Logo
আজঃ রবিবার ১১ জুন ২০২৩
শিরোনাম

ভোটকেন্দ্রে এজেন্টরা কারচুপি করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ইসি আলমগীর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৫ নভেম্বর ২০২২ | হালনাগাদ:রবিবার ১১ জুন ২০২৩ | ২২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক; নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টরা কারচুপিতে সহায়তা করলে বা কারচুপি করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলে এজেন্টদের ভোটকেন্দ্র থেকে বাইরে রাখা যাবে না। এটা কোনো দলই মানবে না। মশারির ভেতরে মশা ঢুকলে মশারি পুড়িয়ে দিলে তো হবে না। মশা তাড়াতে হবে। তেমনই কোনো এজেন্ট অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ইভিএমে কারচুপির সুযোগ নেই দাবি করে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘অনেকেই বলেন যে ইভিএম একটা কারচুপির মেশিন। আমরা এখানে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। অতীতের নির্বাচনের যে অভিজ্ঞতা নিয়েছি, তাতে দেখেছি, ইভিএমে কারচুপির কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমরা তো কারিগরি দিক থেকে এক্সপার্ট না, যারা এক্সপার্ট তারা বলেছেন। দলগুলোকেও ডেকেছিলাম তাদের কারিগরি টিম এনে পরীক্ষা করে দেখার জন্য।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে প্রথমেই যেটা বলা যে, প্রোগ্রামিং করে ফল পাল্টে দেওয়া যায়। তাত্ত্বিক দিক দিয়ে যারা বলেন তারা হয়ত ঠিকই বলেন। কিন্তু বাস্তবতার দিক দিয়ে এটা মোটেই ঠিক নয়। আপনি বলতেই পারেন যেকোনো একটা কোম্পানির ওষুধে ভেজাল থাকতে পারে, কিন্তু সব কোম্পানির ওষুধে ভেজাল আছে বিষয়টি এমন নয়। আমাদের ইভিএমটা ভিন্ন ধরনের।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘অনেকেই বলেন, ভারতের ইভিএমের মতো। আসলে ভারতের সঙ্গে এটার তুলনা করা যায় না। ভারতের ইভিএম ভোটার আইডেন্টিফিকেশন করে ম্যানুয়েলি। আমাদের ইভিএমে আইডেন্টিফিকেশন করা হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। যেহেতু আমাদের ভোটার ডাটাবেজ আছে ছবিসহ এবং ফিঙ্গারপ্রিন্টসহ। কাজেই ভোটারদের সব তথ্য যাচাই হয় মেশিনের মাধ্যমেই। যেটা ভারতের ইভিএম করার সুযোগ নেই।’

ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় বিষয় হলো এ ইভিএমে যে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে, তাতে শুধুমাত্র যোগ করতে পারে। যে প্রার্থী আছে তাদের ভোটটা যোগ করতে পারে। আর কিছু করতে পারে না। প্রোগ্রামিংটা ওইভাবে করা। কাজেই কেউ যন্ত্রে বা বাইরে থেকে ম্যানুপুলেশন করবে সে সুযোগ নেই। কারণ এটার যে চিপস ব্যবহার করা হয়েছে, যেখানে রাইট করা হয়, এটা হলো ওয়ান-টাইম ইউজেবল। কাজেই একবার রাইট করা গেলে রি-রাইট বা এডিট করার কোনো সুযোগ থাকে না।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘আরেকটা হলো ইন্টারনেটের সঙ্গে কোনো সংযোগ নেই আমাদের ইভিএমের। ব্যালট ইউনিটের সঙ্গে যে সংযোগ দেওয়া হয়, এটা কিন্তু কাস্টমাইজ করা। বাজারে কেনা কোনো ক্যাবল, ড্রাইভ; কোনো কিছুই এটার মধ্যে ইনসার্ট করতে পারবেন না। কেবল এই ইভিএমের জন্য যে ডিভাইস তৈরি করা হয়েছে, সেটা ছাড়া আর কোনো ডিভাইস যোগ করতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘এটা কেবল যোগ-বিয়োগ করে। ক্যালকুলেটরের মতো। ক্যালকুলেটরে যেমন প্রোগ্রাম পরিবর্তন করার সুযোগ নেই। আমাদের ইভিএমে সে সুযোগ নেই। ইভিএম নিয়ে যে অপপ্রচার আছে, যারা বলেন তারা না জেনে না বুঝে বলেন। তারা চাইলে যেকোনো ইভিএমে চেক করে দেখতে পারেন।’

মো. আলমগীর বলেন, ‘ইভিএমে ভোট নেওয়ার সুবিধা হলো ভোটের আগে পরে ভোট দেওয়ার সুযোগ অথবা ভোটার ছাড়া কেউ এসে ভোট দিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। একটা দুর্বলতা আছে, যে গোপন বুথে যদি ভোটারকে ঢুকতে না দেওয়া হয়, এই সুযোগটা আছে। যদি ১০ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে আসে তবে ১০ শতাংশ ভোটই কাস্ট করতে পারবে। আর ব্যালটে ১০ শতাংশ ভোটার আসলে শতভাগ ভোট দেওয়ার সম্ভব। এটার মাধ্যমে জালিয়াতি কোনো সুযোগ নেই।’


আরও খবর



সৌদি পৌঁছেছেন ৬৪২৭৭ হজযাত্রী, মৃত্যু বেড়ে ৮

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৯ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ৯০জন দেখেছেন

Image

খবর প্রতিদিন ২৪ডেস্ক :চলতি বছর হজ পালনের উদ্দেশ্যে এখন পর্যন্ত ৬৪ হাজার ২৭৭ জন যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। এর মধ্যে মক্কায় আদম উদ্দিন মন্ডল (৭১) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার হজযাত্রী বহনকারী এয়ারলাইনস, সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ ও হজ অফিসের বরাত দিয়ে হজ পোর্টালে এ তথ্য জানা যায়।

সৌদিতে যাওয়া হজযাত্রীদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৯ হাজার ৩৫০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় গেছেন ৫৪ হাজার ৯২৭ জন।কঝজগ

এ দিকে হজে গিয়ে সর্বশেষ আদম উদ্দিন মন্ডল নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার পাসপোর্ট নম্বর EE0724900। এ নিয়ে ৮ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে পুরুষ ছয়জন ও নারী দুজন।

চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার হজের খরচ বেশি হওয়ায় প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটা খালি রেখেই হজের সার্বিক প্রস্তুতি শেষ করেছে সরকার।

এরপর গত ২১ মে থেকে হজযাত্রীদের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়। শেষ হবে ২২ জুন। হজ পালন শেষে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হবে আগামী ২ জুলাই। ফিরতি ফ্লাইট শেষ হবে ২ আগস্ট।

চাঁদ দেখাসাপেক্ষে চলতি বছরের ২৭ জুন (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।


আরও খবর



ভোলার ইলিশা-১ কূপের তৃতীয় স্তরেও মিলেছে গ্যাসের সন্ধান

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা: ভোলার ইলিশা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ খনন শেষে প্রথম ও দ্বিতীয় স্তরের পর এবার তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাপেক্স। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রতিদিন এ কূপ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। সোমবার (১৫ মে) সকালে আগুন জ্বালিয়ে শেষ ধাপের গ্যাস পরীক্ষার কাজ শুরু করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। বাপেক্স জানায়, ভোলার ইলিশা গ্যাস ফিল্ডের ১ নম্বর কূপ খনন শেষে তৃতীয় স্তরেও গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতিদিন এ কূপ থেকে ২ কোটি ২০ লাখ ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের দিকে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপের পর গ্যাসের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষে এ বছরের গত ৮ মার্চ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিয়া ইউনিয়নের মালের হাট এলাকায় ‘ইলিশা-১’ কূপ খননকাজ শুরু করে রাশিয়ান প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম। ৩ হাজার ৪৩৬ মিটার গভীরে গ্যাসের সন্ধান পেলে ২৪ এপ্রিল প্রথম স্তরের খননকাজ শেষ করা হয়। প্রথম স্তরের সফলতার পর রোববার (৭ মে) দ্বিতীয় স্তরেও মেলে গ্যাসের সন্ধান।

এখন তৃতীয় স্তরের ডিএসটি সম্পন্ন হলেই আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন করা হবে। সেটি এখন কবে নাগাদ শুরু হবে তা শুধু সময়ের অপেক্ষা। বাপেক্সের ভূ-তাত্ত্বিক বিভাগের ব্যবস্থাপক মো. আলমগীর হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এ কূপে গ্যাস মজুদের পরিমাণ ১৮০ থেকে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট। যা থেকে প্রতিদিন গড়ে ২০ থেকে ২২ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। এদিকে একের পর এক গ্যাসের সন্ধান মেলায় দক্ষিণাঞ্চলে নতুন করে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করেঅর্থনৈতিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির স্বপ্ন দেখছে তারা।বাপেক্স বলছে, ইলিশা-১ কূপ একটি আলাদা গ্যাস ক্ষেত্র হতে পারে, যা এখন সরকারেরসিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। সব ঠিক থাকলে ভোলার ৯টি কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ দশমিক ৭ টিসিএফ। উল্লেখ্য, ১৯৯৪-৯৫ সালে ভোলার শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান মেলে।


আরও খবর



প্রেমিকার অপমৃত্যুর খবর শুনে প্রেমিকের আত্মহত্যার নাটক

প্রকাশিত:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১২৫জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি: পীরগঞ্জে আশরাফুন আক্তার আঁখি নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। প্রেমিক বিয়ে করতে না চাওয়ায় শনিবার ( জুন) সন্ধ্যায় পৌর শহরের মিত্রবাটী এলাকায় নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী। এদিকে প্রেমিকার মৃত্যুর খবর শুনে প্রেমিক আত্মহত্যার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠেছেএলাকাবাসী জানান, পৌর শহরের মিত্রবাটি গ্রামের আশরাফুলের মেয়ে আঁখি আকতার পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। আঁখির সাথে একই এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আবিরের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এরই মধ্যে আঁখিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আবির তার সাথে শারিরীক সম্পর্কে জড়ায়। বিষয়টি উভয় পরিবারের মাঝে জানাজানিও হয়। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ে করতে প্রেমিক আবিরকে চাপ দেয় আাঁখি কিন্তু প্রেমিক আবির তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে শনিবার সন্ধ্যায় নিজের শয়ন ঘরের বাঁশের সরের সাথে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করে আঁখিওই শিক্ষার্থীর মা হাসিনা বানুর দাবি আবির তার মেয়েকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে। এদিকে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মানসিক সমস্যার কারণে আঁখি আত্মহত্যা করেছে উল্লেখ্য করে থানায় লিখিত আবেদন করেছেন আঁখির চাচা মোতালেব


অপর দিকে, আঁখির আত্মহত্যার বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে প্রেমিক আবির শনিবার রাতে নিজেও আত্মহত্যার নাটক করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয় পীরগঞ্জ হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার আব্দুর রহমান সোহান জানান, আবির নামে এক যুবক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। রোববার ( জুন) সকালে তিনি বাড়ি চলে গেছেন। তবে তার গলায় আত্মহত্যার চেষ্টার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি

পীরগঞ্জ থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়ে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। তবে আবির নামে কেউ আত্মহত্যার নাটক করেছে এমন খবর পাইনি


আরও খবর



সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ

গুদামে ব্যবহারের পেস্টিসাইড স্প্রে করায় ২ শিশুর মৃত্যু

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৮ জুন ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ১০ জুন ২০২৩ | ১০২জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকার একটি বাসায় তেলাপোকা মারার স্প্রে করার পর দুই শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেছেন, ওই বাসাটিতে অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট সমৃদ্ধ পেস্টিসাইড স্প্রে করা হয়েছিল। বড় গার্মেন্টস, গুদাম বা অনাবাসিক জায়গাতে এই পেস্টিসাইড স্প্রে করা যায়। কিন্তু ঘরে এটা ব্যবহার করা যায় না। করলেও আবাসস্থল ৭২ থেকে ৯৬ ঘণ্টা ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হয়।

আজ বৃস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ সব কথা বলেন।

হারুন অর-রশীদ বলেন,  এই পেস্টিসাইডে রাসায়নিক আইটেম সঠিক অনুপাতে ছিল না বলেই ধারণা করা হচ্ছে। কীটনাশক মানব জীবনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে বিশেষত তীব্র দাবদাহের এই সময়ে বিষয়টি উপলব্ধি করা দরকার ছিল পেস্টিসাইড কোম্পানির কর্মকর্তাদের। কিন্তু অর্থের লোভে কোম্পানির মালিক-কর্মচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকির এই বিষয়টি উপলব্ধি করেনি। তারা পরিবারের সদস্যদেরকে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার উপদেশ না দিয়েই আনাড়ি, কর্মচারীদের দিয়ে এই কীটনাশক স্প্রে করিয়েছেন। যার ফলশ্রুতিতে দুইটি শিশুর জীবন ঝরে যায় অকালে। অসুস্থ হন পরিবারের অন্য সদস্যরা। এ ঘটনায় গত ৫ জুন ভাটারা থানায় একটি মামলাও হয়েছে।

ডিসিএস অর্গানাইজেশন লি. কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরহাদুল আমিন

তিনি বলেন, ঘটনার পরই মূল আসামি ডিসিএস অর্গানাইজেশন লি. কোম্পানির চেয়ারম্যান আশরাফুজ্জামান এবং কোম্পানিটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ফরহাদুল আমিন গা ঢাকা দেন। আজ সকাল পৌনে ৮টার দিকে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে এই বিষাক্ত পণ্য কোথা থেকে কিভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে, এর অনুমোদন ছিল কি না, এর রাসায়নিক অনুপাত সঠিক ছিল কি না, মানবদেহের জন্য এগুলো কতটা ক্ষতিকর তা যাচাই-বাছাই করা হবে।

পুলিশ ও নিহত দুই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন বসুন্ধরার আই ব্লকের একটি নতুন বাসায় পেস্ট কন্ট্রোল সার্ভিসের কর্মীরা তেলাপোকা মারার বিষ স্প্রে করেন। এর দুদিন পর ভুক্তভোগী পরিবারটি ওই বাসায় ওঠে। বাসায় প্রবেশ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ৪ জুন ভোরে প্রথমে শাহিল মোবারত জায়ানের মৃত্যু হয়। পরে রাত ১০টায় মারা যায় শায়ান মোবারত জাহিন (১৫)। দুই শিশুর মা শারমিন জাহান লিমা ও বাবা মোবারক হোসেনও বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। 


আরও খবর



তানোরে ৫ বছর পর রাস্তার কাজ সম্পন্ন স্বস্তিতে গ্রামবাসী

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০৪ জুন ২০২৩ | ৯১জন দেখেছেন

Image
আব্দুস সবুর তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোর উপজেলার সরনজাই ইউনিয়ন(ইউপির) কাসারদিঘি গ্রামের রাস্তাটি দীর্ঘ ৫ বছর ধরে ডাবলু বিএম করে রাখা হয়েছিল। সেই রাস্তাটি গত বুধবার ও বৃহস্পতিবারে পিচ ঢালায় সম্পন্ন করা হয়েছে। এতে করে গ্রামবাসীর মধ্যে ব্যাপক স্বস্তি বিরাজ করছে। ফলে একের পর এক গ্রামীন রাস্তা পাকা করন হচ্ছে। যার কারনে গ্রামের মানুষের জীবন যাত্রায় এসেছে আমুল পরিবর্তন।

জানা গেছে, বিগত ২০১৮ সালের দিকে উপজেলা এলজিইডি অফিসে দরপত্র আহবান করা হয়। দরপত্রে কার্যাদেশ পান এম এন জেড কনস্ট্রাকশন। যার মালিক মাহবুর রহমান। ২০১৮ সালের শেষের দিকে কার্যাদেশটি পান। ওই সময় মাটির রাস্তাটি খননের সময় বৃষ্টি ও পরে মহামারি  করোনা ভাইরাসের কারনে কাজটি বন্ধ থাকে। এরপরে রাস্তার কাজের যাবতীয় জিনিসপত্রের দাম প্রচুর হারে বেড়ে যায়। কিন্তু বরাদ্দ বাড়েনি। মুলত এজন্য ঠিকাদার কাজটি রেখে চলে যান।পরে উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলীর কঠোর নির্দেশনার প্রেক্ষিতে কাজ করতে বাধ্য হন ঠিকাদার।ওই গ্রামের বাসিন্দা  আবু সাইদ, শাওনসহ একাধিক ব্যক্তিরা জানান, বিগত ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে এমপি ফারুক চৌধূরীর প্রতিশ্রুতি উপজেলার মুল ও গ্রামের রাস্তার কোন সমস্যা থাকবে না। সে মোতাবেক আমাদের গ্রামের রাস্তাটি পাকা করন হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে বাড়ি থেকে বের হওয়া যেত না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেওয়া যায় না। রাস্তাটি পিচ ঢালায় হওয়ার কারনে এসব সমস্যায় আর পড়তে হবে না। শুধু আমাদের গ্রামে না, যে কোন উপজেলার চেয়ে এউপজেলার রাস্তা চকচক করছে। মুল সড়ক গ্রামীন রাস্তা সব জায়গায় এমপির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী  উন্নয়ন হয়েছে চোখে পড়ার মত। রাস্তার আর কোন সমস্য নেই উপজেলা বাসির।

পজেলা প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, যোগাযোগ ব্যবস্থায় এউপজেলা এখন রোল মডেল। এটা এমপি স্যারের জন্য সম্ভব হয়েছে। কাসারদিঘি গ্রামের ৫০০ মিটার রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে। ৫০০ মিটার রাস্তার বিপরীতে ৮ লাখ টাকার মত বরাদ্দ ছিল।

আরও খবর