Logo
আজঃ বুধবার ১৫ মে ২০২৪
শিরোনাম

তলা বিহীন ঝুড়ির দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল: পার্বত্যমন্ত্রী

প্রকাশিত:বুধবার ০১ নভেম্বর ২০২৩ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ১৯৮জন দেখেছেন

Image
জসীম উদ্দিন জয়নাল,পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি:পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন, বান্দরবান জেলার মধ্যে রুমা উপজেলা ছিল অতি দুর্গম ও পশ্চাৎপদ। আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় পার্বত্য জেলাগুলোতে রাস্তা, ব্রীজ, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মন্দির, খিয়াং, বিদ্যুত, সোলার, কৃষি এবং পর্যটন বিকাশসহ প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন হয়েছে। তিনি বলেন, এমন কোন সেক্টর নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করার আগে বিরোধী দলসহ রাজা বাদশারাও ক্ষমতায় ছিল তারা তো আওয়ামী লীগ সরকারের মতো উন্নয়ন করে দেখাতে পারেনি। তারা মুলত নিজেদেরকে রাজা আর সাধারণ মানুষকে প্রজা বানিয়ে রেখে ছেলে মেয়েদের শিক্ষিত করতে চায়নি। কারণ প্রজার ছেলে মেয়েরা শিক্ষিত হলে তাদের পদ পদবী থাকবে না, এই ভয়ে তারা স্কুল-কলেজ তৈরি করেনি। আর শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে যেখানে কলেজ আছে সেখানে ভার্সিটি, যেখানে স্কুল আছে সেখানে ডিগ্রী কলেজ তৈরী করে দিয়েছে। মন্ত্রী বলেন, হেনরী কিসিঞ্জারের আখ্যায়িত সেই তলা বিহীন ঝুড়ির বাংলাদেশ আজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।  

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলা পরিষদ ভবন চত্তরে রুমা উপজেলায় কর্মরত সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি এসব কথা বলেন।  

বান্দরবানের রুমা উপজেলায় এলজিইডি, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা পরিষদের ৪৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন  করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।  

পার্বত্যমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি আরও বলেন, দুর্গম পার্বত্য এলাকায় এখন বিদ্যুতের আলো জ্বলছে, বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রশস্ত সড়ক হয়েছে আর যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকলক্ষেত্রে পার্বত্য এলাকা এখন আগের চাইতে অনেক বেশি সুন্দর ও পর্যটকবান্ধব হয়েছে। দেশের উন্নয়নে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান মন্ত্রী।  

মত বিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুম বিল্লা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহ আলম, জেলা আওয়ামিলীগ এর সাধারণ সম্পাদক লক্ষি পদ দাশসহ সরকারী ও বেসরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অংগ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।  

উল্লেখ্য এলজিইডি'র ৮টি উন্নয়ন কাজের মধ্য ৫ টি উদ্বোধন ও ৩টি ভিত্তি প্রস্তর। মোট বরাদ্দ ৩৪ কোটি টাকা। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ৮টি কাজের মধ্য ৫টি উদ্বোধন ও ৩টি ভিত্তি প্রস্তর। এতে মোট বরাদ্দ ধরা হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ। এ ছাড়াও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ এর ৮ টি কাজের মধ্য ৭টি ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং ১টি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। এসব কাজে মোট বরাদ্দ ৩ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। 

মতবিনিময় সভা শেষে দুস্থ মহিলা ও অসহায়দের মাঝে সেলাই মেশিন, কৃষি উপকরণ ও সমাজ সেবা অধিদপ্তরের নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

আরও খবর



অহিদুল ইসলাম তুষারের প্রচেষ্টায় নার্সিং এ ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকর

প্রকাশিত:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | হালনাগাদ:বুধবার ১৫ মে ২০২৪ | ২৮জন দেখেছেন

Image
কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃবাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের জন্য তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি, তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি, চার বছর মেয়াদি বিএসসি ইন নার্সিং কোর্সে ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সারা দেশে ১৩১টি নার্সিং কলেজে আসন সংখ্যা ৬২১০টি। কিন্তু নার্সিং কলেজে চলতি ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য মাত্র ২% আসন সংরক্ষণ করা কথা বলা হয়। এ বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারের দৃষ্টিগোচর হলে ভর্তি পরীক্ষায় ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকরে তৎপর হউন। এবং ২% এর পরিবর্তে ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা কার্যকরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব,স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ডিজি, বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের পরিচালককে চিঠি দেন এবং সরাসরি সাক্ষাৎ করে চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকেই ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণে অনুরোধ করেন। গত ৪ মে,২০২৪ খ্রি. ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ৫ মে ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল। উক্ত ফলাফল দেখা যায় মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য ৫% আসন অর্থাৎ ৩১০টি আসন সংরক্ষণ করা হয়েছে। 
এ বিষয়ে “ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম “ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম তুষারের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , সরকারি নির্দেশনা আছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫% আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষণ করার কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় ব্যত্যয় ঘটছিল। বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলও দীর্ঘদিন ধরে ২% মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করে আসছিল কিন্তু এ বিষয়টি আমার দৃষ্টিগোচর হলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের ডিজি ও নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের পরিচালকে চিঠি দিই এবং ৫% কোটা অনুসরণে অনুরোধ করলে তারা মেনে নেন যা ফলাফলে বাস্তবায়ন হয়েছে বলে মনে করি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বীরপুত্র অহিদুল ইসলাম তুষার বলেন , মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল নিয়েও এমন হয়েছিল পরবর্তী মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে রিট করে আমরা ৫% করে নিয়ে আসছি। তিনি আরও বলেন , এ পর্যন্ত স্বাস্থ্য শিক্ষা খাতে ৫% মুক্তিযোদ্ধা কোটায় মেডিকেল /ডেন্টাল / নার্সিং এ সব মিলিয়ে ৭৭৭টি'র অধিক আসন মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য আমরা সংরক্ষণ করতে পেরেছি ।

তবে এ সফলতার পেছনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন। বিশেষ করে মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান নামে এক অফিসারের প্রতি। এবং যথাযথ ভাবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অনুসরণ করায় স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিবকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম, কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

আরও খবর



বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত:শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:সোমবার ১৩ মে ২০২৪ | ১০৩জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে থাইল্যান্ডের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চেয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বাংলাদেশি চিকিৎসা কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি তাকে বাংলাদেশের হাসপাতাল ও চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধায় বিনিয়োগের সম্ভাবনা অন্বেষণের প্রস্তাবও দিয়েছি।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে গভর্নমেন্ট হাউজে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেতা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ আহ্বান জানান।

বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে পাঁচটি দ্বিপক্ষীয় নথি সই করা হয়। যার মধ্যে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক এবং একটি আগ্রহপত্র (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিকটতম প্রতিবেশী হিসেবে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সম্পর্ককে বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। আমাদের বন্ধুত্ব আমাদের ঐতিহাসিক, ভাষাগত ও অভিন্ন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। সহযোগিতার বহুমুখী ক্ষেত্রে আমাদের দু'দেশের মধ্যে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই নেতা পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার গতিশীল অর্থনীতির সঙ্গে আমাদের সম্পৃক্ততার ক্ষেত্রে থাইল্যান্ডকে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও গতিশীল অংশীদার হিসেবে দেখি।

বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে তারা দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের বর্তমান আয়তন বাড়ানোর জন্য দীর্ঘ পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছেন এবং সুস্থ দ্বিমুখী প্রবৃদ্ধি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও ব্যবসা সহজীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আমি প্রধানমন্ত্রীকে (থাভিসিন) আশ্বস্ত করেছি। আমি থাই পক্ষকে আমাদের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাইটেক পার্কে বিনিয়োগ করার ও শুধু থাইল্যান্ডের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছি।

উভয় পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দু’দেশের বাণিজ্যমন্ত্রী এই ইস্যুতে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) সই করেছেন।

কূটনৈতিক পাসপোর্টধারীদের জন্য এরই মধ্যে দুই দেশের একটি চুক্তি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, থাই ও বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের মধ্যে মসৃণ যোগাযোগের সুবিধার্থে ঢাকা ও ব্যাংকক অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি সই করেছে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের জন্য থাইল্যান্ড জ্বালানি সহযোগিতায় সম্পৃক্ত হওয়ার সম্ভাবনাময় অংশীদার। জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে সই করা জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) হচ্ছে দ্বিতীয় নথি। শুল্ক বিষয়ক সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে তৃতীয় একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ডের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ও সেরা পর্যটন পদ্ধতি থেকে উপকৃত হতে আমরা পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সই করেছি।

তিনি উল্লেখ করেন, আমাদের জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উভয় পক্ষ কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে সহযোগিতার সম্ভাবনা অন্বেষণ করেছে।

সমুদ্রপথে যোগাযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই পক্ষ রানং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল নিয়ে আলোচনা করেছে। থাইল্যান্ডের ফ্ল্যাগশিপ ‘ল্যান্ডব্রিজ প্রকল্প’ বাংলাদেশ অত্যন্ত আগ্রহের সঙ্গে অনুসরণ করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমি থাই পক্ষকে দু’দেশের বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বিশেষ করে কৃষি, মৎস্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছি।

দুই প্রধানমন্ত্রী বিমসটেক কাঠামোর আওতায় আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রক্রিয়া নিয়েও আলোচনা করেন।

চলতি বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া শীর্ষ সম্মেলনের বর্তমান সভাপতি ও আয়োজক হিসেবে থাইল্যান্ড বাংলাদেশের কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

তিনি বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি- বিমস্টেক ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন জনসংখ্যার জন্য আঞ্চলিক অর্থনৈতিক অগ্রগতির মূল চালিকাশক্তি। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের সমর্থন চেয়েছে।

তিনি দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফরের গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাভিসিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউজে পৌঁছালে থাভিসিন তাকে স্বাগত জানান এবং তারপর থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ৬ দিনের সরকারি সফরে গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংককে পৌঁছান।


আরও খবর



শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন আজ

প্রকাশিত:রবিবার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১০৪জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ (রোববার),জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গর্বিত অফিসার।

শেখ জামাল ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমা বর্তমানে জেলার টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। তিনি ছিলেন সংস্কৃতিপ্রেমী এবং একজন ক্রীড়াবিদ।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। সেখান থেকে পালিয়ে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখ সমরে নেতৃত্ব দেন। শেখ জামাল ধানমন্ডি থেকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পথচলা শেষে ভারতের আগরতলা পৌঁছান এবং সেখানে মুজিব বাহিনীতে যোগদান করে প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ করেন।

শেখ জামাল ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক চৌকশ-মেধাবী সেনা অফিসার। তিনি ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের প্রথম ব্যাচের কমিশনডপ্রাপ্ত অফিসার। ১৯৭৪ সালে শেখ জামাল যুগোস্লাভিয়ার মিলিটারি একাডেমিতে ক্যাডেট হিসেবে প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে অংশগ্রহণ করেন। এরপর ব্রিটেনের স্যান্ডহার্স্ট একাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ শেষে দেশে ফিরে ঢাকা সেনানিবাসের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট পদে যোগদান করেন।

দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে চাকরিকালে স্বল্প সময়েই অফিসার ও সৈনিকদের মাঝে তিনি অসাধারণ পেশাগত দক্ষতা ও আন্তরিকতার ছাপ রাখেন। কয়েক সপ্তাহেই শেখ জামাল অফিসার ও সৈনিকদের মধ্যে তাদেরই একজন হয়ে যান। ট্রেনিং গ্রাউন্ডে, রণকৌশলের ক্লাসে, অবস্টাকল ক্রসিংয়ে অংশ নিয়ে সৈনিকদের মুগ্ধ করেন। ব্যাটালিয়ন বক্সিং টিমের সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিতেন।

১৯৭৫ সালের ১৪ আগস্ট ব্যাটালিয়ন ডিউটি অফিসার হিসেবে ক্যান্টনমেন্টে নিজ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ওই দিন রাতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে ফিরে আসেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নৃশংসভাবে খুন হন শেখ জামাল।

শহীদ শেখ জামালের জন্মদিন যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে পালন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।


আরও খবর



রাজধানীর তেজগাঁওয়ে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত

প্রকাশিত:বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১২১জন দেখেছেন

Image

নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার মাছের আড়তের সামনে ঢাকা অভিমুখী আন্তঃনগর যমুনা এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।ঢাকা রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, জামালপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেনটি সকাল ৮টার দিকে লাইনচ্যুত হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ যাচ্ছে। এখন একটি লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে। এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।


আরও খবর



থাইল্যান্ডে তীব্র গরমে ৩০ মৃত্যু, সতর্কতা

প্রকাশিত:বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ | হালনাগাদ:মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ | ১২৯জন দেখেছেন

Image

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:থাইল্যান্ডে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশটিতে।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দেশটির সরকার এ সতর্কতা জারি করে।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, রাজধানী ব্যাংককে চরম তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পর্যটন নগরীটিতে তাপমাত্রা ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে অশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার সেখানে ৪০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও প্রায় একইরকম তাপমাত্রার পূর্বাভাস দেওয়া হয়।

চলমান সময় নিয়ে থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে হিট স্ট্রোকে অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। এর আগে ২০২৩ সালে দেশটিতে হিট স্ট্রোকে ৩৭ জনের প্রাণহানি হয়।

দেশটির রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের উপ-মহাপরিচালক দিরেক খামপায়েন জানান, সরকারি কর্মকর্তারা বয়স্ক লোকজন এবং যারা স্থুল ও দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতায় ভুগছেন, তাদের বাড়িতে অবস্থান ও পর্যাপ্ত পানি পান করার আহ্বান জানিয়েছেন।

থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণত এপ্রিল মাসে আবহাওয়া সবচেয়ে গরম থাকে। কিন্তু এল নিনো আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে চলতি বছরে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

প্রসঙ্গত, গরম আবহাওয়ার একটি ঢেউ এ সপ্তাহে দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশেও ছড়িয়ে পড়েছে। তীব্র গরমের কারণে ফিলিপাইন ও বাংলাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশে উপাসকরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করছে।

সূত্র:ফ্রান্স ২৪আরএফআইসাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট


আরও খবর