Logo
আজঃ শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
শিরোনাম

উত্ত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায়,স্বামী পরিত্যাক্তা এক মহিলাকে পিটিয়ে আহত

প্রকাশিত:সোমবার ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৭৭জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নানঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে উত্ত্যক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় এক স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটেছে।ওই ঘটনায় নির্যতিত পারুল আক্তার (৩৫) নামের মহিলা নাজির উল্লাহ (২৩), জিয়ারুল ইসলাম (২৫), তাহের ইসলাম (৫০) ও মুক্তা আক্তার (২০) চার জনের নামে সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন করেছেন।


ঘটনাটি ঘটেছে ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় জেলার নাসিরনগর উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম কাজীপাড়ায়।অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে পারুল আক্তার একজন স্বামী পরিত্যাক্তা নারী।দুই সন্তান নিয়ে তার পিত্রায়লে বসবাস করেন।প্রতিবেশী উল্লেখিত বিবাদীগণ প্রায়ই রাস্তাঘাটে ও মোবাইল ফোনে পারুলকে উত্ত্যক্ত করে।এমনকি বিভিন্ন সময়ে পারুলকে নিয়ে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ন মন্তব্য করে।পারুল দীর্ঘদিন তাদের এসব অত্যাচার নীরবে সহ্য করে আসছে।ঘটনার তারিখে তাদের এমন উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তারা একজোট বদ্ধ হয়ে পারুলের উপর হর্তকিত হামলা চালায়।

বিবাদীরা পারুলকে চুলের মুটিধরে,মাটিতে ফেলে, টেনে হিচড়ে,শরীরের বিভিন্ন স্পর্ষকাতর স্থানে কিল,ঘুষি লাথি মেরে মারাত্বক জখম করে।এ সময় তারা পারুলের মাথার অনেক চুলও ছিঁড়ে ফেলেন।


পারুরে চিৎকার শোনে তার ছোটবোন বকুল আক্তার দৌড়ে এগিয়ে আসলে তার উপরও চলে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতন।

পরে প্রতিবেশীরা দৌড়ে এসে পারুল ও বকুলকে অত্যাচারীদের হাত থেকে রক্ষা করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে এনে চিকিৎসা শেষে থানায় সাধারণ ডায়েরী করার আবেদন করেন।

সাধারণ ডায়েরীর বিষয়ে জানতে চাইলে এস আই মোঃ আরিফুর রহমান সরকার জানান পারুলের অভিযোগটি তদন্ত করে অনুমতির জন্য আদালতে পাঠানো হবে।আদালতের অনুমতি পেলে বিবাদীদের বিরোদ্ধে প্রসিউকেশন কেটে আদালতে পাঠানো হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে মির্জা ফখরুলের শোক

প্রকাশিত:শুক্রবার ০১ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ১৩৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনায় ।

শুক্রবার (১ মার্চ) শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল রাত পৌনে দশটায় রাজধানীর বেইলি রোডের একটি বহুতল ভবনে লাগা ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৪৫ জনের নির্মম মৃত্যু এবং এখনো হাসপাতালের বিছানায় আগুনে দগ্ধ মানুষের আহাজারি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও মর্মস্পর্শী। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা জানিয়েছে।

দেশে আইনের শাসন না থাকলে দুর্ঘটনা ও বিপর্যয় ঘটতেই থাকে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। ফলে জনসমাজে নৈরাজ্য বিরাজ করে, নানা দুর্ঘটনা ঘটে ও মানুষের প্রাণ ঝরে যায়।

শোকবার্তায় বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, বেইলি রোডে বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ও আহতদের স্বজনদের মতো গভীরভাবে ব্যথিত ও শোকাভিভূত। আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট দোয়া করি-শোকার্ত পরিবারগুলো যেন তাদের স্বজন হারানোর বেদনা কাটিয়ে উঠতে ধৈর্য ধারণ করতে পারেন।


আরও খবর



৪২ দফা দাবি আদায়ে ফুলবাড়ী দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের বিক্ষোভ ও সভা

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ২৭ মার্চ ২০২৪ | ৬৬জন দেখেছেন

Image

আফজাল হোসেন, ফুলবাড়ী, দিনাজপুর প্রতিনিধি:দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ফুলবাড়ী দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের উদ্যোগে শনিবার সকাল ১১টায় ৪২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ফুলবাড়ী পৌর বাজার মসজিদ সড়কে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে পৌরশহরে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় ফুলবাড়ী দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কাস পার্টির উপজেলা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিকদার, ফুলবাড়ী স্বর্ণ শিল্পি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মানিক মন্ডল, দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি কমল চন্দ্র সাহা,সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন,বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফরিদ আলী,সংগঠনের সদস্য জাফরউল্লাহ্ধসঢ়; আনছারী,তাজুল ইসলাম, মিলন রহমান ও রানা মন্ডল প্রমুখ।

সভায় সংগঠনের সভাপতি হামিদুল হক ৪২ দফা দাবি পাঠ করে শুনান। দাবি সমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে শ্রমিক/কর্মচারীদের কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় কাজ করানো যাবে না। ঈদ-পূঁজায় শ্রমিক/কর্মচারীদের বেতনের সমপরিমান বোনাস দিতে হবে। কোন প্রতিষ্ঠান কর্তৃক ০৮ (আট) ঘন্টার বেশি শ্রমিক কর্মচারীদের কাজ করান তবে অভার টাইম দিতে হবে। বিনা কারণে বা কথায় কথায় শ্রমিক-কর্মচারীদের ছাঁটাই করা চলবে না। প্রতিষ্ঠানের মালিক ও কর্মরত শ্রমিকদের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে নিজেরা সমাধান করিতে না পারিলে তাহা উভয় সংগঠনের প্রতিনিধিদের নিয়ে সমাধান করতে হবে। চুক্তি মোতাবেক মাসিক বেতন হিসেবে পরিশোধ করিতে হবে। বকেয়া রাখা চলবে না। এমন ৪২ দফা দাবি জানান নের্তৃবৃন্দ। সভার শুরুতে সংগঠনের সদস্যদের মাঝে পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

পরে সেখান থেকে ৪২ দফা দাবী আদায়ের লক্ষে ফুলবাড়ী দোকান কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি হামিদুল হকের নেতৃত্বে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। দুনিয়ার মজদুর এক হও লাড়াই কর,আমাদের দাবী মানতে হবে এই স্লোগান দিতে দিতে মিছিলটি পৌর শহরর প্রদক্ষিণ করে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




গাংনীতে টিসিবি কার্ড দেবার নামে গণহারে টাকা আদায়

প্রকাশিত:শনিবার ০৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ৭১জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃমেহেরপুরের গাংনী উপজেলার নিত্যানন্দপুর গ্রামে টিসিবি (ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্ড করে দেয়ার নামে গণ হারে চাঁদা আদায়য়ের অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল নামে। তবে কাওকে তিনি টিসিবির কার্ড দিতে পারেন নি। এদিকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিকাশ ম-ল। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।

জানাগেছে, দেশের বিভিন্ন জেলায় দরিদ্র পরিবারের জন্য সরকার স্বল্প মুল্যে খাদ্য সহায়তা(ট্রেড কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ) টিসিবি কার্যক্রম চালু করেন। উক্ত কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে মেহেরপুর জেলায়। এর ধারাবাহিকতায় গাংনী উপজেলয় প্রায় ৩৮ হাজার পরিবার টিসিবির সুফল পাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে।উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে ধারাবাহিক ভাবে টিসিবি পন্য বিতরণ করা হয় পৃথক পৃথক ভাবে।

গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নে প্রায় ৪ হাজার পরিবার এর আওতাভুক্ত। অথচ সরকারের এই সফলতাকে পুঁজি করে অসহায় মানুদের কাছ থেকে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা পর্যন্ত গণহারে চাঁদা আদায় করেন আওয়ামীলীগ নেতা বিকাশ মন্ডল। তিনি ধানখোলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি। গ্রামের দুস্থ ও অসহায়দের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। তবে কারো কপালে টিসিবি কার্ড জোটেনি। আর এই চাঁদা আদায়ে সহায়তা করেন ওই গ্রামের মিখা মন্ডল।

সরেজমিনে নিত্যানন্দনপুর গ্রাম ঘুরে জানা যায় বিকাশ মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগের কথা। ওই গ্রামের খুশি মন্ডল, মহন মন্ডল,শুকুমারি সমিতা রানী, মার্থা,আরতি, মেরি, ঝুনু মুক্তা, শুরভি, বিজয়, চামেলি, অঞ্জলির কাছ থেকে ৭৫০ টাকা নেয়া হয়। রতন সরকার ও তার স্ত্রীসহ ৪ জনের কাছ থেকে নেয়া হয় ৩০০০ টাকা। শুধু নাম প্রকাশ কারিরাই নয়, এভাবে পুরো গ্রাম বাসীরে কাছ থেকেই ৭৫০ টাকা করে আদায় করেন বিকাশ মন্ডল। টাকা নেয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও আজও তাদের ভাগ্যে জোটেনি টিসিবি’র কার্ড। এ নিয়ে গ্রাম বাসীদের মধ্যে দানা বেধেছে ক্ষোভ আর কষ্টের।

নাম প্রকাশ না করার শর্ত দিয়ে গ্রামের অনেকেই জানান, বিকাশ মন্ডল আওয়ামীলীগ নেতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজের অজুহাতে গ্রামে এভাবে টাকা তোলেন। তার প্রতিবাদ করার কেউ নেই। যদি কেউ প্রতিবাদ করেন তাকে নানা ভাবে হয়রানী করেন বিকাশ মন্ডল ও তার বাহিনীর লোকজন।

গ্রামবাসীরা আরও জানান, বিকাশ মন্ডল গ্রামর কয়েকজনকে নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করেছে। তাদেরকে নিয়ে নানা অপকর্ম করে পার পেয়ে যাচ্ছে। কেউ তার ভয়ে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছেনা। বিষয়টি প্রশাসনের দৃষ্টি দেয়ার দাবী এলাকাবাসীর।

বিকাশ মন্ডল টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি টাকা নিয়েছেন ঠিকই তবে ৭৫০ টাকা নয় ২৫০ টাকা নেয়া হয়েছে। এ টাকায় যাদের কার্ড রয়েছে তাদের কার্ড পুনরায় অনলাইন করতে হবে। সেই অনলাইন করতে যে টাকা খরচ হয়েছে সে টাকায় নেয়া হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য গোলাম মোস্তফা জানান, ওই গ্রামে টিসিব কার্ড বিষয়ে বিকাশ মন্ডলের দায়িত্ব দিয়েছেন চেয়ারম্যান। টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না । যদি গরিব মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকে তা খুবই দুঃখ জনক ও অমানবিক।

ধানখোলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আব্দুর রাজ্জাক জানান, টাকা নেয়ার বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে অভিযোগ পেলে বিকাশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা জানান, হত দরিদ্র মানুষের কাছ থেকে এভাবে টাকা আদায়ের কোন নিয়ম নেই। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪




আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:সোমবার ২৫ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ | ৪৭জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি,বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান। যা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মে একযোগে সম্প্রচার করা হয়।

তার ১৭ মিনিটের কিছু বেশি সময়ের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছরে তার সরকার কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, শিল্প, দারিদ্র্য বিমোচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাসসহ দেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব এবং দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে ‘উদীয়মান অর্থনীতির দেশে’ রূপান্তরিত করেছে।

‘সুতরাং, এক সময়ের দারিদ্র্য-জ্বরাক্লিষ্ট বাংলাদেশ আজ সক্ষম উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে,’ বলেন তিনি।

‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের কারণে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব মঞ্চে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২১ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ হতে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সকল শর্ত পূরণ করেছে। আশা করা হচ্ছে ২০২৬ সাল নাগাদ বাংলাদেশ স্থায়ীভাবে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে সামিল হবে।

তিনি বলেন, “আজকে ২০২৪ সালে স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে বলতে চাই, আমরা দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। এটা কোনো অসার বাগাড়ম্বর দাবি নয়। বাংলাদেশ আজ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল বিশ্বে একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আমরা প্রমাণ করেছি রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সীমিত সম্পদ দিয়েও একটি দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায়।

‘১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ একুশ বছরের ইতিহাস এ দেশের মানুষের নিপীড়ন আর বঞ্চনার ইতিহাস,’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ সময় লুটপাট, দুর্নীতি, ইতিহাস বিকৃতি, মৌলবাদ এবং জঙ্গিবাদ সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধূলিস্যাৎ করে বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর এবং পশ্চাৎপদ দেশের তকমা পরিয়ে দেওয়া হয়। নিদারুণ দারিদ্র্য, ক্ষুধা, অকাল মৃত্যু এবং শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার অভাব ছিল এ দেশের মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী। তথাপি ১৯৯৬ সালে জনগণের ভোটে বিজয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে জনবান্ধব নীতি গ্রহণ করা শুরু করে এবং সর্বপ্রথম সাধারণ মানুষ বুঝতে পারেন তাদেরও সরকারি সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।

তিনি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিগত ১৫ বছরের কিছু অধিক সময়ের দেশপরিচালনাকালে প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগ, মহামারি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি এবং সর্বোপরি দেশি-বিদেশি শক্তির নানা ষড়যন্ত্রকে মোকাবিলা করতে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, করোনাভাইরাস মহামারির কারণে শুধু আমাদের দেশের নয়, গোটা বিশ্বের অর্থনীতি স্থবির হয়ে পড়েছিল। সে ধকল কাটতে না কাটতেই ২০২২ সালের গোড়ার দিকে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। এই যুদ্ধকে কেন্দ্র করে অর্থনৈতিক অবরোধ-পাল্টা অবরোধ আরোপের ফলে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো চরম সংকটের মুখে পড়েছে। নিত্যপণ্যের উৎপাদন ও বিপণন যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি এসব পণ্যের স্বাভাবিক চলাচলও বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। এরসঙ্গে গত বছরের শেষে যুক্ত হয়েছে গাজায় ফিলিস্তিনের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গণহত্যা।

২০১৩-১৪ সময়ে এবং ২০১৬ সালে বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী হরতাল-অবরোধ, অগ্নি-সন্ত্রাস, অগণিত মানুষ হত্যার মতো নৃশংসতাকে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ আখ্যায়িত করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপি এবং তার মিত্ররা এবারও হরতাল-অবরোধ, অগ্নিসংযোগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সূচনা করেছিল। কিন্তু জনগণের প্রতিরোধের মুখে এবার তারা পিছু হটতে বাধ্য হতে হয়। তবুও তাদের হাতে বেশ কয়েকজন নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান এবং কয়েক শ কোটি টাকার সম্পদ বিনষ্ট হয়।

টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকায় নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করেও দেশকে আর্থ-সামাজিক ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ায় তার সরকারের সাফল্যের খণ্ডচিত্র ও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১.৫ শতাংশ হতে হ্রাস পেয়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১৮.৭ শতাংশে এবং হতদরিদ্রের হার ২৫.১ হতে ৫.৬ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে। আজ খাদ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ং-সম্পূর্ণ। বর্তমানে দানাদার খাদ্যশস্য উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৪ কোটি ৯৩ লাখ মেট্রিক টন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতু, ঢাকায় মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল, বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে চার বা তারও বেশি লেনের মহাসড়ক চালু, ইত্যাদি অবকাঠামো সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেছে। দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

চলমান রমজানে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সাধারণ জনগণের কল্যাণে তার সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরু হতে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য রাজধানী ঢাকার অন্তত ২৫টি স্থানে ট্রাকে করে মাছ, মাংস, ডিম এবং দুধ সুলভমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, টিসিবি প্রথম পর্যায়ে সারাদেশের ১ কোটি কার্ডধারী পরিবারের জন্য সুলভমূল্যে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি এবং ছোলা - এই ৫টি পণ্য বিতরণ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ঢাকা ও আশেপাশের এলাকার কার্ডধারী পরিবারের জন্য চাল, ডাল, ভোজ্য তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুর - এই ৬টি পণ্য বিতরণ করছে। ঈদ উপলক্ষে সারাদেশের ১ কোটি ৬২ হাজার ৮০০ পরিবারের জন্য সরকার এক লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চালের বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে। প্রতি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি এ সম্পর্কে আরও বলেন, আমরা এ বছর সরকারিভাবে এবং দলগতভাবে ইফতার পার্টির আয়োজন নিরুৎসাহিত করেছি। আওয়ামী লীগ এবং এর সকল সহযোগী সংগঠন নির্দেশমত তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত গরিব-দুঃস্থদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছে।

রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা চড়া ছিল। তবে এসব পণ্যের দাম কয়েকদিনের মধ্যেই স্বাভাবিক ও সহনীয় পর্যায়ে নেমে এসেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

“জিনিসপত্রের দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট হয়। আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের কষ্ট লাঘবের,” যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহবান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও পঁচাত্তরের ঘাতক এবং তাদের দোসররা এখনও তৎপর রয়েছে পরাজয়ের বদলা নিতে। সুযোগ পেলেই তারা আঘাত হানবে। তাদের সামনে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। হাজারও শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত গণতন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনই ভুলুণ্ঠিত হতে দেবে না। আওয়ামী লীগকে ছলে-বলে-কৌশলে নিচিহ্ন বা দুর্বল করতে পারলেই পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য। কাজেই কাণ্ডারি হুঁশিয়ার।

তিনি বলেন, বাঙালি বীরের জাতি। যুদ্ধ করে আমরা এদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছি। সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় - জাতির পিতা নির্দেশিত এই বৈদেশিক নীতি অনুসরণ করেই আমরা দেশ পরিচালনা করি। আমাদের কোন প্রভু নেই, আছে বন্ধু। তাই কারও রক্তচক্ষু বাঙালি জাতি কোনদিন মেনে নেবে না। প্রয়োজন হলে বুকের রক্ত দিয়ে বাঙালি জাতি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব-সম্মান রক্ষা করবে।

দেশবাসীর উদ্দেশ্যে জাতির পিতার কন্যা বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের উপর আবারও আস্থা রাখার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার সব সময়ই সংবিধানকে সমুন্নত রেখে রাষ্ট্র পরিচালনা করে আসছে এবং জাতীয় সংসদকে রাষ্ট্রের সকল কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশের যে উন্নয়ন সাধন করেছি তা থেকে থেকে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে গিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। যে বাংলাদেশ হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্য-মুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।


আরও খবর



নবীনগরের কাইতলায় অবৈধভাবে ড্রেজার চালিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করায় ৪ জনের জেল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ | ১৫৬জন দেখেছেন

Image

মোহাম্মদ হেদায়েতুল্লাহ  নবীনগর(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধিঃ-

নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের কোনাউর গ্রামের দুটি স্থানে অবৈধভাবে ড্রেজার চালিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করায় মোহাম্মদ আলাউদ্দিনকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  এছাড়া গুড়িগ্রামের বিলে ৪টি ড্রেজিং মেশিন দিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করায় শফিকুল ইসলামকে ১ বছর এবং মো: তোফাজ্জল ও মো: শামিমকে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।


রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ঘটনাস্থলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে আটককৃত ২জনকে ১ বছর করে ও ২ জনকে ৬ মাস করে কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম।সাজাপ্রাপ্ত মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ফসলি জমি নষ্ট করার অপরাধে পূর্বেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন। এছাড়া অন্যান্যদের একাধিকবার নিষেধ করার পরও দিনরাত ড্রেজার চালিয়ে কয়েক বিঘা ফসলি জমি নষ্ট করেছে।


এর মধ্যে সরকারি খাস জমিও রয়েছে।অবশেষে কাইতলা এলাকায় মাটি কাটার সাথে জড়িত মূলব্যক্তিদের হাতে নাতে ধরে 'বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০' মোতাবেক শাস্তি প্রদান করা হলো।  এসময় মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ড্রেজার জব্দ করা হয়েছে এবং ব্যবহৃত পাইপ নষ্ট করা হয়েছে।ফসলি জমি রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর

৫ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪