Logo
আজঃ সোমবার ২০ মে ২০24
শিরোনাম

"উচ্চ গতিসম্পন্ন ইন্টারনেট জীবন বদলে দেবে"

প্রকাশিত:রবিবার ১০ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ২১০জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ মেহেরপুর প্রতিনিধি:ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহম্মেদ পলক বলেছেন, জীবন কানক্টেভিটি হবে বিটিসিএলর লাইফ লাইন। এই একটি প্যাকেজ যা দিয়ে আমরা বিটিসিএলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিনত করতে পারবো। উচ্চ গতিসম্পন্ন এই প্যাকেজ সারা দেশে ৪ লাখ মানুষের মাঝে দেয়া হবে। মাত্র ৩শ টাকায় ৬ এমবিপিএস, ৫শ টাকায় ১০ এমবিপিএস, এক হাজার টাকায় ২০ এমবিপিএস গতিসম্পন্ন লাইন গ্রাহকদের মাঝে দেয়া হবে। এর পরও বিটিসিএল লাভের মুখ না দেখলে ভিন্ন ব্যবস্থা নেয়া হবে। সেবার মান বাড়িয়ে বিটিসিএলের প্রতি বছর দেড়শো থেকে দুইশো কোটি লোকসান বন্ধ হবে বলে মনে করেন তিনি।আজ সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মেহেরপুর বিটিসিএল এর কার্যালয়ে উচ্চগতিসম্পœœ ইন্টারনেট জীবন কানেক্টভিটির উদ্বোধনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, টেলিটকের ৪৮ লক্ষ গ্রাহকের যে সিম এক্টিভিট আছে তাদের সমস্য দূর করার জন্য যাদুকরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলালিঙ্কের সাথে এক্টিভ নেটওয়ার্ক শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে উচ্চ গতিসম্পন্ন নেটওয়ার্ক পাচ্ছি। সেখানে ইন্টারনেট ভালো পাচ্ছি, ভয়েজ কলও ভালো হচ্ছে। টেলিটকের নেটওয়ার্ক না থাকলেও আমরা সব ধরনের সুবিধা এখান থেকে পাচ্ছি। আগামী স্বাধীনতা দিবসের আগেই পাইলটিং প্রোগ্রাম শেষ হবে। পরবর্তীতে সারাদেশে এটি ছড়িয়ে দেয়া হবে। প্রথমে বাংলালিঙ্ক ও পরে জিপি, রবির সাথে টেলিটকের শেয়ারিং নেটওয়ার্ক চালু করা হবে।

পরে মেহেরপুর ডাক ঘরের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক আসিটি অধিদপ্তরের মহাপরিচাল মোস্তফা কামাল, ডাক বিভাগের খুলনা সার্কেলের পোস্ট মাস্টার জেনারেল সামসুল আলম, বিটিসিএললের উপমহাব্যবস্থাপক নারায়ন চন্দ্র ঘরামী, জেলা প্রশাসক শামীম হাসান, পুলিশ সুপার এস. এম নাজমুল হক।


আরও খবর



কুড়িগ্রামে স্বাধীনতা পদক প্রাপ্ত এড. আব্রাহাম লিংকনকে নাগরিক সংবর্ধনা

প্রকাশিত:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪জন দেখেছেন

Image
কুড়িগ্রাম ব্যুরো চিফ :স্বাধীনতা পদক পুরস্কারে ভূষিত কুড়িগ্রামের কৃতি সন্তান এডভোকেট এস.এম আব্রাহাম লিংকনকে কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। আজ ১৮ মে শনিবার বিকেলে শহরের শেখ রাসেল অডিটোরিয়ামে নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,  গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।

অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. হামিদুল হক খন্দকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, কুড়িগ্রাম-১ আসনের এমপি এ.কে.এম মোস্তাফিজার রহমান, কুড়িগ্রাম-৪ আসনের এমপি এড. বিপ্লব হাসান পলাশ, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ, পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ মো.আফজাল। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মশিউর রহমান। এরপর মাননীয় মন্ত্রী ডা۔ দীপু মনি এমপি কুড়িগ্রাম এর সরকারি শিশু পরিবার পরিদর্শন করে সন্ধ্যায় রংপুরের উদ্দেশ্যে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করেন।

এর আগে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি- এমপি নতুন শহরে অবস্থিত উত্তরবঙ্গ যাদুঘর পরিদর্শন করেন। সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, এই মুহুর্তে সামাজিক বেষ্টনির আওতায় বিভিন্ন ভাতাভোগীর ভাতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই। তবে আমরা বাজেট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি, কোন ভাতাভোগীর জন্য এটাই যে তার একমাত্র অবলম্বন, এটা কিন্ত নয়। ভাতা দেয়ার অনেক গুলো কারণ রয়েছে। এরমধ্যে নিজেকে তিনি যেন অসহায় না মনে করেন, রাষ্ট্র তার পাশে আছে। পরিবারে যেন তার সম্মান বাড়ে, সেজন্যই ভাতা প্রদান করা হয়।

আরও খবর



মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্তের আগে কনডেম সেলে রাখা যাবে না: হাইকোর্ট

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:হাইকোর্ট রায় দিয়েছেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কয়েদীকে কনডেম সেলে রাখা যাবে না।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে কনডেম সেলে রাখা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানি করেন। আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ শিশির মনির। রুল শুনানিতে আদালত এ বিষয়ে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও এস এম শাহজাহান বিশেষজ্ঞ মত নেন।

এর আগে ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়।

বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানি শেষে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষা রাখেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।

গত বছরের ৫ এপ্রিল মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিদের কনডেম সেলে বন্দি রাখা কেন বেআইনি হবে না এবং কেন জেলকোডের ৯৮০ বিধি অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে কনডেম সেলে থাকা বন্দিদের বিষয়ে ৬ মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হওয়ার আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কনডেম সেলে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

চট্টগ্রাম কারাগারে কনডেম সেলে থাকা জিল্লুর রহমানসহ মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তিন বন্দির পক্ষে আইনজীবী শিশির মনির এ রিট দায়ের করেন।

রিট আবেদনকারী হলেন- চট্টগ্রাম কারাগারের কনডেম সেলে থাকা সাতকানিয়ার জিল্লুর রহমান, সিলেট কারাগারে থাকা সুনামগঞ্জের আব্দুর বশির ও কুমিল্লা কারাগারে থাকা খাগড়াছড়ির শাহ আলম। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এই তিন আসামীর আপিল হাইকোর্ট বিভাগে বিচারাধীন রয়েছে।


আরও খবর



সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১০৮ বার পেছাল

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ১৬ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ২০ মে ২০24 | ৬৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:১০৮ বার পেছাল সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ। আগামী ৩০ জুন প্রতিবেদন দাখিলের পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা র‌্যাব প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এজন্য ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুবুল হকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

আদালতের শেরে বাংলা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা আলমগীর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন।

অন্য আসামিরা হলেন- বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ।

আসামিদের প্রত্যেককে একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হলেও তাদের কেউই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।

২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি নিজেদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

এরপর নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। প্রথমে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন ওই থানার এক এসআই। চার দিন পর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে একই বছরের ১৮ এপ্রিল হত্যা মামলাটির তদন্তভার র‍্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি সংস্থাটি।


আরও খবর



তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী মেহেরপুরবাসীর

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১৪৬জন দেখেছেন

Image

মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুরঃতাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম যেন নিত্যসঙ্গী হতে চলেছে মেহেরপুরবাসীর। টানা কয়েক দিন ধরে জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ রোব্বার বিকেল তিনটায় মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি বাড়িয়ে তুলছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি ভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

রোব্বার বেলা চারটা পর্যন্ত শহর ও আশপাশের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জনগণের চরম অস্বস্তি ভাব চোখে পড়েছে। ষোলটাকা ইউনিয়নের বানিয়াপুকুর গ্রামে বেলা দুইটার দিকে তপ্ত দুপুরে মাথায় মাথাল দিয়েভুট্টা মাড়াই করছিলেন নজরুল ইসলাম কালাম আবুছদ্দীন ও মনিরুল। পাশের জমিতে ভুট্টা কাটছেন ইমদাদ আর কাউছার। তাদের ভাষায়, রোদির মদ্দি কাজ করতি সমেস্যা তো এট্টু হচ্চেই। কাজ না কল্লি তো আর হচ্চে না। কাজের ফাঁকে পর এট্টু জিড়িটিড়ি নিতে হচ্ছে। আমাগের হাত না নড়লিতো প্যাট চলবি না।

করিমপুর মোড়ে টং দোকানের সামনে কথা হয় কৃষক আবু বক্করের সাথে। তার ভাষায়, ‘জীবনকালে এমন গরম কখনো দেখেননি। এ গরম তো না মনে হচ্ছে গজপ। আমরা আগে দেকিচি এইরাম রোইদ পড়েচে, কিন্তু এইরাম তাপ ছিলুনা। সেই সুমায় খালে-বিলি পানি থাকতু। অ্যাকন কুথাও পানি নেই, রোদির ঝলক পড়চে। আমাদের বয়সে বহু কিচুই দেকিচি, অ্যারাম গরম দেকিনি।’

গোপালনগর চারচারা মোড়ে বটগাছের নীচে দেখা হয় কৃষক আকরাম আলীর সাথে। তিনি জমিতে সেচ দিচ্ছেন। একটু জিড়িয়ে নিতে গাছ তলায় বসেছেন। তার ভাষায় “ এমন গরম বাপের জন্মেও দেকিনি।আগে একঘন্টায় যে জমিতি পানি দেয়া হতো এখন লাগছে চারঘন্টা। সময় আর তেল দুটোই অপচয়।

কয়েকদিন আগে একটার মটরও পুড়ি গিছে। ইবার ধানে লুকসান হতি পারে।গাংনী রেজাউল চত্ত্বরে জুতা মেরামতকারী (মুচি) ভগত দাস রোদের মধ্যে ফাঁকা জায়গাতে ছাতির নীচে কাজ করছেন। সারা দিনে মাত্র ১২০ টাকার কাজ করেছেন। ছোট ছোট বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাতে বেশ হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। তিনি জানান, দিন পনের আগেও এত তাপ ছিল না। সেসময় ৫/৬শত টাকা হতো।

এখন লোক সমাগম নেই তাই কাজও নেই। খদ্দেরের আশায় রোদের মাওেঝও বসে থাকতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি। তার ভাষায়, ‘আগের তাপ-গরমের সাতে অ্যাকনকার আকাশপাতাল তপাত। ঋতুর রদবদল হয়ে গিয়েচে। এই রোদি আর গরমে পারা যাচ্চে না। বয়স হয়ে গিয়েচে, অল্প পরিশ্রমেই কাহিল হয়ে যাচ্চি।

গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, আজ রোব্বার ৩২ জন পুরুষ, ৩৩ নারী, ৩৮ জন শিশু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগি রয়েছে ৩০ জন। বৈরী আবহাওয়ায় অনেকেই তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার পাশে বিক্রি করা শরবত কিনে খাচ্ছেন। এতে করে দেখা দিচ্ছে নানা রোগবালাই।

রোগীদের অধিকাংশই জ্বর, স্বর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়া রোগে আক্রান্ত। বিশেষ করে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। বিভিন্ন হাসপাতালে রোগিদের উপচে পড়া ভীড়। পা ফেলার জায়গা নেই। মেঝে ও সিঁড়িতেও রোগীরা ভর্তি রয়েছেন। অনেকেই আউটডোরে পরামর্শ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সুপ্রভা রাণী জানান, তাপদাহ বা বৈরী আবহাওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তার পাশে বা যেখানে সেখানে বিক্রি হওয়া আখের রস, শরবত, লেবুপানি খাচ্ছেন। এগুলো অস্বাস্থকর। খাওয়া যাবে না। কারণ, একই গ্লাসে একাধিক ব্যক্তি শরবত পান করছেন। এতে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসসহ সংক্রামক রোগব্যাধি ছড়িয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। হালকা পাতলঅ পোশাক পরতে হবে।


আরও খবর



রাণীশংকৈলে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ১৯ মে ২০২৪ | ১১০জন দেখেছেন

Image
রাণীশংকৈল(ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃপ্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপন্ন। মানুষের জীবন গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শ্রমজীবি মানুষেরা পড়েছে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায়। প্রচুর গরমে তাদের কাজকর্ম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। সামান্য কাজ করেই হাপিয়ে পড়ছে তারা। অনাবৃষ্টিতে গ্রাম গঞ্জের রাস্তাঘাট ধুলোবালুতে ভরে গেছে।

এ থেকে নিস্তার পেতে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌর শহরের ডিগ্রী কলেজ মাঠে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সাইয়্যেদুল ইসতিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। সম্মিলিত ইমাম ওলামা মাশায়েখের আয়োজনে এ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে আ’লীগ সভাপতি অধ্যাপক সইদুল হক, মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান,উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সম্পাদক আহাম্মদ হোসেন বিপ্লবসহ ২ শতাধিক মুসল্লি অংশ গ্রহণ করে। এ নামাজে ইমামতি করেন উত্তরবঙ্গের খ্যাতি সম্পন্ন মাওলানা আব্দুল্লাহীল বাকী।

সহকারী শিক্ষক সাংবাদিক জিয়াউর রহমান বলেন,প্রচন্ড দাবদাহ থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে  অংশ হিসাবে এ নামাজ আদায় করা হলো। হাদিসে আছে আমাদের নবী রাসুলেরা বৃষ্টির জন্য এ নামাজ আদায় করতো। সেই ধারাবাহিকতায় এ নামাজ পড়েছি। একইভাবে ব্যবসায়ী ইউসুফ আলী বলেন, বেলা বাড়ার সাথে সাথে মার্কেটে লোকজন কমে যায়। এ জন্য বেচাকেনাও কম। সূর্যের তাপদাহে মানুষ বাড়ী থেকে তেমন বের হতে পাড়ছে না। তাই বৃষ্টির প্রার্থনায় এ নামাজে অনেকেই অংশ গ্রহণ করেছি।

আরও খবর