Logo
আজঃ বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪
শিরোনাম

ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য আমাদের বিজ্ঞান মনষ্ক জীবন ধারণ করতে হবে: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ২৩৯জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম জয়পুরহাট প্রতিনিধি: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন,আমাদের বিজ্ঞান মনষ্ক জীবন ধারণ করতে হবে,নিজের জন্য নয় ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য। বাংলাদেশ কেবল এক জায়গায় থেমে থাকবে না। উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে বিজ্ঞান ও গবেষণায় সরকার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ জন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা খাতে অর্থ বরাদ্দে কোনো কার্পণ্য করা হচ্ছে না। আমাদের বিজ্ঞান এগুবেই। 

আজ রবিবার দুপুরে জয়পুরহাটের খঞ্জনপুর বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সম্মেলন কক্ষে খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত হয়েছে এবং বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই খনিজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সারা দেশের ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খনিজ সম্পদগুলো গবেষণা করে দেশীয় সম্পদের ব্যবহার যেমন নিশ্চিত হবে, তেমনি নতুন নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।  অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, বিসিএসআইআর এর চেয়ারম্যান ড. মো: আফতাব আলী শেখ, ইনস্টিটিউট অব মাইনিং,মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি (আইএমএমএম) ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামানসহ অন্যরা । 

এসময় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খাজা শামছুল আলম,অতিরিক্তি পুলিম সুপার কে.এম.এ মামুন খান চিশতী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, কালাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিনফুজুর রহমান মিলন, ক্ষেতলাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাকিম মন্ডল,জয়পুরহাট পৌর সভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক উপস্থিত ছিলেন।  


আরও খবর



কাতারের আমির দুই দিনের সফরে বিকেলে ঢাকায় আসছেন

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৩৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশে আসছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি,দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে আজ বিকেলে। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ২২ ও ২৩ এপ্রিল কাতারের আমির এই সফরে আসছেন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান, একটি বিশেষ বিমানে আজ বিকেল ৫টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কাতারের আমিরের অবতরণের কথা রয়েছে।বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে স্বাগত জানাবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটি প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর। কাতারের আমির তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে লা মেরিডিয়ান হোটেলে থাকবেন।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ কাতারের আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। তারপর গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমিরের সঙ্গে প্রথমে একান্ত বৈঠক এবং পরে আনুষ্ঠানিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।

রাষ্ট্রপ্রতি মো. সাহাবুদ্দিন বঙ্গভবনে কাতারের আমিরের সৌজন্যে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করবেন। তার সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ৬টি চুক্তি এবং ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।

এগুলো হলো: দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত, উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত, দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।

এছাড়া শ্রমশক্তিবিষয়ক সমঝোতা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা ও কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতাসহ পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশেষ বিমানযোগে তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।


আরও খবর



২শ ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ, আটক ২

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ২১ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

ছাতক সুনামগঞ্জ প্রতি‌নি‌ধি:চোরাই পথে আনা ভারতীয় ১১হাজার ৭শত ৫০ কেজি (২৩৫ বস্তা) চিনি উদ্ধার করেছে হাইয়ের পুলিশ। এসময় চোরাকারবারিদের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। জব্দ করা চিনির বাজারমূল্য ১৫ লাখ সাতাশ হাজার পাঁচশত  টাকার মালামাল জব্দ ক‌রেছে পু‌লিশ।

গত শুত্রুবার দুপু‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানা থে‌কে আসামী‌দের‌কে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে মাধ‌্যমে জেল হাজ‌তে পাঠা‌নো হ‌য়ে‌ছে।

জানা যায়,গত বৃহস্প‌তিবার সকা‌লে শান্তিগঞ্জ থানাধীন সদরপুর এলাকায় সিলেট- সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহসড়কে  সিলেটগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকা মেট্রো  ট ২০-৬৫৫২।

গ্রেফতারকৃতরা ১টি কার্ভাটভ্যানে করে ভারতীয় চিনি পরিবহন করছিল। তাদের কাছে থাকা কার্ভাটভ্যানটি তল্লাশি করে ২শত ৩৫  বস্তা) ভারতীয় চিনিসহ কার্ভাটভ্যানটি জব্দ করা হয়।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাইও‌য়ে থানার ও‌নি ক‌বির আহম‌দের একদল অ‌ভিযান চালি‌য়ে ২শত ৩৫ বস্তা ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারিকে গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন কাভার্ড ভ্যান চালক ঝিনাইদহ জেলার,কালিগঞ্জ থানার তেঘরীহুদা গ্রা‌মের আনোয়ার হো‌সেনের ছে‌লে মোশারফ হোসেন(৪১), তা‌হির পুর থানার লোহাজুড়ি ছড়ারপাড় গ্রা‌মে মৃত আব্দুল খা‌লেক ছে‌লে

বাছির মিয়া (৩৫)কে ক‌রে‌ছে। গ্রেফতারকৃত আসামিরা জব্দকৃত ভারতীয় চিনি আমদানী সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। আসামিরা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে আনা ভারতীয় চিনি বিক্রির উদ্দেশ্যে পরিবহন করায় তাদের বিরুদ্ধে গত বৃহস্প‌তিবার রা‌তে এস আই হা‌দিউল ইসলাম বাদী শা‌ন্তিগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এক‌টি মামলা দা‌য়ের করেন। এ মামলায় তা‌দের‌কে গ্রেপ্তার দে‌খিয়ে সুনামগঞ্জ আদাল‌তে পাঠা‌নো হ‌য়। এব‌্যাপা‌রে শা‌ন্তিগঞ্জ থানার ও‌সি কাজী মোক্তা‌দির হো‌সেন এ ঘটনার সত‌্যতা নি‌শ্চিত ক‌রেন।


আরও খবর



আত্রাইয়ে গণহত্যা দিবস পালিত

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১০৭জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হক নাহিদ, আত্রাই (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর আত্রাইয়ে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে গনহত্যা দিবস পালন করা হয়েছে।

২৫ মার্চ সোমবার সকালে আত্রাই রেলওয়ে স্টেশন গনকবরে উপজেলা পরিষদ ওপ্রশাসন , মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড এবং আত্রাই থানা পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে পুস্পস্তবক অর্পণ ও আলোচনা সভায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক,সহকারী কমিশনার (ভূমি) অঞ্জন কুমার দাস, ওসি জহুরুল ইসলাম,ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন মন্ডল, যুব উন্নয়ন অফিসার এসএম নাসির উদ্দিন,মহিলা বিষয়ক অফিসার মোয়াজ্জেম হোসেন, আ’লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলে রাব্বি জুয়েল,বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলু, আফজাল হোসেন, আফিল উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার সঞ্চিতা বিশ্বাস তার দেয়া বক্তৃতায় বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে পাকিস্তানিরা নীলনকশা শুরু করে।

নীলনকশা অনুযায়ী ১৯৭১ সালের এ দিন মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের পূর্বপরিকল্পিত অপারেশন সার্চলাইটের নামে আন্দোলনরত বাঙালিদের কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করে দেওয়ার ঘৃণ্য লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু করে ইতিহাসের নিকৃষ্টতম গণহত্যা।


আরও খবর



হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধিতে দাম কমেছে,বেড়েছে কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ১১৬জন দেখেছেন

Image

মাসুদুল হক রুবেল হিলি প্রতিনিধি:ভারত থেকে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে মসলা পণ্যের আমদানি। তিন মাসের ব্যবধানে কেজিপ্রতি জিরার দাম কমলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।আর কিচমিচ ও সাদা ফলের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৬০ থেকে ১০০ টাকায়। এবার ঈদে মসলা পণ্যের দাম কমায় খুশি সাধারণ ক্রেতারা। শুক্রবার (৫এপ্রিল) দুপুরে বাংলাহিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে,মসলার দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের জিরার প্যাকেট সাজিয়ে রেখেছেন।

দোকানগুলোতে মসলা কিনতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়। আমদানিকৃত কাকা জিরা ৬০০ টাকা,বাবা জিরা ৬২০ টাকা,মধু জিরা ৬২০ টাকা, অমরিত জিরা ৬০০ টাকা, সোনা জিরা ৬৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৬৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত এক মাসেও দাম বাড়েনি যেসব পণ্যের বড় জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৬ শত টাকা কেজি দরে, ছোট জাতের কালো এলাচ ২ হাজার ৪ শত টাকা কেজি দরে, দারুচিনি মোট জাতের ৫২০ টাকা কেজি দরে, চিকন জাতের দারুচিনি ৪২০ টাকা কেজি দরে, লং ১৭০০ শত টাকা কেজি দরে, গোল মরিচ ৯০০ টাকা কেজি দরে, কালোজিরা ২৮০ টাকা কেজি দরে, কাজু বাদাম ১২০০ শত টাকা কেজি দরে, কাট বাদাম ১ হাজার ৬০ টাকা কেজি দরে। এক মাস থেকে যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে ভালো মানের সাদা এলাচ ২ হাজার ৫ শত টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২ হাজার ৪ শত টাকা, কিচমিচ ৫৮০ থেকে ৬৮০ টাকা কেজি দরে, যা আগে ছিল ২৬০ থেকে ৪০০ শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তিন মাস আগেও খুচরা পর্যায়ে মানভেদে ভারতীয় জিরা প্রতিকেজি ১১ শ’ টাকা থেকে ১২ শ’ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। সেই জিরা আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ শত থেকে ৬০০ টাকায়।

বিস্ধসঢ়;মিল্লাহ মসলা ঘরের আব্দুল আউয়াল সবুজ জানান, চলতি মৌসুমে ভারতে জিরার ফলন অনেক ভালো হয়েছে। হিলি বন্দর দিয়ে ব্যপক আমদানি হচ্ছে। এরফলে প্রতিনিয়ত কিছু পণ্যের দাম কমছে আবার কিছু পণ্যের দাম বাড়ছে। গত তিন মাসে পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৫৫০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন অনেক ক্রেতা আসেন জিরাসহ বিভিন্ন মসলা কেনার জন্য। আগের থেকে জিরাসহ সবধরেণ মসলাপণ্যর বেচাকেনা অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের মসলাপণ্য আমদানিকারকরা জানান, দেশে মসলা পণ্যের চাহিদা থাকায় বন্দর দিয়ে আমদানিও বাড়িয়ে দিয়েছে আমদানিকারকরা। জিরাসহ অন্যান্য পণ্য আসছে ভারতের গুজরাট থেকে। এসব মসলাপণ্য বন্দরের স্থানীয় বাংলাহিলি বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়।


আরও খবর



বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবর

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বুধবার ২৪ এপ্রিল 20২৪ | ৬৮জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃবঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী দাগনভূঞা উপজেলা আ'লীগের বর্তমান সহ-সভাপতি কাশেদুল হক বাবর ছিলেন একসময়ের বিএনপির দূর্ধর্ষ ক্যাড়ার পরে আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর হলেন ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আর বর্তমানে উপজেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি। আ'লীগের মনোনয়নে রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও হয়েছিলেন দলছুট বাবর। বাবর ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করলেও ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর তিনি বএনপিতে যোগদেন। বাবর বিএনপিতে যোগদানের পরই তার নির্দেশেই ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত  রাজাপুর ও সিন্দুরপুরে আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালানো হয় নির্যাতনের স্ট্রিমরোলার। ঘর-বাড়ী ছাড়তে হয় অনেক নেতাকর্মীকে। বাবরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আ'লীগের নেতাকর্মীরা।

তৎকালীন সময়ে সরাসরি তার নির্দেশে নির্যাতনের শিকার হওয়া আ'লীগ নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর তৎকালীন সময়ে রাজাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বজলুর রহমানের নেতৃত্বে জাফর ইমাম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিএনপির একটি সভায় তৎকালীন ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও অত্র আসনের সাংসদ জয়নাল আবেদীন ভিপির গলায়দ ফুলের মালা দিয়ে তিনি বিএনপিতে যোগদান করেন। সে বিএনপিতে যোগদানের পরপরই রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগ নেতাকর্মীদের উপর চালাতে থাকে নির্যাতনের স্ট্রিম রোলার। ঘর বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে গেছে শত শত নেতাকর্মী।

বাবরের নির্যাতনের শিকার তৎকালীণ রাজাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের ক্রীড়া ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক, বর্তমান উপজেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মো. কামাল হোসেন জানান, আমি রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদে বসে রইছি তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার উপর হামলা চালায় এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করে। আমি কোনমতে বেঁচে ফিরি। পরে বাবর আমার বাড়ীতে এসে হুমকি দিয়ে যায় যে আমি যেন বাড়ী থেকে চলে যাই। তারপর আমার পরিবার রাতের আঁধারে আমাকে বাড়ী থেকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যার হাতে আ'লীগ নেতাকর্মীদের রক্ত লেগে আছে সেই বাবর আ'লীগ ক্ষমতায় আসার পর আবার আ'লীগের পদ বাগিয়ে নিল এবং আ'লীগের নৌকা নিয়ে সে চেয়ারম্যান ও হল।

কামাল ছাড়াও বাবরের হাতে বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের শিকার হয় আ'লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী।  আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে  মুন্সী নুরের জামান, লোকমান, শেখ আহমেদ, কুতুব উদ্দিন, বেলাল, শাহ জালাল, নুর উদ্দিন, নুর আলম, জাহাঙ্গীর, মিয়া, হুমায়ুন, মান্নান, জাহের, মহিউদ্দিন ও মৃত আহছান উল্যাহকে ডেকে এনে তাদেরকে অস্ত্র দিয়ে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল বাবর। পরে তখনকার বিএনপির সভাপতির হাতে পায়ে ধরে এদের অভিভাবকরা তাদের জীবন রক্ষা করেন। বিএনপির আমলে বাবরের দূর্ধর্ষতার কাহিনী শুনলে এখনো আঁতকে উঠে রাজাপুরে বাবরের হাতে নির্যাতিত হওয়া আ'লীগ পরিবারের ওইসকল সদস্যরা।

বাবরের হাতে নির্যাতিত হন আ'লীগ নেতা আব্দুল মন্নান জানান, (বর্তমানে কুয়েত প্রবাসী) সে জানা, বিএনপির আমলে আমি দোকানে চা খাইতেছিলাম তখন বাবরের নেতৃত্বে বিএনপির নেতাকর্মীরা  এলজির মাথা দিয়ে চায়ের কাপ ফেলে দিয়ে আমাদের  দোকানে আসার অনুমতি কে দিয়েছে বলে মারধর করে। এবং গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে বলে।

আ'লীগ নেতা জাহাঙ্গীর (বর্তমান সৌদি প্রবাসী) সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করার অপরাদে বিএনপির আমলে বাবরের নেতৃত্ব বিএনপির কিছু নেতাকর্মী আমার চায়ের দোকানে এসে মাঘ মাসের শীতের মধ্যে শত শত মানুষের সামনে আমাকে তিন ঘন্টা গলা সমান পানিতে দাড়িয়ে রেখেছিল। পরে এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়ে আসে।

আ'লীগ সমর্থক বেলাল হোসেন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী) তিনি জানান, আ'লীগ সমর্থন করার কারনে এ বাবর আমাকে এমন নির্মমভাবে মেরেছে তা কখনো ভুলতে পারবোনা। আমাকে বাঁচাতে আসলে আমার পিতাকেও মারধর করে বাবর। তার সেই মাইরের যন্ত্রনা নিয়ে বাবা কবরে চলে গেছে।আর আমি এখনও মাসে মাসে হাজার হাজার টাকার ওষুধ সেবন করতে হয়।

নুর উদ্দীন (বর্তমানে সৌদি প্রবাসী)  সে জানান, আমি আ'লীগ সমর্থন করি শুধু এ অপরাধে আমাকে বাবর ধরে এনে প্রচন্ড মারধর শুরু করে। আমার চিৎকারে একজন বয়স্ক মহিলা(সোনিয়া ডেকোরেটরের মা) ঝাঁপিয়ে পড়ে আমার প্রাণ রক্ষা করেন।

এতদিন বাবরের অতিতের দূর্ধর্ষতা নিয়ে ভূক্তভোগীরা ভয়ে মুখ খুলেনি। কিন্তু ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে কটূক্তি করার পর আ'লীগ পরিবারের সদস্যরা তার অতিতের দূর্ধর্ষতার লোমহর্ষক বর্ণনা সামনে এনেছেন। তারা মনে করেন বাবর কখনোই মুজিবের আদর্শ লালন করে আ'লীগ করেনি সে ক্ষমতা ভোগদখলের জন্যই আ'লীগে যোগ দিয়েছে। এখন দল তাকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন না দেয়ায় সে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে মন্তব্য করেছেন। যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করতে পারে সে কখনোই আ'লীগের সমর্থক হতে পারেনা। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তিকারী বাবরের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করেন তারা।

এবিষয়ে জানতে চাইলে কাশেদুল হক বাবর জানান, আমরা পারিবারিকভাবেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করে আসছি। আমি ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকেই আজ এ পর্যায়ে এসেছি। আমি কখনোই বিএনপিতে যোগদান করিনি। এটি আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর আমি দেশের বাহিরে চলে যাই। আমি বিএনপিতে যোগ দিয়েছি এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।

রাজাপুর ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাবর ২০০১ সালে বিএনপিতে যোগদেন এটা শতভাগ সত্য। তিনি বিএনপিতে যোগদানের পর অনেক আ'লীগ নেতাকর্মীর উপর নির্যাতন চালিয়েছেন। এবং তার নেতৃত্বেই রাজাপুর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি সংসদ ভাংচুর করা হয়েছিল।


আরও খবর