Logo
আজঃ বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম

ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই স্বাধীনতা এনেছিলেন বঙ্গবন্ধু: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে অর্জিত স্বাধীনতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুরু করা ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন; সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন।

আজ সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের আয়োজিত স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।


আরও খবর



বাংলাদেশের ২৭ জেলেকে সাগর থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৯৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভারতীয় বঙ্গোপসাগরে সীমানায় ভাসতে থাকা বিকল বাংলাদেশি ফিশিং বোট ‘এফভি সাগর-০২’-এর ২৭ জেলেকে উদ্ধার করে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সকালে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার খন্দকার মুনিফ তকি এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, গত ১ এপ্রিল চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া হতে ‘এফভি সাগর-০২’ নামক একটি ফিশিং বোট ২৭ জন জেলেসহ মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে যায়। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) আনুমানিক দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে হঠাৎ বোটটির ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায় এবং স্রোতে ভাসতে ভাসতে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে।

বিষয়টি ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ এর দৃষ্টিগোচর হলে তারা দ্রুত জেলেসহ বোটটিকে উদ্ধার করে এবং বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডকে অবহিত করে।

পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উভয় দেশের দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখায় ভারতীয় কোস্ট গার্ড জাহাজ আইসিজিএস আমোঘ ২৭ জন জেলেসহ বোটটিকে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নিকট হস্তান্তর করে।


আরও খবর



নাসিরনগরে জমিতে সেচের পানি দেয়া নিয়ে সংঘর্ষে, আহত ১৫

প্রকাশিত:রবিবার ১৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ২১৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর জমিতে সেচের পানি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ও বর্তমান দুই মেম্বারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।১৩ এপ্রিল ২০২৪ রোজ শনিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টাব্যাপী চলে এ সংঘর্ষ।নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ঘুজিয়াখাইল গ্রামে হওয়া এ সংঘর্ষের ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য খায়রুল পাঠানের বংশের মাসুদ পাঠান কৃষি জমিতে সেচের পানি পাম্প পরিচালনার ব্যবসা করেন।

জমিতে পানি দেওয়ার বিনিময়ে কৃষকদের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি সাবেক ইউপি সদস্য মারফত আলীর বংশের এক ব্যক্তির জমিতে পানি দেওয়ার পরও সে মাসুদকে টাকা পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে শনিবার দুপক্ষের বাকবিতণ্ডা হলে তারা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে সেখানে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।এরমধ্যে সাত জনকে নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বাকিরা জেলা সদর হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



গাংনীতে ১২০ বোতল ফেনসিডিলসহ ২ জন আটক

প্রকাশিত:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৩২জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ,মে‌হেরপুর প্রতিনিধিঃদুই মাদক পাচারকারীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১২০ বোতল ফেনসিডিল। শুক্রবার রাত দশটার দিকে গাংনী উপজেলার নওপাড়া- তেতুলবাড়িয়া সড়কের মাঠের মধ্যে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এস আই আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে মাদকবিরোধী এ সফল অভিযান পরিচালিত হয়।

আটকৃত হচ্ছে- গাংনী উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত পিয়ার আলীর ছেলে জিয়ারুল ইসলাম (৪৮) ও একই গ্রামের মহিরুদ্দিনের ছেলে হযরত আলী (৪৮)। এদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হলে পুলিশ ‌ ওই মামলার আসামি হিসাবে আজ শনিবার তাদেরকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করে।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, নওপাড়া-তেতুলবাড়িয়া পাকা রাস্তা দিয়ে ফেনসিডিল পাচার করা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় আটককৃত দুজন প্লাস্টিকের বস্তায় ভরে ফেনসিডিল নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল। ডিবি সদস্যরা তাদেরকে আটক করে এবং তাদের কাছ থেকে ১২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। 


আরও খবর



মেহেরপুর- কুষ্টিয়া জরাজীর্ণ সড়কের সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে

প্রকাশিত:শনিবার ৩০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রশস্থ করণ ও সংস্কার কাজ চলছে পুরোদমে। শুক্রবার (২৯ মার্চ) গাংনী উপজেলার পোড়াপাড়া অংশে পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিনের জরাজীর্ণ সড়কটি পেতে যাচ্ছে এক নতুন রুপ। এছাড়াও জনপ্রশাসন মন্ত্রীর আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার একটি বড় অংশ ফোরলেনে রুপান্তরিত হতে যাচ্ছে। পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) তত্ত্বাবধানে মেহেরপুরের মের্সাস জহিরুল লিঃ এ সড়কের তিনটি প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে। মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে গাংনী উপজেলার তেরাইল কলেজ পর্যন্ত এ তিনটি প্যাকেজের কাজ পুরোদমে চলমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ গাড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশে বিটুমিন ও পাথরের আস্তরণ দেওয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে।

জানা গেছে, সড়ক নির্মান ও সংস্কারের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কাজটি সম্পন্ন করছে মেসার্স জহিরুল লিঃ। আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে বিটুমিন ও পাথরের মিশ্রণ এবং যন্ত্রের মাধ্যমেই নির্মান করা হচ্ছে সড়ক। যার ফলে দ্রুত সম্পন্ন হচ্ছে সড়ক সংস্কার কাজ।

সংস্কারকাজ তদারকিকালে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারি প্রকৌশলী শাহীন মিয়া বলেন, ‘বেজ কোর্সের কাজ চলমান আছে। এ কাজটি আমরা দুই লেয়ারে করে থাকি। যার থিকনেছ ১১০ মিলিমিটার। এ কারণে এটি দুই লেয়ারে করতে হবে’।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘœ করতে সবচেয়ে বেশি জরাজীর্ণ অংশের কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পন্ন করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে কুষ্টিয়া ত্রিমোহনী পর্যন্ত চলমান এ সংস্কার কাজের মেহেরপুর জেলার অংশ প্রায় ৩০ কিলোমিটার। যার মধ্যে তিনটি প্যাকেজের কাজ পূর্ণগতিতে চলমান। কাজের গুণগত মান যথেষ্ট ভাল আছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন বলে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি’।

জানা গেছে, গাড়াডোব থেকে বাঁশবাড়ীয়া পর্যন্ত অংশের কাজের প্রথমে বিদ্যমান কার্পেটিং তুলে ফেলা হয়। সেখানে বেজ ওয়ান হিসেবে পাথর আর বালুর মিশ্রণ দিয়ে রুলার করা হয়েছে। এর পরে বেজ কোর্সের কাজ হিসেবে বিটুমিন আর পাথর দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে এর উপরে আরও একবার চুড়ান্তরুপে পাথর আর বিটুমিনের আস্তরণ দেওয়া হবে। এদিকে রাস্তা সংস্কার কাজ দ্রুত চলমান থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ সড়কে চলচলকারীরা।

ছোট বড় কয়েকটি যানবাহন চালক এ প্রসঙ্গে বলেন, সড়কটিতে যানবাহন চালাতে গিয়ে বেশ ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। তাছাড়া খানা খন্দে ভরা সড়কটি এক প্রকার দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসেবেই চিহ্নিত ছিল। সংস্কার কাজের মাধ্যমে রাস্তা যেমনি প্রশস্থ হচ্ছে তেমনি কয়েক লেয়ারে পাথর ও বিটুমিনের আস্তরণে চলাচল হচ্ছে নির্বিঘœ। যা পথচারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে।

এদিকে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে আলমপুর ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ৮ কিলোমিটার এলাকা ফোরলেনে উত্তীর্ণ হচ্ছে। বিদ্যমান প্রকল্পে কলেজ মোড় থেকে গাংনীর দিকে প্রায় এক কিলোমিটার ফোরলেন ছিল। এছাড়াও গাংনী শহরে প্রায় চার কিমি এবং বামন্দী বাজারে প্রায় এক কিমি ফোরলেন রয়েছে। পরবর্তীতে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সদর উপজেলার পুরো অংশ ফোরলেনের অনুমোদন হয়েছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ জানিয়েছে, জনপ্রশাসনমন্ত্রীর ডিও লেটারে এ অভাবনীয় কাজটি অনুমোদিত হয়েছে। শিঘ্রই এর নতুন টেন্ডার হবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফোরলেনের কাজটি শুরু হবে। তবে পর্যায়ক্রমে মেহেরপুর থেকে কুষ্টিয়ার ত্রিমোহনী পর্যন্ত পুরো সড়কটি ফোরলেনে উত্তীর্ণ হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।


আরও খবর



বেনাপোল কাস্টমসে ল্যাগেজ বাণিজ্যে হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য

প্রকাশিত:সোমবার ২২ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | ৪৮জন দেখেছেন

Image

ইয়ানূর রহমান শার্শা,যশোর প্রতিনিধি:বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমসে চলছে অবৈধ ল্যাগেজ বাণিজ্য। দেশের অভ্যন্তরে বিনা শুল্কে অবৈধ পণ্য প্রবেশ করায় মারাত্মক হুমকির মুখে আমদানি বাণিজ্য। স্থানীয় ল্যাগেজ পারাপারকারী চোরাই সিন্ডিকেটের সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তাদের রমরমা ঘুষ বাণিজ্য চলতে থাকায় প্রতিদিন সরকার হারাচ্ছে পণ্য চালান বাবদ কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। একই সাথে চলছে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স ফাঁকির মহোৎসব।

বেনাপোল নোম্যান্সল্যান্ড থেকে ভারতের পশ্চিমবাংলার রাজধানি কলকাতার দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। এখান থেকে দু'দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বিজনেস, ট্যুরিস্ট, মেডিকেল ও স্টুডেন্ট ভিসার সিংহভাগ যাত্রী এ পথেই যাতায়াত করে থাকেন। প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ হাজার যাত্রী যাতায়াতের এই চেকপোস্ট থেকে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার রাজস্ব আসার কথা। যা ইমিগ্রেশন এন্ট্রি কাউন্টার থেকে প্রতিদিনের যাত্রী সংখ্যা আর কাস্টমসের রাজস্ব আয়ের হিসাব মেলালে শুভঙ্করের ফাঁকি বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন সচেতনমহল।

সুত্র মতে জানা যায়, ল্যাগেজ পারাপারকারী যাত্রীর কাছ থেকে প্রতিদিন ইমিগ্রেশনে কর্মরত অধিকাংশ ঘুষখোর কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদমর্যাদার মান বুঝে নগদ ঘুষ বাণিজ্য হয় সর্বনিম্ন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৫ লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত। সেখানে নাম মাত্র দু-একজন ননটেকার নামধারী কর্মকর্তা থাকলেও তাদের বিভিন্ন কাজের মাঝে চুরি করে ল্যাগেজ পণ্য পারাপার করেন এসব টেকার নামধারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেশের সর্ববৃহৎ স্থল প্রবেশপথ বেনাপোল দিয়ে যাতায়াতে স্ক্যানিং মেশিন থেকে শুরু করে পথে পথে অহেতুক ব্যাগ তল্লাশির নামে হয়রানি করেন এসব কর্মকর্তা। লোভ তাদের এমনভাবে ঘিরে ফেলেছে যেখানে ব্যাগপ্রতি অবৈধ চাহিদার টাকা না দিলে ব্যবহারের জন্য ভারত থেকে নিয়ে আসা সামান্য কেনাকাটার পণ্যসামগ্রী ডিএম করে এবং তা কাস্টমসে জমা দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন অগণিত পাসপোর্ট যাত্রী। এছাড়া তাদের পড়তে হয় নানা বিড়ম্বনায়। যে কারণে এ পথ দিয়ে প্রতিনিয়ত কমতে শুরু করেছে পাসপোর্ট যাত্রী চলাচল। সরকার হারাতে বসেছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

তথ্যানুসন্ধানে আরো জানা যায়, ভারত থেকে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ ট্রাক আমদানি পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করত। এখন ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের অবাধ বিচরণে তা কমে ২০০ থেকে ৩০০ ট্রাকে পরিণত হয়েছে।

আমদানিকারকরা বলছেন, বেনাপোল ইমিগ্রেশন কাস্টমস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তিভিত্তিক ঘুষ লেনদেনে রমরমা ল্যাগেজ বাণিজ্য চলছে। ভারত-বাংলাদেশের সহস্রাধিক চোরাকারবারি বেনাপোল চেকপোস্টের কয়েকটি শক্তিশালী ল্যাগেজ সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ ব্যবসাটি পরিচালনা করছে। এরা কাস্টম সহ কয়েকটি সংস্থার কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অবৈধ পণ্য পাচার করছে। সেই সঙ্গে যাত্রীপ্রতি ১ হাজার টাকার ট্রাভেল ট্যাক্স জালিয়াতি করে প্রতিদিন সরকারের লাখ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। একই সঙ্গে কাস্টমস কর্মকর্তারা সব যাত্রীকে চোরাকারবারি ভেবে তাদের শরীর ও ব্যাগে নোংরাভাবে তল্লাশি করায় হয়রানির ভয়ে এ পথ ছাড়ছেন অনেকে। যে কারণে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে যাত্রী যাতায়াত আগের ৮-১০ হাজার থেকে ৩-৪ হাজারে নেমে এসেছে।

জানা যায়, বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের স্ক্যানিং মেশিনে কর্মরত সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) নাঈম, ইমরান ও  দিদারের সঙ্গে স্থানীয় ল্যাগেজ সিন্ডিকেটসহ অন্যান্য শুল্কফাঁকি চক্রের ঘুষ চুক্তিতে চলছে এখানকার রমরমা সব অবৈধ বাণিজ্য। সপ্তাহের প্রতিদিন তারা ব্যাগপ্রতি সর্বনিম্ন ৩ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ চুক্তিতে তল্লাশিবিহীন ৫০০ থেকে ৬০০ যাত্রীর ল্যাগেজ পাচার করছে।

বেনাপোল কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং অ্যাজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের এক ব্যবসায়ী নেতা জানান, আমদানিকারকরা সরকারি আমদানিনীতির প্রতিটি শর্ত পূরণ করে পণ্য আমদানি করে। যা বেনাপোল বন্দরে পৌঁছাতে ১ থেকে ২ মাস সময় লাগে। বন্দরে আসার পর তা কাস্টমসে পরীক্ষণ, শুল্কায়ন নির্ধারণ, রাজস্ব পরিশোধ, ছাড়করণ, লোড-আনলোড, পরিবহনসহ ইত্যাদি খরচ যোগ হয়, এরপর লভ্যাংশ।তাতে অবৈধ ল্যাগেজ ব্যবসায়ীদের পণ্য প্রায় দুমাস আগেই কমমূল্যে ঢাকাসহ বড় বড় বাজার দখল করে নেয়ায় ব্যবসায় মারাত্মক হিমশিম খেতে হচ্ছে আমদানিকারকদের। অনেকে লোকসান ঠেকাতে বাধ্য হচ্ছে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ করতে। তাতে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব।

সরজমিনে বিষয়টি জানতে স্থানীয় এক সাংবাদিক পাসেপার্ট যাত্রী হয়ে বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমস অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। এ সময় ল্যাগেজ পণ্য পাচারের মহোৎসব চলতে থাকায় তার ভিডিওচিত্র ক্যামেরায় ধারণ করতে গেলে স্ক্যানিং মেশিনের সামনে থেকে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন এআরও নাঈম, সুপার জাহাংগীর ও সুপার মোখলেছুর রহমান। তিনি হুংকার দিয়ে তেড়ে আসেন এবং এ প্রতিবেদকের মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে বার বার উদ্ধত হন। পাসপোর্ট সাথে থাকা ছোট একটি ল্যাগেজ ছিনিয়ে নেয়া সহ অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এ সময় নীরব দর্শকের মতো তার পাশে তাকিয়ে ছিলেন দায়িত্বরত রাজস্ব কর্মকর্তারা। বিভিন্ন ভঙ্গিতে আরো উপস্থিত ছিলেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তা, আনসার সদস্য, ইমিগ্রেশন পুলিশ, ব্যাটালিয়ন পুলিশ এবং বিভিন্ন শ্রেণির দালাল নামধারী বিভিন্ন প্রিন্ট পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা ও বড় বড় টিভি'র সাংবাদিকরা। দালাল নামধারী কতিপয় দুই ব্যক্তি দিনের বেশিরভাগ সময় ইমিগ্রেশন কাস্টমস ভভ্যন্তরে থাকেন বলে স্থানীয়দের অভিযােগ। সে সময় উক্ত সাংবাদিককে শারিরিকভাবে লাঞ্চিতও করা হয়। ইমিগ্রেশন কাস্টমসের সিসি ফুটেজ ঘাটলে বেরিয়ে আসবে কাস্টম কর্মকর্তাদের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার আসল চরিত্র। কথা হয় বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন কাস্টমসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোকলেসুর রহমানের সঙ্গে। তিনি সব অভিযোগ সঠিক না বলে জানান। পরে অবশ্য উক্ত সাংবাদিকের ল্যাগেজ সহ পাসপোর্ট ফিরিয়ে দেন।


আরও খবর