Logo
আজঃ শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24
শিরোনাম

উচ্চ আদালত বন্ধের নির্দেশ দিলেও পুরোদমে চলছে ইটভাটার কাজ

প্রকাশিত:রবিবার ০৫ মার্চ ২০২৩ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ২৪২জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার  নাসির নগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের হরিপুরে  অবৈধভাবে গড়ে উঠা দুটি ইটভাটা উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চালিয়ে যাচ্ছে উৎপাদন। 

হরিপুর রাজবাড়ী থেকে কয়েকশত গজ দক্ষিণে রয়েল  ও  সততা ব্রিকস নামে লোকালয়ে অবৈধভাবে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। স্থানীয়রা ইট ভাটা দুটি এখান থেকে সরিয়ে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি জানান। 


ইট ভাটা দুটি অন্যত্র স্থানান্তরের জন্য স্থানীয় হরিপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার ছেলে মোঃ আউয়াল মিয়া ৩০ জানুয়ারি ২০২২ সালে উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন ও দায়ের করেন,যার পটিশন নম্বর ১৪৬৫৯। পিটিশনে তিনি উল্লেখ করেন ভাটা দুটির কালো ধোয়ার দূষণে স্থানীয় এলাকার পরিবেশ দুষিত হচ্ছে। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রী ও এলাকার মানুষ নানান রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর প্রতিকার চেয়ে তিনি ভাটা দুটির পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বাতিল করে অন্যত্র স্থানান্তরের দাবি করেন। এই বিষয়ে আউয়াল মিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর বরাবর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করেন।


আওয়ালের আবেদনের প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোর্ট ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর একটি রুল জারি করেন। যা ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালতে যথাযথ জবাব দিতে না পারায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ উচ্চ আদালত ভাটা দুটিকে বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ভাটার মালিকরা প্রশাসনকে মেনেজ করে উৎপাদন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। 


 সরেজমিন এলাকায় গিয়ে  দেখা গেছে, রয়েল ব্রিকস ও সততা ব্রিকস দুটিতেই পুরোদমে চলছে উৎপাদন । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক জানায় এখানে মাঝে মধ্যে প্রশাসনের লোকজনও আসে।  তাদের ম্যানেজ করেই চলছে উৎপাদন। 

রয়েল  ও সততা ব্রিকস দুটিতে গিয়ে মালিক পক্ষের কাউকে পাওয়া যায়নি। সাংবাদিকের কথা শোনে কারখানার ব্যাবস্থাপক ও সটকে পড়ে। 

পরে রয়েল ব্রিকস এর মালিক মোঃ ইয়াসিন মিয়ার  সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি ঢাকায় আছি পরে এসে কথা বলবো। 


এগুলো ছাড়াও চাপড়তলা ইউনিয়নের উড়িয়াইনে রহিমা,গোয়াল নগর ইউনিয়নের লালুয়ারটুকে সালমা আর শাহেনা নামক ইটভাটা গুলোতে পুড়ানো হচ্ছে কাট আর জুট।তাদের নেই কোন প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রও।কোন কোন ইটভাটার অবস্থান আবার রয়েছে বিদ্যালয় সংলগ্ন।


নাসির নগর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হাবিবুল্লা সরকার বলেন, ইট ভাটা অনুমোদন বা বন্ধের দায়িত্ব আমাদের নয়। এইটা পরিবেশ অধিদপ্তর ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্ব।, আমরা শুধু সহযোগিতা করতে পারি। আর এই রায়ের কোন কপি আমাদের হাতে এখনো আসেনি। 


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম বলেন, গত দুইতিন দিন আগে  আমার হাতে রায়ের কপি এসেছে। আমরা এই গুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

-খবর প্রতিদিন/ সি.বা


আরও খবর



দুইবার অসন্তোষ আখ্যা পেলেও তৃতীয় মূল্যায়নে সফল মারুফ

প্রকাশিত:শনিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

মিঠুন দাস মিঠু, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, নিটার:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি অনুষদের শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (নিটার) এর দশম ব্যাচের  ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং  ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী মো: রবিউল আলম মারুফ আইসিটি ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থবছরে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রনালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে বিশেষ অনুদান প্রাপ্তির জন্য মনোনীত হন।
"ডেভেলপমেন্ট অব এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইস ইউজিং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স" শীর্ষক গবেষণাটি হলো পাখা ছাড়া উড়ন্ত যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা; এটি বানানোর ক্ষেত্রে এন্টিগ্র্যাভেটি ডিভাইসের জন্য প্লাজমা জেনারেটর ব্যবহার করা হয়েছে এবং ডিভাইসটি প্রাথমিকভাবে সফলভাবে উড়তে সক্ষম হয়েছে। এই উদ্ভাবনের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলে এটি শব্দহীন গতিবেগ সৃষ্টি করতে সক্ষম। দীর্ঘ দুই-বৎসরের গবেষণালব্ধ, এ নতুনত্বপূর্ন প্রযুক্তিটি অদূর ভবিষ্যতে "স্টার ওয়ার্স" চলচ্চিত্রে দেখানো স্টারশিপ বিমান ডিজাইনের অনুকরণ হতে পারে।

গবেষণা কাজটি পরিচালনার জন্য  বরাদ্দকৃত অর্থের প্রথম ধাপের প্রাপ্ত কিস্তির পর অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তির অনুদান লাভের চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন, যা একটি মঞ্জুরিপত্রের মাধ্যমে মন্ত্রণালয় হতে অবগত করা হয়েছে। তবে এই গবেষণা কাজ চলমান অবস্থায়  পূর্বে ৩১ জানুয়ারী, ২০২২ ও ১১ এপ্রিল, ২০২৩ সালে দুইবার রিপোর্ট প্রেরণ করা হলেও সেগুলোর সন্তোষজনক অগ্রগতি হয়নি বলে মূল্যায়িত করা হয় ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ হতে। এমতাবস্থায় অনেক জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ  ব্যক্তি প্রজেক্টটি অসমাপ্ত রেখেই ইতি টানার পরামর্শ দিলেও মারুফ তার প্রবল ইচ্ছেশক্তি দিয়ে গবেষণা কাজ চালিয়ে যায়।

৩১ জানুয়ারি,২০২২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতির বিষয়ে ভার্চুয়ালি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন গ্রহণ করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফ জানান বর্তমানে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জনাব কামরুল আলম খান এর তত্ত্বাবধানে গবেষণা কাজ চলমান রেখেছেন এবং উক্ত গবেষণার বিষয়ে ইতোমধ্যে একটি পেপার পাবলিশ করেছেন; কিন্তু হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই এর অভাবে মূল কাজটি এখনো সম্পন্ন করতে পারেননি। তবে, দেশের বাহির হতে এটি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যেটি শীঘ্রই পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী। ভার্চুয়াল প্রেজেন্টেশন শেষে সার্বিক পর্যালোচনায় প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয় এবং প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পটির মূল্যায়নে সন্তোষজনক বলে বিবেচিত হলেই কেবল পরবর্তী কিস্তির অর্থ প্রদানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়। এছাড়া, প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট বিভাগে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর জনাব  ড. এমডি শাহেদুল আলম কে উক্ত প্রকল্পের মেন্টর হিসেবে মনোনয়নের সুপারিশ করা হয়।

পুনরায় ১১ এপ্রিল,২০২৩ খ্রিষ্টাব্দের সভায় মূল্যায়ন কমিটির সিদ্ধান্তে প্রকল্প বাস্তবায়নকারীর পুনরায় সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং  প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মারুফ মূল্যায়ন কমিটিকে জানান যে, তিনি দেশের বাহির হতে হাই-ভোল্টেজ পাওয়ার সাপ্লাই নিয়ে আসলেও কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাব-সুবিধা পাচ্ছেন না। এ বিষয়ে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি বিভাগের মাধ্যমে বুয়েট কর্তৃপক্ষকে তাদের ল্যাব ব্যবহারের সুবিধা প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানানো হলেও বুয়েট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনোপ্রকার অনুমতি প্রদানে অস্বীকৃতি জানায় এবং সার্বিক পর্যালোচনায় এবারেও প্রকল্পের অগ্রগতি সন্তোষজনক হয়নি বলে বিবেচিত হয়। এমতাবস্থায়, কিছু শর্তে প্রকল্পের অগ্রগতি উল্লেখ্যযোগ্য পর্যায়ে নিয়ে পরবর্তী মূল্যায়নে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়। প্রকল্পের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক জনাব ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান এর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য জানানো হয়।

সর্বশেষ তৃতীয় ধাপে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী মো: রবিউল আলম মারুফের কাজ মূল্যায়ন কমিটির দৃষ্টিভঙ্গিতে সন্তোষজনক অগ্রগতি লাভ করেছে বলে বিবেচিত হয় এবং ৩১ মার্চ, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দে অবশিষ্ট দ্বিতীয় কিস্তি অনুদান লাভের মঞ্জুরিপত্র পায়।

শত বাঁধা উপেক্ষা করে প্রকল্পটির সাথে লেগে থাকজ জনাব মো: রবিউল আলম মারুফ তার ব্যক্তিগত সোশ্যাল মিডিয়ায় জানান, "আলহামদুলিল্লাহ প্রায় আড়াই বছরেরও অধিক সময় পরে সন্তোষজনক মূল্যায়নটি পেয়েছি, এরমধ্যে আমার সাথে যাহারা ফান্ড পেয়েছিল তাদের অনেকের ই কাজ শেষ করে প্রজেক্ট জমা দেওয়া হয়ে গেছে। খুব আফসোস আর অসহায় লাগত কিন্তু ধৈর্য ধরে ছিলাম দিনটির জন্য। ২০২২ এবং ২০২৩ এর প্রথম  দু'বারের মূল্যায়নে অসন্তোষজনক আখ্যা পেলেও আমি গবেষণাতে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যই পাচ্ছিলাম না। অবশেষে, টানা দশ মাসের ৭০ এর ও অধিক পরিক্ষা নিরীক্ষার পর উড়েছে পাখা ছাড়া যন্ত্র।" মারুফ ব্যক্তিগত গবেষণা কাজ ছাড়াও দ্যা হাউজ অব ইল জিনিয়া নামে একটি রিসার্চ কমিউনিটি পরিচালনা করেন যারা সার্বক্ষণিক বিভিন্ন নতুন গবেষণা প্রচেষ্টায় মগ্ন থাকেন এবং দেশব্যাপী আয়োজিত বিভিন্ন বিজ্ঞানভিওিক কনফারেন্স ও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে থাকে। এই কমিউনিটির সদস্যদের জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, গবেষণায় সরকারি অনুদান লাভসহ বিভিন্ন গবেষণা কনফারেন্সে কাজের উল্লেখযোগ্য উৎসাহমূলক প্রসংশা পেয়ে আসার সুনাম রয়েছে।


আরও খবর



মোটরসাইকেল চোর গ্রেফতার:চোরের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিলেন জনতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ০৪ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১০৫জন দেখেছেন

Image
মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের কুখ্যাত মোটরসাইকেল চোর আব্দুর রাজ্জাক(৩৬) মোটরসাইকেল চুরি করতে গিয়ে আবারো জনতার হাতে আটক হয়েছে।। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার এবং গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। গত কাল বুধবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পৌরশহরের প্রগতি ক্লাবের পিছনে এক ইফতার পার্টিতে এ চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। এএসপি সার্কেল রেজাউল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

জানা গেছে, এদিন পৌর শহরের কুয়েতি মসজিদের পাশে আজিজুল হক তার বাড়িতে এক ইফতার পার্টির আয়োজন করেন। বাড়ির বাইরে তার নিজেরসহ অতিথিদের মোটরসাইকেল রাখা ছিল।এরমধ্যে চোর রাজ্জাক তার দুই সহকর্মীকে নিয়ে ওই স্থান থেকে আজিজুলের মোটরসাইকেলটি তার এক সহকর্মীকে দিয়ে সরিয়ে ফেলার সময় এক মহিলা তা দেখে ফেলেন। ওই মহিলা দ্রুত এসে আজিজুলকে খবর দিলে তিনি বাইরে দাঁড়ানো রাজ্জাক ও তার সহকর্মীকে মোটরসাইকেলসহ ধরে ফেলেন। চারদিক থেকে লোকজন ছুটে এসে চোর রাজ্জাককে ঘেরাও করে। ক্ষিপ্ত জনতার রোষ থেকে বাঁচার জন্য রাজ্জাক ও তার সহকর্মী আজিজুলের বাড়িতে ঢুকে যায়। এদিকে ক্ষিপ্ত জনতা রাজ্জাকের মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।

এ সময় খবর পেয়ে  ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভায়। এরমধ্যে এএসপি সার্কেল রেজাউল হক, ইউএনও রকিবুল হাসান, ওসি সোহেল রানাসহ বিপুল সংখ্যক  সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। প্রায় দু' ঘন্টাব্যাপি পুলিশ ও জনতার মধ্যে ইটপাটকেল ছোঁড়া ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলে। এক পর্যায়ে  পুলিশ লাঠিচার্জ করে জনতাকে সরিয়ে রাজ্জাক ও তার সহকর্মী রেজওয়ানকে  উদ্ধার ও গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। 

এএসপি সার্কেল রেজাউল হক বলেন,  রাজ্জাকের  বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একাধিক মামলা রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের দু'জনকে থানা কাস্টডিতে নেওয়া  হয়েছে। ওসি সোহেল রানা জানান, এনিয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল  আসামিদেরকে জেলা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। 

আরও খবর



ভোলায় ৭ গ্রামের ৫ হাজার মানুষের ঈদ উযাপন

প্রকাশিত:বুধবার ১০ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৭১জন দেখেছেন

Image

শরীফ হোসাইন, ভোলা বিশেষ প্রতিনিধি:সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ বুধবার ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছে ভোলার ৭ গ্রামের অন্তত ৫ হাজার মানুষ। তারা সুরেশ্বরী দরবার শরীফ ও সাতকানিয়ার মির্জাখীল দরবার শরীফ অনুসারী। বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৯টায় বোরহানউদ্দিন উপজেলার টবগী ০১ নং ওয়ার্ডের পঞ্চাইত বাড়ীর দরজায়, মুলাইপত্তন গ্রামের ৭ ও ৯নং ওয়ার্ডে প্রায় এক হাজার মুসুল্লি ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

এছাড়া সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার তিনটি গ্রামের ৭শ পরিবার একদিন আগেই ঈদুল ফিতর পালন করেছে। সুরেশ্বরী দরবার শরীফের খলিফা ও মুলাইপত্তন গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে অনুষ্ঠিত জামাতের ইমাম গোলাম মাওলা মঞ্জু জানান, দীর্ঘ পঞ্চাশ বছর ধরে আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে রোজা ও ঈদ পালন করে আসছি। আজ তিন গ্রামে পৃথক জামাতে প্রায় ১ হাজার মুসুল্লি জামাতের সাথে নামাজ আদায় করেন।তিনি আরো বলেন, বোরহানউদ্দিন উপজেলা ছাড়াও ভোলা সদর, দৌলতখান, লালমোহন, তজুমউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার ৩ হাজার পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

একই ইউনিয়নের মুলাইপত্তন গ্রামের ০৯নং ওয়ার্ডের আমিন মিয়া চৌকিদার বাড়ির দরজার মসজিদে একই সময় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে ইমামতি করেন মাও: আনোয়ার হোসেন।তিনি জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও আমরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ৩০টি রোজা পূর্ণ করে আজ ঈদ উৎযাপন করছি। টবগী ১নং ওয়ার্ডের পঞ্চাইত বাড়ীর মসজিদে হাফেজ তানজীল নামাজের ইমামতি করেন।


আরও খবর



চট্টগ্রামে পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্সের বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও নতুন কর্মীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত:সোমবার ০১ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ৮১জন দেখেছেন

Image
এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাটঃপপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চট্টগ্রাম অঞ্চলের নতুন নিয়োগকৃত উন্নয়ন কর্মকর্তাদের নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠিত হয়েছে।রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে চট্টগ্রামে হোটেল সৈকতে  এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও বীমা দাবীর চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।


পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের আল আমিন বীমা প্রকল্পের উর্দ্ধতন  মহা-ব্যবস্থাপক  ও প্রকল্প পরিচালক শামসুজ্জামান সেলিমের  সভাপতিত্বে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর ও প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য  রাখেন পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্য নির্বাহী সদস্য  বি এম ইউসুফ আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন  পপুলার লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের উর্ধ্বতন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( ব্রাঞ্চ কন্ট্রোল ) সৈয়দ মোতাহার হোসেন, উর্ধ্বতন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ( উন্নয়ন প্রশাসন ) নওশের আলী নাঈম , আল বারাকাহ ইসলামী একক বীমা প্রকল্পের উর্দ্ধতন নির্বাহী পরিচালক ও প্রকল্প  পরিচালক  মোহাম্মদ এনামুল হক, ইসলামী ডিপিএস প্রকল্পের  প্রকল্প  পরিচালক সোলায়মান হোসেন সোহাগ ।

প্রশিক্ষণ  কর্মশালা শেষে মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা গ্রাহকের হাতে বীমাদাবীর চেক হস্তান্তর করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও বি এম ইউসুফ আলী।


আরও খবর



প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ কেন্দ্রে ঈদ উপহার নিয়ে হাজির হলেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ০৯ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ২০ এপ্রিল ২০24 | ১১৭জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানার পশ্চিম পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আশপাশের এলাকার শতাধিক গরীব অসহায় ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেছে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

সোমবার ( ৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে উপস্থিত থেকে অসহায় দের মাঝে এ ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন।

‘আশ্রয়ণ’ প্রকল্পের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভূমিহীন-গৃহহীন ছিন্নমূল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের আওতায় এনেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা ঘোষণা দিয়েছেন, ‘বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না।’ বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ব্যাপক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর পিপিএম (বার)  মেরুং জ্বরজুরি পাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে হাজির  হয়েছেন। ঈদ উপহার নিতে আসা মানুষের চোখে মুখে আনন্দের ছোঁয়া দেখা যায়। উপহার নিতে ছোট বড় বৃদ্ধা সকল বয়সী লোকের সমাগম ঘটে।

ঈদ উপহার নিতে আসা আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা শাহেদা বেগম বলেন, আগে কোনো স্যার এভাবে আমাদের কথা ভাবেনি। এই স্যার আমাদের শীতের সময় কম্বল দিয়েছেন। আজ আবার ঈদ উপহার দিয়েছেন। সত্যিই আমরা অনেক আনন্দিত। কারণ এভাবে কেউ কখনো আমাদের মূল্যায়ন করেন না। আমরা পুলিশ সুপার মহোদয়ের জন্য দোয়া করি যাতে আল্লাহ উনার মঙ্গল করেন।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার বয়স ৬২ বছর। আমি বৃদ্ধ হয়ে গেছি। এখন তেমন কাজ পাই না। এই বছর ঈদ উপলক্ষ্যে কিছু কিনতে পারি নাই। পুলিশ সুপার মহোদয় আমাদের জন্য ঈদ উপহার সামগ্রী নিয়ে এসে আমরা ভালভাবে ঈদ পালন করতে পারবো।আল্লাহপাক যেন পুলিশ সুপার স্যারের মঙ্গল করেন।

এ সময় খাগড়াছড়ি জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড আপস)  মো. জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার  মো. তফিকুল আলম, দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)  মো. নূরুল হক, মেরুং পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নজরুল ইসলাম, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুর রহমান সহ উপকার ভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মানবতার সেবায় নিয়জিত। পবিত্র ইদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অসহায় গরীব ও দুস্থ পরিবারের জন্য আমাদের এ আয়োজন। ভবিষ্যতেও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এবং সকল বাহিনীর সাথে কাধে কাধ মিলিয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সকল মানবিক কাজে অংশগ্রহণ করবে।জানিয়ে তিনি  আরো বলেন, খাগড়াছড়ি জেলায় মাদকমুক্ত সৃজনশীল তারুণ্য তৈরির মাধ্যমে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন স্বপ্নের আগামী নির্মাণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। 

আরও খবর