Logo
আজঃ রবিবার ০৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

প্রকাশিত:রবিবার ১৭ মার্চ ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১৩০জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ হিসেবে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রেদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে হেলিকপ্টারে করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছান। এসময় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে রাষ্ট্রপতি জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা জানানোর পর শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় তিন বাহিনীর একটি চৌকস দল অনার গার্ড প্রদান করেন। বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

পরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু সমাধি সৌধের পাশে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন। দলীয় নেতাদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধের বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন প্রধানমন্ত্রী।


আরও খবর



পানি-স্যালাইন বিতরণ করে প্রশংসায় ভাসছে কাফরুল থানা পুলিশ

প্রকাশিত:শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৮জন দেখেছেন

Image
মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার:সারাদেশে তীব্র দাবদাহ চলছে। স্বস্তি ফেরাতে পরিবহনের চালক,যাত্রী ও পথচারীদের মাঝে রাজধানীর কাফরুলে বিভিন্ন এলাকায় খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করেছে কাফরুল  থানা পুলিশ।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে কাফরুলের বিভিন্ন  এলাকায় তৃষ্ণার্ত পথচারী ও দিনমজুর মানুষের মাঝে পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

কাফরুল  থানা পুলিশের এ আয়োজনে প্রায় ১৫০০  মানুষের মধ্যে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

পুলিশের এমন উদ্যোগে অনেকেই প্রশংসা করছেন। পথচারীরা বলছেন,প্রচণ্ড গরমের মধ্যে রাস্তায় চলাচলে মানুষ খাবার পানি ও স্যালাইন পেয়ে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন।

পুলিশের মানবিক উদ্যোগে সবাই খুশি। প্রতিটি দুর্যোগে পুলিশ জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে মানবিকতার পরিচয় দেয়। রিকশা, সিএনজি ও লেগুনা থামিয়ে পুলিশকে পানি ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করতে দেখা যায়।

কাফরুল  থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফারুকুল আলম জানান, তীব্র দাবদাহের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের সেই দিক খেয়াল করেই আমাদের ডিএমপি কমিশনার স্যারের নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চাই পথচারীরা যেন তীব্র এই রোদের মধ্যে কোনো রকম কষ্ট না হয়। সেজন্য আমরা ক্ষুদ্র এই উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা চেষ্টা করে যাবো সব সময় জনগণের পাশে দাঁড়াতে।

আরও খবর



আমতলীতে ৪৮ ঘন্টায় ৬২ জন ভর্তি,কলেরা স্যালাইন তীব্র সংকট

প্রকাশিত:রবিবার ০৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ২২৩জন দেখেছেন

Image

আব্দুল্লাহ আল নোমান আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি:আমতলীতে প্রতিদিন বাড়ছে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ৪৮ ঘন্টায় ৬২জন রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ডায়রিয়া ওয়ার্ডের চিকিৎসক, নার্সসহ অন্যান্যরা। বেডে ঠাই না হওয়ায় আক্রান্ত রোগীরা নিরুপায় হয়ে বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে দুর্ভোগ বাড়ছে রোগীদের।ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভর্তি রোগীদের বাহির থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে। এতে গরীব রোগীরা পরেছে চরম দুর্ভোগে।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্তÍ ৪৮ ঘন্টায় আমতলী হাসপাতালে ৬২ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন।

৬ বেডের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা সংকুলান না হওয়ায় নিরুপায় হয়ে রোগীরা বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে সরকারী ভাবে এ চিত্র পাওয়া গেলেও গ্রামের চিত্র ভয়াবহ। অনেকেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে না এসে গ্রাম্য চিকিৎকের শরনাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী বলে এক বেসরকারী তথ্যে জানা গেছে।গুলিশাখালী ইউপি সদস্য আব্দুল ওহাব আকন বলেন, প্রায় ঘরে ঘরেই এখন ডায়রিয়ায় আক্রান্তের রোগীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। শুক্রবার সকালে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে, বেডের অভাবে অনেক রোগী হাসপাতালের বারান্দায় বিছানা পেতে চিকিসা নিচ্ছেন।

এসময় গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানি গ্রামের ষাটোর্ধ মজিদ হাওলাদার (৬৩) নামে এক রোগী বলেন, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে জায়গার অভাবে এখন বারান্দায় শুয়ে চকিৎসা নিচ্ছি। এখানে ফ্যান নেই গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। চাওড়া ইউনিয়নের পাতাকাটা গ্রামের আরেক রোগী রুকাইয়া (১৩) নামের এক কিশোরী বলেন, বারান্দায় শুয়ে চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে। এখান থেকে বাথ রুমে যেতে কষ্ট হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বৈঠাকাটা গ্রামের আশমান খাঁ (৯০) বলেন, বাবা খালি পানির মত পড়ে। হাসপাতালে আইছি। হেও আবার রুম পাইনাই। ওষুধ নাই। বাইরে গোনে টাহা দিয়া স্যালাইন কেনতে অয়। মোরা গরীব মানু স্যালাইন কেনার টাহা পামু কোম্মে।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের আবু ছালেহ বলেন, হাসপাতালে ভর্তি হয়ে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নিচ্ছি। এপর্যন্ত ৩হাজার লিটার স্যালাইন বাহির থেকে কিনে চিকিৎসা নিয়েছি।

আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের তারিকাটা গ্রামের দুলাল সর্দার বলেন, মোর ৯ মাসের ছেলে ইয়াছিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালে এনে ভুর্তি করেছি। এপর্যন্ত খাবার স্যালাইন ছাড়া আর কিছুই হাসপাতাল থেকে পাইনি।

আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার থেকে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীদের শরীরে পুশ করার জন্য কলেরা স্যালাইন সংকট দেখা দিয়েছে। স্যালাইন সংকট দেখা দেওয়ায় রোগীদের এখন ওষুদের দোকান থেকে স্যালাইন কিনতে হচ্ছে।

আমতলী হাসপাতালের জরুররী বিভাগের চিকিৎসক ডা. মনিরুজ্জামান খান বলেন, ডায়রয়ায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশু এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেশী। তিনি বলেন তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে মানুষ পানিবাহিত রোগ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছে বেশী।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কাওছার বলেন, শুকনো মৌসুমের কারনে তাপমাত্রা বেড়ে গেছে এবং বিশুদ্ধ পানি পানের অভাবে এবং বৃষ্টি না হওয়ায় পানিতে লবনাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আজ বা কালের মধ্যে পাওয়া যাবে। স্যালাইন পাওয়া গেলে এ সংকট থাকবে না। তিনি আরো বলেন, চিকিৎসা সেবায় কোন ঘাটতি নেই। হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা সবাই আন্তরিক ভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে


আরও খবর



গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬জনের মনোনয়ন পত্র দাখিল

প্রকাশিত:মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ১১৫জন দেখেছেন

Image

গোদাগাড়ী(রাজশাহী)প্রতিনিধি:রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে।চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউল আলম,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি সুন্দন দাস রতন,উপজেলা যুবলীগের অর্থ সম্পাদক ও দেওপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান বেলালউদ্দীন সোহেল,জেলা যুবদলের সাবেক সাধারন সাজেদুর রহমান খান মার্কনী,জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন(এনডিএম) ড. আব্দুর রহমান মুহসেনী।ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হচ্ছেন,পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক নাজমুল হক,উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শফিকুল সরকার,উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালমান পিরোজ ফয়সাল ও আদিবাসী নেতা হরেন টুডু।মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সভাপতি ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান সুফিয়া খাতুন মিলি,উপজেলা মহিলা লীগের সাধারন সম্পাদক কৃঞ্চাদেবী। ৮ই মে প্রথম ধাপে গোদাগাড়ী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।২১ এপ্রিল প্রত্যাহার ও ২২ এপ্রিল প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে।


আরও খবর



হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে রোগীর পাশে বসে কাদলেন এম পি

প্রকাশিত:শনিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:শনিবার ০৪ মে ২০২৪ | ১৮৮জন দেখেছেন

Image

মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ-

জেলার,নাসিরনগর উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভা ১৩ মার্চ ২০২৪ রোজ শনিবার হাসপাতাল অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ অভিজিৎ রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ সংসদীয় ২৪৩ নাসিরনগর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য,এস এ কে একরামুজ্জামান।


এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্মানিত সদস্য, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া, অফিসার ইনচার্জ মোঃ সোহাগ রানা, ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নূরে আলম।


মেজর (অবঃ) মোঃ ইউসুফ হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ রায়হানুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাকিল আহামেদ, গোকর্ণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহীন আহমেদ প্রমুখ। পূর্বভাগ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন হাজারী।এছাড়াও উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সম্মানিত সদস্যগণ। সভার শেষে সভাপতি মহোদয় হাসপাতাল কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে এবং হাসপাতালে অবস্থানরত  বৃদ্ধ এক রোগীদের কে দেখে, কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

-খবর প্রতিদিন/ সি.ব


আরও খবর



জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ প্রস্তাব গৃহীত

প্রকাশিত:শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:রবিবার ০৫ মে ২০২৪ | ৫৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বাংলাদেশের ‘শান্তির সংস্কৃতি’ সংক্রান্ত প্রস্তাব জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (২ মে) সাধারণ পরিষদে প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত। শুক্রবার (৩ মে) ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম মেয়াদে ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর প্রস্তাবটি প্রথম গৃহীত হয়েছিল। তারপর থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর ইউএনজিএ-তে এই রেজুলেশনটি সহজতর করে আসছে এবং সাধারণ পরিষদে শান্তির সংস্কৃতির ওপর একটি উচ্চ-স্তরের ফোরামও আহ্বান করছে।

সাম্প্রতিক উচ্চ-স্তরের ফোরাম, যা ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২-এ অনুষ্ঠিত হয়েছিল, শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে যাতে শান্তি, সমতা এবং শান্তি বিনির্মাণকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা যায়।

এই বছর রেজোলিউশনটি জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে বিশ্বব্যাপী ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সম্মিলিত প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে। এটি প্রতিরোধমূলক কূটনীতি, সংলাপ এবং সবস্তরে সুস্থ বিতর্ক জোরদার করার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।

সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানে নারীর অমূল্য ভূমিকার পুনর্নিশ্চিত করার সময় এটি এই জাতীয় প্রক্রিয়াগুলোতে মহিলাদের পূর্ণ সমান এবং অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে।

অন্যদের মধ্যে প্রস্তাবটি সহিংসতা এবং সংঘাতের অন্তর্নিহিত চালকদের মোকাবেলা করার এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ আবদুল মুহিত বলেছেন, শান্তির সংস্কৃতির প্রস্তাব সময়ের সাথে সাথে প্রাসঙ্গিকভাবে বেড়েছে এবং একটি প্রভাবশালী থিমে বিকশিত হয়েছে যা জাতিসংঘের সকল প্রধান বক্তৃতায় বৃহত্তর পদচিহ্ন এবং স্বীকৃতি খুঁজে পেয়েছে।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এটি বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার জন্য জাতিসংঘের সনদের বাধ্যবাধকতা পরিপূরক করার একটি কার্যকর উপায় হিসাবে প্রমাণিত হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতি বছর এই প্রস্তাবটি বাংলাদেশের অব্যাহত সহজলভ্যতা বৈশ্বিক শান্তির জন্য অটল প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের গভীর আস্থার প্রমাণ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।


আরও খবর