Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ২২ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৭৩জন দেখেছেন

Image

আদালত প্রতিবেদক:যমুনা নদী ছোট করতে চাওয়া কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সত্য কি না এবং ওই প্রকল্প চূড়ান্ত করা হয়েছে কি না, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

এক রিট আবেদনের শুনানির সময় বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তাকে এসব তথ্য দাখিলের জন্য মৌখিকভাবে আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে আগামী রোববার এ বিষয়ে শুনানির সময় অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।

গতকাল রোববার রিটের পক্ষে শুনানি করেন পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

আদালতের আদেশের বিষয়টি জানিয়ে মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘গত ১১ মার্চ দৈনিক পত্রিকায় ‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’শিরোনামে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর গত ২৭ মার্চ যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পে জড়িত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে চাকরিবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। কিন্তু জবাব না পেয়ে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে হাইকোর্টে রিট করি। গতকাল রোববার এ রিটের শুনানি হয়। শুনানির সময় আদালতকে বলেছি, এটা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নদী খননের কথা বলছেন। সরকারের নির্দেশনা হলো, নদী কীভাবে রক্ষা করা যায়, সেটা দেখা। এ ছাড়া নদী রক্ষার পক্ষে আইন ও হাইকোর্টের রায় রয়েছে। তা না করে কিছু কর্মকর্তা নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ ধরনের প্রকল্প নেন কীভাবে? পরে আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আবুল কালাম খান দাউদকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়ে প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নাম-ঠিকানা চেয়েছেন। এ ছাড়া, অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানির দিন থাকতে বলেছেন। আগামী রোববার এ বিষয়ে ফের শুনানি হবে।

এর আগে গত ১১ মার্চ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। এত বড় নদীর প্রয়োজন নেই। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং প্রাকৃতিক পানি প্রবাহের অন্যতম উৎস যমুনাকে ছোট করার এমন আইডিয়া এসেছে খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের মাথা থেকে। এজন্য তারা ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার একটি প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




বাগেরহাটে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি নিশ্চিতে বাজার তদারকি

প্রকাশিত:শনিবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১১০জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটে সরকার নির্ধারিত মূল্যে পেয়াজ,আলু,ডিম ও সয়াবিন তেল বিক্রি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাজার তদারকি করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টায় সদর উপজেলার যাত্রাপুর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান। 

এ সময়  নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রয়ের অপরাধে চার ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বাগেরহাটের সহকারি পরিচালক আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে বাগেরহাটের  যাত্রাপুর বাজারের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। এসময় মূল্য তালিকা না থাকা ও সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে আলু ও পেয়াজ বিক্রয়ের অপরাধে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৩৮ ধারায়  প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে মোট ১০,০০০ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো জরিমানার টাকা পরিশোধ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের  অনিয়ম করবেন না বলে অঙ্গীকার করেছেন।

এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও  ভোক্তা অধিকার বিরোধী  কার্য হতে বিরত থাকার জন্য লিফলেট ও পাম্পলেট বিতরণ করা হয়। সকল ব্যবসায়ীদের দৃশ্যমান স্থানে পণ্যের মূল্য তালিকা টাঙানো, ন্যায্য মূল্যে পণ্য বিক্রি করা, ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ করা, নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রয় থেকে বিরত থাকা এবং অবৈধ মজুদ করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।


আরও খবর

সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ঢাকা আসছেন শনিবার

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক::জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব কান্নি উইগনারাজা শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় আসছেন। ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সফরে তার ভাসানচর ও কক্সবাজারে যাওয়ার কথা রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে। কান্নি উইগনারাজা ইউএনডিপির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। 

সফরকালে তিনি ভাসানচর ও কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। শরণার্থী শিবিরে তিনি জাতিসংঘের বিভিন্ন কর্মসূচির প্রভাব প্রত্যক্ষ করতে পারবেন। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সংসদের স্পিকার ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রধান সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করবেন। 

বৈঠকগুলো ইউএনডিপি ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করার পাশাপাশি এই অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




এশিয়ান গেমস

পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম পদক জিতল বাংলাদেশ

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৯জন দেখেছেন

Image

স্পোর্টস ডেস্ক:দারুণ এক জয়ের খবর দিয়ে সকালটা শুরু হলো ।এশিয়ান গেমসের নারী ক্রিকেট ইভেন্টের তৃতীয় স্থান নির্ধারনী অর্থাৎ ব্রোঞ্জ পদকের লড়াইয়ে পাকিস্তানকে হারিয়ে এবারের আসরের প্রথম পদক জিতল বাংলাদেশ।

সোমবার চীনের হ্যাংঝুর জিয়েজাং ইউনিভার্র্সিটি অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে পাকিস্তানকে একরকম হেসে খেলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলার মেয়েরা। পাকিস্তানের দেওয়া ৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ ওভার ৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। 

এর আগে ২০১৮ সালে জাকার্তায় অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসে পদকশূন্য ছিল বাংলাদেশ। এবার অন্তত খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না বাংলাদেশকে।

গত শনিবার ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে ভারতের কাছে হেরে ক্রিকেটে স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন ভেঙ্গে যায় বাংলাদেশের। কিন্তু আজ আরেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ পাকিস্তানকে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠান নিগার সুলতানা জ্যৌতি। 

ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভার খেললেও স্বর্ণা আক্তার-সানজিদা আক্তার মেঘলাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে রান তোলাই কষ্টকর হয়ে পড়ে পাকিস্তানী ব্যটারদের। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৬৪ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। স্বর্ণা ৩টি এবং সানজিদা নেন ২ উইকেট। 

পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৭ রানের ইনিংস খেলেন সাত নম্বরে ব্যাট করতে নামা আলিয়া রিয়াজ। এছাড়া ১৪ রান করেন অধিনায়ক নিধা দার।, ১৩ রান আসে সাদাফ শামাসের ব্যাট থেকে।

তবে জিয়েজাং ইউনিভার্র্সিটি অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডের স্লো পিচে লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বেশ সাবধানে খেলতে হয় বাংলাদেশকে। কিন্তু দলীয় ৩৪ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপাক্যা পড়তে হয়। বিশেষ করে পাক বাঁহাতি স্পিনার নাসরা সান্ধুর বল সামলানো বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। 

তবে পঞ্চম উইকেটে স্বর্ণা আক্তারের ঠাণ্ডা মথার ব্যাটিং বাকি কাজটি সারেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারালেও জয় নিশ্চিত হয় ১৮.২ ওভারে। বাংলাদেশের হয়ে শারমিন এবং সাথী সমান ১৩ রান করে করেন। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৪ রান করেন স্বর্ণা আক্তার।


আরও খবর



এক সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে: ওবায়দুল কাদের

প্রকাশিত:রবিবার ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তোলা সেলফি দেখে বিএনপি নেতাদের মুখ শুকিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপির লাফালাফি বন্ধ হয়ে গেছে। দেখতে দেখতে ১৫ বছর কেটে গেল। আমেরিকার দিকে তাকিয়ে ছিল তারা। এখন একটা সেলফি দেখেই চোখ-মুখ শুকিয়ে গেছে তাদের। রাতের ঘুম শেষ হয়ে গেল। এখন কে নিষেধাজ্ঞা দিবে? ওসব ভয় পায় না আওয়ামী লীগ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনগণের শক্তিতে আগামী নির্বাচন করতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। জনগণের ভালোবাসা আওয়ামী লীগের একমাত্র পুঁজি। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী দল নয়। সত্যের পক্ষে জনগণের পক্ষে যে কোনো সময় সুদৃঢ় অবস্থা এই দলের।

মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য বিএনপি তলে তলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘টেমস নদীর তীরে বসে মনোনয়ন বাণিজ্য করছেন বিএনপির নেতা। তলেতলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগ রাজনীতি করে না।

তিনি আরও বলেন, ‘ড. ইউনূসের ১৬০ জনের স্টেটমেন্ট কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে। এতো টাকা কোথায় পেলেন। যে মানুষ শহীদ মিনার, স্মৃতিসৌধ আসে না। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু, মুক্তিযুদ্ধ, জাতীয় চার নেতার বিষয়ে কথা বলে না। সে আপন কেনো হবে। দেশের কোনো দুর্যোগে তাকে পাওয়া যায় না। তাকে কেন আমরা ভালোবাসব। তার জন্য বিএনপির এতো মায়া কান্না কেনো।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভেবেছে ১/১১’র মতো একটা সুশীল সরকার আসবে। তা আর হবে না। জনগণ কাকে ভোট দেবে ঠিক করে ফেলেছে। জরিপে ৭০ শতাংশ লোক শেখ হাসিনাকে ভোট দেবে। নেতিবাচক রাজনীতির জন্য জনগণ বিএনপিকে না করে দিয়েছে। আগামী নির্বাচন বলে দেবে কে ক্ষমতার মঞ্চে থাকবে। বুঝতে পারলে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেন। ফাইনাল খেলা হবে নির্বাচনের মাঠে।

যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কার্যক্রম রাজনীতিতে যুবলীগের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে বেশ ভালো কাজ। এখানে যারা আসে তারা সারাজীবন যুবলীগ করবে না। খারাপ যুবক আমাদের প্রয়োজন নেই। খারাপ ২০ জনের চেয়ে ভালো দুইজন অনেক ভালো। খারাপরা নিজের অর্জনকে বিসর্জন দেয়। খারাপ আচরণের জন্য আমাদেরকে মানুষের কাছে ছোট করে। আমরা জনগণের দল, জনগণের সঙ্গে আছি, জনগণকে ভালোবাসি। আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক দল নয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে দেশব্যাপী যুবলীগের প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।


আরও খবর

ডেঙ্গুতে ৮ মৃত্যু, হাসপাতালে ১৭৯৩

শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩




মিরপুর বিআরটি'র হিসাব রক্ষকের দূর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক

প্রকাশিত:রবিবার ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৪৮জন দেখেছেন

Image

শফিক আহমেদ: মিরপুর বিআরটিতে চাকরী করে টাকার পাহাড় বানিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হিসাব রক্ষক খান মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি সরকারী চাকরীর সাইনবোর্ড নিয়ে বিআরটিএতে  ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীত চালিয়ে যাচ্ছেন।

সেই সাথে বিআরটিএর সবচেয়ে বড় দালাল হিসেবে পরিচিত বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টি বিভিন্ন ধরনের গাড়ীর তদবীরে কাজ করে থাকেন। প্রতি কাজে বিনিময়ে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা হাতিয়েনেন তিনি। এই সব কাজ স্হানীয় দালালদের মাধ্যমে পান। বিআরটিএ সাবেক আনসার সদস্য বর্তমানে দালাল হিসেবে কাজ করে আকবর ও মো. বাবুলের মাধ্যমে এই সব তথ্য পাওয়া গেছে।

তারা বলেন, রুহুল আমিনতো টাকার 'খনিতে' চাকরী করেন। তার পরও তদবীরে কাজ করেন প্রতিদিন। তার অপকর্মের কথা পুরো বিআরটিএ'র সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী এমনকি দালালরাও এক নামে চিনেন টাকার 'খনি' রুহুল আমিন। এদিকে পুরান ঢাকার লালবাগের বড়কাটরা বাসিন্দা আব্দুস সালাম নামের এক ব্যক্তি গত ২০ আগস্ট (মাসে) খান মোহাম্মদ রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে দুনীর্তির একটি অভিযোগ দাখিল করেন সেগুন বাগিচার দূর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের বরাবরে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন মিরপুর বিআরটিএতে চাকরী করার মাধ্যমে আশা যাওয়া মধ্যে ১৩ বছর যাবত চাকরী করে আসছেন। তাকে বিভিন্ন অপকর্মে কারনে কতৃপক্ষ বদলি করে দিলেও তার পরেও অর্থের বিনিময়ে আবার এখানে চলে আসেন। এতে করে বুঝা যায় রুহুল আমিন টাকার 'খনিটি' ছাড়তে পারছেন না। দালাল নিয়োগ করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে।

বর্তমানে তিনি লালবাগের আজিমপুর মেটারনিটি হাসপাতাল রোডের ৩ নম্বর রোডে ১৯ নম্বর বাসার একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করছেন। তিনি শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলার রায়পুর মুন্সিকান্দি গ্রামের বাড়ীতে ১৫ কাঠা জমির ওপর দোতলা একটি আলিশান বাড়ী করেছেন। ওই গ্রামবাসিরা জানান, ৮/১০ বছর আগে বাড়ীটি করে।

এ ছাড়াও গ্রামে তার নামেও স্ত্রী নামে এমনকি স্বজনদের নামে অনেক জায়গা --জমি কিনেছেন। তাই এলাকাবাসিরা বলেন, রুহুল আমিন বিআরটিএতে চাকরী পেয়ে এখন তিনি টাকার 'খনি' পেয়েছেন। আগে তারা নিজেরাই চলতে পারতেনা এখন রুহুল আমিন মানুষকে লাখ লাখ দিচ্ছেন। এলাকাতে এখন তিনি দানবীর হিসেবে পরিচিত।

গ্রাম বাসিদের অভিযোগে আরও জানা যায়, সে মাসে বেতন পায় ৩৫ হাজার টাকা। বেতন দিয়ে কি আর এ সব করা যায়। তার উপার্জন হলো কর্মস্হলে থেকে ঘুষ ও তদবী মাধ্যমে টাকা কামাচ্ছেন। তা না হলে হঠাৎ করে এত কিছু করলো কি ভাবে। যেন আলাউদ্দিনের চেরাগেরমতো। দূদূকে অভিযোগকারী লিখিত অভিযোগে আরও জানা যায়, ঢাকায় তার ও তার স্ত্রী নামে কয়েকটি বাড়ী ও ফ্ল্যাট রয়েছে। মাদারীপুর শিবচর এলাকায় স্ত্রী নামে ২০ কাটা জমি ক্রয় করেছেন।

এই সব মিলে প্রায় শতকোটি টাকার মালিক হলেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন।  দালাল আকবর বলেন, তিনিতো অফিস টাইম শেষ হয়ে গেলো তার পরও রাতে কাজ করেন। সেই কাজ গুলো হচ্ছে আমাদের। তার রুমের ভেতরে আশা যাওয়া করে বেশী ভাগ দালালরা।  তিনি তদবীরে মাধ্যমে মালিকানার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে গাড়ির যাচাই পরিদর্শককে মেনেজ করে মালিকের সঠিক তথ্য যাচাই, বাছাই না করে কাগজ পত্র ঠিক করে দেন।

অর্থের বিনিময়ে কারনে সরকারি নিয়ম অনুসারে সঠিক পথ অবলম্বন করা হয় না বলেও জানায় দালালরা। কিন্তু এই সরকারি কর্মকর্তা নিয়ম বহির্ভূত কার্যকলাপ চালাচ্ছেন। তার রুমে ঢুকতেই প্রথম কথা বলতে হয় তারই  পরিচয়ের এক দালাল প্রতারক? তার অফিসের রুমে সারাক্ষণ দালালদের আনাগোনা রয়েছে।

এই সব দালালরা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে কাগজ পত্র ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সে সব দালালদের কাছ থেকে আবার কাজের বিনিময়ে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন হিসাব রক্ষক রুহুল আমিন। এই ভাবেই দিনে পর দিন,  মাসে পর মাস,  বছরের পর বছর তার এই সব দূর্নীতি ও অপকর্মে  মাধ্যমে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছেন তিনি। এর পরে পুর্বে চোখ রাখুন আরো বিস্তারিত জানবেন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব

আরও খবর