Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভূমধ্যসাগরে নিহত ও নিখোঁজ ২৫০০: জাতিসংঘ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:২০২৩ সালের এ পর্যন্ত ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টাকালে ২৫০০ জনেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার এই কথা জানিয়েছে।

ইউএনএইচসিআর নিউইয়র্ক অফিসের পরিচালক রুভেন মেনিকদিওয়েলা নিরাপত্তা পরিষদকে বলেছেন, ২০২৩ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫০০ জনেরও বেশি লোককে মৃত বা নিখোঁজ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের একই সময়ের মধ্যে ১৬৮০ মৃত বা নিখোঁজ অভিবাসীর চেয়ে অনেক বেশি।

তিনি বলেন, জনগণের মনোযোগ থেকে দূরে, স্থলেও অনেকে প্রাণ হারিয়েছে।

মেনিকদিওয়েলা বলেন, সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে স্থলপথে যাত্রার পর অভিবাসীরা তিউনিসিয়া এবং লিবিয়ান উপকূল থেকে সমুদ্র পাড়ি দেওয়ার এই রুট বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। অভিবাসী এবং উদ্বাস্তুরা প্রতি পদক্ষেপে মৃত্যু এবং চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছে।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দক্ষিণ ইউরোপে সমুদ্রপথে মোট প্রায় ১,৮৬,০০০ লোক ইতালি, গ্রীস, স্পেন, সাইপ্রাস এবং মাল্টায় এসেছে। সংখ্যাগরিষ্ঠ ১,৩০,০০০ এরও বেশি মানুষ ইতালিতে এসেছেন, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ৮৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার প্রস্থান পয়েন্ট হিসেবে, এই বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্টের মধ্যে অনুমান করা হয়, ১০২০০০ এরও বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী তিউনিসিয়া থেকে এবং ৪৫,০০০ লিবিয়া থেকে সাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করেছিল।

মেনিকদিওয়েলা বলেন, তিউনিসিয়ায় আনুমানিক ৩১,০০০ জনকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করা হয়েছে বা আটকানো বা নামানো হয়েছে এবং লিবিয়ায় ১০,৬০০ জনকে আটকানো বা নামানো নামানো হয়েছে।

সূত্র :  আল-জাজিরা


আরও খবর



পুলিশের আসামী বহনকারী গাড়ির ধাক্কায় নারী নিহত

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

এম আনোয়ার হোসেন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:মিরসরাইয়ে পুলিশের আসামী বহনকারী গাড়ির ধাক্কায় ফিরোজা বেগম (৫৪) নামে এক নারী নিহত হয়েছে। বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জোরারগঞ্জ থানার ঠাকুরদিঘী এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ফিরোজা বেগম মিরসরাই উপজেলার ইছাখালী ইউনিয়নের ভূঁইয়া গ্রামের হাজী মুজিবুল হক মিস্ত্রি বাড়ীর এনামুল হকের স্ত্রী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঠাকুরদীঘি এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মাইক্রো ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলে ওই নারী মারা যায়। তিনি বাড়ী থেকে ডাক্তার দেখাতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তিনি দুর্ঘটনায় মারা যান। মাইক্রোটি জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানা পুলিশে হেফাজতে রয়েছে।

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোমিতা রায় জানান, দুর্ঘটনায় কবলিত নারী হাসপাতালে আনার পূর্বে মারা গেছে। শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে আঘাত দেখা গেছে।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদ হোসেন বলেন, বুধবার সকালে একটি ভাড়া করা মাইক্রো করে থানা থেকে কয়েকজন আসামী চট্টগ্রাম আদালতে নেওয়া হচ্ছিল। পথিমধ্যে ঠাকুরদীঘি এলাকায় এক নারী রাস্তা পার হওয়ার সময় মাইক্রোর সামনে পড়ে মারা গেছে। পরে আসামীদের আরেকটি গাড়ি করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার জানান, দুর্ঘটনায় নিহত নারীর মরদেহ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মাইক্রোটি থানা হেফাজতে রয়েছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।


আরও খবর



তানোরে সার সঙ্কট চোরাই পথে আমদানি

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১০০জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর থেকে:রাজশাহীর তানোরে সারের সঙ্কট এজন্য আমাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছে আলুর প্রজেক্ট করা কৃষকরা বলে দাবি করেন মান্দা উপজেলার বিসিআইসির সার আবুল হোসেন। তিনি বলেন আমি কৃষি অফিসের অনুমতি সাপেক্ষে বরাদ্দের বাহিরে সার এনে বিক্রি করেছি। যেখানে খুশি সার বিক্রি করতে পারব এমন অনুমতি আছে। আর তানোরে প্রচুর আলু চাষ হয়। এজন্য সারের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। আমি নোয়াপাড়া থেকে সার এনে বিক্রি করেছি। সার বিক্রি করেছেন মেমো দেননি কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করা যাবে কিন্তু মেমো দেয়া যাবেনা। তানোরে সার সঙ্কট আপনি কিভাবে জানেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিন তানোরে সার বিক্রি করছি। যদি সঙ্কট না হত তাহলে বাড়তি ভাড়া খরচ করে আমার কাছ থেকে কেন কিনবে। তার ডিলার পয়েন্ট কাগজে কলমে চকগৌরিহাট, কালিকাপুরে। কিন্তু নির্দিষ্ট পয়েন্টে সার বিক্রি না করে সাবাই হাটে সার বিক্রি করে থাকেন। 
ডিলার আবুল হোসেন আরো বলেন, মোহনপুর উপজেলার এমপির ভাই ঘাষিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির)  চেয়ারম্যান। সে তানোরে আলুর প্রজেক্ট করছে। সেখানে সার না পেয়ে আমার কাছ থেকে কিনেছেন। গত শনিবার দুই ট্রলিতে করে ১৬০ বস্তা ডিএপি সার মেমো ছাড়াই তানোরে আনা হয়। যা সার বিপণন নীতিমালার চরম লংঘন।তবে মান্দা উপজেলার কৃষি অফিসার শায়লা সারমিনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করে সার বিক্রির বিষয়ে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, এক উপজেলা থেকে আরেক উপজেলায় সার বিক্রির কোন সুযোগ নেই। আপনি নাকি ডিলার আবুলকে যে কোন জেলা উপজেলায় সার বিক্রির মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য উপজেলায় সার বিক্রির কোন অনুমতি দেয়া হয়নি, ডিলার যেটা বলেছে তার ব্যক্তিগত কথা। তাহলে অন্য উপজেলায় সার বিক্রির জন্য কি ব্যবস্থা নিবেন প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জানা গেছে, সামনে আলুর মৌসুমকে সামনে রেখে উপজেলার বিসিআইসি ও বিএডিসি সার ডিলারেরা মহা সিন্ডিকেট শুরু করেছেন। নানান অজুহাতে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে পর্যাপ্ত সার না দিয়ে প্রজেক্ট করা মৌসুমি চাষীদের মাঝে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন এমন অভিযোগ অহরহ।সার নিয়ে ডিলার ও কৃষক দের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ রয়েছে। ডিলারদের দাবি কয়েক জেলার মধ্যে এউপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমানে আলু চাষ হয়ে থাকে। সে তুলনায় চাহিদা মত বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছেনা। এজন্য বাধ্য হয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে বাড়তি দামে কিনে লোকসানে বিক্রি করতে হচ্ছে। গত মাসে কয়েক উপজেলা মিলে যে পরিমান সার বরাদ্দ পেয়েছে বাগমারা উপজেলা তার চেয়ে বেশি পরিমাণ সার বরাদ্দ পেয়েছে। 

তবে কৃষক রা ডিলারদের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি প্রতিটি ডিলারের ঘরে পর্যাপ্ত সার রয়েছে। কিন্তু প্রান্তিক চাষীদের সার না দিয়ে প্রজেক্ট করা মৌসুমি চাষীদের মাঝে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। যা সরেজমিনে তদন্ত করলেই বেরিয়ে পড়বে।উপজেলার বিসিআইসির সার ডিলার সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মাদ আলী বাবু বলেন, বিশেষ করে পটাশ সার চাহিদা মত বরাদ্দ পাওয়া যায়নি। অন্য সারের তেমন সঙ্কট নেই। বাহির থেকে যারা বাড়তি দামে কিনে বাড়তি দামে বিক্রি করতে পারেন।উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সারের কোন সঙ্কট নেই।যদি কোন ডিলার নীতিমালার বাহিরে বা বাড়তি দামে বিক্রি করলে সেটা প্রমান হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও খবর



বাগেরহাটে কৃষি পন্যের বিপনন সহজ করতে মতবিনিময় সভা

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:বাগেরহাটে কৃষিপন্যের বিপনন সহজ করতে কৃষক, ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে বাগেরহাট শহরের নূর মসজিদ মোড়স্থ কৃষি বিপনন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম। বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপনন কর্মকর্তা আব্দুস সালাম তরফদারের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের হিসাব রক্ষন কর্মকর্তা নাজগীর আহমেদ, বাগেরহাট বাজার ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আসলাম মোল্লা, সাংবাদিক এসএস শোহানপ্রমুখ।

সভায় কৃষি পন্যের বহুমুখী ব্যবহার, কৃষকদের পন্যের সহজ বিপনন ও সংরক্ষনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে স্থানীয়দের উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করণের সহযোগিতার আশ্বাস দেওয়া হয়।

কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ মাসুদ করিম বলেন, কৃষকদের উৎপাদিত পন্য সঠিক মূল্যে বাজারজাত করা অতি জরুরী। বাগেরহাটে যেহেতু শসা, টমেটো, করল্লা, লাউ, কুমরাসহ বিভিন্ন সবজির ব্যাপক উৎপাদন হয়। চাষীরা যাবে এসব পন্য খুব সহজে এবং সঠিক মূল্যে বিপনন করে লাভবান হতে পারেন সে জন্য আমরা চেষ্টা করব। কৃষক ও উদ্যোক্তাদের নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানের পরামর্শ প্রদান করেন এই কর্মকর্তা। 

সভায়, কৃষি পন্য নিয়ে কাজ করা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও কৃষকরা অংশগ্রহন করেন। সভা শেষে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে একটি করে তালগাছের চারা বিতরণ করা হয়। এর আগে শহরের যদুনাথ স্কুল এ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গনে তাল গাছের চারা রোপন করেন মহাপরিচালক মোঃ মাসুদ করিম।


আরও খবর



সিরাজগঞ্জে মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি:সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় শিশু কন্যা রাইয়া খাতুন হত্যার অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় বাবা মনিরুল ইসলাম রঞ্জু (২৫) কে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. আবুল বাশার মিঞা এই কারাদন্ড প্রদান করেন।দন্ডপ্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে।

এই আদালতের অতিরিক্ত পিপি জেবু ন্নেছা (জেবা রহমান) এতথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত মনিরুল ইসলাম রঞ্জু নিজেই তার শিশু সন্তানকে হত্যা করেছেন। এবিষয়ে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। অভিযোগ প্রমানীত হওয়ায় আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছে। এবং আগামী ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে আপিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মামলার অভিযোগ পত্রে বলা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৌবিলা পশ্চিম পাড়ার আব্দুর রহিমের ছেলে মনিরুল ইসলাম রঞ্জুর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী  উল্লাপাড়া উপজেলার নজরুল ইসলামের মেয়ে নাজনীন নাহারের সঙ্গে ২০২০ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের পর তাদের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। এর মধ্যে নাজনীন নাহার একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়। পারিবারিক বিরোধের কারনে নাজনীন নাহার তার বাবার সঙ্গে ঢাকায় বসবাস শুরু করে। ২০২২ সালের  ২৭ মার্চ নাজনীন নাহার তার গ্রামের বাড়ি উল্লাপাড়ায় বেড়াতে আসেন।

নাজনীনের খবর পেয়ে ২৯ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু আত্মীয়  স্বজন নিয়ে তার শশুর  বাড়িতে আসে এবং শশুর  বাড়ির সদস্যদের সঙ্গে সমঝোতা করে তার স্ত্রী নাজনীন নাহার ও দেড় বছরের শিশু কন্যা সন্তান  রাইয়া খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে সলঙ্গায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। পারিবারিক বিরোধের জেরে ৩০ মার্চ মনিরুল ইসলাম রঞ্জু তার শিশু কন্যা মাটিতে আছড়ে হত্যা করে। এঘটনায় শিশু রাইয়া খাতুনের নানা নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে তিন জনকে আসামী করে সলঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলা দায়েরের পর মনিরুল ইসলাম রঞ্জুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব সদস্যরা। পরে মনিরুল ইসলাম রঞ্জ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। মামলার তদন্ত শেষে মনিরুল ইসলাম রঞ্জ কে আসামী করে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে পুলিশ।

মামলা চলাকালে ১২ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহন করে আদালত। স্বাক্ষ্য গ্রহন শেষে আজ আদালতের বিচারক মনিরুল ইসলাম রঞ্জ কে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন।

আরও খবর



ইসরায়েলি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মোদির বৈঠক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যেই শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে কপ-২৮ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই সম্মেলনের এক ফাঁকে মোদি ও হারজগের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। 

চলমান এই সংঘাত নিয়ে উভয় নেতা মতবিনিময় করেন। এসময় গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলায় নিহতদের ঘটনায় শোক জানান মোদি। জিম্মিদের মুক্তির ঘটনাকেও স্বাগত জানান তিনি।

ক্ষতিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর জন্য অব্যাহত এবং নিরাপদ মানবিক সহায়তার ওপর জোর দেন মোদি। এসময় মোদি দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের ব্যাপারে ভারতের সমর্থনের কথা উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে ইসরায়েল-ফিলিস্তন সংঘাতের দ্রুত এবং স্থায়ী সমাধানের ব্যাপারেও জোরারোপ করেন তিনি।

এদিকে ভারত জি২০’র প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় মোদিকে অভিনন্দন জানান ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট। এছাড়া ভারত-মধ্যপ্রাচ্য-ইউরোপ ইকোনমিক করিডর চালু করায় ভারতকে শুভেচ্ছা জানান হারজগ।

ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট ছাড়াও বিশ্বের আরও কয়েকজন প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন মোদি। এর মধ্যে অন্যতম ছিল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে বৈঠক। ওই বৈঠক শেষে ভারত-ব্রিটেনের বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে টুইট করেন মোদি।

খবর দ্য স্টেটসম্যানর।


আরও খবর