | ৭৪জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: নানা জাত ও স্বাদের সবজি চাষে নীরব বিপ্লব ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের পাঁচটি গ্রাম। বছরে ১০০ কোটি টাকার সবজির উৎপাদন হয় এ গ্রামগুলোতে। গ্রামগুলোতে বেশিরভাগ পরিবার এখন সবজি চাষের সঙ্গে যুক্ত। এতে হতদরিদ্র গ্রামবাসীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন হয়েছে। অনেক যুবকের বেকারত্ব ঘুচেছে। জেলার চাহিদা মিটিয়ে গ্রামগুলোর সবজি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, এই ইউনিয়নের মধ্যে বাগেরহাট, চন্ডীপুর, নীলারহাট, গুঞ্জরগড় ও চকহলদি গ্রামে বছরে উৎপাদন হচ্ছে দেড় হাজার মেট্রিক টন সবজি। তিনি বলেন, গ্রামগুলোর উৎপাদিত শাকসবজি জেলার চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাট-বাজারে। এখান থেকেই বছরে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ১০০ কোটি টাকার সবজি।
গ্রামগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, এ সময়ে মিষ্টিকুমড়া, চালকুমড়া, বেগুন, ঢেড়স, কাকরোল, করলা, পটোলসহ বিভিন্ন সবজি চাষ হয়েছে।গ্রামগুলোতে সকাল হলে ছুটে যান ব্যবসায়ীরা।

চকহলদি গ্রামের কৃষক আলিম উদ্দিন জানান, কয়েক বছর আগেও তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করতেন। তবে এখন রবি মৌসুমে পুরো জমিতেই সবজি আবাদ করছেন। আলিম উদ্দিন বলেন, ধান চাষের চেয়ে সবজি চাষ লাভজনক। এক বছরে মৌসুমভিত্তিক নানা সবজি চাষ করা যায়। এতে প্রতি বিঘা জমি থেকে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা লাভ করতে পারছি। পাশের নীলারহাট গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মোবাশ্বির আলম এক সময় শুধু বোরো, আমন ধান চাষাবাদ করতেন। কয়েক বছর ধরে অন্য ফসলের চাষাবাদ কমিয়ে সবজি চাষে ঝুঁকছেন। শুক্রবার সকালে চন্ডীরহাট আড়তে কুমড়া ও কাকরোল বিক্রি করতে আসেন মোবাশ্বির। মোবাশ্বির আলম বলেন, এবার সবজির ফলন ভালো হয়েছে। তবে শুরুতে কিছুটা বাড়তি দাম পেলেও এখন বাজার দর পড়ে গেছে। একই এলাকার সবজিচাষি রব্বানী মিয়া বলেন, সব খরচ বাদ দিয়ে বছরে আমার আয় হয় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা। এতে আমাদের ধানের চেয়ে সবজিতে বেশি লাভ হচ্ছে।পাশের বাগেরহাট আড়তের স্থানীয় ব্যাপারী আব্দুল জলিল বলেন, প্রতিদিন এই ইউনিয়নের বাগেরহাট, চন্ডীপুর মোড় ও গড়েয়া আড়তে পাইকারিভাবে সবজি বেচাকেনা হয়। বিকালের পর থেকে ট্রাকে সবজি লোড করা হচ্ছে। রাতে এসব সবজি ট্রাকে করে সরাসরি রাজধানী ঢাকার আড়তে পৌঁছে যাচ্ছে। ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার মধ্যে গড়েয়া ইউনিয়ন কৃষিতে সমৃদ্ধ একটি এলাকা। কয়েক বছর ধরে সবজির ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা। এ কারণে সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। ভবিষ্যতে সবজির গ্রামগুলোকে রোল মডেল করে আদর্শ কৃষিগ্রাম করার পরিকল্পনা


আরও খবর



বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে অবশেষে ‘পাঠান’

প্রকাশিত:শুক্রবার ১২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৮২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন প্রতিবেদক: একের পর এক নাটকীয়তার পর অবশেষে আজ শুক্রবার দেশের ৪১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে বলিউডের আলোচিত সিনেমা ‘পাঠান’। আর এর মধ্য দিয়ে আট বছর পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে কোনো হিন্দি সিনেমা।

দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় স্পাই থ্রিলার সিনেমাটি আমদানি করেছে ঢাকার পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক অনন্য মামুন জানান, ৪১টি সিনেমা হলে প্রথম সপ্তাহে পাঠান–এর ২০৬টি শো রয়েছে।

ভারতে মুক্তির চার মাস পর বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে সিনেমাটি।

২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি ঢাকার সিনেমা হলে সালমান খানের ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তির পর হিন্দি সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে কাফনের কাপড় মাথায় বেঁধে রাজপথে নেমেছিলেন শিল্পী ও নির্মাতারা। সেই আন্দোলনের পর দেশের সিনেমা হলে আর কোনো হিন্দি চলচ্চিত্র মুক্তি পায়নি।

প্রসঙ্গত, ২৫ জানুয়ারি মুক্তির পর বক্স অফিসে ঝড় তোলে ‘পাঠান’। যা বলিউড ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার মধ্যে অন্যতম। সিনেমাটি ইতিমধ্যে আয় করেছে ১ হাজার ৫০ কোটি রুপি। পরে সিনেমাটি অ্যামাজন প্রাইমেও এসেছে।

ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’–এর (রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং) সাবেক এজেন্ট পাঠান চরিত্রে অভিনয় করেছেন শাহরুখ খান। সিদ্ধার্থ আনন্দ পরিচালিত পাঠান সিনেমাটিতে শাহরুখ খান ছাড়াও রয়েছেন- দীপিকা পাড়ুকোন, জন আব্রাহাম, ডিম্পল কাপাডিয়া, আশুতোষ রানাসহ আরও অনেকে।

যদিও ২২ মার্চ অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তির পর শাহরুখ খানের অনুরাগীদের অনেকেই নানা মাধ্যমে সিনেমাটি দেখে ফেলেছেন। এরপরও ঢাকার প্রেক্ষাগৃহে টিকিট কাটতে দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্স, ব্লকবাস্টার সিনেমাস, লায়ন সিনেমাস, মধুমিতা, শ্যামলীসহ বেশির ভাগ সিনেমা হলেই অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে।


আরও খবর



মাগুরায় মুক্তমঞ্চ আবহমান বাংলাদেশ উদ্বোধন করলেন মন্ত্রী পরিষদ সচিব

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ২৯ মে ২০২৩ | ৫৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা থেকে: মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত মুক্তমঞ্চ "আবহমান বাংলাদেশ " উদ্বোধন করেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের  মন্ত্রী পরিষদ সচিব   মোঃ মাহবুব হোসেন। 

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা  মোঃ আবু নাসির বাবলু  এর পরিকল্পনা এবং সক্রিয় ব্যবস্থাপনায় দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল এই মুক্তমঞ্চ। শনিবার বিকেলে উদ্বোধন কালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, মাগুরার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবু নাসের বেগ, পুলিশ সুপার মোঃ মশিউদৌলা রেজা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পঙ্কজ কুমার কুন্ডু, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু নাসির বাবলু, পৌর মেয়র খুরশীদ হায়দার টুটুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ তারিফ উল হাসান, উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ। মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের তত্বাবধানে এ মঞ্চ নির্মিত হয়েছে।

মাগুরা -১ আসনের সংসদ সদস্য  আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ সাইফুজ্জামান শিখর,   সাবেক জেলা প্রশাসক  ড:আশরাফুল আলম,
পংকজ কুমার কুন্ডু, চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদ,মাগুরা। সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু সুফিয়ান, মো: ইয়াছিন কবীর এর আন্তরিক সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ধন্যবাদ জানান হয়।  ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে কৃতিত্বের সাথে কাজ করেন  মোঃ তারিফ উল হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মাগুরা সদর ও উপজেলা প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা।

আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে আগুনে পুড়ে ৩ বছরের ঘুমন্ত শিশু মৃত্যু

প্রকাশিত:সোমবার ০১ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ২৮ মে ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image
জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন ২নং আখানগর ইউনিয়নে চতুরাখোর (৯নং ওয়ার্ড) গ্রামের রান্না ঘরে আগুন লেগে ৩টি পরিবারের ৮ টি ঘর সহ নগদ অর্থ ও যাবতীয় জিনিসপত্র পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দিনমজুর রতন আলীর ৩ বছরের শিশুপুত্র মো: মোস্তাকিম আগুনে পুড়ে মৃত্যুবরণ করে।৩০ এপ্রিল রোববার বিকেল ৪টার দিকে আখানগর ইউনিয়নের চতুরাখোর গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। শিশু মোস্তাকিম একটি ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় শিশুটিকে বের করারও সময় পায়নি পরিবারের সদস্যরা।

সে ঘরের মধ্যে পুড়ে মারা গেছে। এ সময় ৮টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। আগুন নিভলে ছাইয়ের স্তূপ থেকে শিশুটির ঝলসানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক সরোয়ার হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই শিশুর পুড়ে যাওয়া মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। শিশুটির শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গেছে। আখানগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রোমান বাদশা বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার পর তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। ক্ষতিগ্রস্তরা জানিয়েছে, তাদের তিন পরিবারের প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি মালামাল পুড়ে গেছে এছাড়াও তাদের তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।’ শিশুটির বাবা রতন আলী দিনমজুর। তাঁর দাবি, ঘরে থাকা নগদ ৩ লাখ ২০ হাজার টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

আরও খবর