আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতের উত্তরাখণ্ডে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) একটি মাদরাসা ও এর সংলগ্ন একটি মসজিদ ভাঙাকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরাখণ্ডের হালদওয়ানিতে হওয়া এ সহিংসতায় ৫ জন নিহত ও ২৫০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সহিংসতা রুখতে শহরটিতে জারি করা হয়েছে কারফিউ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্র গুলিরও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মাদরাসা ও মসজিদকে অবৈধ জানিয়ে সেটিকে ধ্বংসের রায় দেয় দেশটির আদালত। পরে হালদওয়ানির ভানবুলপুরা এলাকায় স্থাপনা ভাঙতে যায় পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তারা। সেখানে স্থানীয়দের তীব্র প্রতিরোধের মুখোমুখি হন তারা।
এর আগে এনডিটিভি জানিয়েছিল, সহিংসতা ৪ জন প্রাণ হারিয়েছে। তবে, পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ২ জনের নিহতের কথা জানান। সহিংসতায় পুলিশের অর্ধশত সদস্য, বেশ কয়েকজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মিউনিসিপালের কর্মী ও কয়েকজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
ঘটনার সময় স্থানীয়রা পুলিশ ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের দিকে পাথর ছুড়তে থাকে। বিপরীতে তাদের দমাতে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে। সহিংসতার একপর্যায়ে কয়েকটি যান ও একটি পুলিশ স্টেশনে আগুন দেওয়া হয়।
জ্যৈষ্ঠ পুলিশ সুপার প্রহ্লাদ মীনার জানান, আদালতের আদেশ মেনেই স্থাপনাগুলো ধ্বংস করা হয়েছে। বুলডোজার দিয়ে ভবনগুলো ভেঙে ফেলার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানায়। তারা ব্যারিকেড ভেঙে পুলিশের সঙ্গে উত্তপ্ত সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
নৈনিতালের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ভান্দানা সিং বলেন, পুলিশ কাউকে উসকানি দেয়নি। তা সত্ত্বেও তাদের ওপর হামলা করা হয়। একটি পুলিশ স্টেশন ভাঙচুর করা হয়। দাঙ্গাকারীরা স্টেশনের ভেতরে পুলিশ কর্মীদের পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করেছিল।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং দামি বলেন, আদালতের নির্দেশনার পরই একটি দল সেখানে যায়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘাত হয়। মূলত ‘অ্যান্টি সোশ্যাল ইলিমেন্টে’র মাধ্যমেই এমনটি করা হয়েছে। শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়।
সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
মিউনিসিপাল কমিশনার পঙ্কজ উপাধ্যায় জানান, মাদরাসা ও নামাজ পড়ার জায়গাটি অবৈধ। আগে হালদওয়ানি নাগরিক সংস্থা সেখানকার তিন একর জমি দখল করেছিল এবং কাঠামোগুলো সিল করে দিয়েছিল।