Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ভ্রমণের সুযোগ মিথুন ও তুলার, পাওনা টাকা আদায় বৃষের

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৫ জানুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৯৫জন দেখেছেন

Image

মেষ (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল)

মূল্যবোধ বজায় রাখুন। কাজকর্মে উৎসাহ বোধ করতে পারেন। পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে চলুন। ছোট ভাইবোনদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকতে পারে। প্রয়োজনে তাদের কাজে লাগাতে পারবেন।

বৃষ (২১ এপ্রিল-২০ মে)

শরীর ভালো থাকতে পারে। আর্থিক দিক ভালো যাবে। পাওনা টাকা আদায় হতে পারে। অধীনদের কাজে লাগাতে পারবেন। পড়াশোনা আনন্দ পাবেন।

মিথুন (২১ মে-২০ জুন)

ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন। শরীর ভালো থাকবে। মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকতে পারে। ব্যবসায়িক দিক ভালো যাবে। ব্যক্তিত্ব দিয়ে অন্যকে প্রভাবিত করতে পারবেন।

কর্কট (২১ জুন-২০ জুলাই)

জ্যেষ্ঠ ভাইবোনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। শারীরিক অসুস্থতাকে অবহেলা করা ঠিক হবে না। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। গোপন শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। কোনো কর্মের ফল ভোগ করতে পারেন।

সিংহ (২১ জুলাই-২১ আগস্ট)

পিতার শারীরিক অবস্থা ভালো থাকতে পারে। পেশাগত যোগাযোগ চালিয়ে যান। সেক্ষেত্রে সাফল্য পেতে পারেন। কোনো আশা পূরণ হতে পারে। বন্ধুদের কারো সহযোগিতায় উপকৃত হতে পারেন। 

কন্যা (২২ আগস্ট-২২ সেপ্টেম্বর)

উচ্চ শিক্ষার্থীদের জন্য সময় অনুকূল থাকতে পারে। মন ভালো থাকবে। মানসিক প্রশান্তি বজায় থাকতে পারে। পাবলিক ইমেজ বৃদ্ধি পাবে। বেকারদের  কারো চাকরি হতে পারে।

তুলা (২৩ সেপ্টেম্বর-২২ অক্টোবর)

অতীন্দ্রিয় শাস্ত্রাদির প্রতি আগ্রহ বোধ করতে পারেন। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। জীবন ও জগৎ সম্পর্কে নতুন কোনো ধারনা পেতে পারেন। পেশাগত দিক ভালো যাবে। ভ্রমণের সুযোগ পেতে পারেন।

বৃশ্চিক (২৩ অক্টোবর-২১ নভেম্বর)

অপরের প্রতি সদাচরণ করুন। ব্যাবসায়িক দিক খুব একটা ভালো না-ও থাকতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ পরিহার করুন। সামাজিক সংকট এড়িয়ে চলুন। রিপুকে সংযত রাখুন।

ধনু (২২ নভেম্বর-২০ ডিসেম্বর)

কর্মস্থলে সহকর্মীদের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি এড়িয়ে চলুন। আপনজন কেউ শত্রুতা করতে পারে। বিবাদ এড়িয়ে চলুন। ব্যবসায়িক দিক ভালো থাকতে পারে। বিক্রয় বাণিজ্যে লাভযোগ আছে।

মকর (২১ ডিসেম্বর-১৯ জানুয়ারি)

পড়াশোনার প্রতি অধিকতর মনোযোগী হওয়ার চেষ্টা করুন। শত্রুরা ক্ষতি করার চেষ্টা করতে পারে। শত্রু সম্পর্কে সতর্ক থাকুন। শারীরিক অসুস্থ তাকে অবহেলা করবেননা। কর্মস্থলে ঝামেলা এড়িয়ে চলুন।

কুম্ভ (২০ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি)

মাতৃস্বাস্থ্য ভালো থাকতে পারে। বিদ্যার্থীদের জন্য দিনটি শুভ। পড়াশোনায় মন বসাতে পারবেন। সন্তানের প্রতি খেয়াল রাখুন। ধর্মীয় কাজে আনন্দ পাবেন।

মীন (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ)

কাজকর্মে উৎসাহ বোধ করতে পারেন। কোনো প্রত্যাশা পূরণ হতে পারে। মন ভালো থাকবে। জ্ঞানস্পৃহা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিলাস দ্রব্য ক্রয় করতে পারেন।


আরও খবর



মাগুরায় সার্বজনীন পেনশন স্কিম কার্যক্রম উদ্বোধন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৩জন দেখেছেন

Image
স্টাফ রিপোর্টার মাগুরা:মাগুরায় টেকসই ও সু সংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সার্বজনীন পেনশন স্কীম এর কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল  সোমবার বিকেলে মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাগুরার জেলা প্রশাসক মোঃ আবু নাসের বেগ। সভায় সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, কর্মকর্তা-কর্মচারী, মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  মতবিনিময় সভা শেষে ফিতা কেটে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি। এ কর্মসূচির আওতায় প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্ক্রিমে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন সরকারি চাকরির বাইরে থাকা সাধারণ মানুষ।   প্রধান অতিথি  সকলকে নিরাপদ ও উন্নত জীবন প্রতিষ্ঠায় সার্বজনীন পেনশন স্কিমের আওতায় আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন একটি সত্যিকারের প্রগতিশীল ও জনবান্ধব দেশ গড়তে সার্বজনীন পেনশন স্কিম ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

আরও খবর



ঈদের ছুটিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যাবেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১৪০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন,ঈদের সময় স্বাস্থ্য সেবা পরিস্থিতি তদারকিতে বিভিন্ন হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে যাবেন।

মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সামনে ঈদুল ফিতর, এর পরপরই নববর্ষ। এসময় অনেক বড় একটা ছুটি। ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যান। এবার আমি হাসপাতাল সম্পর্কে যেটা নির্দেশ দিয়েছি, হাসপাতালে যারা চিকিৎসক কাজ করবেন, সাধারণত যারা সনাতন ধর্মের থাকেন তারাই এসময়ে কাজ করেন। ঈদের সময় রোগীদের উন্নত খাবার দেওয়া হবে।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, যাদের ডিউটি থাকবে সেটা যাতে ব্যাহত না হয়, সেটা আমি নিজে মনিটর করব। আমি কখন, কোথায় কোন হাসপাতালে যাব, সেটা বলব না। আমি নিজেই এ কয়দিন হাসপাতালগুলো মনিটর করব। শুধু ঢাকায় না, ঢাকার বাইরেও।

ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু এমন একটা রোগ, এখানে সচেতনতাই হচ্ছে সবচেয়ে বড় জিনিস। সঠিক সময় হাসপাতালে ভর্তি না হতে পারলে ডেঙ্গুতে অনেক সময় মানুষ মারাও যায়।

তিনি বলেন, প্রথম বিষয় হলো আমাদের সচেতন হতে হবে। ডেঙ্গু মশার উপদ্রব বন্ধ করতে হবে। চিকিৎসা হলো পরের কথা। চিকিৎসা করার জন্য যা যা দরকার সেটা নিয়ে আমরা অলরেডি একটা মিটিং করেছি। ঈদের পরে আবার বসব যেন চিকিৎসায় কোনো ঘাটতি না হয়।


আরও খবর



বিকাশের টাকা উদ্ধার করে দিল যাত্রাবাড়ী থানার ওসি অপারেশন মামুন

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৫৫জন দেখেছেন

Image

সোহরাওয়ার্দীঃরাজধানী যাত্রাবাড়ী থানা এলাকার  এক ব্যক্তির ভুলে বিকাশের অন্য নম্বরে চলে যাওয়া টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) মোঃ ওহিদুল হক মামুন এর তত্ত্বাবধানে বিকাশে অন্যত্র চলে যাওয়া ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিক  ওই ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করা হয়। 


মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) এর কক্ষে ডেকে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে ভুলে চলে যাওয়া টাকা প্রকৃত মালিকের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগী যাত্রাবাড়ী থানা কোনাপাড়া  এলাকার বাসিন্দা ছোটন হোসেন কাঙ্ক্ষিত নম্বরের পরিবর্তে ভুলবশত ওপর একটি বিকাশ নম্বরে ২০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেন। পরে ছোটন হোসেন যাত্রাবাড়ী থানায় ইন্সপেক্টর অপারেশন মামুনের কাছে বিষয়টি জানান। বিকাশ নাম্বারটি যাচাই করে দেখা যায় সেটি যাত্রাবাড়ী থানার আওতাভুক্ত এক ব্যক্তির। পরে সেই ব্যক্তিকে ডেকে এনে ভূল হওয়া ২০ হাজার  টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের কাছে হস্তান্তর করেন। 

অহিদুল হক মামুন বলেন, "পুলিশের ইউনিফর্ম পড়ে দেশ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পেরে সবসময় গর্ববোধ করি, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই পুলিশের ধর্ম, তাই সব সময় চেষ্টা করি ভালো কিছু করার"।

ভুক্তভোগী ছোটন হোসেন বলেন, ভুল নম্বরে যাওয়া টাকা ফিরে পেয়ে আমি খুবই খুশি। দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা উদ্ধার করে দেওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) অহিদুল হক মামুনের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

যাত্রাবাড়ী থানার ইন্সপেক্টর (ওসি অপারেশন) ওয়াহিদুল হক মামুন একজন মানবিক পুলিশ হিসেবে সকলের নিকট সুপরিচিত। তিনি একজন চৌকস মেধাবী কর্মকর্তা।তার কর্মকালীন সময়ে যাত্রাবাড়ী থানা এলাকায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে। যাত্রাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফরমান আলী খানের সার্বক্ষনিক তদারকি ও দিক নির্দেশনায় ওহিদুল হক মামুন এর টিম ওয়ার্কের কারনে ফৌজদারী অপরাধ অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে এবং উদ্ধার জনিত মামলার সংখ্যা ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনমনে পুলিশের প্রতি আস্থা বেড়েছে বহুগুন। পুলিশ বাহিনীর চাকরির সুবাদে তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণ করেন।তার সাফল্যের পালকে যুক্ত আছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মেডেল ।


আরও খবর



জাতির পিতার সমাধিতে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০১জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃগোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন, বিএসপি (বার), এনডিসি, পিএসসি, জি, এম ফিল। আজ শনিবার দুপুর ১২টায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি কিছুক্ষণ বেদির পাশে নীরবে দাঁড়িয়ে থেকে  জাতির পিতার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।

পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ করে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের শহিদ সদস্যসহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহিদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন।

এক প্রতিক্রিয়ায় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ মাইন উদ্দিন বলেন, "ঈদের এই আনন্দের দিনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে আগমন করতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যই আজ স্বাধীন সার্বভৌম দেশে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে পারছি। এই দিনে জাতির পিতাকে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা। তাঁর বিদেহি আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। দোয়া করি মহান আল্লাহ তায়ালা, তাঁকে যেন জান্নাত দান করেন। আমিন, জয় বাংলা।"

এ সময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ঢাকা বিভাগের উপপরিচালক মোঃ ছালেহ উদ্দিন, সহকারী পরিচালক মোঃ আসাদুজ্জামান, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মঈনুল হক, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, গোপালগঞ্জ জেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক শিপলু আহম্মেদ, সিনিয়র স্টাফ অফিসার (পিএস-২) মোঃ নাজমুল হোসেনসহ ফায়ার সার্ভিসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। খবর : ফায়ার সার্ভিস মিডিয়া সেল।


আরও খবর



স্বাগত ১৪৩১, আজ পহেলা বৈশাখ

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৯৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:পহেলা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। বাংলা ১৪৩১ সালের প্রথম দিন আজ (রোববার, ১৪ এপ্রিল)। এ দিনটির মাধ্যমে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন আরেকটি বছর। বাংলার চিরায়ত উৎসব চৈত্রসংক্রান্তি ছিল গতকাল (শনিবার)। একই সঙ্গে দিনটি ছিল বাংলা ১৪৩০ সালের শেষ দিন।

জীর্ণ-পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, ‘মুছে যাক গ্লানি’ - এভাবে বিদায়ী সূর্যের কাছে এ আহ্বান জানায় বাঙালি। পহেলা বৈশাখ আমাদের সকল সঙ্কীর্ণতা, কূপমুণ্ডকতা পরিহার করে উদারনৈতিক জীবনব্যবস্থা গড়তে উদ্বুদ্ধ করে। আমাদের মনের ভেতরের সকল ক্লেদ, জীর্ণতা দূর করে; আমাদের নতুন উদ্যোমে বাঁচার অনুপ্রেরণা দেয়।

আমরা যে বাঙালি, বিশ্বের বুকে এক গর্বিত জাতি, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণে আমাদের মধ্যে এই স্বজাত্যবোধ এবং বাঙালিয়ানা নতুন করে প্রাণ পায়, উজ্জীবিত হয়।

অন্যদিকে পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সর্বজনীন লোকউৎসব। এ দিন আনন্দঘন পরিবেশে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বছরকে। কল্যাণ ও নতুন জীবনের প্রতীক হলো নববর্ষ। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদ্‌যাপিত হয় এ নববর্ষ।

এবারও বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিতে প্রতি বছরের মতো বর্ণিল উৎসবে মেতেছে দেশ। ভোরের প্রথম আলো রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে বর্ষবরণের নানা আয়োজন।

‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩১’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে উদ্‌যাপনের লক্ষে সরকারিভাবে জাতীয় পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক কর্মসূচি। দিনটি সরকারি ছুটির দিন। বর্ষবরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ পহেলা বৈশাখের ভোর থেকেই রমনা বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু করেছে।

বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠান আবশ্যিকভাবে জাতীয় সংগীত ও ‘এসো হে বৈশাখ....’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হবে। বাংলা নববর্ষের তাৎপর্য এবং মঙ্গল শোভাযাত্রার ইতিহাস এবং এটিকে বিশ্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি তুলে ধরে এদিন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলা একাডেমির উদ্যোগে বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিও দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে। বাংলা নববর্ষে সকল কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নতমানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার ও ইফতারের আয়োজন করা হয়েছে।

এক সময় নববর্ষ পালিত হতো আর্তব উৎসব বা ঋতুধর্মী উৎসব হিসেবে। তখন এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল কৃষির; কারণ কৃষিকাজ ছিল ঋতুনির্ভর। পরে কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। হিজরি চান্দ্রসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এ বাংলা সাল।

বাংলা নববর্ষের মূল উৎসব অতীতে ছিল হালখাতা। এটি পুরোপুরিই একটি অর্থনৈতিক ব্যাপার। গ্রামে-গঞ্জে-নগরে ব্যবসায়ীরা নববর্ষের প্রারম্ভে তাদের পুরনো হিসাব-নিকাশ সম্পন্ন করে হিসাবের নতুন খাতা খুলতেন। এ উপলক্ষে তারা নতুন-পুরাতন খদ্দেরদের আমন্ত্রণ জানিয়ে মিষ্টি বিতরণ করতেন এবং নতুনভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবসায়িক যোগসূত্র স্থাপন করতেন। চিরাচরিত এ অনুষ্ঠানটি পালিত হয় আজও।

মূলত ১৫৫৬ সালে কার্যকর হওয়া বাংলা সন প্রথমদিকে পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।


আরও খবর