Logo
আজঃ সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3
শিরোনাম

ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ মে ২০২৩ | হালনাগাদ:সোমবার ০২ অক্টোবর 2০২3 | ১৭২জন দেখেছেন

Image

বিনোদন ডেস্ক:সিনেমার চেয়ে গত কয়েক দিন ধরে সাবেক স্বামী শাকিব খান ও তার অপর সাবেক স্ত্রী শবনম বুবলী ইস্যুতেই বেশি আলোচনায় অপু বিশ্বাস। ব্যক্তিগত জটিলতার ভিড়ে এ চিত্রনায়িকাকে দেখা গেল নববধূ সাজে। আর ক্যাপশনে জুড়ে দিলেন, ‘ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না’সহ কয়েকটি লাইন।

গতকাল শুক্রবার অপু বিশ্বাস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তাকে সোনালি রঙের শাড়ি, সাদা ব্লাউজ এবং ভারি গহনায় দেখা গেছে। মাথায় রয়েছে বিয়ের মুকুট। অর্থাৎ একদম নববধূর সাজে হাজির হয়েছেন নায়িকা।

ছবিগুলোর ক্যাপশনেও রহস্য তৈরি করেন অপু। তিনি লেখেন, ‘ভালোবাসা কোনো বাধা মানে না।  সব বাধা ও প্রাচীর পেরিয়ে এটি তার প্রত্যাশার লক্ষ্যে পৌঁছাবেই।

অপুর এ নববধূ সাজে পোস্ট করা ছবির মন্তব্যের ঘরে অনেক ভক্তই তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। আবার নববধূর সাজে হাজির কেন তাদের প্রিয় নায়িকা, সে বিষয়েও অনেকের মনে জেগেছে কৌতুহল।

এদিকে, জানা গেছে গত বুধবার (নারায়ণগঞ্জের একটি বিউটি পার্লারের আয়োজনে গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে ফটোশুটে অংশগ্রহণ করেন অপু বিশ্বাস। সে ফটোশুটের ছবিই তিনি গতকাল পোস্ট করেছেন।

অপু বিশ্বাস বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে গৌতম সাহার কোরিওগ্রাফিতে ফটোশুটে অংশ নিয়েছি। দারুণ শুট হয়েছে।  দূর-দূরান্ত থেকে এখানে সাজতে আসে। মেকআপ-গেটআপ সবমিলিয়ে ভালো একটি ফটোশুট হয়েছে।

কোরিওগ্রাফার গৌতম সাহা বলেন, ‘অনেকদিন পর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে ফটোশুট করেছি। সবমিলিয়ে ভালো একটি ফটোশুট হয়েছে। বিশেষ করে আকলিমার মেকআপের প্রশংসা রয়েছে।


আরও খবর



ডেমরায় নির্মাণাধীন একটি ভবন থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদকঃরাজধানী ডেমরা থানার শান্তিবাগ এলাকার আপন ঘর নামক নির্মাণাধীন ভবনের নিচ তলার লিফটের সামনে থেকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। ঘটনাস্থলে পুলিশের অপরাধ অনুসন্ধান শাখা সিআইডির ক্রাইমসিন দলের সদস্যরা এসে ফরেনসিক পরীক্ষা করেন। তবে মৃতের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভবনটি নির্মাণ করছেন স্থানীয় ডেভলপার শামীম নামে জনৈক ব্যক্তি।

ডেমরা থানার অফিসার্স ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে, প্রাথমিক ভাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা সম্ভব হয়নি।


আরও খবর



ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ,কনস্টেবলসহ দুজন গ্রেপ্তার

প্রকাশিত:বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ৫১জন দেখেছেন

Image

জসীমউদ্দীন ইতি ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ে কলেজছাত্রীকে দুই মাস আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল আল আমিন (২৮) ও তার বন্ধু রবিউলকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী কিশোরী ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। কনস্টেবল আল আমিন পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার ডাবরডাঙ্গা এলাকার তৈবুর রহমানের ছেলে। আল আমিন ঠাকুরগাঁও পুলিশ লাইনে সংযুক্ত ছিলেন। অপর আসামি রবিউল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রায়পুর ইউনিয়নের আবুল কাশিমের ছেলে। রবিউল ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে টেলি মেডিসিন পদে চাকরি করেন। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি ফিরোজ কবির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার বিকালে ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে কনস্টেবল আল আমিন ও রবিউলকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে রবিবার দুপুরে বাদি মোবাইলে অভিযোগ করলে সদর থানা পুলিশের একটি টিম শহরের হাজিপাড়া এলাকার হীরন মহিলা ম্যাচ থেকে ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে এবং একই সময় ম্যাচের ভেতর থেকে রবিউলকেও আটক করা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আল আমিন তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। পরে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে আল আমিন বিবাহিত এবং তার একটি সন্তান রয়েছে। ওই কিশোরী আরো বলেন, আল আমিন একজন প্রতারক। তাই তার কাছ থেকে রেহাই পেতে কৌশলে আমি নিজ বাসায় ফিরে যেতে চাইলে আল আমিন ও রবিউল আমাকে আটকে রাখে এবং দুই মাস পর্যন্ত আমাকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ভয়ভীতি দেখিয়ে শারিরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করেছে। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বলেন, আল আমিন ও রবিউল আমার মেয়েকে ভুলিয়ে ভালিয়ে ফাঁদে ফেলেছে। তাদের পরামর্শে দুই মাস পূর্বে হঠাৎ করে আমার মেয়ে প্রায় ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিলাম না। পুলিশের সহায়তায় মেয়েকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এ ঘটনায় ন্যায় বিচারের আশায় আল আমিন ও রবিউলের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।


আরও খবর



লিবিয়ায় নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি মানুষ

প্রকাশিত:সোমবার ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:লিবিয়ার দেরনা শহরের আকাশ-বাতাস এখনো লাশের গন্ধে ভারি হয়ে আছে। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে মরদেহ উদ্ধার করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনও ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের কোনো খোঁজ মিলছে না।

সেখানে এখন পর্যন্ত ১১ হাজারের বেশি প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। শহরের কাছেই অবস্থিত একটি সেতু বন্যার পানিতে পুরোপুরি ভেসে গেছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে মরদেহ পড়ে থাকায় তীব্র গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে নিঃশ্বাস নেওয়াও এখন বেশ কষ্টসাধ্য। ঝাঁঝালো গন্ধে গা গুলিয়ে উঠবে আপনার, বিশেষ করে যদি কেউ বন্দরের দিকে যায় তবে বুঝতে পারবেন সেখানকার অবস্থা আরও খারাপ।

হাজার-হাজার মানুষ, ঘরবাড়ি পানির স্রোতে ভেসে গেছে। যারা বেঁচে আছেন তাদের জীবনও পাল্টে গেছে। লোকজনের মধ্যে স্বজন হারানোর দুঃখ আর ক্ষোভ বাড়ছে। ফারিস গাসার নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা তার পরিবারের পাঁচজনকে হারিয়েছেন। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আমাদেরকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছিল। তাদের বলা উচিত ছিল যে, ঝড় আসছে আর বাঁধটি নাজুক হয়ে পড়েছে।

তিনি বলেন, কয়েকশ বছরের পুরনো ভবন ধ্বংস হয়ে গেছে। এটা পুরোপুরি রাজনীতি। পশ্চিমে একটি সরকার, পূর্বে আরেকটি সরকার। এটাই আমাদের বড় সমস্যা। নিজের দশ মাস বয়সী কন্যা সন্তানকেও হারিয়েছেন ফারিস গাসার। সাগরে ভেসে যাওয়া মানুষকে উদ্ধার করতে রীতিমত লড়াই করতে হচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলোকে। দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ও চারটি সেতু ধসে পড়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট বলছে, হাজার হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে এবং মৃতের সংখ্যাও আরও বাড়তে পারে। উদ্ধার কর্মীরা ভবনগুলোর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে জীবিত মানুষের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন। কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত দিয়ে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম বলছে, শহরটিতে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।

হাসপাতাল আর মর্গগুলো মৃতদেহে সয়লাব হয়ে পড়েছে। ২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফির মৃত্যুর পর থেকেই রাজনৈতিক সংকটের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে তেল সমৃদ্ধ দেশ লিবিয়া। এর একটি সরকার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের স্বীকৃত এবং এর রাজধানী ত্রিপলি। আরেকটি সরকার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করছে।

দেরনা শহরটি বেনগাজীর ২৫০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে। গাদ্দাফির পতনের পর এই শহরটি ছিল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের একটি ঘাঁটি। পরে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বা এলএনএ তাদের বিতাড়িত করে। এলএনএ পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণকারী প্রশাসনের ঘনিষ্ঠ জেনারেল খালিফা হাফতারের প্রতি অনুগত। প্রভাবশালী এই জেনারেল বলেছেন বন্যার কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি তারা নিরূপণ করছেন।

লিবিয়ার আল ওয়াসাত নিউজ ওয়েবসাইট বলছে, বহু বছর ধরে দেরনা শহরের রাস্তাঘাট পুনর্র্নিমাণ বা সংস্কার না হওয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা এতো বেশি হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা ত্রাণ সহায়তা পাঠাতে শুরু করেছে লিবিয়ায়। তবে দুর্গতদের দিন কাটছে শোকে, স্তব্ধতায়, নিদারুণ অভাব আর সংকটে।

দেরনা শহরে যে পরিমাণ ওষুধ এবং খাবার পানি প্রয়োজন স্থানীয় বাসিন্দারা তা পাচ্ছেন না। যারা বাড়ি-ঘর হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা এখনো পৌঁছায়নি। দেরনা শহর থেকে লোকজনকে পুরোপুরি সরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

ঝড়ের তাণ্ডবে তিনটি বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় পানির তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে একেবারে সমুদ্রে নিয়ে ফেলেছে বহু বসতি। এর জেরেই বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পচা দেহের গন্ধ ও স্বজন হারানো পরিবারের লোকেদের আর্তনাদ মিশছে বাতাসে। গণকবর দেওয়া হচ্ছে মরদেহ। পরিচয়ের অপেক্ষায় হাসপাতালে পড়ে আছে বহু লাশ।

গত ৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয় ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত ঘটে। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৭৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য।

লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তীব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে দেশের বিভিন্ন অংশে ১৫০ থেকে ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।

গত রোববার ভয়ঙ্কর শক্তি নিয়ে ‘ড্যানিয়েল’ আছড়ে পড়ে লিবিয়ার উপকূলে। ‘ড্যানিয়েল’-এর তাণ্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে যায় আল-বায়দা, আল-মার্জ, তোবরুক, বাতাহ-র মতো বেশ কিছু শহর। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেরনা ও বেনগাজির। প্রবল বৃষ্টি ও বানের ফলে দেরনা শহর যেন এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে।


আরও খবর



তাহিরপুর সীমান্তে চোরাচালান বাণিজ্য জমজমাট : দোয়ারায় গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:রবিবার ০১ অক্টোবর ২০২৩ | ১৪৪জন দেখেছেন

Image

মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে লাখলাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান বাণিজ্য চলছে জমজমাট। অন্যদিকে দোয়ারাবাজারে পৃথক অভিযানে মদ ও চিনিসহ ৭জনকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- গতকাল বুধবার (৬ সেপ্টেম্ভর) রাত ১২টার পর থেকে আজ বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্ভর) ভোর ৫টা পর্যন্ত জেলার তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তের চুনাপাথর খনি প্রকল্পের রেস্ট হাউজের পিছন দিয়ে ভারত থেকে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে লাকমা গ্রামের রফিকুল মিয়া ৯০ বস্তা, শহিদুল মিয়া ৮০বস্তা, ফিরোজ মিয়া ৭৫বস্তা ও ভুট্টো মিয়া ৬৫বস্তা কয়লাসহ অন্যান্যরা ২০মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে নিলাদ্রী লেকপাড়ে অবস্থিত অসিউর রহমানের ডিপুতে নিয়ে ওই গ্রামের বিশিস্ট চোরাই কয়লা ব্যবসায়ী মোক্তার মহলদার ও আক্কাছ আলীর কাছে বিক্রি করে। পরে পাচাঁরকৃত প্রতিবস্তা (৫০কেজি) কয়লা থেকে বিজিবি, পুলিশ ও সাংবাদিকদের নাম ভাংগিয়ে ৩শ টাকা করে চাঁদা নেয় সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী রতন মহলদার, ইয়াবা কালাম ও কামরুল মিয়া। একই ভাবে এই সীমান্তের বড়ছড়া, ভাংগারঘাট, বুরুঙ্গাছড়া ও রজনীলাইন এলাকা দিয়ে শতাধিক মেঃটন কয়লা পাচাঁর করে বিভিন্ন ডিপুতে মজুত করার খবর পাওয়া গেছে। অন্যদিকে এউপজেলার বীরেন্দ্রনগর, চারাগাঁও, বালিয়াঘাট, চাঁনপুর ও লাউড়গড় সীমান্ত দিয়েও কয়লা, চুনাপাথর, মাদকদ্রব্য, চিনি, সুপারী, কাঠ, নাসিরউদ্দিন বিড়ি, কসমেটিকস, বিস্কুট ও গরুসহ বিভিন্ন প্রকার মালামাল পাচাঁর করে সোর্স পরিচয়ধারীরা। কিন্তু এব্যাপারে নেওয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ। অথচ গত ২দিনে পৃথক অভিযান চালিয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া থেকে ভারতীয় মদসহ চোরাকারবারী ফয়জুল ইসলাম, আবুল কালাম, ইমরান আহমেদ ও এউপজেলার নরশিংপুর ইউনিয়নের শ্যামরগাঁও থেকে ২৬৫০কেজি ভারতীয় চিনিসহ চোরাকারবারী হেলাল মিয়া, রফিকুল ইসলাম, কাছম আলী ও জব্বার মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু অভিযান নেই তাহিরপুর সীমান্তে। এব্যাপারে লাকমা গ্রামের রফিকুল মিয়া বলেন- অনেকেই প্রতিদিন ভারত থেকে কয়লা পাচাঁর করছে। এই চোরাই কয়লা আমরা মোশাহিদ, নবীনুর, ইব্রাহিম, মোক্তার ও আক্কাছসহ ৮-১০জনের কাছে বিক্রি করি। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের সোর্স পরিচয়ধারী ইসাক মিয়া ও কামাল মিয়া বলেন- চোরারা নিজেরাই সবাইকে ম্যানেজ করে কয়লা পাচাঁর করছে, আমরা তাদের সাথে জড়িত না। কয়লা ও চুনাপাথর আমদানী কারক আবুল বাশার খান নয়ন, ফজলু সরদার ও ইপি সদস্য ধন মিয়াসহ অনেকেই বলেন-সোর্স পরিচয়ধারী একাধিক মামলার আসামী ও তাদের গডফাদারের চোরাচালান ও চাঁদাবাজি বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ ও র‌্যাব প্রশাসনের সহযোগীতা জরুরী প্রয়োজন। দোয়ারাবাজার থানার ওসি বদরুল হাসান সাংবাদিকদের জানান- গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে দোয়ারাবাজারে আসা অবৈধ পণ্য ও মাদক প্রতিরোধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।


আরও খবর



বাংলাদেশসহ ৩১ দেশকে রুশ মুদ্রায় লেনদেনের অনুমতি

প্রকাশিত:রবিবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৭৭জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বাংলাদেশসহ ৩১টি ‘বন্ধুসুলভ ও নিরপেক্ষ’ দেশকে রুশ মুদ্রা রুবলে লেনদেনের অনুমতি দিয়েছে রাশিয়ার সরকার। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার রুশ দূতাবাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের এক পোস্টে বলা হয়েছে, রুশ সরকার ৩০টিরও বেশি বন্ধুত্বপূর্ণ ও নিরপেক্ষ দেশ, ব্যাংক ও ব্রোকারদের একটি তালিকা অনুমোদন করেছে, যাদের রুশ মুদ্রায় লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হবে।

রুবলে লেনদেনের অনুমতিপ্রাপ্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, বেলারুশ, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, আলজেরিয়া, বাংলাদেশ, বাহরাইন, ব্রাজিল, ভেনিজুয়েলা, ভিয়েতনাম, মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কাতার, চীন, কিউবা, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মঙ্গোলিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সৌদি আরব, সার্বিয়া, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।


আরও খবর