Logo
আজঃ শনিবার ০৪ মে ২০২৪
শিরোনাম

যে দোষ আমরা করি নাই, সেই দোষের ওপর শাস্তি পেলাম: ড. ইউনূস

প্রকাশিত:সোমবার ০১ জানুয়ারী ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৮৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামিকে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায়  ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে আসামিদের এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিকেল ৩টায় ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা তাদের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন। আদালত কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চার আসামির আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত এক মাসের জামিন মঞ্জুর করেন।

আদালত থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম। আজকে ইংরেজি বছরের প্রথম দিন। সারা দুনিয়া এটা পালন করে বছরের প্রথম দিন হিসেবে। এটা আনন্দের দিন হিসেবে সবাই উৎসব করে। ২০২৪ সালের প্রথম দিন আজকে, আমরা আজকে আদালতে এসেছিলাম, রায় শুনার জন্য। কিন্তু এসে মনটা ভরে গেল। আমার বহু বন্ধু-বান্ধবকে পেয়ে গেলাম যাদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিন দেখা হয়নি। তারা আজকে আসছে এই আনন্দের দিনে। যে কি রায় হয় এটা দেখার জন্য, আমার কি অবস্থা দাঁড়াবে। আমি কিন্তু খুবি খুশি তাদের দেখে। মনটা ভরে গেল। যারা বহুদিন পরে এখানে আসছে। বিভিন্ন দেশ থেকে ছুটিতে আসছে। এক জাগায় একত্র হওয়ার সুযোগ পেলাম এই শ্রম আদালতে এসে। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করলাম। সবাই মিলে বন্ধু-বান্ধবরা সবাই মিলে।

রায়ের প্রতিক্রিয়া ড.ইউনূস বলেন, ‘আজ যে রায় পেলাম, যে দোষ আমরা করি নাই, সেই দোষের ওপর শাস্তি পেলাম। এটা আমাদের কপালে ছিল, জাতির কপালে ছিল। আমরা সেটা গ্রহণ করলাম। এই দোষ হিসেবে। এই দোষ কিভাবে আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা বিচার পাব সেটা আমাদের আইনজ্ঞ এখানে আছেন ব্যারিস্টার মামুন সাহেব এটা ব্যাখ্যা করবেন। তবে আমাদের মনের দুঃখটা রয়ে গেল এই আনন্দের দিনে। আমরা এই আঘাতটা পেলাম।

আদালত থেকে ন্যায়বিচার কি পেয়েছেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যে দোষ আমরা করি নাই সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে যদি ন্যায় বিচার বলতে চান বলেন। এটা আপনার ইচ্ছা।


আরও খবর



রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

প্রকাশিত:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৫৬জন দেখেছেন

Image

আবু কাওছার মিঠু রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ- নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা-সিলেট অবরোধ করেছে এলাকাবাসী।  গতকাল ২৪ এপ্রিল বুধবার  দুপুরে উপজেলার  ভুলতা বলাইখা এলাকায় প্রায় ২ ঘন্টা ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। এতে মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় এলাকাবাসী  অভিযোগ করে জানান, প্রিপেইড মিটারে টাকা বেশি কেটে নেয়।  প্রিপেইড মিটারে টাকা রিচার্জেও  বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এ প্রিপেইড মিটার অনেক সমস্যা। গত মঙ্গলবার পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মীরা কোনো নোটিশ ছাড়াই আমাদের পূর্বের মিটার পরিবর্তন করে প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য আসে। আমরা প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য পল্লী বিদ্যুৎ কর্মীদের কাছে ৩ মাস সময় চেয়ে নিষেধ করি। পর তারা চলে গিয়ে পুনরায় গতকাল বুধবার ভোরে প্রায় ৪ শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারা আরো বলেন, যদি এ প্রিপেইড মিটার লাগানো বন্ধ না হয় এবং আমাদের বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ লাইন সচল না হয় তাহলে পুনরায় ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অনির্দিষ্ট কালের জন্য অবরোধ করা হবে। 

এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ডিজিএম   শান্ত নুর রায় মুটো ফোনে বলেন, প্রিপেইড মিটার বন্ধের দাবিতে ঢাকা সিলেট মহাসড়ক অবরোধের ঘটনা আমার জানা নেই। তবে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত মঙ্গলবার উপজেলার বলাইখা এলাকায় পল্লী বিদ্যুৎতের কর্মীরা প্রিপেইড মিটার লাগাতে গেলে এলাকাবাসী তাদেরকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে মুখোমুখি হয়। সে কারণেই তাদের বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। বিচ্ছিন বিদ্যুৎ লাইন চালু করার জন্য আলোচনা চলছে। 

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



কালিয়াকৈরে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, বাস আটক

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | ৭৯জন দেখেছেন

Image

সাগর আহম্মেদ,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বেপরোয়া গতির একটি বাস চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রীর মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হয়েছে।গত রোববার রাতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার কালিয়াকৈর বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও সহযোগীকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইতলী এলাকার মোজাম্মেল হকের ছেলে আসিফ মাহমুদ হৃদয় এবং তার স্ত্রী তানজিম বকশি।

এলাকাবাসী, নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ছয় মাস আগে আসিফের সঙ্গে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার উপজেলার বলিয়াদি বকশিবাড়ির মৃত মুক্তা বকশির মেয়ে তানজিম বকশির বিয়ে হয়। গত রোববার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী দুজনে মোটরসাইকেল যোগে তাদের এক স্বজনের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার কুড়িপাড়া এলাকার যান। ওই অনুষ্ঠান শেষে ওইদিন রাতে তারা মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস এলাকায় পৌছে। পরে তারা আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে মোটরসাইকেল যোগে বাইপাস বাসষ্টেশন এলাকায় মহাসড়কটি পারাপার হচ্ছিলেন। কিন্তু টাঙ্গাইলগামী বেপরোয়া দ্রুতগতির মাহি পরিবনের বাস তাদের চাপা দিলে মোটরসাইকেলটি মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে। আর আসিফ ও তার স্ত্রী বাস চাপায় গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে ঢাকার সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওই হাসপাতালে নেওয়ার পথেই স্বামী-স্ত্রী দুজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং ঘাতক বাসটি আটক করে। কিন্তু পুলিশ পৌছানোর আগেই ঘাতক বাসের চালক সহযোগী পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা যায়নি। পরে আবেদনের প্রেক্ষিতে নিহতদের লাশ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এদিকে নিহত স্বামী-স্ত্রীর লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি পৌছলে এক হৃদয়বিধারক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়দের অভিযোগ, রাতে দুরপাল্লার মালামাল ভর্তি ওভারলোড করা ট্রাকগুলো খুব ধীরগতিতে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসগুলোতে উঠে। আর দুরপাল্লার বাস ওই ধীরগতি ট্রাকের পেছনে না গিয়ে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাসের নিচ দিয়ে বেপরোয়া গতিতে যায়। এই বেপরোয়া গতির জন্যই অকালেই নিভে গেলো ওই স্বামী-স্ত্রীর প্রাণ। তবে এসব ওভারলোড ট্রাক ও বেপরোয়া গতির বাসের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রায় প্রতিনিয়ত এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।

নাওজোড় হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ওই দুর্ঘটনার পর ঘাতক বাসটি আটক করলেও চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছেন। তবে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।


আরও খবর



একটি শোক সংবাদ

প্রকাশিত:সোমবার ১৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৯৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃকুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি. বিশিষ্ট সাংবাদিক.ছড়াকার ও সাংঙ্কৃতিক ব‍্যাক্তিত্ব।উষসী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক. ঢাকা উষসী পরিষদের প্রধান সম্মনয়ক.তুখোড় সাংগঠনিক ব‍্যক্তি রমিজ খাঁন আজ বিকেল ৫ ঘটিকায় এভার কেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত‍্যাগ করেন।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।আগামীকাল সকাল ১১ টায় কুমিল্লা প্রেস ক্লাবে মরহুমের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হইবে।তার মৃত্যুতে উষসী পরিবার গভীর শোকাহত।


আরও খবর



গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ৩৫জন দেখেছেন

Image

লায়ন মোঃ গনি মিয়া বাবুল ॥৩ মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং সাংবাদিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার দাবিতে প্রতি বছর বিশ্বজুড়ে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়। এই দিবসটি সামনে রেখে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক শতাধিক সংগঠন। ১৯৯১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে দিবসটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে পালনের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপি গণমাধ্যমকর্মীরা ও তাদের বিভিন্ন সংগঠন এই দিবসটি পালন করে আসছে। সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালন কালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো প্রভৃতি কর্মসূচি এই দিবসে পালন করা হয়।

গণমাধ্যম গণতন্ত্রের সদা জাগ্রত প্রহরী। কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘিত হলে, গণতন্ত্রের মর্যাদা লুন্ঠিত হলে, কিংবা গণতন্ত্রের পবিত্রতা কোন কারণে কলুষিত হলে, গণমাধ্যমের নির্ভিক কন্ঠ সেখানে সোচ্চার হয়ে উঠে। গণমাধ্যম তাই জনগনের পবিত্র গণতান্ত্রিক অধিকার সংরক্ষণে সর্বদা দায়িত্বশীল অভিভাবক। গণমাধ্যম জনগণকে সচেতন করতে সদা সচেষ্ট এবং জনগণ ও সরকারের মধ্যে গণমাধ্যম সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। জনসাধারণের মতামত/চিঠিপত্র প্রভৃতি প্রকাশের মাধ্যমে জাগ্রত জনমতকে প্রতিফলিত করে সংবাদপত্র পালন করে তার পবিত্র নৈতিক দায়িত্ব। তাই বলা হয় “ওঃ রং ঃযব চবড়ঢ়ষবং চধৎষরধসবহঃ ধষধিুং ংবংংরড়হং” মন্তব্যটি সর্বোতভাবে স্বার্থক। সংবাদপত্র আক্ষরিক অর্থেই সদা জাগ্রত জাতীয় সংসদ।

গণমাধ্যম একটি সমাজ বা জাতির সামগ্রিক জীবনের প্রাত্যহিক দলিল। তাই গণমাধ্যমকে অবশ্যই স্বাধীন ও নিরপেক্ষ হতে হবে। গণমাধ্যম হতে হবে জনসাধারণের স্বার্থ রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী। জনগণের স্বার্থে গণমাধ্যম যেমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তেমনি ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠার জন্যে করবে সংগ্রাম। গণমাধ্যমকে নির্ভীক ও অকপট হতে হবে। আমাদের দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশানুরুপ নয়। ক্ষমতাসীন প্রতিটি সরকারই স্বীয় দলের স্বার্থে গণমাধ্যমের উপর আধিপত্য বিস্তারের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে বারবার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করেছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ৫৩ বছরেও গণতন্ত্র ও গণমাধ্যম কোনটাই শক্তিশালী হতে পারেনি। কারণ দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র ৪৪ মাসের মাথায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বারবার সামরিক অভ্যুত্থান, হত্যা, রক্তপাতের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী দেশী ও বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের তৎপরতা, অর্থনৈতিক বৈষম্য, যুব সমাজের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা, বেকারত্ব, জনস্ফীতি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি, ঘুষ-দুর্নীতি, দলীয়করণ ইত্যাদি অবক্ষয় স্বাধীনতার মুল লক্ষ্য গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও মানবাধিকারকে বিপন্ন করে চলেছে। দেশের সবক্ষেত্রেই ব্যবসায়িক মানসিকতা বিদ্যমান। তোষামোদ, সুবিধাবাদিতা আর মিথ্যাচার সুবিধাভোগী সমাজকে স্বৈরতান্ত্রিক মানসিকতার শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। বেশীর ভাগ গণমাধ্যম গণমানুষের মুখপত্র না হয়ে সুবিধাবাদী তল্পিবাহক, দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক গোষ্ঠির ক্ষমতারোহন কিংবা ক্ষমতাকে পাকাপোক্তকরণের হাতিয়ারে পরিণত হচ্ছে।
দেশের গণতন্ত্র দুর্বল থাকলে চেষ্টা করলেও গণমাধ্যম শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে পারে না। কোন সংবাদপত্র বা গণমাধ্যম অথবা গণমাধ্যমকর্মী সমাজে ন্যায় বিচার, আইনের শাসন ও মানবাধিকার রক্ষার আন্দোলনকে এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা করলেই নানা নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। তবে শত ঝুঁকির পরেও গণমাধ্যম তাদের দায়িত্ব, সততা, নিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার সাথে পালন করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। আর দেশের গণমাধ্যম ও তার কর্মীরা যত দলনিরপেক্ষ, নির্ভীক, শিক্ষিত ও সৎ হবেন, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

গণতন্ত্র বলতে জনসাধারণের শাসন ব্যবস্থাকে বুঝায়। যে শাসন ব্যবস্থায় রাষ্ট্রের সার্বভৌম ক্ষমতা জনগণের হাতে ন্যস্ত থাকে তাকে গণতন্ত্র বলে। গণতন্ত্র অর্থ জনসাধারণের শাসন। জনগণ যখন সকল ক্ষমতার অধিকারী হয় এবং রাষ্ট্র পরিচালনার ভার জনগণের ওপর ন্যস্ত থাকে তখন তাকে গণতন্ত্র বলা হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা গণতন্ত্রকে রাষ্ট্রের সকলে অংশ গ্রহণ করতে পারে এমন এক ব্যবস্থা বলেছেন। কাজেই বলা যায়, যে সরকার বা শাসন ব্যবস্থায় জনমতের প্রধান্য স্বীকৃত হয় এবং জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে শাসনকার্য পরিচালিত হয় তাই গণতন্ত্র। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের একটি জনপ্রিয় সংজ্ঞা দিয়েছেন “উবসড়পৎধপু রং ধ এড়াবৎহসবহঃ ড়ভ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব, নু ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব ধহফ ভড়ৎ ঃযব ঢ়বড়ঢ়ষব) তাঁর মতে “জনসাধারণের জন্য, জনসাধারণের দ্বারা পরিচালিত এবং জনসাধারণেই সরকারই হল গণতন্ত্র।

গণতন্ত্র নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ করে, ফলে গণতন্ত্রে নাগরিকদের ব্যক্তিত্ব বিকাশের যথেষ্ট সুযোগ ও স্বাধীনতা থাকে। গণতন্ত্র আর গণমাধ্যম একটি আরেকটি পরিপূরক। যেখানে গণমাধ্যম যতবেশী শক্তিশালী যেসখানে গণতন্ত্র বেশী শক্তিশালী। পরমত সহিষ্ণুতাই গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় কথা। আলোচনা, মতপ্রকাশ, ঐক্য, সংহতি হলো গণতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ সিঁড়ি। অন্যের মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীলতা গণতন্ত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত। মৌলিক অধিকার হলো মত প্রকাশের স্বাধীনতা। বাংলাদেশের সংবিধানের ধারার ৩৯(১) চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা নিশ্চয়তা দান করা হয়েছে এবং ৩৯ (২) সংবাদপত্র তথা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ, জাতির বিবেক, জনতার কন্ঠস্বর, রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ ইত্যাদি নানা নামে গণমাধ্যমকে অভিহিত করা হয়। কিন্তু সেই জাতির বিবেকের উপর চলে নানা জুলুম, অন্যায়-অত্যাচার, গণমাধ্যমকর্মীদের উপর করা হয় নির্যাতন, এমনকি তাদের হত্যা করা হচ্ছে। কিন্তু খুনি ও নির্যাতনকারীরা আইনের আওতায় আসছে না, তাদের শাস্তি হচ্ছে না। এই বিষয়ে সাংবাদিক ইউনিয়ন বা সংগঠনগুলোর ঐক্য প্রয়োজন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও পেশাগত মর্যাদার জন্যে রাজনৈতিক বিশ্বাসের উর্ধ্বে উঠে সকল সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ হওয়া জরুরি। আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের পেশাগত ঐক্যের কোন বিকল্প নেই।
পরিশেষে বলা যায় যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা অপরিহার্য। তথ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সম্প্রতি জানানো হয় যে, তথ্য মন্ত্রণালয় সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা ও বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ, গণমাধ্যমের সহায়তায় জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, গণমাধ্যম শিল্পের মানোন্নয়ন, সম্প্রচার ব্যবস্থার আধুনিকায়ন, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির লালন, বিকাশ ও সংরক্ষণ এবং গণমাধ্যমকর্মীর পেশাগত দক্ষতা ও সেবার মানোন্নয়নের কৌশলগত উদ্দেশ্য অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। সম্মেলনে আরো জানানো হয় যে, বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের অবাধ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী এবং গণমাধ্যমকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছেন। কিন্তু সাংবাদিকগণ পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রায় হামলা ও নানা রকম হুমকীতে শিকার হতে হয়। গত ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসায় নৃশংসভাবে খুন হন এটিএন বাংলার সিনিয়র রিপোর্টার মেহেরুন রুনি ও মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার। নিহতদ্বয় স্বামী-স্ত্রী। ছয় বছর বয়সী একমাত্র শিশু পুত্র মাহির সরোয়ার মেঘের সম্মুখে এই সাংবাদিক দম্পত্তি খুন হয়েছেন। কিন্তু আজো খুনীদেরকে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরতে পারেনি, কিংবা চিহ্নিত করতে পারেনি। ২০১১ সালের ২৮ জানুয়ারি পল্টনের নিজ বাসায় খুন হন দৈনিক জনতার সহ-সম্পাদক ফরহাদ খাঁ ও তাঁর স্ত্রী রহিমা খাতুন। বিগত খালেদা-নিজামীর আমলে খুন হন সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ আরো অনেকে। বর্তমান সরকার গণমাধ্যম কর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও ‘সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট’ গঠনসহ সাংবাদিকদের কল্যাণে কতিপয় প্রসংশনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। গণমাধ্যম কর্মী আইনটি সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়  স্থায়ী কমিটিতে আইনটি যাচাই-বাচাইয়ের জন্যে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জারি করেন নিউজপেপার এমপ্লয়ীজ (কন্ডিশন অব সার্ভিস) অডিন্যান্স জারি করেন। এই আইনের অধীনে সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বোর্ড কর্মচারীদের  ওয়েজ বোর্ড  হয়ে আসছিল। কিন্তু ৬ষ্ঠ ওয়েজ বোর্ড গঠনের সময় ধরা পড়লো বিএনপি সরকার কোনো অংশীজনের সাথে আলোচনা না করে এই আইনটি বাতিল করে দিয়েছে। উল্লেখ্য যে, ১৯৭৪ সনের আইনটি সাংবাদিকতা পেশাকে কয়েকটি বিশেষ মর্যাদা দিয়েছে। এই আইনে সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমের কর্মচারীদের অধিকার ও বিরোধ নিস্পত্তির বিষয়গুলো শ্রম আইনের মধ্যে রেখেও কিছু বিশেষ মর্যাদা নিশ্চিত করেছিল। এই গুলো হচ্ছেঃ সাংবাদিক বা সংবাদমাধ্যমে কর্মচারীদের জন্য পৃথক ওয়েজ বোর্ড গঠন, পেশার সংজ্ঞায়ন,  বিশেষায়িত বলে কতপিয় বিশেষ সুবিধা  নিশ্চিতকরণ। প্রক্রিয়াধীন  নতুন আইন ১৯৭৪ সালের আইনের মূল চেতনা ধারণ করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। নতুন আইনে বিশেষ অধিকারগুলো সুনির্দিষ্ট করবে, প্রচলিত শ্রম ও সংশ্লিষ্ট আইনের সাথে বিশেষায়িত বিষয়গুলো সমন্বয় করবে, যেগুলো বিধিতে আনা সম্ভব সেগুলো বিধির জন্য পাঠাবে, যেগুলো ওয়েজ  বোর্ড নির্ধারিত হবে সেগুলো পৃথক করবে, ‘যা বাহুল্য তা’ বাতিল করবে। এভাবেই নতুন আইনটি সংবাদপত্র, টেলিভিশন, অনলাইন,  বেসরকারি বেতার মাধ্যমে সাংবাদিক, আলোকচিত্র সাংবাদিকসহ গণমাধ্যমের সকল কর্মচারীদের অধিকার, নিরাপত্তা, মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করবে বলে আমরা প্রত্যাশা করি। এই নতুন আইনটি দ্রুত প্রণয়ন ও গেজেট আকারে প্রকাশ এবং গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বর্তমানে বিদ্যমান আইনসমূহের কার্যকর প্রয়োগ অপরিহার্য। দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

আরও খবর



মোবাইলের অডিওকে উন্নত করতে ইনফিনিক্স ও জেবিএল-এর পার্টনারশিপ

প্রকাশিত:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৪৫জন দেখেছেন

Image

প্রযুক্তি ডেস্ক:বিশ্বখ্যাত অডিও ব্র্যান্ড জেবিএল-এর সঙ্গে আবারও একসঙ্গে কাজ শুরু করেছে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। পার্টনারশিপটি দুই প্রতিষ্ঠানের জন্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ফলে, সাউন্ড বাই জেবিএল-এর মাধ্যমে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের ফোনগুলোতে উন্নত অডিও অভিজ্ঞতা পাবেন গ্রাহকরা।

এই পার্টনারশিপের পর আরও উন্নত মানের সাউন্ডের জন্য স্পিকার ও হেডফোন আউটপুটকে বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। ইনফিনিক্স নোট ৩০ সিরিজে এই পার্টনারশিপ তুমুল সাফল্য পেয়েছিল। তার পথ ধরেই, নতুন এই পার্টনারশিপ স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে। 

জেবিএল-এর অ্যাকুস্টিক ডিজাইন, উন্নত অডিও প্রসেসিং অ্যালগরিদম এবং আধুনিক ড্রাইভার প্রযুক্তি সেরা মানের হার্ডওয়্যার নিশ্চিত করে। এতে ইনফিনিক্স ডিভাইসে পাওয়া যাবে নির্ভরযোগ্য সাউন্ড সিস্টেম।

এই পার্টনারশিপের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো- নোট ৪০ সিরিজের ফোনে ডুয়েল জেবিএল স্পিকারের অন্তর্ভুক্তি। চমৎকার, থ্রিডি সাউন্ডের অভিজ্ঞতা দিতে এই ডুয়েল স্পিকার ডিজাইন করা হয়েছে। এতে আরও আছে ডিপ বেইজ ইফেক্টসহ ৫৮% উন্নত বেইজ পারফরম্যান্স।

নোট ৪০ সিরিজের ফাইভ-ম্যাগনেট সাউন্ড ইউনিট নির্ভরযোগ্য সাউন্ডের ক্ষেত্রে একটি নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এটি মিউজিক, ভিডিও ও গেমিংয়ে গ্রাহকদের জন্য সেরা অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করবে।

তাছাড়া, ইনফিনিক্সের নিজের তৈরি এআই অ্যালগরিদমযুক্ত ডাবল মাইক্রোফোন সিস্টেম কোলাহলপূর্ণ পরিবেশেও পরিষ্কার ভয়েস ক্যাপচার নিশ্চিত করে। ফিচারটি গেমারদের জন্য বিশেষভাবে উপকারী। ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজ থাকলেও গেমিংয়ের সময় তারা টিমের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন নির্বিঘ্নে।

গত মার্চ থেকে বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে ইনফিনিক্স নোট ৪০ সিরিজের নোট ৪০ ও নোট ৪০ প্রো স্মার্টফোন দুটি।

নোট ৪০ প্রো ফোনের ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩০,৯৯৯ টাকা এবং ১২ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার সংস্করণটির মূল্য ৩৪,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি র‍্যাম ও ২৫৬ জিবি ধারণক্ষমতার নোট ৪০ ফোনটির মূল্য ২৬,৯৯৯ টাকা।


আরও খবর