Logo
আজঃ মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
শিরোনাম

ভারতে দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করলো আফগানিস্তান

প্রকাশিত:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৫৫জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:ভারতীয় সরকারের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগে নয়াদিল্লিতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে আফগানিস্তান। দুই দেশের দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় অনেক ভেবেচিন্তে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আফগান দূতাবাস কর্তৃপক্ষ। খবর এনডিটিভির।

এক বিবৃতিতে আফগান দূতাবাস বলেছে, গভীর দুঃখ, অনুশোচনা ও হতাশার সঙ্গে জানানো যাচ্ছে যে, রোববার (১ অক্টোবর) থেকে নয়াদিল্লিতে আফগানিস্তানের দূতাবাস কার্যক্রম বন্ধ করা হচ্ছে।

আশরাফ ঘানি সরকারের আমলে ভারতে আফগান রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ফরিদ মামুন্দয। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান ক্ষমতা দখলের পরও দায়িত্বপালন অব্যাহত রাখেন তিনি।

নয়াদিল্লিতে কার্যক্রম বন্ধের জন্য বেশ কয়েকটি প্রধান কারণ উল্লেখ করেছে আফগান দূতাবাস-

১. ভারত সরকারের অসহযোগিতা: গুরত্বপূর্ণ বিভিন্ন কাজে ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা মেলেনি বলে অভিযোগ করেছে আফগান দূতাবাস। এটি তাদের কার্যক্রম পরিচালনা বাধাগ্রস্ত করেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

২. আফগান স্বার্থপূরণে ব্যর্থতা: নয়াদিল্লির দূতাবাস আফগানিস্তান ও এর নাগরিকদের প্রত্যাশিত স্বার্থ ও প্রয়োজনীয়তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে। এর জন্যেও অবশ্য ভারত সরকারের অসহযোগিতা ও কাবুলে বৈধ সরকারের অনুপস্থিতিকে দায়ী করা হয়েছে।

৩. কর্মী সংকট: দূতাবাসের কর্মী সংখ্যা কমে যাওয়ায় কার্যক্রম পরিচালনা কঠিন হয়ে উঠেছিল বলে জানানো হয়েছে।

কার্যক্রম বন্ধের পর ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে দূতাবাসের সব সম্পত্তি ও স্থাপনা ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জিম্মায় চলে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে বিবৃতিতে।


আরও খবর



নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে পরিণতি ভালো হবে না প্রধানমন্ত্রী ktvbangla #ktv

প্রকাশিত:শনিবার ১৮ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১১১জন দেখেছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক:যাদের আস্থা নেই জনমানুষের ওপর, তারা নির্বাচনে আসবে না। কিন্তু অগ্নিসন্ত্রাস করে কেউ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে তাদের পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম বিক্রির কার্যক্রম উদ্বোধনে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০০৯ সাল থেকে দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রেখেছে। তাই সংবিধান অনুযায়ী ভোটের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সময় দেশবাসীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতন চালাতো। তাদের থেকে গণতন্ত্র উদ্ধারে সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন দিয়েছে অনেক সাধারণ মানুষ। বর্তমানে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। তাই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে দেশের মানুষই ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করবে।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




ঢাকার নবাবপুরে ভবন থেকে ৬ ককটেল ও বিস্ফোরক উদ্ধার

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৪ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:ঢাকার নবাবপুর রোডের ঘিরে রাখা ভবন থেকে লাল-কালো স্কচটেপ মোড়ানো ছয়টি ককটেল ও কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করেছে র‌্যাবের বোমা ডিসপোজাল ইউনিট।

সোমবার (১৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে ২২২ নম্বর নবাবপুর রোডের বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ককটেল ও বিস্ফোরক দ্রব্য উদ্ধার করা হয়। বোমা সন্দেহে সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে ভবনটি ঘিরে ফেলে র‍্যাব।

বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

অভিযানের বিষয়ে র‍্যাব-৩ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে নবাবপুর রোডের একটি নির্মানাধীন বাড়ির পরিত্যক্ত জায়গায় এসবের সন্ধান পায় র‍্যাব। এখানে কিছু দুষ্কৃতকারী অবস্থান করছে এমন খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পৌঁছানোর আগেই তারা পালিয়ে যায়।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩




সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরঃ ২৪২ কোটি টাকার বাঁধে ভাঙ্গন, চিন্তিত উপকূলবাসী

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | ৮৩জন দেখেছেন

Image

বাগেরহাট প্রতিনিধি:সুপার সাইক্লোন সিডরের ১৬ বছরেও আতঙ্ক কাটেনি বাগেরহাটের শরণখোলা ও মোরেলগঞ্জবাসীর। নির্মানাধীন টেকসই বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় হতাশা বিরাজ করছে স্থানীয়দের মাঝে। ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বেড়ীবাঁধের একাধিক স্থানে ফাটল ধরেছে। প্রায় ৭‘শ মিটার বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে বলেশ্বর নদীতে। 

ঝুকির মধ্যে রয়েছে অন্তত ২০ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধ, হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী। নদী শাসন না করে এবং মাটির পরিবর্তে বালুর ব্যবহারে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে দাবি এলাকাবাসীর। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে নদী শাসন প্রকল্প প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, অনুমোদন হলে কাজ শুরু হবে।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সুপার সাইক্লোন সিডরের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বাগেরহাটসহ উপকূলীয় কয়েকটি জেলা। সরকারি হিসেবে এই দিনে প্রায় ৯‘শ ৮ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল সিডরের আঘাতে। আর্থিক ক্ষতি হয়েছিল কয়েকশ কোটি টাকার। স্বজন হারানো বেদনা ও আর্থিক ক্ষতি ভুলে শরণখোলা-মোরেলগঞ্জবাসীর একমাত্র দাবি ছিল টেকসই বেড়ীবাঁধ। 

গণ মানুষের দাবির প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সরকার ২০১৫ সালে ২৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্প (সিইআইপি-কোস্টাল ইমব্যাংকমেন্ট ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট) নামে একটি প্রকল্পের অধীনে মোরেলগঞ্জ থেকে শরণখোলা উপজেলার বগী-গাবতলা পর্যন্ত ৬২ কিলোমিটার টেকসই বাঁধ নির্মান শুরু হয়। বেড়ীবাঁধের ৯৫ শতাংশ কাজ শুরু হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বরে কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

তবে সম্প্রতি ১৮ অক্টোবর বলেশ্বরের ভাঙ্গনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ বেড়ীবাঁধের গাবতলা নামক স্থানে মূল বাধের নিচে ১০০ফুট এলাকার বেশকিছু সিসি ব্লকও নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। এছাড়া শরণখোলা উপজেলার বগী, ও মোরেলগঞ্জের আমতলা এলাকায় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বাঁধের ব্লক ধ্বসে বিলীন হচ্ছে নদীতে। বাঁধের ব্যাপক এলাকা জুড়ে বিশাল ফাটল ধরেছে। এছাড়াও বেশকয়েকটি স্থান ঝুকিপূর্ণ রয়েছে। হস্তান্তরের আগেই এমন অবস্থা হওয়ায় চিন্তিত এলাকাবাসী।

শরণখোলা উপজেলার দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারেক বলেন, বলেশ্বর নদীর ভাঙ্গনে আমার ও পরিবারের প্রায় ১৫০ বিঘা জমি হারিয়েছি। সিডরে স্বজন হারিয়েছি, বাঁধ নির্মান শুরু হলে আশায় বুক বেঁধেছিলাম। ভাঙ্গন ও দূর্যোগ থেকে মুক্তি পাব। সেই স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্নে রুপ নিয়েছে। টেকসই বেরিবাঁধেই ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে বড় ধরণের ভাঙ্গন শুরু হবে। এখন মনে হচ্ছে বিপুল টাকার এই বাঁধ আমাদের কোন কাজে আসবে না।

গাবতলা এলকার আব্দুর রশীদ বলেন, বাঁধ নির্মানের শুরুতেই আমরা নদী শাসনের দাবি করেছিলাম। এজন্য সভা, সমাবেশ, মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছিলাম। তারপরও নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মান করেছে সিইআইপি প্রকল্প। এখন বাঁধে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে, ফসলি জমি, গাছপালা, বসত ঘর ঝুকির মধ্যে রয়েছে।

দক্ষিন সাউথখালী গ্রামের জামাল জমাদ্দার বাঁধ নির্মানে অনিয়মের অভিযোগ করে বলেন, বেরিবাঁধের দুই পাশে মাটি দিয়ে মাঝখানে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চতায় বালু দেওয়া হয়েছে। যেকোন মুহুর্তে ব্লক সরে গেলে, সব বালু নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। তখন কোটি টাকার এই বাঁধ কোন কাজেই আসবে না।

মোরেলগঞ্জের খাউলিয়া ইউনিয়নের ফসিয়াতলা এলাকার দেলোয়ার তালুকদার বলেন, প্রতিনিয়তই ভাঙ্গনে ধ্বসে পড়ছে টেকসই বাঁধের ব্লকগুলো। পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন জিওব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন বন্ধের চেষ্টা করলেও, কোন কাজে আসছে না। নদীতে পানির গভীরতা ৫০ থেকে ৬০ হাতের উপরে। সরকারের কোটি কোটি টাকা জলেই যাচ্ছে।

এদিকে ভাঙ্গনরোধে জরুরী ভিত্তিতে জিওব্যাগ ফেলে কোন কাজে আসছেনা বলে জানিয়েছেন ঠিকাদারের প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, গেল ১৫ দিনে গাবতলায় ভাঙ্গনরোধে ২০০ মিটার জায়গায় ১৪ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। তারপরেও ভাঙ্গন রোধ হচ্ছে না। এখানে কংক্রিটের ব্লক ফেলানো জরুরী বলে জানান তিনি।

শরণখোলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রায়হান উদ্দিন শান্ত বলেন, সিডরের পরে আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী টেকসই বেড়ীবাঁধ নির্মানের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড সিআইপি প্রকল্পের দূরদর্শিতার অভাবে নদী শাসন না করেই বাঁধ নির্মানের ফলে আজ বাঁধটি হুমকির মধ্যে পড়েছে। বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন ও ফাটল দেখা দিয়েছে। আমাদের আবারও দাবি খুব শীঘ্রই নদী শাসন করে বাঁধটি টেকসই করতে হবে।

সিইআইপি প্রকল্পের মাঠ প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল ইসলাম নাহিদ বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের ৬২ কিলোমিটার বেরিবাঁধ নির্মানের ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে কাজ হস্তান্ত করা হবে। তবে বলেশ্বর নদীর স্রোত তীব্র হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। আমরা মাঠে থেকে পর্যবেক্ষন করে কাজ করছি। তবে প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী শাসন জরুরী হয়ে পড়েছে বলে জানান এই প্রকৌশলী।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুম বিল্লাহ বলেন, ৬২ কিলোমিটার বেড়ীবাঁধের ২০ কিলোমিটার ঝুকিপূর্ণ। নদীর গভীরতা ও স্রোত বেশি থাকায় ভাঙ্গন সৃষ্টি হওয়ায় নদী শাসনের একটি প্রকল্প প্রস্তাব উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে ভাঙ্গনের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। 


আরও খবর



সুন্দরগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন

প্রকাশিত:রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ২৩জন দেখেছেন

Image

একেএম,শামছুল হকঃ  সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর আজকের এই দিনে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। এ দিনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সুন্দরগঞ্জের মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা উড়তে থাকে। রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে হেরে গিয়ে রাতের আঁধারে পাক হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায়।তাই স্বাধীনতার ৫২বছর পরেও আজকের এই দিনটি স্বরণ রাখতে যথাযোগ্য মর্যাদায় সুন্দরগঞ্জে হানাদার মুক্ত দিবস উদযাপন করা হয়েছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদুল হক বাবলু। 

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সভাপতি বাবলু খন্দকারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম, আবুল হোসেন, গাওছুল আযম, সুন্দরগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এটিএম মাসুদ-উল ইসলাম চঞ্চল, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কমান্ডের সদস্য শিপুল মিয়া, পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুরজিত সরকার রাঙা প্রমুখ।বক্তারা বলেন---স্বাধীনতা সংগ্রামে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের পর আজকের দিনে সুন্দরগঞ্জ শত্রু মুক্ত হলে ‘বিজয় উল্লাস’ আর ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে প্রকম্পতি হয়েছিল  আকাশ বাতাস।

যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জানান, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর প্রত্যুষে পাক হানাদার বাহিনী দখলদারীদের হাত  থেকে এ উপজেলাকে মুক্ত করা হয়। ভারতের র্দাজিলিং এ ট্রেনিং শেষে ৬নং সেক্টর কমান্ডার মরহুম এয়ার ভাইস র্মাশাল খাদেমুল বাঁশার ও কোম্পানি কমান্ডার শাহ নেওয়াজ এবং গাইবান্ধার দায়িত্বে নিয়োজিত ক্যাপ্টেন আজিজের নেতৃত্বে তারা দেশ স্বাধীনের জন্য ভারত সীমানা অতিক্রম করে পাটগ্রাম, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী এলাকার রণক্ষেত্রে সাহসী ভূমিকা রেখে সুন্দরগঞ্জ থানার চিন্নিহীত এলাকাগুলোকে শত্রুমুক্ত করতে সক্ষম হন।দিবসটি উৎযাপনের শুরুতেই সুন্দরগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল‍্য অর্পণ সহ একটি বিজয় র‌্যালী পৌরশহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।


আরও খবর



“সাফল্যের পূর্ণতায়, উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভেঙেছে ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজ প্রাঙ্গণে”

প্রকাশিত:রবিবার ২৬ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নাজমুল হাসানঃ 

বিগত বছরের মতো এবারও ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের  শিক্ষার্থীরা অনন্য প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে। ২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের মোট ২২৭২ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। পাসের হার ৯৯.৬৫। জিপিএ- ৫.০০ পেয়েছে ১২৯৯ জন শিক্ষার্থী, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৫৭.১৭%। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৫.০০ পেয়েছে ১১০২ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ১৫৪ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৪৩ জন শিক্ষার্থী। প্রতিষ্ঠানের কৃতিত্বপূর্ণ এই সাফল্যে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে বইছে গৌরবদীপ্ত আনন্দ ধারা। 


দেশের অন্যতম শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব, ঐতিহ্যবাহী সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ, ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এবং সম্মানিত অধ্যক্ষ জনাব ওবায়দুল্লাহ নয়নসহ পরিচালনা পর্ষদের সুদক্ষ দিক-নির্দেশনায় শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে একঝাঁক মেধাবী শিক্ষক। এই প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ মহোদয় বলেন, “প্রাজ্ঞ নির্দেশনা, সুদক্ষ পরিচালনা, নিয়মিত পাঠদান ও তদারকি, শিক্ষকমন্ডলীর আন্তরিকতা ও শিক্ষার্থীদের গভীর অধ্যবসায় এই সাফল্যের পিছনে মূলমন্ত্র হিসেবে কাজ করছে। কলেজের অভ্যন্তরীণ পরীক্ষায় কোন শিক্ষার্থী ক্রমাগত খারাপ করলে তা অভিভাবকদের অভিহিত করা হয়। তিনি বলেন, “আমরা মানুষ গড়ার কাঙ্ক্ষীত পরিবেশ নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছি। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাপারে আমরা আপোষহীন। সুষ্ঠু পরিকল্পনা, কঠোর শৃঙ্খলা এবং অধ্যবসায় আমাদের এগিয়ে চলার মূল চাবিকাঠি।”


২০২৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ (A+) পাওয়া শিক্ষার্থী আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আজকের এই প্রাপ্তি আমার জীবনে শ্রেষ্ঠ অর্জন। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এসএসসি-তে A+ না পাওয়ার কষ্ট ভুলে আমি আজ বিজয়ী। স্যারদের নিরলস চেষ্টা, প্রতিষ্ঠানের নিয়ম-কানুন ও বাবা-মায়ের পরিশ্রমে আজকে আমার এই অর্জন। আমি সবার কাছে কৃতজ্ঞ।’ 


অভিভাবক ইমতিয়াজ আহমেদ জানালেন তার সন্তুষ্টির কথা। তিনি বলেন,   “আমার সন্তানের সাফল্যের মূল কারিগর ডিএমআরসি। আমার সন্তান কলেজে অনুপস্থিত থাকলে সাথে সাথে তা এসএমএস এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হতো। শিক্ষার্থীর সকল বিষয় অভিভাবকদের নখদর্পণে দিয়ে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির দায়িত্বশীল ভূমিকায় আমি মুগ্ধ ও অভিভূত।’ 


অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান জনাব ড. মাহবুবুর রহমান মোল্লা প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে তাঁর স্বপ্নের কথা জানালেন। মানুষ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এ যাত্রা। অনেক স্বপ্ন আর আশা-আকাক্সক্ষা নিয়ে কলেজটির কাজ শুরু করি। মহান রাব্বুল আলামিনের অশেষ কৃপায় এলাকাবাসীর অপার সহযোগিতা, শিক্ষক-ম-লীর আন্তরিক পাঠদান এবং শিক্ষার্থীদের কঠোর পরিশ্রমে সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তাই তো তেরো বছরের এই পথ পরিক্রমায় এই প্রতিষ্ঠান তার কাক্সিক্ষত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপায়ন করতে পেরেছে। এই অগ্রগতি মানবকল্যাণে অব্যাহত থাকুক।


আরও খবর

১৩ দিন মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী

সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩